ব্লগার রোবায়দা নাসরিনের একটা লেখা (বিয়ে তথা সংসার) পড়লাম। সেখানে তিনি বিয়ে এবং বিয়ের পর স্বামীদের আচরন নিয়ে লিখেছেন। লেখাটা আমার একপেশে মনে হয়েছে। পুরো লেখাটায় যেনো শুধু পুরুষ জাত টিকেই দোষারোপ করা হয়েছে। আমি সেখানে কমেন্ট করতে চেয়েছিলাম, পরে মনে হলো আমার মতামত কমেন্ট হিসেবে লিখলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আলাদা করে লিখছি।

লেখাটিতে তিনি লিখেছেন

কর্মমূখর জীবনে স্বামী ব্যস্ত থাকে, জীবনে নতুনত্ব, বৈচিত্র থাকে। একঘেয়েমি লাগে না। স্যালারি পাবার আনন্দ থাকে।

অথচ তিনি তিনি হয়তো জানেন না একজন পুরুষ কত ধরনের টেনশন নিয়ে বেচে থাকে। বিয়ের পর নিজের সংসার যেমন চালাতে হয়, বাবা-মা যদি আলাদা থাকেন তাদেরও দেখভাল করতে হয়। ছোট ভাই বোন থাকলে তাদের দায়িত্বও নিতে হয়। আমাদের সমাজের প্রেক্ষিতে কোন মেয়েকে তার বাবা-মা বা ছোট ভাই বোন এর দায়িত্ব নিতে হয় না। (ব্যাতিক্রমও আছে)

কর্মমূখর জীবনে বৈচিত্রের চেয়ে পরিশ্রম, হতাশা, ক্লান্তি আর চাপ বেশি থাকে। সময় মত স্যালারি না পেলে জীবন চালানো কষ্ট হয়ে যায়। ধার-দেনা করে চলতে হয়।

লেখাটিতে লেখক আরো লিখেছেন,

স্বাধীন হেসে খেলে বেড়ানো মেয়েটা হঠাৎ বাড়ীর বৌ হয়ে যায় । তার বন্ধু গুলো হারিয়ে যায় !!! গল্পের বইগুলোতে ধুলা জমে !! কবিতার খাতার পাতায় রান্নার রেসিপি দেখা যায় ।

আমাদের সমাজে বিয়ের পর কি ছেলেরা পরিবর্তন হয় না? বিয়ের পর সে রাত করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারে? বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখা এসব কয়টি ছেলে করতে পারে? আমাদের দেশে বিয়ের পর যে কোন ছেলেরই বন্ধুসংখ্যা কমতে থাকে। বিয়ের পরে ছেলেটির জীবনে পরিবর্তন আসে। আগের মত বন্ধুদের সময় দিতে পারে না, বাধঁন ছাড়া স্বাধীনতাও থাকে না। নতুন সংসার, স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়।

লেখাটিতে তিনি আরো লিখেছেন,

অনেক মেয়েকে দেখেছি স্বামীক্ ভয় পায় । স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাচ্চাকে একটা চকলেটও কিনে দিতে পারে না । কমপ্লেক্সে ভোগে তারা । রান্না থেকে শুরু করে সব কাজে স্বামীর মনের মতো করে চলার চেষ্টা থাকে । 

আমি তো ভিন্নচিত্রও দেখেছি। অনেক স্বামীই তার বেতনের টাকা স্ত্রীর হাতে তুলে দেন। অথবা সংসার খরচ দিয়ে দেন। বাজার বা রান্না সেটা সংসারের গৃহিনীই ঠিক করেন। সন্তানের চুলের স্টাইল কেমন হবে, কোন খেলনা দিয়ে সে খেলবে এগুলোও মায়েরা ঠিক করেন, বাবাদের খুব কম কথাই টিকে। আমি এমনও মানুষকে দেখেছি, স্ত্রীকে রেখে বাইরে খাবার খান না, কোন রেষ্টুরেন্টে অফিস পার্টি হলে স্ত্রীর জন্য খাবার প্যাক করে নিয়ে যান।

বিয়ের পর আপনি স্বামীর ভেতর পুরনো প্রেমিক কে খুজবেন, অথচ নিজে তার জীবনে প্রেমিকার মতো থাকবেন না এটা তো হয় না। আমাদের দেশে অধিকাংশ নারী বিয়ের পর শরীরের যত্ন নেন না।মুটিয়ে যান। অনেকেই বাড়িতে সাজগোজ ছাড়া একদম সাধারন ভাবে থাকেন। সুন্দর করে চুল বেধে, শাড়ী পরে, হালকা পারফিউম মেখে, কপালে টিপ দিয়ে স্বামীর জন্য দরজা খুলে দেন না। হয়তো আপনি এ ক্ষেত্রে বলবেন সারাদিন সংসারের হাজারো কাজের ফাকে সময় কই?

অথচ আপনিই কিন্তু আশা করছেন সারাদিন বাইরে প্রচন্ড পরিশ্রম করে বাড়ি ফেরার সময় ক্লান্ত স্বামী আপনার জন্য ফুল নিয়ে আসবেন, আপনার কপালে টিপ পরিয়ে দিবেন।

আপনার লেখাটি একদম একপেশে। বিয়ে মানেই জীবনে পরিবর্তন। স্ত্রীকে যেমন নতুন দায়িত্ব নিতে হয়, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়, স্বামীকেও এসবের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। অনেক বেশি দায়িত্বও নিতে হয়।

সংসারে বস শুধু স্বামীই হতে চায় না। এমনও পরিবার দেখেছি, সেখানে নারীই বসগিরি করে বেড়ায়। অনেক পুরুষই হয়তো ডমিনেটেড মনোভাবের, স্ত্রীকে নিজের সম্পত্তি মনে করেন। তবে সবাইকে এক কাতারে ফেললেন কেনো?

আমার আপন খালাতো বোন তার স্বামীকে নিজের সম্পত্তি মনে করে, নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায়। দুলামিয়ার নিজের মোবাইলে ফোন আসলে আগে বোন রিসিভ করে, পরে দুলামিয়াকে কথা বলতে দেয়। অচেনা দূরে থাক, চেনা নারীদের সাথেও দুলাভাই কথা বললে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এখন আমি নিশ্চয়ই তাকে দেখে পুরো নারী জাতিকে এককাতারে ফেলবো না।

সংসার মানেই কম্প্রোমাইজ। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই যেমন দায়িত্ব নিতে হয়, ক্ষেত্র বিশেষে দুজনকেই ছাড় দিতে হয়। সুন্দর দাম্পত্য জীবনের জন্য সব দায় স্বামীর একার না, স্ত্রীরও দায় আছে। প্রবাদেই তো আছে, "সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে"

লেখাটি যদি আপনার নিজের সংসার নিয়ে লেখা হয়, তবে আমার কিছু বলার নেই। তবে যদি আপামর বাংলার সংসার জীবন নিয়ে লিখে থাকেন, তবে আমি বলবো আপনি একপেশে লেখা লিখেছেন।

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

  • রিতু জাহান

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শতকরা ৬০ ভাগ এখনো এ অবস্থা।
    লেখা নিয়ে পরে আবারো আসছি। লেখাটায় আলোচনা দরকার। আসলে চোখ ব্যাথা করছে।
    আপনার লেখাটা আবারো পড়তে হবে।

  • জিসান শা ইকরাম

    প্রিয় ব্লগার, আমি বুঝতে পারি যে সোনেলায় আপনি নতুন এলেও যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুরাতন ব্লগার আপনি। আপনার লেখা সম্পর্কে মন্তব্য পরে করবো

    নাসরিন একদম নতুন ব্লগার, আজই আইডি করেছেন এবং জীবনের প্রথম ব্লগ পোস্ট দিয়েছেন। ব্লগীয় কালচারে পোস্ট পাল্টা পোস্ট স্বাভাবিক। কিন্তু একজন নতুন ব্লগার এতে ভয় পেতে পারেন, ভয় পেয়ে চলেও যেতে পারেন।
    আমাদের কি উচিৎ না একজন নতুন ব্লগারকে আগে উৎসাহ দিয়ে ব্লগার হিসেবে তৈরী করা? আপনি, আমি সহ সবাইই তো চাই, নতুনরা আসুক নিয়মিত, চাই না?

    আপনার পোস্ট থাকুক। আপনার কাছে চাওয়া এই, আপনি অন্তত তাকে বুঝান যে আমরা সবাই সোনেলার আপনজন, আপনজনদের মাঝে বিতর্ক হতেই পারে সন্মানের সাথে।

    শুভ কামনা সেডরিক,
    নিয়মিত লেখুন সোনেলায়।

    • সেডরিক

      তাকে ব্যক্তি আক্রমনের কোন উদ্দেশ্য নেই আমার। কেউকেই ব্যক্তি আক্রমনের কোন উদ্দেশ্য নেই আমার।
      আমার কাছে কারো লেখা ভালো লাগলে আমি যেমন প্রশংসা করি, পছন্দ না হলে সেটাও তো সরাসরিই বলি।
      আর তিনি নতুন ব্লগার এটা আমি জানতাম না।
      আমার লেখা যদি কোন নিয়ম ভঙ্গ করে, সেটার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন, আমার কোন অভিযোগ থাকবে না।

  • রোবায়দা নাসরীন

    আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি আমার লিখাটি মন দিয়ে পড়েছেন। এবং আমার লিখাটিকে বিশ্লেষন করেছেন।
    কৃতজ্ঞতা জানবেন।
    আপনার লিখাটির সাথে আমার কোনো মতবিরোধ নেই। সমাজে আপনার লিখা চরিত্রগুলোও আছে।
    শুধু দুটি কথা নিয়ে আপনার মতামত চাইবো। আপনি বলেছেন :
    ১/

    “অথচ তিনি তিনি হয়তো জানেন না একজন পুরুষ কত ধরনের টেনশন নিয়ে বেচে থাকে। বিয়ের পর নিজের সংসার যেমন চালাতে হয়, বাবা-মা যদি আলাদা থাকেন তাদেরও দেখভাল করতে হয়। ছোট ভাই বোন থাকলে তাদের দায়িত্বও নিতে হয়। আমাদের সমাজের প্রেক্ষিতে কোন মেয়েকে তার বাবা-মা বা ছোট ভাই বোন এর দায়িত্ব নিতে হয় না।

    :- কেনো আমাদের সমাজে মেয়ে গুলা, বাবা মা ছোট ভাই বোন গুলার দায়িত্ব নেয় না ????

    অথচ ছেলে মেয়ে দুজনকেই সমান খরচ ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে বাবা মা লিখা পড়া করায় , সমান মাছের টুকরা দিয়ে ভাত খেতে দেয় !
    যে কষ্ট নিয়ে মা ছেলেকে জন্ম দেয়ে মেয়েকেও সমান কষ্ট নিয়ে জন্ম দেয় !!

    তাহলে পাজি মেয়ে গুলো কেনো বাবা মা ছোট ভাই বোনদের দেখা শুনা করে না !! অফিস গুলোতে মেয়ে এ্যাম্প্লয়ি এতো কম কেনো??

    ২/। আপনি বলেছেন:-

    লেখাটি যদি আপনার নিজের সংসার নিয়ে লেখা হয়, তবে আমার কিছু বলার নেই। তবে যদি আপামর বাংলার সংসার জীবন নিয়ে লিখে থাকেন, তবে আমি বলবো আপনি একপেশে লেখা লিখেছেন।

    এই কথায় কঠিন ভয় পেয়েছি, আমি দিনে ২/৪ টি প্রেমের কবিতা লিখি !! তাই বলে দিনে ২/৪ টি প্রেমে পরি না !! প্রতিটি লিখাই লিখকের জীবন না !!

    • সেডরিক

      ১) আমাদের সমাজের প্রেক্ষিতে কোন মেয়েকে তার বাবা-মা বা ছোট ভাই বোন এর দায়িত্ব নিতে হয় না। লেখাটির পরেই কিন্তু “(ব্যাতিক্রমও আছে)” লেখাটিও ছিলো। আপনি হয়তো পাচঁজন নারীর চিত্র দেখাতে পারবেন যারা সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক নিজের বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন দের দায়িত্ব নেয়। বিপরীতে আমি আপনাকে পচিঁশ জন (জ্বি গুনে গুনে ২৫) নারীর পরিচয় দিতে পারবো যাদের সম্পূর্ণ সামর্থ্য থাকার পরও বাবা-মা বা ভাই-বোনদের কোন রকম দায়িত্ব নেয় নি, তাদের কথা হচ্ছে “বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোন এর দায়িত্ব নেয়ার জন্য বড়/মেজ ভই আছেন।”

      -অফিস গুলোতে মেয়ে এ্যাম্প্লয়ি এতো কম কেনো??
      এটা আমি বলবো মানসিকতার ব্যাপার। অনেক সময় পরিবার থেকেই চায় না যে বাড়ির মেয়ে/বউ বাইরে কাজ করুক। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সারাদিন বাইরে থাকলে বাচ্চা মানুষ হবে কার কাছে? তাছাড়া এদেশের অফিসগুলোর পরিবেশ, নিয়মনীতি নারী বান্ধব না।
      আর অনেক মেয়েকেই আমি দেখেছি বিয়ের পর নিজে থেকেই তারা চাকরি করতে চায় না। কলেজে আমার ব্যাচে মোট ১৭ জন ছাত্রী ছিলো, যার ভেতর পাশ করার পর জব করছে ১ জন। সেটাও অর্থ-কড়ি/লবিং দিয়ে পাওয়া সরকারী চাকরি। বাকি ১৬ জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম চাকরি করে না কেন, তাদের উত্তর ছিলো, ” বিয়ের পর তো সংসারই করবো। স্বামী তো ভালো উপার্জন করছেই আমার চাকরি করতে হবে কেন?”

      ২) লেখাটি আপনার নিজের কি না সেটা তো আমার জানা নেই। আপনি যদি নিজের লাইফ নিয়ে কিছু লেখেন সেখানে আমার তো কোন মতামত দেয়া সাজে না। তবে পুরো সমাজের সকল পুরুষ/স্বামীকে নিয়ে লিখলে তখন আমার মতামত দিতে পারি। এ জন্যই এ কথাটি লেখা

  • শুন্য শুন্যালয়

    সেডরিক, আমি আপনার লেখার সাথে একমত। আমাদের সমাজে দু ধরনের সমস্যাই আছে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও যে কর্তৃত্ব বা অবহেলার স্বীকার হয় মানি, তবে সংখ্যা এবং আপনার চারপাশের সমাজব্যবস্থায় কোনটির প্রাধান্য বেশী একটু নজর বুলিয়ে দেখবেন অনুরোধ রইলো।
    রোবায়দার লেখাটিকে আপনি একপেশে বলতে পারেন না। রোবায়দায় কথা রোবায়দা লিখেছে, আপনি আপনার কথা লিখুন। পৃথিবীতে যে যা নিয়ে কাজ করে, পর্যবেক্ষন করে, নিজের সমস্যায় ভোগে তার অন্যায় নিয়েই তারা কথা বলে। প্রানীরক্ষায় নিয়োজিত মানুষ প্রানীদের বিরুদ্ধে অন্যায় নিয়ে বলে, এলজিবিটিয়াই কমিউনিটি তাদের অধিকারে সোচ্চার, ওভারসিজ পিপল তাদের সমস্যা নিয়ে বলে।
    একমাত্র নারীদের প্রসংগেই দেখি পুরুষরা তাদের নিয়ে কেন বলা হয়না, বা তারা নিষ্পেষিত এটা বলতে চায়। আপনি খেয়াল করলেই দেখবেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস আসলেই পুরুষরদের মাথা খারাপ হয়, কতো যে কটূক্তি তারা করে এবং তারা যে অন্যায়ের স্বীকার তা প্রকাশ করতে শুরু করে। অন্যদিন গুলোতে কিন্তু খুব একটা উচ্চবাচ্য করতে শুনিনা, এমনকি আপনারা আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পর্যন্ত পালন করেননা।
    কেন রে বাবা, কেন নারীদেরই শুধু দায়িত্ব হবে সবার কথা বলতে! এই আপনি যে মন্তব্যটি দিলেন আমি চাই কোন নারীর লেখার বিপক্ষ হয়ে নয়, নিয়মিত এমন লিখুন।
    সব ধরনের অন্যায়েরই প্রতিবাদ হোক। আগে আমরা নারীকে পরিপূর্ন মর্যাদা দিয়ে সমান ভাবে ভাবি তারপর না হয় পাল্লাপাল্লি হবে। 🙂

    • সেডরিক

      আমি কোন নারীর বিপক্ষে লিখি নাই। তার লেখায় সংসারে স্বামীদের বিপরীতে কিছু কথা লেখা হয়েছে। আমি অস্বীকার করছিনা যে এমন পুরুষ/স্বামী সমাজে নেই। আমি শুধু বলতে চেয়েছি তার লেখাটাতে পুরো সমাজের সব স্বামী/পুরুষদের বিরুদ্ধে চলে গেছে।

    • নীরা সাদীয়া

      শুন্যদির সাথে আমি একদম একমত। একজন নারী তার সমস্যার কথা তুলে ধরলেই দেখি পুরুষরা এসে সেখানে নিজেদের কথা বলতে থাকে। কিন্তু প্রানিরক্ষার পোস্টে তা বলে না, বনজ সম্পদ রক্ষার পোস্টে বলে না । আবার আলাদা পোস্ট দিয়েও খুব একটা বলেন না । সমস্যা শুধু ঐ একটা জায়গাতেই।
      নারীর প্রতি আমাদের মনোভাব সহিংসতা থেকে সহনশীল করতে হবে। কারন নারীকে ছাড়া কোন সংসার পরিপূর্ণ হয় না।

  • মায়াবতী

    প্রবাদে যিনি রচনা করে গেছেন ‘ সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে ‘ এই টা কি আপনারভেক পেশে মনে হইনি??? শুধু একজন রমণীর গুণে ই যদি সংসার সুখের জোয়াড়ে ভেসে যেতো তাহলে তো সংসারে একজন পুরুষের কোনো জায়গায় ই থাকতো না হয়তো * আপনার সমালোচনা আমার কাছে মারত্মক রকম আক্রমণাত্মক লেগেছে একজন নতুন মেয়ে ব্লগারের পক্ষ থেকে আসলে…. রোবায়দা নাসরিন আপা হয়তো ভয় ও পেয়ে গেছেন 🙁
    সোনেলায় মাত্র দুটি লেখা আপনার পড়েছি তা তে খুব শক্তিশালী একজন রাইটার ই বলা যায় আপনাকে তবে সেই প্রাগৈতিহাসিক পুরুষালী শক্তি নিয়ে যদি আপনি আমাদের ভয় দেখিয়ে বেড়ান তাহলে আমরা হয়তো সাহস করে আর লিখতে পারবো না 🙁
    আমার কাছে মনে হয় যে কোনো সমালোচনা কে আলোচনায় বিবেচনা করা ই উত্তম।
    ভালো থাকুন সেডরিক

    • নীলাঞ্জনা নীলা

      আচ্ছা “সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে”, তার পরের লাইনটা জানি কি! সেটাও তো লিখুন।
      কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। আমাদের সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক। এখানে নারীর রাজত্ব সংখ্যায় খুবই অল্প। আর কিছু বলতে চাইনা।

      • মায়াবতী

        আপু আমি তো জানি এবং মানি ও যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ই একটা অংশ আমি এবং আমরা কিন্ত আমি তো নারী রাজত্ব বলে কিছু বোঝাতে চাইনি 🙁 শুধু নতুন একজন নারী ব্লগারের লেখা কে এই ভাবে সমালোচনার পদ্ধতি টা আমার ভালো লাগেনি রি টুকু ই বোঝাতে চেয়েছিলাম 🙁
        আমার অনেক… অনেক কিছু বলার আছে যে আপু….

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ