দেশের ৬৪ টি জেলা সদরে এবং ৪২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে সরকার । আশা করা গিয়েছিল এ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে। আমাদের দেশে আশা করা এবং এর বাস্তবায়ন করা আলাদা বিষয়। আমলাদের প্রকল্প প্রণয়ন , অনুমোদনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় অধিকাংশ সময় চলে যায় । ততক্ষণে আশা এবং স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসে।
বাস্তবতা এই যে , এবছরের ৩০ জুন তো ভালো এই সরকারের মেয়াদের মাঝে একটি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় কিনা সন্দেহ আছে।
পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন সহ প্রথম পর্যায়ে তিন তলা ভবনের নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় ফ্লোর বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। তৃতীয় তলা ব্যবহার হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় হিসেবে।
উদ্দেশ্য :
এলাকা ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস , মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা , জেলায়/উপজেলায় সংগঠিত ১৯৭১ এর যুদ্ধের ইতিহাস , মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, যুদ্ধকালে ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য আসবাবসহ এবং রাজাকারদের তালিকা সংরক্ষণ করা হবে এই কমপ্লেক্সে ।
এ ছাড়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা অসম্মানজনক পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাঁদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ।
কিছু প্রশ্ন :
এই সরকারের মেয়াদের মাঝে এই কমপ্লেক্স নির্মাণ সমাপ্ত হবেনা এটি নিশ্চিত। যদি আগামী নির্বাচনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হতে না পারে , এই প্রকল্প কি অব্যাহত থাকবে ?
যদি অব্যাহত থাকে তবে এক একটি কমপ্লেক্স ভবন নিশ্চিত উদ্বোধন করবে কোন নির্বাচিত রাজাকার এমপি বা মন্ত্রী ।
১১টি মন্তব্য
শিশির কনা
‘ যদি অব্যাহত থাকে তবে এক একটি কমপ্লেক্স ভবন নিশ্চিত উদ্বোধন করবে কোন নির্বাচিত রাজাকার এমপি বা মন্ত্রী ।’ ——- এমন যদি হয় , তবে তা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অপমানের।
জিসান শা ইকরাম
‘ যদি অব্যাহত থাকে তবে এক একটি কমপ্লেক্স ভবন নিশ্চিত উদ্বোধন করবে কোন নির্বাচিত রাজাকার এমপি বা মন্ত্রী ।’ ——- এমন যদি হয় , তবে তা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অপমানের।
একমত ।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মানুযায়ী বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভবনা অবশ্যই ভীষণভাবে প্রবল , বা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যদি বা শেষ হয় অবশ্যই উন্মোচন করবেন তথাকথিত কোন এক মান্যবর । বস্তুত ইহা বোধগম্য কারণে স্বভাবতই স্বাভাবিক ।
জিসান শা ইকরাম
তবে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ।
বনলতা সেন
আমলাদের প্রকল্প প্রণয়ন ,
অনুমোদনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায়
অধিকাংশ সময় চলে যায় ।
ততক্ষণে আশা এবং স্বপ্ন
ফিকে হয়ে আসে।
জিসান শা ইকরাম
এই ক্ষেপণে আমলাদের লাভ আছে অনেক।
প্রজন্ম ৭১
রাজাকাররা উদ্বোধন করবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ? যদি সরকার পরিবর্তন হয় , তবে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হওয়াই ভালো হবে।
জিসান শা ইকরাম
এমন হলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হবে চরম অপমান।
যাযাবর
এসব প্রকল্প আরো আগেই শুরু করা উচিৎ ছিল।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , আরো আগেই শুরু করা উচিৎ ছিল ।
মেহেদী হাসান
আসেন আমারা আওয়ামীলীগকে পুনরায় নির্বাচিত করি, যাতে তারা নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারে।
দেশবাসি শকড ^:^ আওয়ামীলীগ রকড \|/
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বাঙ্গালীর সাথে পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক ব্যবহারের কারনে।
আওয়ামীলীগ-বিএনপি জোট বদ্ধ হয়ে এখন পাকিস্তানীদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর ‘জামাত’ নামক বিশেষ মূলা ঝুলিয়ে বাঙ্গালীকে দৃষ্টিভ্রম করে রেখেছে।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সফলতা আসে নাই। আমারা জনগন এখনো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাইনি। পাইনি অর্থনৈতিক মুক্তি।