তুমি যদি মানুষের পক্ষে,সময়ের পক্ষে,সাম্যের পক্ষে,সত্য উন্মোচনের জন্য কলম হাতে তুলে নিতে পারো,তবে তুমি কালের লেখক_তোমাকে খুউব করে দরকার এই প্রজন্মে।আর যদি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় দল বা জাতির পক্ষে কলম চালাও তবে তুমি স্বার্থপর আত্নভোলা লেখক ছাড়া কিইবা!তুমি সভ্যতাকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছো।নিজের সম্প্রচারে নিমগ্ন।বই বিক্রি করার স্বার্থে লিখে যাচ্ছো।আমরা আজ এই জায়গাটাতে খুব করে পিছিয়ে পড়েছি।আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ আত্নস্বচেতন বোধ,নিঃস্বার্থ নিবেদন নেই সাধারণ মানুষদের প্রতি।যেই মাধ্যমেই লেখোনা কেনো,মাধ্যম কোনো বিষয় নয়,চেতনাই আসল উৎকৃষ্টতা'যতো অভাব অনটন থাকুক কষ্ট পেয়োনা'গভীর জীবন বোধই লেখকের মূল উপজীব্যতা।অর্থ বিত্ত্ব রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়,কালের জন্য নিবেদিত হওয়া যায়না।মহাকালে ঠাঁইও মেলেনা।কলম কালির মতো সস্তা জিনিস তো আছেই,আর কি লাগে।
বিনার্থের প্রকৃতিকে কাজে লাগালেই হলো।
অর্থ বিত্ত্বের মোহে জীবন বোধকে কলঙ্কিত কোরোনা।
স্বৈরাচার শব্দটি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে_
লেখালেখির ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।কা
রণ,লিখতে গেলে সময় প্রসঙ্গে কথা বলতেই হবে।
যে ক্ষমতায় যাবে সেই স্বৈর শাসন লালনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিবে'বাঙলার আকাশ আর কখনোই পরাধীনতার কলঙ্ক মুছতে সক্ষম হবেনা'সিষ্টেমটা এভাবেই দাঁড়িয়ে গেছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে,তুমি কেনো স্বাধীন হয়েছিলে বাংলাদেশ? কিভাবে সম্ভব হয়েছিলো!তোমার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এতো হীণ চেতা হতে পারে কি করে!আগে তো এমন ছিলোনা।
স্বৈরাচারের ভয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আর কতোকাল_সূর্য নিঃসৃত অসীম আলোতেও আঁধার কমছেনা তাই।বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র্য সীমার শেকলে পিষ্ট হয়ে দিন যাপন করছে।অথচ ১০ ভাগের উন্নয়ন কে প্রগতিশীলতা শিল্প বিপ্লব বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।সব পুজিবাদীদের চক্রান্ত।আদৌ কি ৯০ শতাংশ মানুষ ভালো আছে,!তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো কি ঠিক ভাবে পূরন হচ্ছে"এই মানুষগুলো এক দিন রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।পুজিবাদী চক্রবাজ নির্মূলে আইন নিজের হাতে তুলে নিবে।মানুষ বিষ খাচ্ছে প্রতিদিন খাদ্যের মাধ্যমে।মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নিজের অজান্তে।বর্তমান
বাংলাদেশে আলসার এবং ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।এসব নিয়ে ভাবতে গেলে পুজিবাদীরা ধরা পরে যাবে,তাদের বিজনেস খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে_এ জন্য তৎকালীন বুদ্ধিজীবী সমাজ তাদের পক্ষে।লোক দেখানো কিছু টাল বাহানা করে মাঝে মাঝে অবশ্য। তাদের মূল উদ্দেশ্য নিজেকে হাইলাইট করা।বিখ্যাত লেখক হিসেবে পাঠকের সামনে তুলে ধরা।মানুষ মানবতা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই তাদের।প্রতিদিন সাহিত্য পাতার কাটিং কপি পোষ্ট করছে,সেসবের জন্য সন্মানী পাচ্ছে।মূল বিষয়টা হচ্ছে কি জানেন।সন্মানী না পাওয়ার জন্য ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং দিয়ে সময় ও সমকালকে যারা সেবা প্রদান করে তারাই প্রকৃত লেখক।তেমন লেখক খুব খুব কম সংখ্যক এদেশে জন্মায়।
(মাসুদ চয়ন)
১২টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
সমকালীন বোধ থেকে উচ্চারিত সমসাময়িক লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। চমৎকার লিখেছেন।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ
শিরিন হক
একেবারে শেষের লাইনটা ভালোলাগল।
মাসুদ চয়ন
পুরোটা পড়া উচিৎ ছিলো।
নিতাই বাবু
আপনার সুলেখিত লেখনী পড়ে এটুকুই বলবো, লেখকদের কলম চলুক মানুষের পক্ষে,সময়ের পক্ষে,সাম্যের পক্ষে,সত্য উন্মোচনের জন্য। অন্যায়ের পক্ষে যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অস্ত্রটি ব্যবহৃত না হয়।
আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।
মাসুদ চয়ন
ভালোবাসা দাদা
মনির হোসেন মমি
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লেখায় আপনি খুব সাহসীকতায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপণ করলেন। সাধুবাদ আপনাকে।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ দাদা
আরজু মুক্তা
কলমচলুক সত্যের পক্ষে হোক তা শাণিত ধারার।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ আপু
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বৈরাচারী নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এই কথাটি মানুষের অন্তর থেকে বেড়িয়ে চলে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। লিখতে হলে হাত লাগে, হাত চালাতে হলে গায়ে বল লাগে। আর গায়ে বল তখনি আসে, যখন পেট ভরা থাকে। অধিক সংখ্যক ক্ষুধার্ত মানুষের বাস আমাদের এই দেশে। তাই হয়তো আগে লড়াইটা ক্ষুধা নিবারণেই করছে।
শুভ কামনা চয়ন 🌹🌹
মাসুদ চয়ন
ঠিক তাই আপু