গতকাল থেকে যে ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে। সে অফিসারের জন্য খারাপ লাগছে। এ ডিপার্টমেন্টে যোশএ এসে কিছু করতে নেই।
ঢাকার এসি আকরাম এর কথা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অনেকেই হয়তো ভুলে গেছে। এসপি বাবুল। তাকেও ভুলে গেছে সবাই। পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা কাউকে এ্যারেস্ট করার হুকুম দেয়। এটা কাগজে কলম এবং পুলিশের কাজের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে। এটা আইন।
আর এ প্রক্রিয়ায় মাঠপর্যায়ের একজন অফিসার যখন কোনো আসামীকে এ্যারেস্ট করতে যায় আসামিরা এমন এমন আচরন করে তা সাধারণ পাবলিকও কিছুটা জানে। তারা অনেকে খাটের ড্রয়ার, আলমারি, বাক্স এর মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। দম বন্ধ হয়ে মারাও যায় অথবা তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আবার অনেকে প্রচন্ড ধস্তাধস্তি করে এতে তারা দেয়ালে বা কোনো পুলের সাথে গুতা খেয়ে মারাও যায়। এসি আকরামের সাথেও এরকম ঘটনা ঘটেছিলো। উনি যে আসামীকে এ্যারেস্ট করার হুকুম দেন সে আসামীও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলের সাথে মাথায় প্রচন্ড বাড়ি খেয়ে মারা যায়। আর এতে হুকুমের আসামী হিসেবে এসি আকরামের মতো একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসারের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। তার মতো একজন সৎ অফিসারের সারাজীবন জেলে কেটে যাচ্ছে। কিন্তু আইন কি বলে হুকুমের আসামী হিসেবে তার এরকম কঠিন সাজা হবে?
একটা দাগী আসামী খুনের আসামী বোমা বিস্ফোরণ কারী জামিন নিয়ে খালাস পেয়ে আবারো অপরাধ করে বেড়াচ্ছে অথচ এসি আকরামের মতো সৎ নিষ্ঠাবান অফিসার জেলে পঁচে মরতেছে। এটা বৈষম্য। চরমতম বৈষম্য। কোর্টে কোনো কালো পোশাকধারী পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে তার যেনো সিনা চওড়া হয়ে যায় কয়েকগুন। একে হয় মৃত্যুদন্ড নতুবা যাবজ্জীবন দিতেই হবে। এ কালো পোশাকধারী লোকটি নিজেই তখন বাদী হয়ে প্রাণপন দিয়ে মামলাটি চালিয়ে যায়।
যারা অপরাধী তারা কখনো অকপটে স্বীকার করবে না, যে সে অপরাধ করেছে। কোনো অফিসার তাকে পোলাও বিরানী খাওয়ায়ে ও স্বীকার করাতে পারবে না তার অপরাধ। যখন স্পস্ট হয়ে কোনো অপরাধীর অপরাধ জনসম্মুখে চলে আসে তখন সাধারণ মানুষ সেই আসামীটাকে কতো কতো শাস্তি দিতে হবে এটার একটি লিস্ট ধরিয়ে দেয়। আমার হাসি পায় এটা দেখে। কিন্তু একবার ভাবুন, যে সব অপরাধ সবার আড়ালে হয় আর সে আসামীকে পুলিশের কি করতে ইচ্ছে করে?
তড়িৎকর্মা একটা শব্দ আছে। কখনো কখনো মনে হয় এ শব্দটা পুলিশের চাকরিতে মানায় না।
ভালোমন্দ সব মিলায়ে মানুষ নামের প্রাণীটি। পুলিশও অবশ্যই তাই। একশোভাগ বলে কিছু নেই। তাই সবাই ভালো তাও যেমন সঠিক নয় আবার সবাই খারাপ তাও ঠিক নয়।
২০টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
অসভ্যরা জানে না কেন যে তারা অসভ্য?????
রিতু জাহান
চমৎকার বললেন ভাই। আসলেই তাদের অনুভূতি শক্তি নেই বললেই চলে।
আপনাাে ধন্যবাদ।
মায়াবতী
সেই পোষাকবিহীন অসভ্যতা থেকে আজকের এই পোষাক যুক্ত অসভ্যতা কি সভ্যতা কে খুব একটা সভ্য করতে পেরেছে বোন ? সভ্য আর অসভ্য শব্দের ভাবার্থ কে এই জাতি শিখতে শিখতে হয়তো কবরের মাটি টুকু ও হারিয়ে যাবে বিগ ব্যাং থিউরিতে । তবু ও আশার আলোর মত কিছু আকরাম জেল খানার চার শিকের ভিতর থেকে তোমার মত লেখকদের লেখা পড়ে দুচোখে স্বপ্নের সভ্যতা কে খুঁজে ফিরবে হয়তো ।
লিখে যাও বোন যত পারো লিখে যাও। সময়ের সাথে তোমার লেখা গুলো খুব ই আওয়াজপুর্ণ। -{@
রিতু জাহান
অনেক ভালবাসা নিও আপু। ভালো থেকো সব সময়।
তোমার ভাবনাগুলো মাঝে যে কতো কতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ থাকে তা তুমি জানো না। এ লেখাটাকে চালিয়ে যাও।
মোঃ মজিবর রহমান
এসি আকরাম সাহেবের ভাগ্য খারাপ সে হয়তো সরকারের চোখেও খারাপ ছিল না এই শাস্তি হত। তাঁর থেকেও কুকরম করে অনেক পুলিশ অফিসার ডাঁটের সহিত চাকরী করছে এখন। নাম বললে আবার ৫৭ আছে।
ঐ যে বললেন ভালোমন্দ সব মিলায়ে মানুষ নামের প্রাণীটি।
কেউ মানবিকভাবে শুদ্ধ নয়। হবেও না। তাই যদি হত মানুষ মৃত্যুর পুরবেই দোযখ হতনা।
রিতু জাহান
মৃত্যুর পরে কি আছে তা অদৃশ্য আমার কাছে। তাই দুনিয়াতেই দোযখ ও বেহেশত দেখি আমি। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন মজিবর ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
এই অস্থির সময়ে ভালো থাকা খুবই কঠিন আপু। খুবই বিপদ ও সমস্যার মাঝে জীবন যাচ্ছে।
রিতু জাহান
তবু আমাদের ভালো থাকতে হবে। ভালো থাকাটা জরুরী। ভালো থাকুন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ভাবনার ডানা মেলেছে বিস্তর
বিস্তৃত পরিসরে, এ কুহক সময়ে!
ধীরে, ধীরে,
সময় বহিয়া যায়নি এখন-ও।
রিতু জাহান
আমি ভেবেছি রাতে যা পড়েছি তা লিখে ফেলব। তা সে যেমনই হোক না কেনো।
পাশে থাকবেন গুরুজি।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো এক দম ঠিক ঠাক মত বলেছেন, রাতের পড়া দিনের লেখায়।
ক’রাত পেড়োলে দিনের দেখা পাব তা কিন্তু বলেন-নি, মৌনতাজী!
রিতু জাহান
সহ্য করতে পারলে আমার আর লিখতে কি সমস্যা! আমার কিন্তু কোনো দোষ নাই। অভয় যে দিয়েছে সব দোষ তার। গুরুজি বুঝেছেন?
ছাইরাছ হেলাল
সহ্যের পরীক্ষা প্রার্থনা করছি, মৌনতাজী!
রিতু জাহান
হে আল্লাহ সহায় হোন। আমার হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে যে আংটি তাতে আল্লাহু ও বিসবিল্লাহ্ লেখা। ইনশাআল্লাহ এ লেখায় ধৈর্য্য আসবে।
জিসান শা ইকরাম
আকরাম সাহেব জাবজ্জীবন কারাবাস করছেন এটি মেনে নিতে আসলেই খুব কস্ট হয়।
সৎ পুলিশ অফিসারদের মধ্যে তিনি একজন।
ভাল খারাপ নিয়েই মানুষ।
আমাদের দেশে সব কিছু স্বাভাবিক নিয়মে হবেনা, এটিই নিয়তি আমাদের।
রিতু জাহান
হুম, আসলেই তাই। নিয়তিই বলতে পারি। এই থিমে একটা লেখা মাথায় এলো। আমরা আমাদের চরিত্র কখনোই ঠিক করতে পারব না আসলে। কেউ ভালো থাকতে চাইলেও আমরা ভালো থাকতে পারব না।
আপনার লেখা পড়ি না অনেক দিন।
তৌহিদ ইসলাম
এমন এক দেশে বাস করি আমরা যেখানে স্বাভাবিক নিয়মে কোন কিছুই হয়না। এসব মেনে নিয়েই চলতে হবে হয়তো সারাজীবন।
রিতু জাহান
সাধারণ নামের মানুষগুলোকেই আগে ঠিক হতে হবে।
তবেই সব অসংগতি দূর করা সম্ভব।
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো-মন্দ সবকিছুর মধ্যেই আছে।
আবার সবার মধ্যেই আছে।
সততার সাথে কাজ করেও পুরষ্কার তো পায়-ই-না। আবার অনেকে অসৎ কাজ করেও ভালো’র সার্টিফিকেট পেয়ে যায়।
ভালো থেকো আপু।
রিতু জাহান
ঠিক বলেছো আপু। এটাই হয়তো সমাজ শৃঙ্খলবিধি। ভালো থেকো আপু।