সন্দেহ

কোডনেম এ্যাসাসিন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, শনিবার, ০৯:৩৪:৩১পূর্বাহ্ন গল্প, সাহিত্য ৭ মন্তব্য

 

০১.

জলিল ভাইয়ের ল্যাপটপটা যেদিন চুরি হল, জলিল ভাইয়ের সমস্ত সন্দেহ গিয়ে পড়লো সাবলেট মশিউর ভাইয়ের উপর। কিন্তু এমনি এমনি তো কেউকে দোষী বলা যায় না, প্রমান চাই। তাই পুলিশের কাছেও জলিল ভাই কথাটা পাড়লেন না। ভাবলেন আগে প্রমান পাই তারপর দেখে নেব ব্যাটাকে। এমনিতেও ল্যাপ্পিটা কেনার পর থেকেই মশিউর ব্যাটা বড় আগ্রহ দেখাচ্ছে। সব কিছুতেই বাড়তি আগ্রহ.....

এরপর প্রমান পাওয়ার জন্য মশিউর ভাইকে সবসময় জলিল ভাই ফলো করতে থাকলেন।

আজব কান্ড!!!
মশিউর ব্যাটা হাটে চোরের মত, তাকায় চোরের মত, খায়-দায়ও চোরের মত... এককথায় মশিউরের সবকিছুই একদম চোরের মত। সব আচরনই যে কোন জাত চোরের সাথে মিলে যায়।

দুদিন পর....

পুলিশ ল্যাপটপ চোরকে ধরতে পেরেছে.. নিচতলার মাদকাসক্ত ছেলেটা কোন এক ফাকে ঘর খোলা পেয়ে ল্যাপ্পি মেরে দিয়েছিল।

আজব কান্ড!!!!
মশিউর ভাই এখন হাটে ভদ্র ভাবে, তাকায় শালীন ভাবে, খায়-দায় আদব কায়দার সাথে.. এক কথায় মশিউর ভাইয়ের সব আচরনই অত্যন্ত শালীন আর ভদ্র। কোনভাবেই কোন চোরের সাথে মিলবে না।

০২.

বাড়ীর প্রাচীর বেশ পুরনো হয়ে গেছে। যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। তাই প্রতিবেশীর ছেলেটা করিম সাহেবকে বলল, " আংকেল, বাউন্ডারীর দেয়াল তো মেরামত করা দরকার। নাহলে যে কোন সময় চুরি-ডাকাতির আশংকা আছে"
রাতে করিম সাহেবের ছেলেও একই কথা বলল।

সকালে ঘুম ভেঙে করিম সাহেব দেখলেন চোরে এই জরাজীর্ণ বাউন্ডারী ভেঙে তার ঘরের মালামাল সাফ করে দিয়ে গেছে।

এই চুরির ঘটনার জন্য করিম সাহেব প্রতিবেশীর ছেলেটাকে সন্দেহ করলেন আর সাবধান বানীর জন্য নিজের ছেলের বুদ্ধির তারিফ করলেন।
যারে দেখতে নারি, তার চলন বাকা
প্রথমটা কলেজফ্রেন্ডের কাছে শোনা, দ্বিতীয়টা কোথায় যেন পড়েছিলাম, মনে নাই

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ