সকলই গরল ভেল

ছাইরাছ হেলাল ১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ০৫:৪৬:৫৬অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২০ মন্তব্য

 

এই যে এত নড়া-নড়ি, হাসা-হাসি, দৌড়া-দৌড়ী, শোয়া-শুয়ুই, ঘুমা-ঘুমি, খাওয়া-খাওয়ি, কাঁদা-কাঁদি,
লাফা-লাফি, চিৎকার-চেঁচামেচি,  হুংকার-গর্জন,তেলবাজি-তোষামোদি, লেখা-লিখি, হিংসা-হিংসি,
মিথ্যা-মিথ্যি, চোখা-চুখি, গা ঘেঁষা-ঘেঁষি,সচল-সবল এই আপাত অপূর্বতার ঝলক-বলক নিয়ে
আমরা কী কী ফালাইবো, কী কী করিবো? কোথায় কোথায় যাইবো???
এই অমৃতে সঞ্জীবনী কৈ? সকলই গরল ভেল!!

ঝুল সন্ধ্যায় শেষ-যাত্রা-বিন্দু অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে আছে হাত ছোঁয়া দূরত্বে;

[আমরা কথায় কথায় হরহামেশা- জীবনের সংজ্ঞাস্বরূপ বলিয়া থাকি,'দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত’।
সারিকস্কি কথাটা বলিতেন অন্য রূপকে,’ জীবন একটা ঘটের ন্যায়। ‘পদার্থ জমিতে জমিতে যখন
ঘট বা ঘড়াটা পূর্ণ হয়  তখন একদিন তাহা ফাটিয়া যায়। মৃত্যু আর কিছুই নহে এই ফাটলের অপর নাম মাত্র।]

এই ঘড়াটি আমারা কী কী দিয়ে পূর্ণ করি!ওয়ার্কস এ্যাট ফেফেফে……।

শরীরী সীমানা জুড়ে ঝিলিক-মারা চনমনে-ঝলমলে আলো, খুবসুরৎ আগুনে গোপনাঙ্গ, ভিরমি খাওয়া গা-সুগন্ধি,
আঁকাবাঁকা বাঁকা-বাঁকা হাসির হাঁটে হেঁটে বিমুর আমি, কাঁপা-কাঁপা কাঁপতে থাকা খা-খা নিসর্গে
ভুয়ো তত্ত্বোপদেশে থমকে দাঁড়াই, এলাহি কাণ্ডের খেলা খেলে, খেলা দেখতে দেখতে লিখি তাই-ই, যা যা ভাবি,
লিখতে লিখতে আওরাই, বিকারগ্রস্তের মত কিছু ধার করা বুলি।

[সারিকস্কি এক নাম না-জানা কবির একটি অনুবাদ করেছিলেন………

কেতাদুরস্ত কবি
শ্রোতাদের শোনাইবেন
শুদ্ধ কবিতার বেশী কিছু
কবিতায় কান খাড়া,বাড়ি ফিরিবেন ফুরফুরে
নিঃসন্দেহে দোজখ
আর এহেন কবিকে নিজের গজর গজর শোনাইতে হয় নিজেকে।]

******************************************************

বিদ্রঃ বন্ধনীর অংশটুকু সলিমুল্লা খানের তরজমায় ফিনিস কবি পেন্টি সারিকস্কি থেকে নেয়া।
কবির ছবি নেটের।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ