
(শায়ন আমার খুব বন্ধু ছিলো, ছিলো কাছের মানুষ। কিন্তু কখনো ওকে বলা হয়ে ওঠেনি আমার মনের কথা। অনেক বার বলতে চেয়েও পারিনি বলতে ক্লাসমেট থেকে একটু একটু করে কতোটা কাছের হয়েছিল..)
-সুনয়না, এই সুনয়না
-হ্যাঁ কিছু বলছিলে!
-কী ভাবছো বলো তো? এমন স্ট্যাচু হয়ে গেলে কেনো?
-কই না তো! কিছুই ভাবছি না
-আচ্ছা বেশ সে না হয় কিছু ভাবছো না, কিন্তু তুমি এখানে কেনো? ঠিক আছো তো
সুনয়না ভাবছে কি করে বলবে সে কেনো এসেছে এখানে? শায়নকে আমার সমস্যার কথা বলি কি করে? কিন্ত যখন এসেইছি তখন কিছু একটা বলে এখান থেকে কেটে পরতে হবে।
– সুনয়না তুমি কী এতো ভাবছো বলো তো? হঠাৎ কি এমন হলো যে মানসিক ডাক্তারের কাছে আসতে হলো?
-নাহ্ তেমন কিছু না! ঐ এমনিই একবার কথা বলতে এসেছিলাম! সিরিয়াস কিছু না।
-বেশ তো তোমার ঐ এমনিই কথা গুলো বলো। একটু শুনে দেখি আমি তোমার কোনো কাজে আসতে পারি কি না?
আচ্ছা বিপদ তো! এখন কী করে এখান থেকে বের হবো! আমি শায়নকে আমার ব্যাপারে কিছুই বলতে চাই না। এখান থেকে যেতে হবে। কিন্তু কী করে, কী করে?
এমন সময় হঠাৎ শায়নই বলে উঠলো…
-সুনয়না তুমি বরং এককাজ করো পাশের রুমে একটু বসো। আমি বাকী রোগীদের ছেড়ে দিয়ে তোমার সাথে কথা বলি। যদি তোমার আপত্তি না থাকে
– না না একদম আপত্তি নেই।
(বিড়বিড় করে বললো সুনয়না যাক বাবা বাঁচা গেল)
-হ্যাঁ কি বললে!
– না না কিছু না। তুমি রোগী দেখো আমি পাশের রুমে আছি
বলেই সুনয়না পড়ি মরি করে বেরিয়ে গেলো। যেনো বিশাল এক বোঝা নামলো তার মাথা থেকে। সুনয়না তার সমস্যার কথা আর যাকে হোক শায়নকে বলতে পারে না। কিছুতেই না
শায়ন সব রোগীদের সাথে কথা বলে বিদায় করে দিয়ে পাশের রুমে গিয়ে দেখে সুনয়না নেই। প্রচণ্ড অস্থির হয়ে পড়ে শায়ন। মনে মনে বলে আবার আবার তুমি এভাবে আমাকে না বলে চলে গেলে! কিন্তু কেনো সুনয়না, কেনো তুমি বার বার আমার কাছ থেকে পালিয়ে যাও?এতো গুলো বছর পর যখন তোমাকে দেখতে পেয়েছি তখন আর এভাবে তোমাকে কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেবো না। তোমাকে ঠিকই খুঁজে বের করবো। এটা আমার নিজেকে দেওয়া নিজের প্রতিজ্ঞা।
শায়ন রিসিভশনে গিয়ে সিরিয়ালের খাতা চেক করে সুনয়নার নম্বর নিয়ে নেয়। নম্বর পাওয়ার পর আর কাল বিলম্ব না করে ফোনের ডায়াল প্যাডে নম্বর টাইপ করে কল দেয়….
২১টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ শায়ন ও পছন্দ করতো ! ভালোই দুজনের অপ্রকাশিত ভালোবাসা এবার মনে হয় প্রকাশ পাবে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ দিদি
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
তৌহিদ
আসলে পছন্দের মানুষকে অনেকদিন পরে দেখলে একে অপরের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলতে ইচ্ছে করেনা। এক্ষেত্রেও তাই। তবে ডাক্তারকে সবকিছু খুলে বলাই উত্তম।
শায়ন সুনয়নাকে ফোন করে পাবে কিনা কে জানে!
শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
যাক সাক্ষাতে যা হয়নি বলা
ফোনে যদি হয় বলা।
সে আশাতেই থাকি।
শুভ কামনা আপু।
সুরাইয়া পারভীন
মুখোমুখি না বসলে এতো দিনের জমানো ক্ষত সারবে কি করে দাদা?
কৃতজ্ঞতা সহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ও ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
নিখুঁত ভাবনায় হৃদয় ছোঁয়া লিখনীতে মন উৎফুল্ল হলো ।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
রেজওয়ানা কবির
দুজনের ভিতর অপ্রকাশিত আবেগ সত্যি ভালো লাগল।
সুরাইয়া পারভীন
ধন্যবাদ অশেষ আপু
ভালো থাকুন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
সুনয়না তো দেখছি ফেলে আসা পথে অনেক অনেক কিছুই
ফেলে রেখে এসেছে!!
চলিবে;
সুরাইয়া পারভীন
জ্বী…
এখন শুধু দেখার বাকি আরো কি কি ফেলে এসেছে
কৃতজ্ঞতা অশেষ ভাইয়া
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
আরজু মুক্তা
গল্প কিন্তু জমে উঠেছে।
আমার পড়তে ভালোই লাগছে। আচ্ছা, ফোন কি ধরবে সুনয়না?
সুরাইয়া পারভীন
আপু না ধরে উপায় কী
সে তো আর চিনে না শায়নের নম্বর
কৃতজ্ঞতা অশেষ আপু
ভালো থাকুন সবসময়
আলমগীর সরকার লিটন
সুন্দর হচ্ছে আপু অনেক শুভেচ্ছা———–
সুরাইয়া পারভীন
ধন্যবাদ অশেষ ভাইয়া
ভালো থাকুন সবসময়
শামীম চৌধুরী
প্রিয়জনের না বলে চলে যাওয়াটা সত্যিই খুব কষ্টের। হচভাল লাগলো গল্পাংশটি পাঠ করে। শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অশেষ দাদাভাই
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
নিতাই বাবু
সুনয়না খামখেয়ালি করে এখানে এসে সত্যিই মনে হয় লজ্জাময় বিপদে পড়েছে। অনেকদিন পড়ে ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা হলে যা হয়, তেমনই হয়েছে। দুইজনই দোক্কার মধ্যে আছে। দেখে পরের পর্বটা পড়ে।
শুভকামনা জানবেন দিদি।
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ দাদা
আপনারা কষ্ট করে পড়েন বলেই
আমি সাহস পাই লেখার
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়