
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
এই ভাবসম্প্রসারণ স্কুল জীবনে কে না পড়েছে। আর টিভি, পত্রিকা, বই, অনলাইনে, বাস্তব জীবনে সব জায়গাতেই শিক্ষা নিয়ে চর্চা হয়। জাতির মেরুদণ্ড ঠিক করতে করতে বাবা মায়ের মেরুদণ্ড ভেংগে চুরমার হয়ে যায় স্কুলে বাচ্চা ভর্তি করানোর সময়। কারণ ওই বিদ্যালয়ে সন্তানের পিতামাতার জন্য শিক্ষা ছাড়াও অপেক্ষা করে বিশাল লম্বা চওড়া একটি ফর্দ।যার ফাঁদ কেউ এড়াতে পারে না।
বয়স ৩ পার হওয়ার সাথে সাথেই অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পরে বাচ্চাদের লেখাপড়া নিয়ে সেটাই স্বাভাবিক। তখন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দ্বারে ঘুরতে হয়। উদ্দেশ্য কিভাবে সন্তানকে একটি ভালো বিদ্যালয়ে ভর্তি করা যায়। সম্প্রতি আমার ব্যাক্তিগত একটা ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরছি।
মেয়ের বয়স ৪ বছর হতে ১৫/২০ দিন বাকি। বাংলাদেশের বর্তমানের ভাল স্কুল গুলোর একটি সে স্কুলে ফোন করলাম ভর্তির ব্যাপারে খবর নেয়ার জন্য। ওপাশে থেকে ফোনে ভদ্রলোক জানালেন আগামিকাল দুপুর ১ টার মধ্যে কল দিবেন। পরেরদিন ১২ টার দিকে কল দিলে জানানো হলো বাচ্চার বয়স যদি ৪ বছরের কম হয় তাহলে ফরম নিতে পারবো। আরো জানলাম মে মাসের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে ফরম ছাড়া হবে। ফরম সংগ্রহ করার পর জমা দেয়ার সময় বাচ্চার জন্মনিবন্ধন সহ জমা দিতে বললো।
ফরমে বাচ্চা আর নিজেদের বিস্তারিত তথ্য ছাড়াও বাচ্চার বাবার মাসিক বেতন আর পদমর্যাদা দিতে হবে। সাথে আর্মি/ নৌ/ বিমান বাহিনীতে চাকরি করে ও কোয়ার্টার-এ থাকতে এমন একজন এর নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিতে হবে। ফরম পূরণ করে দিলাম তবে ডিফেন্স এ চাকরি করে এমন কারো নাম দেইনি। অনেকেই পরিচিত ছিল কিন্তু কেউই আত্বীয় নয়। বাচ্চার বাবা জানালেন আমার নিজের যা আছে তা উল্লেখ করবো কিন্তু ধার করা কিছুই দরকার নেই। আমিও সেটাই মনে করি। সন্তানকে বড় করবো নিজ যোগ্যতায়।
তারা একটি দিন নির্ধারণ করলো রেজাল্ট দেয়ার। প্রথমে মৌখিক/ প্রাথমিক বাছাই, তারপরে লটারি এবং শেষে চুড়ান্ত রেজাল্ট। প্রাথমিক সে বাছাইয়ের পরে সিলেক্টেড নামের উপর আবার লটারি হবে, লটারি তে নাম আসলে পরে চুড়ান্ত রেজাল্ট দিবে। আল্লাহর রহমতে মৌখিক পরীক্ষায় সে ভালোভাবে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছে। সেদিনই আমাদের লটারির দিন ও সময় জানাই হয়েছিল । লটারির হওয়ার আগেরদিন আমার বাচ্চার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাতভর হাসপাতালে থেকে সকালে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলাম। লটারিতে ওর নাম পাওয়া গিয়েছিল। পরে আবারও স্কুল থেকে জানালো চুড়ান্ত রেজাল্ট আরো ২ দিন পরে জানানো হবে। চূড়ান্ত রেজাল্ট এর পরে দেখলাম আমার মেয়ের নাম ওয়েটিং লিস্টে। স্কুল থেকে কিছুদিনের মধ্যেই জানালেন যে ও ভর্তি হতে পারবে।
মাঝের এই কয়েকদিনে জানতে পারলাম, তাদের স্কুলের সিস্টেম এর কথা। শুরুতেই গাড়ি পার্কিং নিয়ে।
১.ডিফেন্স এ যারা আছেন তাদের গাড়ী পার্কিং শেষে জায়গা থাকলে বাকিরা পার্কিং পাবেন।
২. ডিফেন্স ও সিভিলদের ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন এর পার্থক্য ৫০ ভাগ।
৩. কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলে মোটেও ভালোভাবে উত্তর দেয় না।
৪. আমার আত্নীয়ের বাচ্চা ও পড়তো, তার উপস্থিতি ১০০ ভাগ হলেও তাকে ১০০ ভাল উপস্থিত থাকার পুরস্কারটি দেয়া হতো না সিভিলিয়ান বলে। এমনকি খেলায় প্রথম হওয়ার পরেও নাকি সে পুরস্কার দেয়া হয়নি।
৫. একই অপরাধ করলেও ডিফেন্স ও সিভিলিয়ানদের দুই রকমের শাস্তি দেয়া হয়।
এসব শোনার পরে আমি জানতেও চাইনি যে আর কি কি ব্যাপার আছে। কিছুতেই বাচ্চাকে এমন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করবো না যেখানে শুরুতেই এতো বৈষম্য শিখবে। ভাবতে অবাক লাগে আমরা বাচ্চাদের কি শিখাচ্ছি। আমি চাই আমার সন্তান তার অধিকার সম্পর্কে জানুক। তার সীমার মধ্যে যা যা তার প্রাপ্য সে পাবে। কিন্তু অন্যায় কখনোই করতে দিব না এবং সহ্য করতেও দিব না।
যেদিন ফরম জমা দিতে যাব সেদিনের ঘটনা-
২/৩ জন অভিভাবক বলাবলি করছে রেফারেন্স নাম নিয়ে, কে কত লোকের কাছে গিয়েছে, কিভাবে নাম, ঠিকানা ম্যানেজ করেছে। একজনের জা এর মামাতো ভাই এর ঠিকানা ও নাম্বার দিয়েছে। অবশ্য ফরম এ লেখা ছিল যে আত্মীয় বা পরিচিত কেউ হলেই হবে।
অন্যদিকে একজন ফোনে কথা বলছে বাৎসরিক আয় বাড়িয়ে লিখছি, ওরা তো আর চেক করতে যাবে না, ওপাশ থেকে কিছু শোনার পর এপাশ থেকে জবাব আসলো আরে বেশী দেখালে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা তো একটু বেশী থাকবে।
আমি এসব কথা শোনার একটি কারণ হলো জানতে চাচ্ছিলাম অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া। কারণ আমার বাচ্চার বাবা বলেছিলেন এতোটুকু বাচ্চার এতো পরীক্ষা যেখানে সেখানে যাওয়ার দরকার নেই। আর আমার ভাবনা ছিল ও নতুন কিছু শিখুক জানুক। আর দ্বিতীয়ত আমার বাচ্চা ইচ্ছা মতো খেলাধুলায় ব্যাস্ত ছিল। তাই আশেপাশের সবার কথা শুনছিলাম।
কত কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য। অথচ ভালো স্কুল অনৈতিক কাজ করতে উৎসাহিত করছে।
মৌখিক পরীক্ষার দিন-
৩/৩.৫ বছরের বাচ্চাকে মা বুঝিয়ে যাচ্ছে কিভাবে কথা বলতে হবে, কোনটি কি রঙ, কান্না করা যাবে না এসব। আর বাচ্চাটি অসহায় এর মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
আরেকজন ৩ বছরের বয়সী বাচ্চাকে কোল থেকে নামাতেই পারছে না। বাচ্চা বলছে যাবে না স্কুলে আর অভিভাবক আছে পেরেশানিতে যে এভাবে কান্না করলে তো সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না।
মা আর মেয়ে চুপচাপ বসে আছে। মেয়েটির মন অনেক খারাপ। সামনে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কি মামনি অনেক টেনশন? সাথে সাথে বাচ্চার মা বলা শুরু করলো ওর কিসের সব চিন্তা তো আমার। ভালো একটি স্কুলে যদি ভর্তি না হতে পারে তাহলে কি আর ভালো লেখাপড়া হবে!!!
আমার এক নিকট আত্নীয়ের মেয়ের ক্লাশ ফাইভের সমাপনী পরীক্ষার আগে মেয়েকে বলছে, 'মা আমার সম্মান তোমার হাতে। এ প্লাস না পেলে কিন্তু কাউকে মুখ দেখাতে পারবো না। যত যাই করো আমার এ প্লাস লাগবে'। আরে ভাই/ বোন এতো বড় একটি মানুষের মান সম্মান অতোটুকুন একটি বাচ্চা মেয়ের উপর চাপিয়ে দিলেন!!! অতো হয়তো মান সম্মানের মানেও ভালো জানে না। একটি শিশুকে পরীক্ষার আগে এসব বললে সে কতোটুকু মানসিক চাপে থাকে তা মনে হয় অভিভাবকদের বড় হওয়ার পরে মনে থাকে না।
আরেকজন এর ছেলে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছে, সমাপনী তে গোল্ডেন এ প্লাস। ক্লাশ এইটে ও একই রেজাল্ট। এস এস সি তে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ। সবাই মহা খুশি। হবেই বা না কেন। অতঃপর এইচ এস সি তে সে শুধু জিপিএ ফাইভ পেলো৷ আহারে বেচারা কতো কিছুই শুনতে হলো তাকে। এমন কি দু বাড়ি পরে মামতো ভাইয়ের জন্মদিনে এক পিস কেক খেতে আসার ও অনুমতি নাই!!!
আরে ভাই স্বাভাবিক ভাবে যদি বাচ্চাদের বেড়ে উঠতে না দেন তবে শিখবে কিভাবে!!! গৃহ বন্দী, বা কোন পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে না যেতে দেয়া, বা নিজের মান সম্মানের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া যায় না।
যেদিন আমার মেয়ের স্কুলের লটারির রেজাল্ট দিয়েছিল সেদিন দেখলাম এক ভদ্র লোক তার আসন ছেড়ে পেছনের ফাঁকা জায়গা তে চলে এলো। ফোনে বলছে তাই ওয়াইফ কে " ইয়ে শোন সবার নামই তো বলছে ওর নামটি কেনো জানি আসেনি। আমি লটারি শেষে আরেকবার খবর নিব। অতো চিন্তা করো না। মন তো খারাপ হবেই কিন্তু কি আর করার "।
আমাদের নিজেদের আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। পরেই পারবো সন্তানদের কিছু শেখাতে। একটি স্কুলে চান্স না পেলে জীবন শেষ না। কোন জায়গায় চান্স না পাওয়া মানে এই না যে আমার সন্তান কিছুই জানেনা৷ বাচ্চাদের প্রতি নিয়ত উৎসাহ দিতে হবে লেখাপড়ার বোঝা নয়। নিজের সম্মান নিজে রক্ষা করা উচিৎ। সেটা ছোট্ট একটি বাচ্চার ঘাড়ে না চাপাই। আমরা প্রতিযোগিতায় অবশ্যই সন্তানকে পাঠাবো তবে প্রথম হওয়ার জন্য নয় নতুন কিছু শেখার জন্য।
বুদ্ধিমানেরা কখনো হারে না, তারা জেতে নয়তো শেখে। যেই বলেছেন আমার মতে কথাটি সঠিক বলেছেন। বাচ্চাদের হারার কষ্ট নয় শেখার আনন্দ অনুভব করা শেখালে তাদের মনটাও বড় হবে। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে সবাই জানে বোঝে। সব বাবা মায়েরাই তাদের সন্তানের ভালো চান। আমি এখানে আমার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখা করতে চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ।
৬৭টি মন্তব্য
এস.জেড বাবু
ভালো স্কুলে ভর্তি মানেই সামাজিক ষ্ট্যাটাস এক ধাপ উঁচু।
বাচ্চাদের চেয়ে অভিভাবকদের প্রতিযোগিতা বেশি।
এ বয়সের একটা বাচ্চার মানষিকতার, ডিফেন্স আর সিভিলিয়ানদের মধ্যেকার বৈষম্য মেনে নিতে কষ্ট হয়।
চমৎকার লিখেছেন।
শুভ বুদ্ধির উদয় হউক।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য। আসলেই সামাজিক স্ট্যাটাস এর প্রতিযোগিতা দিন দিন ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। সময় হয়েছে নিজেদের সচেতনতার পরিচয় দেয়ার।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কী বলব বুঝতে পারছি না। এমন স্কুলে পড়ালে ছেলেমেয়েরা মানসিক চাপের মধ্যে থেকে বড়ো হবে। পারস্পরিক বৈষম্য একটি দেশের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক নেয়। এই সিস্টেম পাল্টাতে হবে।
শাহরিন
জ্বি ভাইয়া। সবাই একটু সচেতন হলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। খুবই ছোট একটি স্কুল থেকে আর্থিক কারণে যখন ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারিনি তখন আমার ভাই আমাকে বলেছিল ভালো স্কুলে খারাপ পড়ার চাইতে খারাপ স্কুলে ভালো রেজাল্ট করা বেশি ভালো হবে। তখন সান্ত্বনা পেলেও সারাজীবন এই কথাটি মনে রেখেছি।
ছাইরাছ হেলাল
জীবনের নব নব দিগন্ত এভাবেই উন্মোচিত হোক আনন্দ -বিষাদে।
লিখলেন তাহলে! হলোই বা একটু দেরিতে, দেরি করে।
ভাল থাকুক সবাই এই হেমন্ত অবসরে।
শাহরিন
আমি তো একটু অগোছালো তাই গোছাতে গোছাতে দেরি হয়ে যায়। অবসর তো নাই 😑
ভাইয়ের বাসায় যেয়ে অবসর কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে ☺
ছাইরাছ হেলাল
খবর পেলাম ‘ভাই’ এখন উদ্বাস্তু জীবনে।
ব্যাপার না, ভাগাভাগি করে নেয়ার রাস্তা জানা আছে।
সুরাইয়া পারভিন
এই হলো আমাদের বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা। শুরু থেকেই যারা বৈষম্য শেখায় তারা কি করে মানুষ তৈরীর কারিগর হয়?কি করে মানবিকতা শেখাবে?
আর এ+ নিয়ে আর কি বলবো,,,😨😨
শাহরিন
আপু অভিভাবকরাও কম না, ধনীদের গ্রুপ আলাদা। তেনারা নিন্মবিত্ত অভিভাবক এর সাথে কথাও বলেন না। নৈতিকতার চরম অবক্ষয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
জাতির মেরুদন্ড ঠিক করতে করতে অভিভাকদের মেরুদন্ড দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে, আবার সামাজিক স্ট্যাটাস বজায় রাখতে গিয়ে কিছু অভিভাবক নিজের সন্তানের মেরুদন্ড গঠন হওয়ার আগেই উধাও করে দিচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্র আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অরাজকতা আসলেই অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
অনেক দিন পর সুন্দর লেখা নিয়ে এলেন।
ভালোবাসা ও ভালোবাসা ❤❤
শাহরিন
আমরা মধ্যবিত্ত মানুষরা ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে ভালো। অনেক কিছু দেখি আর দেখি করার কিছুই নেই। সামর্থে কুলায় না এদের প্রতিহত করার। ধন্যবাদ অনুপ্রেরণার জন্য।
হালিম নজরুল
চমৎকার শিক্ষণীয় বার্তা।দুই একটি বানান সংশোধনযোগ্য
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। মোবাইলে লিখি তাই অনেক বানান স্পষ্ট দেখতে পাই না। এর পর থেকে আরো সচেতন হবো।
মনির হোসেন মমি
সাথে আর্মি/ নৌ/ বিমান বাহিনীতে চাকরি করে ও কোয়ার্টারএ থাকতে এমন একজন এর নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিতে হবে।
আচ্ছা ফরমে এ সব তথ্য বাচ্চা ভর্তির ক্ষেত্রে কেন প্রয়োজন? দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা যাইচ্ছা তাই হয়ে আছে সাথে শিক্ষাদাতাদের চরিত্রের অধপতন। যার কারনে এ দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বিশ্বের কোন সুনামের কাতারে নেই।
আপনি এতো ভাল লেখেন আগে জানতাম না।খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা।
শাহরিন
জ্বি ভাই আরো যে কত নিয়ম। লিখে কুলাতে পারবো না। মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মানসিক দিক থেকে একটু অস্বস্তিতিতে ও পরেছিলাম। নিজেই নিজেকে কাউন্সিলিং করেছি ☺
অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণার জন্য, আপনাদের লেখা দেখে লিখতে সাধ হয় মাঝে মাঝে। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
অনন্য অর্ণব
যদি তুমি একটা জাতিকে ধ্বংস করতে চাও তাহলে সবার আগে তার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দাও। আমি জানিনা আমাদের এই দেশে কবে নাগাদ একটা সুস্থ সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরে আসবে? তবে আমি ভীষণ ভাবে শংকিত পরের প্রজন্ম নিয়ে।
শাহরিন
সংকার যথেষ্ট কারন ও আছে ভাইয়া। দিনে দিনে প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে। আর তারপর ভাবাও যায় না। বাচ্চাদের সঠিকভাবে পরিচালনা করা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে পরছে দিন দিন। কারন দিনের বেশিরভাগ সময়ই ওরা স্কুলে থাকে।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
জাতির মেরুদণ্ড ঠিক করতে করতে বাবা মায়ের মেরুদণ্ড ভেংগে চুরমার হয়ে যায় স্কুলে বাচ্চা ভর্তি করানোর সময়।
আপু, ইনশাআল্লাহ পাড়ার প্রাইমারি স্কুলে পড়ামু আমারটাকে।
নিজেকে দিয়ে বুঝতেছি,
যে দিন থেকে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিছি মাশাআল্লাহ আর সুযা হইতে পারি নাই।
শাহরিন
এখানেই তো সমস্যা আপু, প্রাইমারি স্কুলে তো লেখাপড়াই হয় না। সেই দিন আর নেই। এখন সরকার যদি একটু মনোনিবেষ করেন আর কি। ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
এটা চরম সত্য। আমি এ পরিস্থতির স্বীকার। আমার মেয়েকেও এমন পথ অতিক্রম করে শিখরে উঠতে হয়েছে। ও এখানকার ক্যান্টনমেন্ট এ ইংলিশে পড়ে।
ভালো লিখেছেন। সত্য তুলে ধরেছেন। প্রিয়তি দিলাম।
শাহরিন
জ্বি অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমিও সমসাময়িক একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছি মেয়ে কে। তাইতো হতাশা বেশি, সমস্যা থেকে তো দূর হতে পারিনি। সামনে কি আছে উপরওয়ালাই জানেন। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
তৌহিদ
লেখায় চরম তেঁতো সত্য ফুটিয়ে তুলেছেন এবং এটাই বাস্তব। বাচ্চাদের ভালো স্কুলে ভর্তি করানোর ঝক্কি প্রতিটি গার্জিয়ানকে পোহাতে হয়। এরপরে আসে সেইসব তথাকথিত নামী স্কুলের নিয়মের বৈসম্যতা। যা মোটেই কাম্য নয়।
পিতামাতার কাছে জিপিএ ফাইভ, গোল্ডেন এ প্লাস যেন সমাজের অন্যতম স্ট্যাটাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই রেজাল্ট করার জন্য সেই বাচ্চাটির উপর যে মানসিক প্রেশার আসে সেটা কেউ বুঝতে চায়না।
অন্যদিকে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক গলদ রয়েছে। এখানে যে সিস্টেমে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয় সেটা আদৌ কতটুকু যৌক্তিক তা আমার বোধগম্য নয়।
ভালো লিখেছেন আপু। ভুক্তভোগী হয়ে চোখে আঙুল দিয়ে সামাজিক বৈসম্যের একটি দিক দেখিয়ে দিলেন। এমন স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্তে আপনাকে স্যালুট জানাই।
ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ভাইয়া কেমন আছেন এখন?
শাহরিন
পুরোপুরি দূরে থাকতে পারিনি, পরীক্ষা নেয়না এমন একটা স্কুলে ভর্তি করিয়েছি মেয়েকে। আমরা নিজের অজান্তেই এই জালের মধ্যে পা বাড়াচ্ছি।
একটু ভেবে দেখেন ৩/৪ বছরের বাচ্চা সে পরীক্ষার মানে কি বোঝে! ওরা তো অনেক আত্বীয়দের সাথেই সংকোচের কারনে কথা বলে না, প্রশ্নের উত্তর কি দেবে। আর এই সব পরীক্ষার মাধ্যমে তারা বাচ্চাদের কি মেধা যাচাই করে তা তেনারাই ভালো বুঝবেন।
আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চার বাবা এখন সুস্থ আছেন। অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
যে সব স্কুল বাচ্চাদের মধ্যে বৈষম্য করে, সেইসব স্কুলে কেন বাচ্চাকে পড়াতে হবে, সবাই কি বুঝেনা ঐ সব স্কুলে বাচ্চারা বৈষম্যের শিকার হবে?
জঘন্য অবস্থা দেখছি, আপু আমি জানতে চাই কোন সেই স্কুল যেখানে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এমন খেলা খেলে ওরা।
আমি আমার সন্তানদেরকে নিয়ে খুবই পজেসিভ, স্কুলের শিক্ষিকা ছেলেকে ১০০ বার কান ধরে উঠবস করানোতে ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো, আমি পরদিনই স্কুলে গিয়ে সকল টিচারদের এক করে এমন অবস্থা করেছিলাম যে, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা সবাই মিলে হাত জোড় করে মাফ চাই এবং আমার ছেলেকে দেখতে আসে বাসায়।
ইঞ্জা
আপু লেখাটি আমার ফেইসবুক পেইজে শেয়ার করলাম।
শাহরিন
অনেক সম্মানিত বোধ করছি ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ।
শাহরিন
ভাইয়া স্কুলের নাম লিখলে অনেক বিতর্কিত পোস্ট হয়ে যাবে। আবার হয়তো এমন আরো স্কুলও আছে যা আমার জানা নেই। বাচ্চাদের মূল্যবোধ শেখাতে পারবো কিনা সেটাই ভাবছি। আমি ভর্তি করার সময়ই বলে দিয়েছি যে আমার বাচ্চাকে শারিরীক ভাবে কোন পানিসমেন্ট দিতে পারবে না। দিলে খবর আছে একদম।
ইঞ্জা
উচিত করেছেন আপু, এরা শিশুদের নিয়ে যথেচ্ছাচার করবে তা আমরা সইবো কেন?
শিরিন হক
বানান ভুল ধরবোনা আমারো প্রচুর ভুল হয় মোবাইলে লিখতে।
শিক্ষণীয় পোষ্ট। আমাদের নৈতিক অবক্ষয় একটি বিরাটকার রুপ দেখাযায় সর্বত্র।
শাহরিন
ভূল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু। ছোট থেকেই ভূল পথে এগুলে সমস্যা আরো বাড়বে। সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেক শুভকামনা নিবেন।
জিসান শা ইকরাম
শিশুদের উপর আমরা বড়দের মানসিকতা চাপিয়ে দেই, যা শিশুদের জন্য কোন মতেই উপযোগী নয়।
ভালো একটি স্কুলে পড়িয়ে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য পড়াশুনা করানো হয়না, গোল্ডেন এ প্লাস এর জন্য পড়ানো হয়।
মানসিক বিকাশের জন্য মা বাবাকেই এগিয়ে আসতে হবে।
অনেক ভালো এবং গুরুত্বপুর্ন একটি পোস্ট দিলে।
এক নতুন শাহরিনকে চিনলাম আজ।
ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
শুভ কামনা।
শাহরিন
ছোট একটি বাচ্চার কি মেধা তারা যাচাই করবে আল্লাহই জানেন। তারা আসলে সামনে বসে বাবা মায়ের স্ট্যাটাস টা কনফার্ম হতে চায়।
দেখতে হবে তো কার বোন ☺
সঞ্জয় মালাকার
সত্যি অসাধারণ লেখা দিদি পড়ের ভালো লাগলো খুব,
শিশুদের উপর আমরা বড়দের মানসিকতা চাপিয়ে দেই, যা শিশুদের জন্য কোন মতেই উপযোগী নয়।
দিদি জীবনের নব নব দিগন্ত এভাবেই উন্মোচিত হোক আনন্দ -বিষাদে।
শুভ কামনা।
শাহরিন
অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। সমস্যা তো দিন দিন বাড়ছে, হয়তো আরো বাড়বে। নিজের জায়গায় দাড়িয়ে চেষ্টা করে যাব দেখি কি হয়। আপনাদের এমন মন্তব্য অনুপ্রাণিত করে।
সঞ্জয় মালাকার
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি, শুভেচ্ছা জানাবে।
শামীম চৌধুরী
আপু অনুমতি পেলে লেখাটি শেয়ার করতে চাই।
শাহরিন
কি যে বলেন ভাইয়া। অনুমতির কথা কেন আসবে। সম্মানিত বোধ করছি ও অনেক কৃতজ্ঞতা।
ছাইরাছ হেলাল
চলমান সময়ে শিশু শিক্ষা নিয়ে বাবা-মায়ের চরমতম দুঃশ্চিন্তার বিষয় নিয়ে আপনার স্বচ্ছ
ভাবনা-প্রকাশ দেখে আনন্দিত/অভিভূত হলাম। চেপে/টেপে না রেখে দেরি করে(ইচ্ছে করে)
হলেও বলেই ফেললাম। অভিনন্দন ও অভিনন্দন। এটি আপনার সেরা লেখা এখন পর্যন্ত।
শাহরিন
একটি ঘটনা বলি, আমি চাকরিতে জয়েন করার ৪/৫ মাস পরে কনসিপ্ট করলাম। যেবা হওয়ার পরে বস ডেকে অনেক দ্বায়িত্ব দিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম হঠাৎ এতো কিছু কিভাবে করবো! বা পারবো তো? তখন বস বললো আগে না পারলেও এখন পারবে। যখন কেউ বাবা মা হোন তখন তাদের দ্বায়িত্ববোধ অনেক বেড়ে যায়। অনেক সচেতন ও হয়ে যায়।
আসলে সময় অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। লেখা ভালো হচ্ছে তারমানে আপনাদের কাছ থেকে কিছু আসলেই শিখতে পারছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এখানে কোন কারিগরি প্রশিক্ষণ হয় বলে এখন-ও শুনিনি।
আপনি জেনে নিয়ে একা একা সব নিয়ে নিলেন!
আমাদের এখন আপনার কাছ থেকেই শিখতে হবে।
তাও ভাল আমাদের একান্ত আপন জন, ভরসা করতেই পারি/করিও।
আপনার বস অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন, সময় মানুষকে দায়িত্ব নিতে শেখায়।
শারমিন আক্তার
অনেক সুন্দর লেখা, প্রতি দিন চারপাশে এসব ই দেখি, ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও এসব অভিভাবক আর শিক্ষক দের নিয়েই শুরু হয় দিনের প্রথম অংশ (সকাল)। অনেক হতাশা গ্রস্থ হই 🙁 , মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে নিজ হাতে এক কাপ চা খাওয়াই ঐ অভিভাবকদের আর বলি এতো চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে 😃।
শাহরিন
হা হা হা, অনেক মজা পেলাম। সঠিক, আসলেই এক কাপ চা খেয়ে অন্তত খাওয়ার সময় টুকু চুপ থাকবে। অনেক ধন্যবাদ সময় বের করে লেখাটি পড়ার জন্য।
রেহানা বীথি
আমরা বাচ্চাদেরকে জীবনের প্রথম থেকেই প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে শেখাচ্ছি। অসুস্থ প্রতিযোগীতায় উৎসাহিত করছি। কিন্তু বলছি না, ভালো মানুষ হ। আমি এমন অনেক বাচ্চাকে বড় হতে দেখেছি, যারা শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে ফার্স্ট হয়ে এসেছে, কিন্তু এইচএসসি’র পর কোথাও চান্স পায়নি ।
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার লেখা।
শাহরিন
জ্বি আপু প্রতক্ষ ও পরোক্ষ কোন ভাবেই আমরা দোষ এড়াতে পারবো না। প্রতিদিন একরাশ হতাশা নিয়ে দিন শেষ হয়। আবার বিশ্বাস এর সাথে সকাল শুরু করি নতুন কিছুর আশায়। ধন্যবাদ আপু।
হালিম নজরুল
বৈষম্য খুবই দুঃখজনক।
শাহরিন
একমত ভাইয়া। নিজেরাও এর স্বিকার ছিলাম চাইনা বাচ্চারাও এই পথে এগুক। ধন্যবাদ।
শায়লা শারমিন
ডিফেন্সের লোকদের কী হাত পা দুই একটা বেশি আছে, নাকি সিভিলিয়ানদের থেকে বুদ্ধি বেশী? বৈষম্য সবজায়গায়ই আছে, কিন্ত তার এমন নগ্ন বহিঃপ্রকাশ খুব কমই দেখা যায়। ধন্যবাদ সচেতনতামূলক লেখাটির জন্য।
শাহরিন
সেখানেই প্রশ্ন আপু। তারা দেশের জন্য কাজ করে, অনেক জ্ঞানী গুনী তারা অথচ নিজেরাই বৈষম্য তৈরী করে রাখছে। স্বজনপ্রীতির কাছে দেশপ্রীতির কোন মূল্য নেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শবনম মোস্তারী
সত্যি অসাধারণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু।
যে স্কুল এতো ডিফেন্স প্রেমী তারা সিভিলিয়ান দের ভর্তি কেনো করায়।
বাচ্চাদের মাঝে এতো পক্ষপাতিত্ব করলে বাচ্চারা শিখবে কি।
শাহরিন
একেবারে মনের কথা বলেছেন, আমার এটাই প্রশ্ন কিন্তু কার কাছে করবো? কেউ নেই জবাব দেবার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
প্রতিদিন সকালে দেখি পাড়া মহল্লার মা-বোনেরা তাঁদের সন্তানকে কিন্ডারগার্টেন নামের স্কুলে নিয়ে যায়। যেসব শিশুদের কিন্ডারগার্টেন নামের আধুনিক স্কুলে ভর্তি করেছে, সেসব শিশুরা এখনো হাতের আঙুল মুখে দিয়ে চুষে। এসব দেখে ভাবতে থাকি, এখনো মুখে আঙুল চুষে অথচ মা-বাবা পাগল হয়ে গেছে শিশুটিকে স্কুলে পড়াতে। আমার মতে এটি শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের একরকম অমানবিকতা। কিন্তু আমার মত তো আর সবার মত নয়! তাই বর্তমানে তাঁদের একটু টাকাপয়সা বেশি হয়ে গেছে, তাঁরই শতরকমের প্রক্রিয়া প্রতিহত করে একটা শিশুর উপর জোরপূর্বক বাড়তি কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে। আর দেশের আনাচেকানাচে গড়ে উঠা আধুনিক ইংলিশ স্কুলগুলোর মালিকরা মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে অধিকতর অর্থ।
পরিশেষে বলবো, আপনার এই পোষ্ট বর্তমান সময়ের জন্য প্রশংসার দাবি রাখে।
শাহরিন
জ্বি দাদা আমরাও নেচে যাচ্ছি হালের ফ্যাসন নামক গানের নাচে। মুক্তি তো দিতে পারিনি মা হয়ে মেয়েকে এই জঞ্জাল থেকে। অনেক খবর প্রচার হয়েছে এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নিয়ে কিন্তু সরকারের নাকি কোন নীতিমালা নেই। তাই জনগণের ও হাত পা বাধা। আপনার এই মন্তব্য পেয়ে আমি কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। আপনাদের মতো লেখক আছে বলেই আমরা লিখতে সাহস পাই। ধন্যবাদ দেয়ার সাহস নেই দাদা। অসীম কৃতজ্ঞা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আপনার লেখায় অত্যান্ত শিক্ষনীয় বিষয় কিন্তু আমাদের বা আমরা বাবা-মা শিক্ষব? তো। মনে হয় না। কারন আমার সোনার হরিন চাই। এই সোনার হরিণ চাইতে গিয়ে জিবন বরবাদ হই আমাদের শিক্ষা বা উপলদ্ধি হইনা বা বুঝতেই চাইনা।
হ্যা ঢাকার সহস্র বাহিনীর শিক্ষা প্রতিসঠান গুলতে এই অবস্থা। দেশের ভিতর আলাদা প্রশাসন ও আলাদা শিক্ষা ব্যাবস্থা।
ভাল লাগ্লি আপু।
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের মন্তব্য আমাদের অন্তত আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। যারা নিজেদের বিবেকবান হিসেবে বা সচেতন হিসেবে দাবী করে তাদের এখন নিজ যোগ্যতা প্রমান করা উচিৎ। অন্তত তাদের সন্তানদের ভালোর জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
কিছুই করার নাই, তবুও সন্তানের ভবিতসত ভাল করার জন্য বাবামা উঠে পরেই লাগবে।
শাহরিন
জ্ব্বি ভাইয়া, আর যদি সম্ভব হয় তবে কাছের মানুষদের ও বোঝানো উচিৎ। অন্তত যাদের মনে হয় বোঝালে বুঝবে তাদের সাথে কথা বলা যেতে পারে।
মাহবুবুল আলম
এই ভাবসম্প্রসারণটা ছেলে বেলায় আমিও পড়েছি। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থায় যেন এ কথাটা ঠিক যায় না। তবু আশায় থাকি একটি তা সত্যি সত্যি প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তা সবাই দেখতে পাবো!
শাহরিন
জ্বি সবাই মিলে সচেতন হলে সুদিন একদিন আসবেই। নিজের ঘর থেকে আগে শুরু করতে হবে। দোয়া করবেন যেন বাচ্চাটাকে ভালো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আকবর হোসেন রবিন
কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চা গুলো দিনে দুইবার পরীক্ষা দেয়। একবার ক্লাসরুমে আরেকবার মায়ের কাছে। প্রথমটা লিখিত হলেও দ্বিতীয়টা হয় মৌখিক। প্রথমটা দেয় বেঞ্চে বসে, দ্বিতীয়টা দেয় রিক্সায় বসে কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে।
ছেলে কোথায় পড়বে, কোথায় পড়লে সুস্থ বিকাশ ঘটবে, এসব বাবা-মার উপর নির্ভর করে। বাবা-মা এমন স্কুলে ভর্তি করাবে কেন, যেখানে হাজার নিয়ম! যেখানে রোবট হয়ে থাকতে হয়!
মা-বাবা সচেতন হলে, সব শিশুই সুস্থ বিকাশ লাভ করবে।
শাহরিন
এমন কিছু অভিভাবক আগেও ছিল। যখন আমরা প্রাইমারিতে পড়তাম আমাদের সাথে একটি মেয়ে পড়তো। নাম মেনোকা। ও পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে ওর মা সব কিছু আবার লিখাতেন। আর জানালা দিয়ে পরীক্ষার সময় কি যে ধমকাতেন। বলার ভাষা নেই। যার পরীক্ষা উনার মেয়ের আগে শেষ হতো তাকেই জিজ্ঞাসা করতো কি লিখেছে কি করছে। এসএসসি পরীক্ষার সিট ওর আর আমার একই কেন্দ্রে হয়েছিল উনার ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বের হতাম। সঠিক ধরেছেন ভাই। অভিভাবকরাই সচেতন নন সন্তানের ব্যাপারে। অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
বন্যা লিপি
বৈষম্যের শ্রেনী, আর বৈষম্যপ্রিতী যেখানে স্পষ্ট, সেখানে শিক্ষার শেখার শিক্ষাটা যে কি হবে বোঝাই যায়।এ সমাজটাই শ্রেনি বৈষম্যের জ্বলজ্যান্ত উদাহরন। আমি আজ কোনোভাবে তথাকথিত *ভালো * স্কুলে বাচ্চা পড়ানো যোগ্য না। কাজেই আমার বাচ্চারা ভর্তি হবে তাহাদের তৈরী শ্রেনির যে কোনো স্কুলে।
কি চলছে সমাজে?
আপনাকে অসংখ্য সাধুবাদ এমন বিষয়ে লেখার জন্য।ধন্যবাদ অশেষ।
শাহরিন
সঠিক বলেছেন আপু। গতকাল ভাগ্নির কাছে শুনলাম জেএসসির রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রীরা কোন বিষয় নিয়ে পড়বে সেটা নির্ধারণ করে দিবে। তারমানে কোন বেশী নাম্বার পাওয়া ছাত্রী যদি আর্টস নিয়ে পড়তে চায় তবে তারা বাধা দিবেন। আবার কোন কারণে কম নাম্বার পাওয়া ছাত্রী চাইলেও সাইন্স নিয়ে পড়তে পারবে না। যতই সামনে এগুচ্ছি হতাশা বাড়ছে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
নিজের যা আছে তা উল্লেখ করা কিন্তু উত্তম,কারণ ধার করা কোনো কিছুতেই আনন্দ আসে না।আমিও সেটাই মনে করি। সন্তানকে বড় করবো নিজ যোগ্যতায়।
বৈষম্যের শ্রেনী, আর বৈষম্যপ্রিতী যেখানে স্পষ্ট, সেখানে শিক্ষার শেখার শিক্ষাটা যে কি হবে বোঝাই যায় ।
ধন্যবাদ দিদি চমৎকার লিখনী, পড়ে কিছু শিক্ষা জ্ঞান হলো,ভালো থাকুন সব সময় শুভ কামনা।
শাহরিন
মনের কথাটি বলেছেন দাদা। নিজের যোগ্যতায় সন্তানকে মানুষ করতে হবে। সন্তানকে এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন খারাপ ও কুরুচিপূর্ণ কিছু করা থেকে বিরত থাকে। সমাজের মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা না করে যেন সুষ্ঠু সমাজ গড়ে তুলতে পারে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দিদি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন।
নুর হোসেন
‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’
ভাগ্যিস প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের আগেই ষ্টাডি অফ করতে হয়েছে নয়তো,
সেটা আমার মত অনেকের কাছে মেরুদন্ডে তারকাটা বিঁধে যেত!!
শাহরিন
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। নিজেদের পাঠ চুকিয়ে এখন সন্তানের টা শুরু করছি। মনে হচ্ছে নিজেই নতুন করে লেখাপড়া শুরু করেছি। সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে পরেছে ভাইয়া।