সারি-সারি ঝুলে আছে রাত-পোশাক
অনেক, অজস্র, কিন্তু রাত কৈ!!
কোন্ অভিসারে!! কোথায়!!
চুনোপুঁটি-স্বপ্ন বা তীব্র শীতে জাপটে ধরা
উষ্ণ-ঋতুর-বৈভব, স্নান-শরীরে লুকোবে কী-করে!!
টুক-টুক করে হেঁটে-হেঁটে আসার শব্দ-খোঁজ!!
উত্তেজক-স্তিমিত-চোখ, স্ফীত-ঠোঁট,
কাচ-বারান্দায় বসে-বসে অপেক্ষার অবলোকন।
কোন্ কৌটিল্য-কৌশলে এড়াবে!!
অন্ত্যক্ষরণের মত আপসে-আপ ভেসে আসবে
অনুভবের স্রোত বেয়ে,
লেপ্টে যাওয়া লিপিস্টিক, চোখ-কাজল
বিবর্ণতায় মলিন চিবুক, হতোদ্যম শরীরী আয়তনে!!
আনন্দ-ক্লান্তির ধনুক-প্রেম শেষে
ও-কিছু-না বলে ঝিলিক মেরে বাস্তুহীনকে দিলে
অঘাধ-অবোধ সান্তনা!!
সাগর-কূলে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক ‘একা’;
২০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পোষাক আছে রাত নেই!
আছে কোথাও কি করে রাত কে জানে? কেবল অভিসারও নাও হইতারে, আবার হইতারেও 🙂
এড়াবার সাধ্য কি আছে এমন তীক্ষ্ণ চোখ থেকে,
একাকীত্ব দূর হোক এই লেখার।
ছাইরাছ হেলাল
এটি আসলে একাকীত্ব নিয়ে লেখা না, ‘একা’ একটি চরিত্র,
পরকিয়াজনিত কাম-কাইজ সেরে রাত্রে ঘরে ফিরে এসেছে, একা সব বুঝতে পারছে,
কিন্তু প্রেমিকাটি ‘ও-কিছুনা’ ভাব করে পাত্তাই দিচ্ছে না।
ভালুবাসার কত কত রং!!
জিসান শা ইকরাম
হুম, বুঝলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা;
মায়াবতী
এই টা কি কবিতা ? আমি তো কবিতা কম বুঝি তবু ও পড়ে ভাল লেগেছে, খুব গুছানো শব্দ গুলো ।
ছাইরাছ হেলাল
না, এটি কবিতা না, আমিও কবিতা ভাল বুঝি না,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বহুদিন পর এলাম! এসেই এমন কবিতা! রূপক কবিতার অ, আ, ক, খ-তে দাঁড়িয়ে আছি।
আচ্ছা কোথাও কেউ থাকেনা কেন বলুন তো!
ছাইরাছ হেলাল
থাকে, থাকে, তবে সবাই তা দেখতে পায় না, দেখতে চায় না,
কেউ কেউ এড়িয়েও যায় ছল-ছুতো করে,
ও, আচ্ছা, এ-জন্যই খালি খালি লাগতেছিল।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার কবিতার ভাবে মনে হলো কেউ বুঝি আপনার জন্য কোথাও নেই!
আমি এখন এভাবেই অনুপস্থিত থাকবো।
খালি খালি লাগে বুঝি আমি না এলে! 😮 পেটে ব্যথা ধরিয়ে দিলেন এতো হাসছি আমি। :D)
ছাইরাছ হেলাল
এতটা হ্রদ-হীন আপনি হতেই পারেন্না!!
এই হলো সমস্যা!! সত্য কথা কওনের।
নীলাঞ্জনা নীলা
হৃদয় ঠিকমতোই দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। তা নইলে তো কবেই ছবিতে মালা ঝুলতো!
ছাইরাছ হেলাল
এমন করে অলুক্ষুণে কথা বলতে নেই।
শুন্য শুন্যালয়
“একা” কে চরিত্র না বানিয়ে দিলেও কিন্তু দারুন ব্যাপার হতো। রাতও কোন চরিত্র হতোনা। মিষ্টমিষ্টি শব্দের বুনোনে অভিসারী রাত প্রেমে নিমজ্জিত হতো, কোন শূন্যতার। লেপ্টে যাওয়া লিপস্টিক, চোখ কাজল, স্ফিত ঠোঁট, একার কল্পনা গুলো রাতের আলোয় গভীর ডুবে নিমজ্জিত হতো।
কাঁচ বারান্দার অপেক্ষা খুবই যন্ত্রনার, অন্ত্যক্ষরণ তুচ্ছ। ক্ষয় হলেই বেঁচে যাওয়া যেতো।
কী দেব নাম? ছলনাময়ী, মিথ্যেবাদী, হন্তারক! আজ থেকে রাতের জন্য আর আলাদা কোন পোষাক নয়।
লেখাটি চমৎকার। ভেতরে যেতে পারলাম বলেই হয়তো। ক্যাম্নে লেখেন ম্যান?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও বলি ক্যাম্নে এমন মন্তব্য করে!!
এ মন্তব্যের উত্তর দিতে অপরাগ জনাব!!
লেখা জমিয়ে কী ভর্তা করে খাবেন!!
নীহারিকা
সাগরকুলে দাঁড়িয়ে কি “একা”র মন শান্ত করার চেষ্টা? ক্যান যে কম বুঝি 🙁
ছাইরাছ হেলাল
সাগর কুলে দাঁড়িয়ে লাইট-হাউজের বাতি খোঁজে মনে হয়!!
আমিও কিছুই বুঝি না।
মৌনতা রিতু
রাত আছে কিন্তু রাতের সব বৈশিষ্টই হারিয়েছে।
চোখ আছে ঘুম পালিয়েছে।
একা এক রাত্রির অভিসারে! ভালোই তো। কেউ যখন থাকে না তখন সাগর পাড়ে হাওয়ার সাথেও কতো কথা বলা যায়।
কাঁচ বারান্দা ভেঙে দিয়েছি। যেখানে আটকে থাকতো তাকে ছুঁয়ে আসা বাতাস।
এতো এতো রাত্রির অভিসার ভালা না।
ছাইরাছ হেলাল
রাত্রিকে ঠ্যাকানোর উপায় নেই, সে এক বিরাট গ্যারাকল!!
বিস্তৃত-উন্মুক্ত সাগর আমাদের স্বজন।
মিষ্টি জিন
খুব বেশী রাত পোশাক বানিয়ে ফেলেছেন তাই তো ঘুম নাই। একা রানীর অভিসারে যেতে পোশাক টোশাক লাগেনা।
কাঁচ বারান্দায় বসে অপেক্ষা করে লাভ নেই ,
সাগরপাডে গিয়ে হাওয়া খেয়ে আসেন।
:D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
ভালুবাসা লাভ-ক্ষতির হিসাব মানে না!!
আপনি এত্ত জানেন কেমনে!!