শীত, আসবে বলেছিল, এসে-ও ছিল, জানান দিয়েই; উঁকি দিয়েই পালিয়েছে;
নিম্নচাপের চাপ ঠেলে-ফেলে জাঁকিয়ে-ঝাঁপিয়ে-কাপিয়ে-ছাপিয়ে হামলে পড়, তাতো চাইছি-ই।
জাঁক করে বলছি-না কিন্তু মোটেই।
রোদোষ্ণ লেপের গরম-পরম ওমে অপেক্ষার প্রহরে, এসো ঝর্ণা-কলমের যৌথ স্বাক্ষরে
লিখে ফেলি/চলি ক্লান্তিহীন মৌসুমি কোন কাব্য-কলা, লেখা অ-লেখার বাঁক বদলের ভাজে ভাজে।
দিন-ভর রাত-ভর। স্বপ্নবন্দি অনুষঙ্গ জুড়ে জুড়ে। প্রতিবেশ পরিবেশের তোয়াক্কা না করে।
আহ্লাদি-রাগ-অভিমান টুকরো টুকরো হাসাহাসি, নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ভুলে। ঋণী হয়ে যাই পরস্পরে।
সরিষার তেলে মাখা মিষ্টি/ঝাল মরিচ পিয়াজের সাথে টাটকা মুড়ি অবশ্যই অনবদ্য।
সহসা যদি এসে পড়ে বেঢপ কোন অতিশয় ছিন্নমূল উৎপাত, সমূলে বিদেয় করে দেব মিষ্টি কথার চিড়া খাইয়ে,
হাত-টাত বুলিয়ে, নিচু গলায় গুনগুনিয়ে গান-টান শুনিয়ে-টুনিয়ে, তাতেও যদি কাজের কাজ না হয়,
বিছুটি পাতা ঘসে দেব স্পর্শকাতর জায়গায় সমূলে, প্রয়োজনে চোখে মরিচ ছুঁড়ে মারা, হাতে রেখে।
থ্যাবড়া মেরে মতিচ্ছন্ন!! নাহ্,তাও না।
উচ্ছল উছলে পড়া উসকানিমূলক জবরদস্তিটুকু চাইছি-ই।
শীতনিদ্রা!! মোটেই-না।
২১টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
শীততো আসি আসি করছে ! হাল্কা শীত শীত অনূভবে। চমৎকার লেখনি দিয়ে যে মনটা জয় করে নেন আপনি এর জন্য ধন্যবাদ সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
আসি আসি করেই জাঁকিয়ে বলুক তেমন-ই চাইছি।
সব সময় পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
তৌহিদ ইসলাম
শীতের অনুভুতিটুকু চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়। ভালো লাগে আপনার লেখা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
অনুভূতি ব্যক্ত করার চেষ্টা করলাম মাত্র,
ভাল/মন্দ সে তো একান্ত-ই আপনাদের,
ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা কি শীতের গান।(কবিতা নয় কিনতু)। আহা !! কত শীত ।
তুমি কি কহিলা গানে
আগুন দিলা প্রানে,,
তোমার কারন হইলো মরন
আর কি হয়,কে-জানে ,,,😂😂
ছাইরাছ হেলাল
এটি স্রেফ একটি গল্প (গপ্পো), আপনি গান/কবিতা কৈ কৈ পাইলেন কে জানে!!
লিখে দিলাম তাও কোবতে/গান বলে ভাবতে শুরু কর দিলেন, কবতে লেখা বহুত
কঠিন ব্যাপার!!
এই রে দাঁত মেরে ভয় দেখাচ্ছে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
তাই তো !! এটাতো একটা গপ্পোই দেখছি (না,কিন্তু)। গপ্পের নহবতে আর শীতের সহবতে মনে হয় পাগল হয়ে গেছি।
এগুলি শীতের হাসি (দাঁত ঠোকাঠুকি)।
এতো ভীতু কেন আপনি,,শব্দওয়ালা স্যার।!?
ছাইরাছ হেলাল
তাজ্জব-তো গল্প, গল্প না!! এও সম্ভব!!
শীত-ই আসলে একটু এলোমেলো হয়ে আছে, এলোমেলো করেও দিচ্ছে কাউকে!!
হাসিহাসি তো তেমন দেখিনি তাই ঠিক বুঝতে পারি না কোনটা হাসি কোনটা দাঁত ঠোকাঠুকি!!
আপনি একদম ঠিক-ই ধরেছে, খুবই ভীতু প্রকৃতির, লেখক/কবিদের খুব ভয় পাই!!
শব্দওয়ালা!! ভাল মনে করেছেন!! জমিয়ে রাখা আউল-ফাউলগুলো এবার দিয়ে দেব ভাবছি!!
তখন যেন কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি না করে!!
রিতু জাহান
এমন জবরদস্তির আকুতি করলেন যে বৃষ্টিই নামিয়ে ছাড়লেন।
পারেনও বটে। তা, শীতের কাপড় চোপড় কে দেবে শুনি? আকুতি আপনার, আর শীত ভোগ করব আমরা? তা তো হতেই পারে না।
ঝালমুড়ি কেনার টাকা পয়সাও নাই।
আহ্লাদেও কাজ হচ্ছে না। ঘরের কোণে এক মালসা গনগনে আগুন রেখে তবেই রক্ষে হচ্ছে।
আহা! আগুনেই তব উষ্ণ হই।
গুরুজী শব্দে বড় জোর আছে বলতেই হয়।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন রিতুজি!!
‘যার সাথে যার যায়’ এমন করে ভাবলে শীতকে আর শীত মনে হবে না!!
একটু আপন করে নিন, তাহলে আলগা করে মালসার আগুন লাগবে না,
এমনিতেই ফাগুন এসে যাবে!!
শব্দে আর জোর দিতে পারলাম কৈ!! আহা শব্দ!! আহারে শব্দ!!
মায়াবতী
ইশ রে এই ভাবে শীতের আকুতির জন্য ই বুঝি তীব্র হিমেল হাওয়ায় উথাল পাথাল বর্ষা ই এসে গেছে! কুবি গুরুরর এতো প্রেম শীতের প্রতি! ভয় ই পেয়ে গেছি প্রেম দেখে। এভাবে লিখলে শীত কেনো নাশীত ও আসতে বাধ্য যে….
চমৎকার লিখেন কুবি রাজ -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি জ্ঞানী-গুণী জন, আপনি ভয় পেলে/দেখালে অধম-রা কৈ যাবে!!
আপনাদের ধ্বজা ধরেই তো অন্যদের গমনাগমন!!
এমন উষ্ণ/উষ্ণবতী শীত আমাদের সবার-ই কাম্য, বলা বা না-বলায়!!
চমৎকার!! সে তো আপনার সহী দোয়ার বরকতে!! (আল্লাহ মাফ করুন)
মায়াবতী
ধ্যাৎ শুধু শুধু খালি খালি জ্ঞানী গুণি বলে টলে শীতে কুঁকড়ে ফেলা হয়! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
জ্ঞানীকে তো জ্ঞানী-ই বলতে হ্য়/হবে।
উল্টো শীত পালিয়ে বাঁচতে চাইবে!!
জিসান শা ইকরাম
গত কয়েকদিন যাবত শীত নিয়ে খুবই পেরেশানিতে আছি। এমনিতেই বুড়া মানুষ, সাথে আছে হাড্ডি গুড্ডির ব্যাথা। শীত জাকিয়ে বসেছে ভালই।
গপ্পোর স্টাইলটা ভাল লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার নানা কবে বুড়া হইলো? আমার বুইড়া নানা আজীবন সতেজ, তরুণ। তোমার মাথার চুল ছিঁড়ার প্রস্তুতি যেনো সবসময় থাকে। বুঝেছো?
ছাইরাছ হেলাল
বূড়া হইলে শীত লাগে, ব্যবস্থাদি থাকলে ভালোও লাগে!!
দেখি এই স্টাইলে কী কী করা যায়!
নীলাঞ্জনা নীলা
রোদের ডালপালা মেলে ঋণাত্মক তাপমাত্রার কোলে প্রকৃতি বসে আছে।
হাড় কাপিয়ে দিয়ে, দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে জাঁকিয়ে ধরেছে
এ যেনো আলগোছের ঘুম।
সিন্দুকের ওম বেশ জড়িয়েও নিলো শরীর
ন্যাপথালিনের ঘ্রাণের ভেতর কেমন এক আবেশাচ্ছন্ন ভালোবাসা ডুব দিয়ে খুঁজে ফিরছে রাক্ষসের প্রাণের চাবি।
যে করেই হোক আহ্লাদী উচ্ছ্বাসে কিংবা জবরদস্তি করে ফিরে পেতে হবে আদুরে অভিমান।
স্বপ্ননিদ্রাই হতে হবে তা বলে;
উহু, সে নয়!
ঝর্ণাকালির লেপনে শীত শীত ওম-উম অক্ষরে, সে-ও নয়
কানে-কানে, যেনো নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস অক্ষরগুলোর শব্দ হয়ে যাবার মতো কাঁপিয়ে দিয়ে শীত নামুক
জলীয় বাষ্প অপেক্ষায় আছে। —- আপনার মতো কেপ্পন নই। কুবিরাজ ভাই আপনি তো মন্তব্যে শব্দ-কেপ্পনের মতো আসেন।
ছাইরাছ হেলাল
আরে!! আপনি করেছেন কী!!
বুঝছি তো আবার লিখতে হবে!!
আমি কেপ্পন!! রোজ লেখা দিচ্ছি, তারপর- ও অপবাদ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখতে কে না করেছে! বেশি বেশিই লিখুন।
কেপ্পন ই তো!
ছাইরাছ হেলাল
বেশি-ই তো লিখছি,
মেলে পেলতে চান বুঝি!!
আপনে কেপ্পনের হাড্ডি!!