নিরাপরাধ সুর্যের কিরণ নিত্য কুয়াসা চিড়ে হেসে খেলে পৃথিবীর কিনার ঘেঁসে উঠে আবার অপরপ্রান্তে ডুবেও যায়। আমি অগ্নিগোলকের চোখে চোখ রাখার দুঃসাহস দেখাই আদিকাল থেকে। সময়ের দেয়ালঘড়ি কালের তকমায় ওল্ডফ্যাসনের ট্যাগ পরেছে। স্থুল অপেক্ষা শীর্ণ কিংবা তারও কিছুটা সরু কাঁটার আকার আজও পারেনি কেউ পরিবর্তন করতে। আমাদের জ্যোতি ক্ষয়ে আসে ক্রমশঃ চোখের ভঙ্গী বদলে দিতে।রক্তের ভেতরেও বিভাজন সরবে জানান দিতে বড্ড ব্যস্ত অভিজ্ঞদের পরীক্ষা নীরিক্ষা।
হাড়মাংসের গঠন আলাদা হয়ে দূরে সমান দূরত্বে গ্যাঁট হয়ে ফলায় স্থায়ীত্বের দম্ভ।
প্রতিরাত আসে কিছু চুরি হয়ে যাওয়া সম্পদের তালিকা দীর্ঘায়িত করতে।ঘুটঘুটে করা অন্ধকার জানে আকাশের নিজস্ব কোনো আলো থাকে না।
থাকে কেবল মেঘেদের ছাদ। মেঘেরাও বিষন্ন হয়। তারপর ঝরাতে থাকে নালিশের বর্ষা।
কতদিন – রাত বিচ্ছিন্নতায় কাটিয়ে যাই নিরবিচ্ছিন্ন গহনের অতলে! সেখানে কঙ্কালের সংখ্যা গুণতে গুণতে আঙুলের কড়া কম পরে যায়। আমি ক্ষুধার্ত হই।
প্রচণ্ড রকম ক্ষুধা নিয়ে শব্দের মজুত খুঁজি।
ক্রমশঃ ক্লান্ত হতে থাকি। তারপর…….বুঝতে থাকি কঙ্কাল গুণতে গুণতে নিজেই কখন নাম লিখিয়ে ফেলেছি মৃত শবের ভীড়ে।
চারদেয়ালের বাস্তকোনায় বহু পুরোনো একটা আয়না রাখা আছে। গ্লাসটাতে এখনো স্পষ্টতার অহংকার ঠিকরে পরে।
চারধারের কাঠের ফ্রেমে দৃষ্টি নিবন্ধিত। এখনো মজবুত।
এইসব নালিশে-অভিযোগ সাথে নিয়ে বেরিয়ে পরি কখনো বেগুনী রোদের নিচে নিজেকে নিয়ে।
পৌঁছুতে চাই যেখানে কতগুলো পাহাড় সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।
শুনেছি সেখানে রোজ বাতাস বদলের দাবিদাওয়া নিয়ে মিছিল, মিটিং হয় রোজ। শামিল হতে যোগ দিতে চাওয়া পাখিরাও নাকি দরখাস্ত পেশ করছে দলে দলে……..
১৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আপাতত পড়ে নিলাম। বাকিটা হয়তো লিখবো নয়তো না।
ভালোবাসা নিও ❤️❤️
বন্যা লিপি
রোজ উঠোনের পাশে একটা গাছ দেখি। দেখি একই সুর্য রোদ বিছিয়ে রাখে পাতাদের শরীরে। একেক পাতায় রোদ্দুরের এক এক নাম লেখা হয়ে যায়।নামগুলোই এক একটা সুর্যালোকের খণ্ডিত নাম ধারন করে টিকে থাকে। আমি সেই নাম নামগুলো রোজ পড়ি! তারপর…… নিজের পথে হেঁটে যাই নিজের মতো। কারন, আমারও হাড়মজ্জায় কিছু দম্ভ জমিয়ে রাখি।জেনে যাই একই রকম ভাবে, রাত্রির অন্ধকারে খুশি হয়ে ওঠে কিছু চরিত্রহীন চোরের দল। নির্লজ্জতার লেবাস খুলে পুড়িয়ে দিয়ে, রোজ নামে গুছিয়ে রাখা সম্পদ চুরি করে সম্পদশালী হতে।
কিছু অভিযোগ ঝুলিয়ে রাখে কেউ আকাশের উপরে ছাদ নেই বলে। মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখে মুখোশের আয়না। যে আয়নাটা সবার হাতে ধরিয়ে দেয় সে বড় দুঃসাহসে।কারন সে পাহাড়ের আড়ালে নিয়েছে ঠাঁই বাতাস বদলে দেবার অজুহাতে।
তুমি ফিরে আসো বা নাইবা আসো, সেও তোমার দম্ভ; ভেবে দেখো তুমিও এক টুকরা রোদের ই মত।
ভালবাসা তোমার জন্য ও❤❤❤❤
তৌহিদ
জীবন জীবনের গতিতেই চলে। প্রকৃতিও তার আপন নিয়মে। এরই মাঝে বেঁচে থাকতে হয় আমাদের। এইতো জীবন!
ভালো থাকুন আপু।
বন্যা লিপি
ভালো থাকুন আপনিও ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শুধু বলবো খুবই ভাব-গাম্ভীর্য পূর্ণ লেখা । অনেকটা বুঝেছি তবে সম্পূর্ণ মন্তব্য করা সম্ভব হলো না। প্রকৃতি আর জীবন চক্র তার নিয়মেই বয়ে চলে। প্রতিদিন একই সূর্য,একই গাছের পাতায় আলো দেয় কিন্তু সেটা কিন্তু সবসময় একরকম হয়না, পার্থক্য কিছুটা থেকেই যায়; বৈষম্যের শিকার হয় তারাও। আমাদের দাম্ভিকতা ও কখনো কখনো চুরি হয়, হারিয়ে যায় নয়তো ভেঙে চুরমার হয় কিছু মুখোশধারী দের জন্য । একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
বন্যা লিপি
শুভ কামনা রইলো ছোটতিভাই।ভালো থাকবেন সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমাদের জীবন প্রকৃতির মতোই চক্রাকারে ঘোরে। সাথে থাকে তার সকল ছোটছোট চাওয়া॥ অধিকাংশই পূরন হয় না। না পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সামিল হয় আবার কোন মিটিং মিছিলে॥
শুভ কামনা রইলো আপু।🥰🥰
পরিশেষে,আমার কোন দোষ নাই পাঁচ বার পড়ার পর এতটুকু পারলাম লিখতে॥ কেমন করে শব্দ নিয়ে খেলা করেন আপু। অসাধারণ🌹🌹
বন্যা লিপি
আমার এখানে লম্বা বক্তৃতা দিতে ইচ্ছে করছিলো। সংবরন করলাম নিজেকে। শুভ কামনা সবসময়।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই লেখা থেকে কিছু শব্দ চুরি করবো।
আপু,লেখাটি আমার এতো ভালো লেগেছে,আমি প্রিয়তে নিলাম।
ছেলে বেলায় চাওয়া পাওয়া গুলো বাবা মার ইচ্ছাধীন থাকে। কিছু দিতেন কিছু ভুলিয় ভালিয়ে এড়িয়ে যেতেন।
তারপর বড় হয়ে ইচ্ছেগুলো বেপরোয়া আঠারোকে অতিক্রম করে বিবেকের দেওয়ালে ঠোকর খেতে খেতে একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে।
মধ্যবয়সে এসে ইচ্ছেগুলো সমঝোতা শিখে নেয়।
তারপর একসময় দায় দায়িত্ব কাঁধ বদল হলেও রোজ রাতে কিংবা একান্ত অবসরে সেকেলে দেওয়াল ঘড়ির পেছনে লুকিয়ে থাকা টিকটিকি আর জাবর কাটা স্মৃতি একসাথে টিকটিক করে ওঠে।
এসব দুঃসহ বিভাজন থেকে পাহাড়ের ডাক শোনা খুব স্বাভাবিক।
আজকাল আমার ও খুব পরিযায়ীদের মতো ঘুরে বেড়াত ইচ্ছে করে।
প্রকৃতি মানুষের মন পড়তে পারে, তাইতো সময়ে সময়ে রুপ বদলায়।
বন্যা লিপি
চুরি করো বা ধার নাও সমস্যা নেই। শ্দার্থের মর্মার্থ মত বসালেই সার্থকতা।
এখন আসি তোমার মন্তব্যের বিষয়ে, এতটা লিখে মন্তব্য করার কোনো দরকার নেই। স্বল্প বাক্যে লেখনি ভালো লাগার কারনটুকু জানানোও হতে পারে মূল্যবান মন্তব্যের পরিচায়ক। আরো কিছু বলতে পারতাম এখানে, বললাম না, কারন আমি ভেবে নিয়েছি এসব নিয়ে পরবর্তি লেখা নিয়ে আসবো অচিরেই।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিক আছে আপু অপেক্ষায় রইলাম
আরজু মুক্তা
জীবনের নিয়মে সবকিছু বদলালেও সভ্যতা বা পৃথিবীর কোণে কোণে সংগোপনে আমাদের ছোট পাওয়া না পাওয়ার হিসেব থেকে যায়। আমরা অহংকারী হয়েও হয়তো প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নেই। যেমন পাহাড় আজও অবিচল শত বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে। আবার আকাশ সুমহান সমুজ্জ্বল। সমুদ্র বিক্ষুব্ধ হলেও লোনাজল ঠিকেই ধুয়ে দিয়ে যায়।
বন্যা লিপি
জীবন একেকজনের কাছে একেক রকমের অর্থবহন করে। যে যেভাবে গ্রহন করে জীবনের দীক্ষা। প্রতেকজন আলাদা স্বত্তা ধারন করে বিচরন করেন এ ভূমি তলে।প্রত্যেকে একেক টুকরো রোদ্দুর হয়ে দম্ভে বাঁচে। কেউ কাউকে শ্রদ্ধা করতে না পারলে কারো অধিকার নেই কারো সন্মান হানি করার। সে যেকোনো ভাবেই হোক না কেন।