আমার বয়স তখন ৮-১০বছর হবে, আমরা তখন আব্বুর অফিস কোয়াটারে থাকি। সুযোগ পেলেই আব্বু অফিসে গিয়ে বসে থাকতাম, ঘুরাঘুরি করে পরে পিয়ন কাকা আমাকে বাসায় দিয়ে যেতেন। আব্বু "উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO)" একদিন আব্বুর সাথে স্কুল পরিদর্শনে গেলাম।বাসা ফেরার পথে আব্বু তার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বাড়িতে গেলেন।সেখানে পৌঁছার পর সবাই আব্বুকে স্যার বলে খুবই সম্মান করলো।দুজন বয়স্ক মহিলা,দুজন পুরুষ লোক তারাও আব্বুর সামনে চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে রইলো বসলো না।
কিছুক্ষন পর একজন বৃদ্ধ পুরুষ লোক আসলেন,আব্বু তাকে দেখে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে পড়লেন মনে হলো কিছুটা ভয় পেল দৌঁড়ে গিয়ে তার পা ছুয়ে সালাম করলেন।জড়িয়ে ধরে বললেন সরি স্যার, আমাকে ক্ষমা করবেন। ব্যস্ততার জন্য আপনাকে দেখতে আসতে পারি না তবে সব সময় আপনার ছেলের কাছে খোঁজ খবর নেই।কথাটা শুনে বৃদ্ধা লোক আব্বু দুজনেই কেঁদে ফেললেন আব্বুর কান্না দেখে আমিও কেঁদে ফেললাম।
আব্বু লোকটাকে ওনার পাশে চেয়ারে বসিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন,বৃদ্ধা দাদুর অনুমতি পেয়ে আব্বু বসলেন।তারপর সবাই নিজের জায়গায় বসলো।নাশতা খাওয়ার পর আব্বু নামাজের অজু করতে গেলেন তখন তিনি নিজে টিউবওয়েল চেপে পানি তুলে বৃদ্ধা দাদুকে অজু করতে দিলেন, অথচ বাসায় সাপ্লাইয়ের পানি।
খাবার শেষে আব্বু সবার সাথে অনেক গল্প করলেন যেখানে কোন ভয়, অসম্মান ছিলো না সবাই ফ্রেন্ডলি কথা বললো।
আমার প্রশ্ন গুলোর উওর খোঁজে পাচ্ছিলাম না,আব্বু আমি কিছু জানতে চাই।
দাদু বললেন এর সাথে তো পরিচয় হলো না, আব্বু বললেন, স্যার আপনার ছোট গিন্নি...!!!
দাদু হেসে বললেন, তোমার মেয়ে তো খুব সুন্দর হয়েছে। শোন এর বিয়ের জন্য ছেলে খোঁজতে হবে না বরং ছেলের বাবা তোমাকে খোঁজবে আলিফকে ছেলের বউ করার জন্য।
দোয়া করি বাবার মতো ভালো মানুষ হও।

আচ্ছা আব্বু, বাড়ি আসতেই সবাই তোমাকে ভয় পেল চেয়ারে বসলো না আর এখন তোমার সাথে দুষ্টুমি করছে কেন.?
হা হা হা হা.. এরা ৫ জনেই স্কুলের শিক্ষক,আমি সবার স্যার তাই প্রথমে আমাকে সম্মান করছিলো। এখন আমি তাদের ভাই তাই মজা করছে।

ওনি তোমার দাদু আমার স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমি যত বড়ই চাকরি করি তার সম্মান আমার কাছে সবার উপরে কারন ওনার আদর্শ,স্নেহ, ভালোবাসা আমাকে আজকের জায়গায় এনেছে।

শিক্ষকের প্রতি আব্বুর সম্মান দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেল কারন আমি ওনার সন্তান।

বিঃদ্রঃ পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর এরা আমাদের কাছে টাকা পয়সা চায় না,চায় সম্মান আর ভালোবাসা। আসুন আমরা সবাই তাদের ভালোবাসি ও সম্মান করি।

প্রথম লেখাঃ
তারিখঃ১৮/০২/২০১৬ইং
সুরাইয়া নার্গিস আলিফ।

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর এরা আমাদের কাছে টাকা পয়সা চায় না,চায় সম্মান আর ভালোবাসা। আসুন আমরা সবাই তাদের ভালোবাসি ও সম্মান করি। খুব ভালো লাগলো। তবে এখন শিক্ষকতা ভালোবাসার জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। খুব কষ্ট লাগে । ভালো পোস্ট

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল দিদি ভাই।
      আপনার সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম, বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য অনেকটা দ্বায়ী। শিক্ষকরা তাদের সম্মানের জায়গাটা ধরে রাখতে পারে নাই, ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে ছাত্রের পড়াশোনার মন মানসিকতা।
      ভালোবাসা, সম্মান এগুলো অর্জন করতে হয় বর্তমানে শিক্ষকরা টাকার পিচনে ছুটে
      প্রাইভেট,কোচিং এর মাধ্যমে। কিন্তু যদি ক্লাসে ভালো ভাবে পাঠদান করা হয় তাহলে বাইরে পড়ার প্রশ্নেই আসে না প্রতিটা ছাত্র/ছাত্রী মেধাবী হতে পারত এখন সেই শিক্ষার পরিবেশ নেই।

      ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আপু।
      অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

  • রেহানা বীথি

    বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের সেই সম্মানের জায়গাটা মনে হয় টলে গেছে। অতীতের সেইসব শিক্ষক, যাঁদের নিঃস্বার্থ পাঠদানের কারণে অনেক দরিদ্র ছাত্রও জীবনে আলোর মুখ দেখেছে, এখন তেমন শিক্ষক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শ্রদ্ধা জানাই সেইসব মহান শিক্ষকদের।
    সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল আপু।
      আপনার সুন্দর মতামতে অনুপ্রাণিত হলাম সব সময় পাশে থাকুন। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য অনেকটা এর জন্য দ্বায়ী আমরা সন্তানদের বলছি ভালো রেজাল্ট করতে হবে। কখনো বলছি না বড়দের সম্মান করতে হবে, এরা যখন একদিন দেশ গড়ার দ্বায়ীত্ব পায় তখন ভাবে আগে টাকা অর্জন করতে হবে। এরাই একদিন বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়,
      ভালোবাসা, সম্মান এগুলো অর্জন করতে হয় বর্তমানে শিক্ষকরা টাকার পিচনে ছুটে
      প্রাইভেট,কোচিং এর মাধ্যমে। সবার সামর্থ হয়না প্রাইভেট,কোচিং করার কিন্তু যদি ক্লাসে ভালো ভাবে পাঠদান করা হয়। তাহলে বাইরে পড়ার প্রশ্নেই আসে না প্রতিটা ছাত্র/ছাত্রী মেধাবী হতে পারত এখন সেই শিক্ষার পরিবেশ নেই।
      এগুলো খুব দুঃখজনক, আল্লাহ্ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।
      ভালো রাখুন পৃথিবীর সকল শিক্ষাকদের,শ্রদ্ধা রইল।

      ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আপু।
      অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

  • তৌহিদ

    একজন শিক্ষক হচ্ছেন আদর্শগুরু। আমাদের শিক্ষকদের দেখলে আমরা এখনো দাঁড়িয়ে যাই অথচ এখনকার না শিক্ষক না ছাত্র কেউ কাউকে মানেনা।

    আপনার বাবার শিক্ষাগুরুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো। সুন্দর লিখেছিলেন লেখাটি।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
      শিক্ষক আমাদের দেশ গড়ার কারিগর কিন্তু আমরা তাদের ঠিকমত মূল্যায়ন করতে পারছি না,এটা খুবই দুঃখজনক।
      আজকাল শিক্ষকরা প্রাইভেট,কোচিং এর দিকে বেশি মনোযোগী যেই কারনে স্কুল,কলেজে পাঠদান ঠিকমত দেন না।
      ছাত্র/শিক্ষকের মাধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যেখানে শ্রদ্ধা,সম্মানের বিষয়টাও জড়িয়ে থাকে।
      সম্মান জিনিটা আমরা পরিবার থেকেই শিখি যেমনটা আমার গল্পে উঠে এসেছে, আমার আব্বু আর তার শিক্ষকের মাধ্যমে।

      ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন সব সময়,
      শুভ কামনা রইল ভাইয়া।

  • সুরাইয়া পারভীন

    পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর এরা আমাদের কাছে টাকা পয়সা চায় না,চায় সম্মান আর ভালোবাসা।

    সত্যিই দারুণ লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতে অনুপ্রাণিত হলাম।
      শিক্ষক আমাদের দেশ গড়ার কারিগর কিন্তু আমরা তাদের ঠিকমত মূল্যায়ন করতে পারছি না,এটা খুবই দুঃখজনক।
      আজকাল শিক্ষকরা প্রাইভেট,কোচিং এর দিকে বেশি মনোযোগী যেই কারনে স্কুল,কলেজে পাঠদান ঠিকমত দেন না।
      ছাত্র/শিক্ষকের মাধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যেখানে শ্রদ্ধা,সম্মানের বিষয়টাও জড়িয়ে থাকে।
      সম্মান জিনিটা আমরা পরিবার থেকেই শিখি যেমনটা আমার গল্পে উঠে এসেছে, আমার আব্বু আর তার শিক্ষকের মাধ্যমে।

      ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন সব সময়,
      শুভ কামনা রইল ভাইয়া।

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    “পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর এরা আমাদের কাছে টাকা পয়সা চায় না,চায় সম্মান আর ভালোবাসা। আসুন আমরা সবাই তাদের ভালোবাসি ও সম্মান করি।”
    আপনাার সাথে একমত। শিক্ষককে সম্মান না করে কেউ কখনো বড় হতে পারে না।
    শুভ কামনা

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল দাদা।
      আপনার সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম, সব সময় এভাবে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকুন।
      শিক্ষক আমাদের দেশ গড়ার কারিগর কিন্তু আমরা তাদের ঠিকমত মূল্যায়ন করতে পারছি না,এটা খুবই দুঃখজনক।
      আজকাল শিক্ষকরা প্রাইভেট,কোচিং এর দিকে বেশি মনোযোগী যেই কারনে স্কুল,কলেজে পাঠদান ঠিকমত দেন না।
      ছাত্র/শিক্ষকের মাধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যেখানে শ্রদ্ধা,সম্মানের বিষয়টাও জড়িয়ে থাকে।
      সম্মান জিনিটা আমরা পরিবার থেকেই শিখি যেমনটা আমার গল্পে উঠে এসেছে, আমার আব্বু আর তার শিক্ষকের মাধ্যমে।

      ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন সব সময়,
      আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল দাদা।

  • নীরা সাদীয়া

    আমি একটা কলেজে পড়াই। আমার বেশকিছু ছাত্র আমাকে এতটা সম্মান করে যে কী বলব? এই যে লক ডাউনের দিনগুলোতেও তারা খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমি আপ্লুত। নিজের শিক্ষকদেরকেও সমান করেছি। তবে মনে হচ্ছে তারচেয়েও বেশি কিছু পাচ্ছি।

  • প্রদীপ চক্রবর্তী

    পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।
    আর এ শিক্ষকদের সাথে আচরণ করার পূর্বে পরিবার সাথে নৈতিক আচরণ উপলব্ধি করতে হবে। মানুষের প্রথম শিক্ষালয় হলো পরিবার।
    শিক্ষাগুরুদের সম্মান না করে কেউ কোনদিন উপরের সিঁড়িতে উঠতে পারে না।
    আপনার বাবার শিক্ষাগুরুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।
    ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন দিদি।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল দাদা।
      আপনার সুন্দর মতামতে আপ্লুত হলাম, সব সময় এভাবে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকুন।
      আমিও আপনার সাথে একদম শিক্ষক আমাদের দেশ গড়ার কারিগর। কিন্তু আমরা তাদের ঠিকমত মূল্যায়ন করতে পারছি না,এটা খুবই দুঃখজনক।
      আজকাল শিক্ষকরা প্রাইভেট,কোচিং এর দিকে বেশি মনোযোগী যেই কারনে স্কুল,কলেজে পাঠদান ঠিকমত দেন না।
      ছাত্র/শিক্ষকের মাধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যেখানে শ্রদ্ধা,সম্মানের বিষয়টাও জড়িয়ে থাকে।
      সম্মান জিনিটা আমরা পরিবার থেকেই শিখি যেমনটা আমার গল্পে উঠে এসেছে, আমার আব্বু আর তার শিক্ষকের মাধ্যমে।

      ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন সব সময়,
      আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল দাদা।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
      পোষ্টের লেখাটা শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লিখেছিলাম, আবারও ব্লগে দিলাম।
      ছাত্র/শিক্ষকের সম্পর্কটা সম্মানের হওয়াটা নির্ভর করে দুজনের উপর, সম্মান দিলে সম্মান মেলে। আমরা মূলত পরিবার থেকেই এই শিক্ষাটা পেয়ে থাকি, গুরুজনদের শ্রদ্ধা,সম্মান করা।
      বর্তমান সমাজে শিক্ষকটা প্রাইভেট,কোচিং টাকার পিচনে ছুটে,যার ফলে ক্লাসে শিক্ষাদান ঠিক মতো করেন না।
      আমাদের সবার সচেতনতাই পারে এই ছাত্র/শিক্ষকের সম্পর্কটা সম্মানের জায়গাটা ফিরিয়ে দিতে।

      ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ভাইয়া।

  • সুরাইয়া নার্গিস

    ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
    পোষ্টের লেখাটা শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লিখেছিলাম, আবারও ব্লগে দিলাম।
    ছাত্র/শিক্ষকের সম্পর্কটা সম্মানের হওয়াটা নির্ভর করে দুজনের উপর, সম্মান দিলে সম্মান মেলে। আমরা মূলত পরিবার থেকেই এই শিক্ষাটা পেয়ে থাকি, গুরুজনদের শ্রদ্ধা,সম্মান করা।
    বর্তমান সমাজে শিক্ষকটা প্রাইভেট,কোচিং টাকার পিচনে ছুটে,যার ফলে ক্লাসে শিক্ষাদান ঠিক মতো করেন না।
    আমাদের সবার সচেতনতাই পারে এই ছাত্র/শিক্ষকের সম্পর্কটা সম্মানের জায়গাটা ফিরিয়ে দিতে।

    ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ভাইয়া।

  • সঞ্জয় মালাকার

    পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা।শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর এরা আমাদের কাছে টাকা পয়সা চায় না,চায় সম্মান আর ভালোবাসা।
    চমৎকার লিখেছে দিদি পড়েভালো লাগলো খুব ।
    আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ