
শাহ মখদুম রূপোশ (১২১৬-১৩১৩ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলার প্রথিতযশা সুফী সাধক এবং ধর্ম-প্রচারকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এবং চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশ তথা রাজশাহী অঞ্চলে ইসলামের সুমহান বানী প্রচার করেছিলেন। তার অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে শত শত মানুষ ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। মূলত শাহ মখদুমের মাধ্যমেই বরেন্দ্র এবং গৌড় অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে এসব অঞ্চল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম আব্দুল কুদ্দুস। ধর্ম এবং জ্ঞান সাধনায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে তার নামের সাথে “শাহ”, “মখদুম”, “রূপোশ” ইত্যাদি উপাধি যুক্ত হয়। তিনি শাহ মখদুম রূপোশ নামেই সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত।
মৃত্যুর পর তাকে তার বলে দেওয়া স্থানে সমাহিত করা হয়। তার কবর বর্তমান রাজশাহী শহরের দরগাপাড়ায় অবস্থিত, যার দক্ষিণে প্রমত্তা পদ্মা নদী এবং পূর্বে রাজশাহী কলেজ অবস্থিত।[২] প্রতি বছর হিজরী সনের রজব মাসের ২৭ তারিখ এখানে ওরস পালন করা হয়। দেশ-বিদেশ থেকে শাহ মখদুমের হাজার হাজার ভক্ত অনুসারী সেদিন তার মাজার জিয়ারতে আসেন। উইকিপিডিয়া
(২) রাজশাহী শহরের বিন্দুর মোড় থেকে অটো দিয়ে রওয়ানা হলাম শাহ মখদুম (রঃ) এর মাজারের উদ্দেশ্যে।
(৩) ভোর বেলা বলে রাস্তাঘাট তুলনা মূলক ভাবে ফাঁকাই ছিলো।
(৪) ১৫/২০ মিনিটেই বিন্দুর মোড় থেকে আমরা পৌছে গেলাম শাহ মখদুম (রঃ) এর মাজারে।
(৫) ভোর বেলা মাজার প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্ন সুনসান।
(৬) বারান্দায় বসা একজন বলে দিয়েছিলো ভেতরে যেন ছবি না উঠাই। কিন্তু ওনার কথা রাখতে পারিনি। শাহ মখদুমের এর মাজার এটি।
(৭) শাহ মখদুমের পাশের অন্য কবরটায় যিনি শুয়ে আছেন তার নাম হযরত শাহ নূর, তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানা হয়নি।
(৮) বারান্দায় এমন ভাবে থাকা কবরটায় নাকি শুয়ে আছে শাহ মখদুম (রঃ) এর বাহক কুমির।
(৯) এমন মাজার গুলোতে যাদের পদচারণা নিত্য।
(১০/১১) দরগাহের পাশের স্লুইস গেইটের উপরে নির্মিত ছোট্ট ব্রীজটির আল্পনা আমার খুবই মন কেড়েছে।
(১২) দরগাহ এর সামনে মেইন রাস্তার পাশে কয়েকটি বট গাছের নিচে সিমেন্টের বেঞ্চি বানানো, গাছের উপর পাখিদের কিচির মিচির, জায়গাটা কিন্তু বেশ।
(১৩/১৪) পাশেই ছোট একটা শিমুল গাছে নানা রঙের পাখিদের আনাগোনায় পথিক মন চমৎকৃত হয়।
(১৫) এবারে রাজশাহী যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের একজন প্রবীন ব্লগার খুবই অসুস্থ থাকায় তাকে দেখা। কিন্তু আমি জানতাম না ওনাকে দেখে ফেরার পর এই পোষ্ট দেওয়ার আগেই উনি চলে যাবেন না ফেরার দেশে। সামহোয়্যাইন ব্লগে উনার ব্লগ লিঙ্ক
(১৬) রাজশাহী রেল স্টেশন। এই পথেই বনলতায় চড়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকা ফিরে আসি।
১৯টি মন্তব্য
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রথমে আপনাদের প্রবীণ ব্লগার উনার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করি।
.
ছবিব্লগ অসাধারণ হয়েছে, দাদা।
অনেক ঐতিহাসিক তথ্য ফুটে উঠেছে।
অজানা কিছু জানা হলো। এসব জায়গায় ঘুরতে ইচ্ছে হয়। বসন্তের শিমুলে পাখিদের এমন আনাগোনা দেখতে খুবি ভালো লাগে।
আর দরগাহের পাশের স্লুইস গেইটের উপরে নির্মিত ছোট্ট ব্রীজটির আল্পনা আমারও খুবই মন কেড়েছে।
কামাল উদ্দিন
রাজশাহীতে তেমন একটা আমার ঘোরা হয়নি, তবে দরগাহের আশে পাশের এলাকাটা আমার খুবই মনে ধরেছে, যার অদূরেই রয়েছে পদ্মা নদী।
………শুভেচ্ছা জানবেন দাদা।
মনির হোসেন মমি
আমার জানাই ছিলো না রাজশাহীতে এমন একটি মাজার আছে।আপনার পোষ্ট পড়ে জানলাম দেখলাম অনেক কিছুই।শাহ মখদুম রূপোশ এর নামের ঘটনা জানলাম।সব চেয়ে বেশী আমাকের ব্যাথিত করল ব্লগার আবু হেনা ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ।ফেবুকেই জেনেছি তার মৃত্যু সংবাদ।আপনি পারমানিক ভাই আপনেরা শুধু মাত্র হৃদ্যতার টানে সুদুর রাজশাহী গিয়ে অসুস্থ সহ ব্লগারেয সাথে দেখা করেছেন কথা বলেছেন।স্যালুট আপনাদের। হেনা ভাই আমারও খুব প্রিয় ছিলেন।তার এভাবে চলে যাওয়া আমাকেও ব্যাথিত করে।যাক যেখানে থাক ভাল থাকুক এবং শান্তিতে থাকুক।আমীন।
চমৎকার ছবি ব্লগ পোষ্ট।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মমি ভাই, হেনা ভাইয়ের কথা মনে হলে মনটা একেবারে কেমন যেন ভেঙ্গে পড়ে। আমার ভালো বন্ধু ও বড় ভাই ছিলেন।
……….ভালো থাকবেন ভাইজান।
ফয়জুল মহী
আপনার পোষ্ট পড়ে আবারও বগ্লার আবু হেনা ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। সকলের জীবন নিরাপদ হোক।
কামাল উদ্দিন
আমিও তাই বলি সকলের জীবন নিরাপদ হোক।
আরজু মুক্তা
ব্রীজের নান্দনিকতা ভালো লাগলো।
অনেকদিন পর এলেন। কেমন আছেন?
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, আমি ভালো আছি, আপনি কেমন?
আরজু মুক্তা
আলহামদুলিল্লাহ ভালো
ছাইরাছ হেলাল
উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
এই সুফি সাধকের অনেক নাম শুনেছি, দেখে শান্তি পেলাম,
ফুল আর পাখির ছবি সত্যি দেখে ভেল লেগেছে।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বড় ভাই, প্রচন্ড গরমে কেমন কাটছে রমজান মাস?
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ ভাল রেখেছেন এ পর্যন্ত।
দোয়ায় রাখবেন প্রতিনিয়ত।
তৌহিদুল ইসলাম
অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে পেলাম ভাই , খুবই ভালো লাগছে। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। ব্লগারদের নিজেদের প্রতি আন্তরিকতা সত্যিই মুগ্ধ করে। শাহ মখদুমের মাজারে আমি গিয়েছি। যতবার যাই মনে শীতল পরশ ছুঁয়ে যায়।
শুভকামনা আপনার জন্য।
কামাল উদ্দিন
আমার এবারই প্রথম দর্শন, তবে পুরো এলাকাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে, আবার হয়তো সময় করে যাবো একবার।
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময় তৌহিদ ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
প্রথমেই ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। রাজশাহীতে দেড় বছরের মতো ছিলাম এ মাজার দেখা হয়নি।
আপনার অনবদ্য ছবি ও বর্ননায় দেখতে পেলাম। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, রাজশাহী শহরটা আমার বেশ ভালো লেগেছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ব্রীজ আর পাখির ছবিটা অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া। এতো এতো বিরতি দিলে আমাদের পাঠকদের মন যে ভেঙে যায়। কতকিছু, কত অজানা কে দেখা , জানা এতো আপনার কল্যাণেই । আশা করি সবাই কে নিয়ে সুস্থ আছেন। অবিরাম শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ঠিক বলেছেন আপু, ভবিষ্যতে নিয়মিত হতে চেষ্টা করবো।
সাবিনা ইয়াসমিন
জায়গার ছবি গুলো এত সুন্দর, চোখ-মন শান্ত হয়ে যায় এমন জায়গা দেখে। ১১, ১৩ ছবি দুটো অনেক ভালো লাগলো। ব্রিজের এমন কারুকাজ আর কোথাও দেখিনি। কুমিরের কবর দেখে অবাক হয়েছি। বলে না দিলে বুঝতেই পারতাম না এটা কোন মানুষের কবর নয়!
ব্লগার আবু হেনা ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচিত ছিলাম। তার হঠাৎ মৃত্যু আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। হেনা ভাইয়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আপনি নিয়মিত হোন কামাল ভাই।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹