তোমার বলার প্রতিটি নিঃশব্দ-ভাষা, প্রতিটি হরফ-যতির অনুপুঙ্খ
সবই জানা, শ্বাস-নিশ্বাসের মত, ঐ-যে শব্দ-চোখ-মুখ-ঠোঁট-চিবুক,
টইটই করা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে রাত জাগা, প্রতিটি লোমকূপের স্বেদ-ঝর্ণা,
গড়গড় করে চোখ-মেলে-বুজে পড়ে যেতে পারি;
শ্রুতি গ্রাহ্য অনুচ্চারতায়ও, প্রকাশের ভাষাটি শুধু শিখতে পারিনি।
মুখের কবর-নিস্তব্ধতা ঝেড়ে ফেলে জ্যোৎস্না-আঁকা শান্তিদূত হয়ে হাসো,
পূষা-বিভূষণা ঊষা, দ্বার খোলো, একবার-ই, হাসি-হাসি-মুখে;
বক-জ্যোৎস্নার-ঝিলমিল সুখে।
“এই শোনো না”
এ’কথাটি কায়দা-সুন্দর করে বলার কথা ভাবি, বলি-না,
বলতে পারিও-না,
তিরতির করে কাঁপা শব্দ-ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে!!
হুজুগে নিন্দামন্দ করিনি, শর্তসাপেক্ষের হাসা, হাসি-ও-নি,
অবদলযোগ্য ইনসাফি হাসি পেতেই পারি, ভালোবাসাকে ধ্রুব সত্য ভেবে,
মহানুভবতা বা অনুকম্পার হলেও, আপত্তি রাখছি না।
ঋতুবতীর রেণুময় হাসিতে বুঁদ হয়ে,
বখে যেতে যেতে হলেও প্রকাশ-ভাষাটি
শিখেই নেব, এবারে;
১৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
হুজুগে নিন্দামন্দ করিনি, শর্তসাপেক্ষের হাসা, হাসি-ও-নি,
অবদলযোগ্য ইনসাফি হাসি পেতেই পারি, ভালোবাসাকে ধ্রুব সত্য ভেবে,
মহানুভবতা বা অনুকম্পার হলেও, আপত্তি রাখছি না।
আবার আপত্তি কেনো হবে>>>>
-{@
ছাইরাছ হেলাল
আপত্তি না হলেই তো বেঁচে যাই এ-বেলায়।
শুন্য শুন্যালয়
শিখতে পারেন নি বলেতো মনে হচ্ছেনা। বরং পড়তে পারার চাইতে প্রকাশের ভাষা শক্তিশালী মনে হচ্ছে।
শব্দের চোখ, ঠোঁট, চিবুক ভাবতেই হিম হিম লাগছে। সব পড়ে ফেললে অচেনা হয়ে যাবে, স্মরলিপি থেকে ফের শুরু করতে হবে।
এমন হাসি হাসার ঘোর বিপক্ষে যাচ্ছি, কবির মাথা ত্রিকোন আকৃতি হবার আগে আগেই। ভারী সুন্দর কিন্তু লেখাটি। শিখেই ফেললেন সব।
যেদিন অদূরবর্তী প্রকাশে সব প্রকাশের মাঝেও যতি এসে দাঁড়াবে, সেদিনের ছায়ামাখা হাসির আড়ালে হাসিও হেসে নেবে ক্ষন, এসেছ যখন কিছু না বলেই থাকো, না বলার মাঝেই বলা থাকে, অচেনার গন্ধেই চেনা চেনা বন।
বদলাবদলি ভালা না।
ছাইরাছ হেলাল
শেখাবেন্না!! তা বলতেও দেবেন্ন!! এটি কিন্তু ঠিক না,
তবে মন্তব্যটি ভারী নয়, হাল্কা সোন্দর হয়েছে। মন্তব্যের উত্তর দেয়া কঠিন, কঠিন না,
তাই বলে মন্তব্যের উত্তরে আবার আমার পোষ্ট লিখে ফেলা ঠিক হবে না, অনুমতি না-নিয়ে
দিয়ে দেব!! তাও কিন্তু ঠিক না।
দেখুন সব-ই যদি পড়তে পারতাম তা হলে আর এতটা গাইগুই করা লাগত না,
এই মাথাহীন মাথা নিয়ে। অক্করে ঠিক বলছেন, হাসোন ঠিক না, খিল মেরে হিটকি দিয়ে থাকতে হবে।
শেষাংশের উত্তর দেতারমু না। খুপ কঠিন লাগে,
ইঞ্জা
শিখে ফেলুন প্রকাশ ভাষাটি, শিখে ফেলুন প্রেমের কাব্যিকতা, ডুবে যান বক জোৎসনায়।
বিমুগ্ধতা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
শিখতে চাই, কিন্তু কেউ শেখাতে চায় না, ছাত্র পছন্দ হয় না!!
ধন্যবাদ, ভাই।
ইঞ্জা
ভাবী কি করেন, উনাকেই বলেন শিখিয়ে দিতে। :p
ছাইরাছ হেলাল
ভাবীরা শিখিয়ে পড়িয়ে দেয় নাকি!!
ভাবি-ভুবি নেই, তাই বকলম থেকেই গেলাম।
ইঞ্জা
আহা কি কন ভাইসাব, আহারে দুস্ক।
ছাইরাছ হেলাল
কন্দনের ইমো হপে!
মোঃ মজিবর রহমান
শিখতে আমি পারছিনা মাথায় মনে হয় আমার ঘেলু-টেলু নাই।
ছাইরাছ হেলাল
পারবেন, পারবেন, সবই পারতে হবে কালে কালে।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রেমিক কবি কাহারা হইতে পারে, উহা আজিকে জানিলাম।
এতো কিছু জানিয়াও শিখিতে পারিলেন না? নাহ আপনি ছাত্র ভালু না। শিখিয়া কহিয়া ফেলুন, অতো ভাবা-ভাবির কি আছে!
কথা হইলো কহিবার পরে উহা শুনিবার মতো উহার কর্ণ পরিষ্কার কিনা, তাহার খবর লইয়া নিয়েন কুবিরাজ ভাই।
তয় কুবিতা কইলাম খুউব ভালো হইছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ইহা আপনি জানিবেন্না তো কে তাহা জানিবে!!
আপনি যদি একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিতেন তাহলে এযাত্রা উলুধ্বনি সহকারে
নৃত্য করিতাম!! বদ-নছিব খারাপ ছাত্রের কোন কুল আর অবশিষ্ট রহিল না।
উহ, জায়গা -মত হাত দিয়ে ফেলেছে!! যাহাকে বলিব তাহার অবস্থা আগে আপনি পরীক্ষা করিয়া
ছাড়পত্র দিলেই হবে!!
হাড়-কেপ্পন হয়েও ভাল বলেছেন দেখে ভাবছি, লেখাটি ভালই হয়েছে মনে হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই নাকি? আমারই তো জানিবার কথা! ঠিকই কহিয়াছেন। তো জানিয়া কহিতেছি আপনারে শিখাইবার লাগি শিক্ষাগুরুর অভাব নাই। তাহা ছাড়া আমার সময়ও তো নাই। থাকিলে ভাবিয়া দেখিতাম। ছাড়পত্রের জন্য জায়গামতো আবেদন করিবেন, এইখানে আমি কেমন করিয়া দিবো?
আমি কেপ্পন হইলে বেহিসেবী অক্ষর খরচ করিতাম না। বুঝিয়াছেন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি, খারাপ ছাত্র দেখে কেউ পড়াইতে চায় না!!
জায়গা চিনিয়ে দিলে সেখানেই আবেদন করিব!!
আপনি কুপ বেহিসেবী কেপ্পন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
একশত ভাগের মধ্যে আপনার এক ভাগ সত্যি দেখিয়া খুশি হইলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি খুশি হয়েছেন সেটাকেই শত ভাগ ধরে নিচ্ছি,