নীল আকাশে কাল-ধোয়াটে ছায়া কম্পিত
কাশফুলেদের শাদাবনে রৌদ্র স্তম্ভিত
নগরে সে কাশবন কোথায় সে ছিল ঐ গ্রামে
আমি তাকে পেয়েছিলাম জন্মদিনের দামে।
জন্মেছিলাম সাতাশ আশ্বিন শরতের এক ভোরে
জরায়ূ ছিঁড়ে আঁতুর ঘরে মায়ের আঁচল জুড়ে
সে দাবিতে বলতে পারি, শরৎ আমার দৃতা
পুত্র দেহে জড়ানো মা'র ধূসর-শাড়ির কাঁথা।
ঢাকায় যখন শরৎ খুঁজে তাকাই আকাশ পানে
শূন্য আকাশ ছেদন করে বক্ষ- তীক্ষ্ণ বাণে
শরৎ ছিলো পাকতে শুরু কামরাঙার স্তনে
দিন-দুপুরে আঁধার করা চিত্রা-তেঁতুল বনে
শরৎ ছিল শুকনো মাঠে ভেজা শালুক জলে
সাঁতার কাঁটা বুনো হাঁসের কামার্ত দঙ্গলে
তাদের কাছেই চিনেছিলাম তেপান্তরের মাঠ
তারাই আমায় দিয়েছিলো মন শাস্ত্রের পাঠ।
কালবিরহে আমার যে এই একটু বাহাদুরি
শরৎবালার কাছ থেকে তা করেছিলাম চুরি
শরৎের এই সন্ধ্যামনে না জানি সেই প্রিয়া
কার রজনীগন্ধা হয়ে ফুটেছে, ওফেলিয়া!
পোড়ায়, উড়ায়- তবুও জুড়ায় মুগ্ধ মননশালা
জলের জীবন আসমানী রঙ মাটির কিসের জ্বালা?
নগরে সে শরৎ কোথায়- সে থাকে ঐ গ্রামে
জানি তাকে ফিরে পাবো মৃত্যুদিনের দামে।
শরৎ-স্মৃতি
১৪.১০.২০১৬
৩টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ শরতকে নিয়ে কবিতা। এমন ছান্দিক ভাবনাতেই শরতকে মানায়।
ভালো লিখেছেন।
ইঞ্জা
বেশ ছন্দময়, ভালো লাগলো।
আবু জাঈদ
“শরৎ ছিলো পাকতে শুরু কামরাঙার স্তনে”
অসাধারণ একটা লাইন, বাহ