
সে অনেক দিন আগের কথা,
তিন পঙক্তিতে প্যারা সাজিয়ে নয় লাইনের একটি কবিতা লিখেছিলাম।
জীবনের প্রথম কবিতার হাতেখড়ি ছিল সেটি;
অদ্ভুত হলে ও সত্যি!
কবিতার শিরোনাম ছিলো “শরতের সাথে এসো”।
প্রিয় ঋতু শরতকে বড্ড ভালোবাসতাম।
ভালোবাসার মানুষের হাত রেখে হাতে উঠোনে শতরঞ্জি পেতে, শরতের রুপোলী চাঁদ দেখার বিলাসি স্বপ্ন দেখতাম।
শরতের আকাশের উজ্জ্বল নীলে আমি মনের অজান্তেই হারিয়ে যেতাম অনায়াসে।
শ্যামলা বরণ গায়ের রঙ তামাটে হলেও ভাদ্রের রোদ আমার পছন্দের শীর্ষে ছিল।
আষাঢ়ের থমথমে মেঘে আশার ভরাডুবি ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাইনি কোনদিনই।
যাক সেসব কথা, পুরনো স্মৃতি চারণে বাড়ে ব্যাথা!
আশ্চর্য হলে ও সত্যি, তুমি শরতেই এলে,
প্রায় দেড়যুগ পরে বাড়ির উঠোনে নয় মনের বাগানে।
সাথে নিয়ে এলে কাশফুল ভালোবাসা,
নীলাকাশ, রৌদ্রজ্জ্বল সকাল, চাঁদনী পশর।
শরত হেমন্ত রাঙিয়ে শীতের ওম ছড়িয়ে বসন্তের দ্বারে
আমায় অপেক্ষমান রেখে ফিরে গেলে,
৯টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
পরিযায়ী ছিলো!
তাহলে মনে হয় এই শরৎবাবু সেই শারদীয়বাবু না।
কবিদের কাছে শরতের মাধুর্য আলাদাভাবে ধরা দেয়। ঋতুরানী শরতের আবেশে ঘোর লাগে মনেপ্রাণে…শতভাগ সত্যি।
শুভ কামনা 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
এতোকিছুর পরেও পরিযায়ী চলেই যায়,,,,
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আমায় অপেক্ষমান রেখে ফিরে গেলে,
তোমাকে যে যেতেই হতো তুমি যে পরিযায়ী ছিলে। বাহ।
নিতাই বাবু
এখানেই থাকি।
রেজওয়ানা কবির
পুরোনো সে দিনের কথা ভুলবি কি যে হায় ও সে চোখের দেখা প্রানের কথা সে কি ভোলা যায়???তবুও শরৎ এর আবেশে মনে অনুভূতি নতুন করে জাগে। শুভকামনা আপু।
হালিমা আক্তার
যে যাবার সে যাবেই। তাকে বেঁধে রাখার সাধ্য নেই। তেমনি যে ফিরে আসার সে আসবেই। শুভ কামনা রইলো।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
আবার আসবে শরৎ এলে
শুভ্র মেঘের পাখনাটা মেলে
হবে নাকো ধরাশায়ী –
বলেই সে পরিযায়ী!’
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় এক উপলব্ধিকর কবি দা
নার্গিস রশিদ
‘ প্রিয় ঋতু শরৎ কে বড্ড ভালবাসতাম’ ঠিক তাই। ভালো লাগলো।