ধরণী ছিল অখন্ড
করেছি তাকে শত খন্ড !
কখনো বাহুর জোরে
কখনো স্বার্থের লোভে !
যারা ছিল গতকাল একই সুতোয় গাঁথা
একটি অখন্ড রঙ্গিন সুখের নকশী কাঁথা !
হঠাত করেই হায়েনার আঁচড়ে
শত খন্ডে ছিন্ন হল !
সুঁইয়ের এক ফোঁড় থেকে আরেক ফোঁড় দিয়ে
বহু দিনের যে আত্মীয় বন্ধন হয়েছিল,
তা বহু কালো হায়েনার নোখের আঁচড়েই
ক্ষত-বিক্ষত হল !!
নিক্ষিপ্ত হল মানুষ নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে
অজানা দেশে-প্রাণের মায়ায় !
কখনো জাতের অজুহাতে
কখনোবা ভিনদেশি বলে !!
আজ তাঁদের দেখার কেউ নেই
নেই কেউ আজ সেই পুরাতন নকশী কাঁথা ফিরিয়ে দেয়ার!
রঙ্গিন না হোক হালকা ছেঁড়াটাও কেউ কি দিবে?
সেই নকশী কাঁথা আজ তাঁদের স্বপ্নের মাঝে ঘুরে !
অতীতের এই সু-স্বপ্ন
আজ তাদের দুঃস্বপ্নের চেয়েও বেশি কষ্ট দেয় !
হারানো সেই দিন গুলি ফিরিয়ে দেয়ার কেউ নেই,
দিতে তো পারি পরিপূর্ণ সম্মান তাদের-মানুষ হিসেবে !
পারি না কি ??
১৫টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
সাধারন মানুষ হয় ভুক্তভোগী । একদেশে থাকে ভাই, অন্যদেশে বোন। মেনে নেয়া শুধু শক্তির কারনে।
ভালো লিখেছেন।
সিহাব
ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ !
মশাই
******সেই নকশী কাঁথা আজ তাঁদের স্বপ্নের মাঝে ঘুরে !
অতীতের এই সু-স্বপ্ন
আজ তাদের দুঃস্বপ্নের চেয়েও বেশি কষ্ট দেয় !
হারানো সেই দিন গুলি ফিরিয়ে দেয়ার কেউ নেই,
দিতে তো পারি পরিপূর্ণ সম্মান তাদের-মানুষ হিসেবে !*****
খুব সুন্দর বলেছেন কথাগুলো। সেই সব দিনগুলি যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে আর ফিরে আসবে না।
সিহাব
ধন্যবাদ !
লীলাবতী
মানুষের হৃদয় হয়ে গিয়েছে এখন খন্ড বিখন্ড ।
সিহাব
ঠিক বলেছেন !
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
ভালো লিখেছেন ভাই ।
সিহাব
চেষ্টা করেছি অবস্থান ফুটিয়ে তুলতে !
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ভালো লাগলো… ।
সিহাব
🙂
শরিফুল ইসলাম শরীফ
চমৎকার লিখেছেন ভাই৷
সিহাব
ধন্যবাদ ভাই !
জিসান শা ইকরাম
ভালো লেগেছে খুব ।
সিহাব
ধন্যবাদ ! 🙂
আজিম
কবিতা বুঝতে আমার অসুবিধা হয়। তবে এই কবিতাটিতে আপনি শরনার্থীদের মনোবেদনা যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, সেটা অত্যন্ত পরিষ্কার ও ভাল হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কিছুদিন আমি কাছে থেকে দেখেছি চাকরীর সুবাদে। কিছুটা আপনারই মত করে তাদের মনোকষ্টগুলোকে অনূভব করেছি। কিন্তু আপনার মতো করে প্রকাশ তো আর করতে পারিনি আমি। সুন্দর আপনার উপস্থাপনা।
অনেক ধন্যবাদ।