লিখতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে লেখালিখি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি পেশাগত লেখক নই, শখের বশে লিখি আর নিজের মনের খোরাকের জন্য লিখি। নিজের অবসর সময়কে লেখালেখি করে কাজে লাগাই। মাঝেমধ্যে ফেসবুক, ব্লগ কিংবা অনলাইন মিডিয়ায় আমার বা আমাদের কিছু পোস্টে এমন সব মন্তব্য আসে যা অপ্রাসঙ্গিক এবং লেখা সম্পর্কিত নয়। বাজে মন্তব্য কিংবা হেয়ালীস্বরূপ এমন মন্তব্য যেগুলো দেখলে মনে আমরা কষ্ট পাই। লেখা লিখবোনা আর এরকম অনুভব মনে পুষে রাখি অনেকক্ষণ। আমি মনে করি যতক্ষণ আমি আমার লেখাকে অনলাইনে বা কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ না করব ততক্ষণ নিজের লেখকীয় সত্তাকে অন্যেরা বুঝতে পারবেনা। আর যখনই এসব মাধ্যমে লেখা প্রকাশ করবেন এর মানে হচ্ছে আপনি সমস্ত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।

লেখক ও তার লেখাকে বোঝার চেষ্টা করুন-

লেখা প্রকাশ করা মানেই আমি যা লিখব তা সবাই পছন্দ করবে এমনটা নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি ভালো লেখায় অন্যেরা নেতিবাচক মন্তব্য করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষই প্রকৃতপক্ষে নিজেদের হীনমন্যতা এবং তাদের নিজের স্বকীয়তা আপনার উপর চাপাতে চায়। হ্যাঁ, এটা ঠিক অনেকেই লেখা সম্পর্কে তাদের নিজস্ব মতামত সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেন নিজেদের মন্তব্যে, কিন্তু প্রকাশ ভঙ্গিতে মাধুর্যতা থাকেনা। আসলে ভার্চুয়াল জগতে যারা বিচরণ করেন বেশিরভাগই একে অন্যকে সম্পূর্ণরূপে আমরা জানিনা বা জানতে চাইনা। তাই আপনাকে বা আমাকে বুঝতে পারারতো কথাই নয়। এর কারণ হচ্ছে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণরূপে কখনো ভার্চুয়ালি প্রকাশ করিনা। জীবনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় হয়তো উন্মুক্ত করি, কিন্তু একজন মানুষকে কাছ থেকে না দেখলে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা সম্ভবপর হয়না। ফলে আমরা নিজেরা যে যেমন আমাদের লেখায় এবং মন্তব্যে তার অনুরূপ প্রতিফলন ঘটে বা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।

একজন লেখককে অন্য একজন লেখককে জানার এবং বোঝার অন্যতম উপায় হচ্ছে তার লেখাকে বোঝা। কারণ নিজের অজান্তেই লেখকীয় সত্বা তার লেখায় ফুটে ওঠে। আপনি মনোযোগ দিয়ে তার লেখা পড়লেই সে ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুটা সম্যক ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই সেভাবেই তার লেখায় মন্তব্য করা উচিত। পাঠকের করা উত্তপ্ত বাক্য কিংবা হাই হ্যালো উদাসীন টাইপ মন্তব্য আবেগগত চাপে লেখকের লেখায় চাপিয়ে দিতে গিয়ে মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য ভালো হলেও নেতিবাচকভাবে মন্তব্য করার কারনে মন্তব্যের সাথে মন্তব্যকারীর উদ্দেশ্য ও মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কিন্তু। এতে একজন লেখক তার পাঠকের জন্য নতুন কিছু লিখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আর পাঠকের ভীন্ন মানসিকতাও লেখকের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সে কারনেই একজন লেখক কিংবা পাঠকের অন্য লেখকদের লেখার সার্থকতা বা মূলশেকড় খুঁজে পাওয়াই অপর একজন লেখকের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

লেখায় সমালোচনাকারীদের বুঝুন-

একজন লেখককে তার পাঠক সম্পর্কে কিছু ধারনা সবসময় রাখতে হয়। লেখায় যারা সমালোচনা করেন তাদের দু'টি শাখায় ভাগ করা যেতে পারে-

এক- যারা আমাদের সাথে একমত নন বা আমাদের অপছন্দ করেন এবং লেখার মাধ্যমে আমাদের প্রতিভা ও ধারণাগুলোকে বিকশিত হতে দিতে চান না। কিছু পাঠকগোষ্ঠী হতাশামূলক মন্তব্যের বাইরে আর কিছু করবে না, কারণ তারা সব সময় অন্যদের মানসিকভাবে সূক্ষাতিসূক্ষ আঘাত করতেই ব্যস্ত। এরা আমাদের লেখাকে নষ্ট করার চেষ্টা করে সব সময়। তাই এদের এড়িয়ে চলুন।

দুই- অপর এক ধরনের লেখক এবং পাঠক আছেন সু-পাঠক, যারা নিজেরা লিখতেও পারেন নাও পারেন, তবে ভালো লেখাকে সম্মানের সাথে পড়েন। নিজেদের সুন্দর প্রকাশভঙ্গিতে সুগঠিত মন্তব্য করেন, লেখার সমালোচনা করেন। লেখকের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সেই লেখায় আরো কিছু মন্তব্য যোগ করে লেখাকে সুন্দর একটি রূপ দিতে সাহায্য করেন। এরাই কিন্তু আপনার আমার লেখার অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহদাতা।

পাঠকের মন্তব্যে নিরাশ হবেন না-

একজন লেখক হিসেবে পাঠকসমাজে নিজের যাবতীয় মন্তব্য, আলোচনা এবং নেতিবাচক সমালোচনাকে কখনোই নিজেরা রাগান্বিত হয়ে বা মন্তব্যকারীর মত অভদ্র ভাবে মোকাবেলা করবেন না, উচিত নয়। এতে আপনার লেখকীও সত্ত্বা মানসিকভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। শেষমেশ লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন অনেকেই। তাই নেতিবাচক এরকম মন্তব্যের সাথে কখনো আপোষ করতে যাবেন না, দরকার নেই। কিছু পরিস্থিতিতে মন্তব্যকারীর ভুল ভাঙাতেও যাবেন না যখন বুঝতে পারবেন তিনি এমনটা ইচ্ছেকৃত করছেন।

আমি মাঝেমধ্যে ব্লগে আমার পুরাতন লেখায়ও ঢুঁ মারি। সেখানে অন্যেদের করা মন্তব্যগুলি পড়ি কিংবা নতুন মন্তব্য আসলো কিনা তা দেখি। আমি মনে করি আমার পাঠককে বুঝতে হলে আমাকে জানতে হবে আমার লেখায় কে বাহবা দিচ্ছে? কারা তালি দিচ্ছে? কোন লেখক বা পাঠকগোষ্ঠী আমার লেখা পড়তে আগ্রহী কিংবা কারা কারা আমার লেখাকে উপভোগ করছে? যদিও সবাইকে সন্তুষ্ট রাখা আমাদের সম্ভব নয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু পাঠক কিন্তু আপনার আমার সব সময়ের শুভাকাঙ্ক্ষী। লিখুন না শুধু তাদের জন্যই।

পাঠকের মন্তব্যে আপনার প্রতিউত্তর-

যদি মনে করেন লেখায় পাঠকের করা মন্তব্যে আপনার বিরক্তির উদ্রেগ হচ্ছে কিংবা খারাপলাগা আসছে মনে, তাহলে আপনার লেখার সেই বিরূপ মন্তব্যের জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরে আপনাকে যদি কখনো কেউ মন্তব্যে প্রশ্ন করে- আপনি তার মন্তব্যের জবাব দেননি কেন? তখন তার সেই মন্তব্যের বিপরীতে টেকনিক্যালি বা কুশলী হয়ে উত্তর দিন। বলুন আপনার কোন কারনে মিসিং হয়ে গেছে বা চোখে পড়েনি অথবা মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক ছিল। কিংবা এটা বলুন সেই সময় তার নেতিবাচক বা উস্কানিমূলক মন্তব্যের জবাব দিয়ে নিজের লেখাকে ট্রলের বা হাসির পাত্র করতে চাননি, ব্যস হয়ে গেল।

নিজের লেখার মন্তব্যে পরিচিত কারো নাম দেখলে সেটার উত্তর ব্যক্তিবিশেষে সেভাবেই দেবার চেষ্টা করুন। আপনি নামকরা লেখক হয়ে থাকলে ভিন্ন বিষয় কারন পেশাদার লেখক এসবকিছু গ্রাহ্যই করেননা। তবে আমার মত অপেশাদার লেখক হলে মন্তব্যে কুশলী হোন। তাহলে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন, একটা সময় ছিল যখন মানুষ লিখতো এবং তাদের লেখার প্রতিক্রিয়া তারা তাৎক্ষণিক পেতেন না কারণ তখন ভার্চুয়াল মাধ্যম ছিলনা। কিন্তু এখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আসে পাঠকের কাছে থেকে, তাই লেখার পক্ষে সব সময় নিজের যুক্তিগুলো প্রস্তুত রাখুন যাতে সহজেই উত্তর করতে পারেন।

লেখালিখিতে নিজে অনুপ্রেরণা নিন, অন্যকেও দিন -

একজন নতুন লেখককে অবশ্যই অনুপ্রেরণা দিতে হবে। কেউ জন্ম থেকেই লেখার শিক্ষা নিয়ে আসেনি। আপনি, আমি যখন লেখালিখি শুরু করেছি আমাদেরও একই অবস্থা ছিল। আমরা লিখতে লিখতে শিখছি। আমিতো এখনো শিখছি। তাই নতুন লেখককে হ্যামরা ত্যামরা মন্তব্য করে নিজেকে বড় লেখক প্রমাণ করা আমার কাছে বোকামি মনে হয়। অহেতুক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে নিজেকে জাহির করা কিছু লোকের বাজে স্বভাব। এমনটা দেখলে তাদের মন্তব্যকে এড়িয়ে চলুন।

যখন আপনার মন মেজাজ ভালো থাকবেনা তখন কারও মন্তব্যের জবাব দিতে যাবেন না। এতে আপনার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে মন্তব্যে। ফলে অপরজন মানে পাঠক কিংবা লেখক, সে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারণা পোষণ করবেন।

লেখা প্রকাশের মাধ্যমগুলির পাঠকদের বুঝুন-

আপনি যখন কিছু লিখবেন তখন মনে রাখবেন লেখাটি কোথায় প্রকাশ করার জন্য লিখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ নাকি অনলাইন অথবা প্রিন্ট মিডিয়ায়? কারণ, পাঠক সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। লেখাটি যে মাধ্যমে প্রকাশ করবেন আপনার মন্তব্যকারীও কিন্তু সেরুপ হবে এটা মাথায় নিয়ে লিখবেন এবং সেভাবেই লেখা প্রকাশ করবেন। ভালো এবং নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য এসব মাধ্যম সম্পর্কে জ্ঞান রাখাও জরুরী।

যখন আমরা আমাদের লেখাগুলি লিখি তখন সেখানে আমাদের মনের কথাগুলোরই প্রতিফলন থাকে। একজন লেখক নিজেদের সমস্ত কিছু ঢেলে দিয়েই লিখেন। তবে মনে রাখবেন, আপনার আশেপাশে কিছু অসতর্ক এবং বেপরোয়া লোকেরাও বসবাস করেন। তাদেরকে কিছু বলার সুযোগ দেবেন না। তাই নিজের লেখার বিষয়বস্তু, উপাদান, উপস্থাপনা এসব সাবলীল করতে চেষ্টা করবেন। নেতিবাচক, প্রতিহিংসামূলক কিংবা অন্যের জন্য ক্ষতিকর এমন লেখা লিখবেন না। এটা মোটেই উচিত নয়।

পরিশেষে আর একটি কথাই বলবো- অবশ্যই মনে রাখবেন, কেউ আপনার লেখা পড়তে বাধ্য নয়। তাই অন্যকে মন্তব্যে মেনশন করে লেখা পড়তে বাধ্য করবেন না। এতে পাঠকের মন্তব্যে আপনার খারাপ লাগা আসতে পারে। আবার আপনার লেখায় কেউ মন্তব্য করতেও বাধ্য নয় এবং আপনিও কারো মন্তব্যের উত্তর দিতে বাধ্য নন। তবে পারস্পরিক সুগঠিত মন্তব্য আদান-প্রদান লেখকদের নিজেদের মধ্যে সুন্দর একটা মেলবন্ধন তৈরি করে। আদতে এর ফলে আপনার লেখার মান ভালো হবে এবং আমার মতন মনের খোরাক মেটাতে শখের বশে যারা লিখেন তাদের মধ্যে একটা ভালোলাগা কাজ করবে যা মনকে প্রফুল্লতায় ভরিয়ে দেবে। তাই বেশি বেশি লিখুন কিন্তু মন্তব্যে অবশ্যই কুশলী হোন।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

  • মনির হোসেন মমি

    লেখাটা মোটেই ভাল হয়নি এর আগেও এমন কত লেখা পড়েছি! তার তুলনায় এ লেখাটি ধারে কাছেও নেই। মানি তবে তাল গাছটি আমারি এমন মনোভাব নিয়ে লেখাটি কেউ পড়বেন না। নতুন পুরাতন যারা ব্লগার বা লেখা লেখি করেন কষ্ট করে হলেও এ লেখাটি একটু সবারই পড়া উচিত। আবারো আসছি….।।

    • তৌহিদ

      ভাইজান সমস্যাতো সেখানেই। নিজে সব বুঝি, সব জানি কিন্তু মানিনা। এরকম মামুষদের আমি এড়িয়েই চলি। অনেকেই ভালো লিখেন বলে আমার লেখাকে অগ্রায্য করে যান এই মানসিকতা কোন লেখকের হওয়া উচিত নয়।

      আমি আমার মতন। আমি বিশ্বাস করি যারা ভালো লেখেন তারা অন্যের লেখায় সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেন, অনুপ্রেরণা দেন। কিছুক্ষেত্রে লেখাকে আরও ভালো কিভাবে করা যায় তার পরামর্শ দেন।

      এটাই কাম্য। ধন্যবাদ ভাইটি।

  • সুরাইয়া পারভিন

    পুরো লেখাটি পড়লাম।লেখাটি আমার জন্য খুবই উপকারী ছিলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুকটাক লিখার মন্তব্যে অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আমিও সাধ্যমত বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটা ভাবিনি কেউ ইচ্ছেকৃতই এমন করে।ফলে যা হয় আর,,,,, সত্যিই খুব দরকারী পোস্টটা

  • প্রদীপ চক্রবর্তী

    লেখাটি দুবার পড়েছি।
    অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পোস্ট।

    প্রথমে আমাদের উচিত কারো লেখা পড়ে তারপর যথার্থ মতামত প্রকাশ করতে। অনেকেই তা না করে অন্যের মতামত অনুসরণ করে করে ব্যক্তির লেখা পোস্টে মতামত করে ফেলেন। আসলে এটা একদম ভুল। কেননা অন্যের চিন্তাচেতনা ও ধ্যানধারণার সাথে আপনার আমার কোন মিল নেই।
    তাই পোস্ট ভালোভাবে পড়ে তারপর নিজের যথার্থ মতামত প্রকাশ করবেন।

    আর সত্যি কথা বলতে কি আমিও প্রথমে ভালোভাবে না পড়ে এবং অন্যের মতামত দেখে পোস্টে মন্তব্য করে ফেলতাম। তারপর হঠাৎ একদিন ভাবলাম আমি অনেক বড় ভুল করছি। না কিছু জানতে পারছি না কিছু শিখতে পারছি। তারপর থেকে একবার না বুঝলে দ্বিতীয় বার পড়ে পোস্টে মতামত প্রকাশ করি। তাই সেইদিন থেকে নিজের ভুল শোধরে নিয়েছি।
    আমার জানার ও শিখার আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকে যা আজব্ধী চলছে।

  • নিতাই বাবু

    আচ্ছা, আমি এইটুকুই আগে জানতে চাই, এই অনলাইন জগতের অনলাইনবিত্তিক সাইটগুলোতে থাকা ফেসবুক, ব্লগ কিম্বা নিউজ সাইটের নানাজনের লেখায় মন্তব্য করতে পারে ক’জন এবং কারা? মানে, আমার লেখায় কে এবং কারা মন্তব্য দিতে বা করতে পারবে? এই প্রশ্নটির সদুত্তর পেলেই, পরবর্তী মন্তব্য নিয়ে আসছি। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।

    • তৌহিদ

      আপনার পাঠক আপনাকেই ঠিক করতে হবে বা বেছে নিতে হবে। আপনি জানেন ফেসবুক, ট্যুইটার ইন্সটাগ্রামে সবাই মন্তব্য করতে পারে যদিনা আপনি কাউকে ব্লক না করেন। ব্লগের ক্ষেত্রে যদি ব্লগটি আপনার ব্যক্তিগত হয় তাহলে সব পাঠক মন্তব্য করতে পারবেন। উদাহরণ হচ্ছে- বিভিন্ন সংবাদ পোর্টাল বা ধরুন যে কোন বড় লেখককের ব্লগ।

      আবার আমাদের সোনেলার মতন ব্লগ সাইট হলে শুধুমাত্র যাদের ব্লগ আইডি আছে তারাই মন্তব্য করতে পারবেন ব্লগে। তবে মনে রাখবেন আমাদের লিংকগুলি কিন্তু ফেসবুকে শেয়ার করা হয় দাদা। সেখানে কিন্তু আবার সবাই মন্তব্য করছেন।

      হ্যা এটা ঠিক, সবার মন্তব্য আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। কারন মতের অমিল হবেই। তাই বলে লেখা ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই দাদা।

      আশাকরি উত্তর পেয়েছেন।

  • নিতাই বাবু

    আপনি জানেন ফেসবুক, ট্যুইটার ইন্সটাগ্রামে সবাই মন্তব্য করতে পারে যদিনা আপনি কাউকে ব্লক না করেন। ব্লগের ক্ষেত্রে যদি ব্লগটি আপনার ব্যক্তিগত হয় তাহলে সব পাঠক মন্তব্য করতে পারবেন। উদাহরণ হচ্ছে- বিভিন্ন সংবাদ পোর্টাল বা ধরুন যে কোন বড় লেখককের ব্লগ।

    ১। এখানে আমি বলবো আমার লেখায় বা আমার পোস্টে তাঁরাই মন্তব্য করতে পারবে, ব্লগে যাঁরা আমার সহ-লেখক।আর ফেসবুকে যাঁরা আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন, কেবল তাঁরই। এছাড়াও আমার লেখায় বা আমার পোস্টে অন্য কেউ মন্তব্য করতে পারবে না বলে আমি মনে করি, শ্রদ্ধেয় দাদা। এখানে আপনার ভিন্নমতও থাকতে পারে। আর থাকলে তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বা হচ্ছে না। কেননা, ব্লগে যাঁরা নিবন্ধিত নয়, এমন পাঠক ব্লগের কারোর লেখায় মন্তব্য করতে পারে না। তা ইচ্ছে থাকলেও করতে পারে না। যে-পর্যন্ত তিনি ব্লগে নিবন্ধিত না হচ্ছেন, সে-পর্যন্ত তিনি কারোর পোস্টে মন্তব্য করতে পারে না। ফেসবুকের বেলায়ও তা-ই। অন্যান্য নিউজ পোর্টালেও তা-ই। এখানে আপনার মতামত প্রার্থনা করছি।

    আবার আমাদের সোনেলার মতন ব্লগ সাইট হলে শুধুমাত্র যাদের ব্লগ আইডি আছে তারাই মন্তব্য করতে পারবেন ব্লগে। তবে মনে রাখবেন আমাদের লিংকগুলি কিন্তু ফেসবুকে শেয়ার করা হয় দাদা। সেখানে কিন্তু আবার সবাই মন্তব্য করছেন।

    ২। এখানেও কিন্তু আপনার ব্লগ পেইজে থাকা সদস্যবৃন্দ অথবা আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বন্ধুরাই মন্তব্য করতে পারবে। এছাড়া অন্য কেহ মন্তব্য করতে পারবে না বলে আমি মনে করি।

    হ্যা এটা ঠিক, সবার মন্তব্য আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। কারন মতের অমিল হবেই। তাই বলে লেখা ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই দাদা।

    ৩। আমার মতে আমার লেখায় কেউ গালাগালি করে মন্তব্য করলেও, আমার মনখারাপ হবে না। তার তাঁর গালাগালি ফালাফালি করা মন্তব্যের প্রত্যুত্তর অবশ্যই সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম। কিন্তু রাগ করবো না, দাদা। রাগ করা লেখকদের মানায় না।
    কারোর মন্তব্যে রাগ করে নিজের জীবনটা বিসর্জন দেবার পক্ষপাতী আমি নই, দাদা। মানে লেখালেখি হলো আমার জীবন। একজনের কথায় তা ছেড়ে দেওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না।

    পরিশেষে আমি বলতে চাই, লেখালেখির মাঝে বাকবিতন্ডা হয় এবং চলেও। তাই বলে কেউ যেন নেজের প্রতিভা বিসর্জন না দেয়। শত প্রতিকূলতা চ্যালেঞ্জ করে নিজের লেখালেখি চালিয়ে যাবার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। জয়তু সোনেলা। জয়তু লেখালেখি জগতের লেখক/লেখিকাবৃন্দ।

    • তৌহিদ

      আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তর হচ্ছে ব্লগে যদি পাঠক চান তাহলে মন্তব্য করতে পারবেন যারা নিবন্ধিত নন তারাও যদি এ অপশন চালু থাকে। এমন অনেক ব্লগ আছে দাদা। ফেসবুকেও তাই যদি আপনি অনুমতি দেন বন্ধু ছাড়াও অন্যরাও মন্তব্য করতে পারেন।

      আমার কথা সেটা নয়, কথা হচ্ছে মন্তব্য আসতেই পারে তবে আমি কিভাবে পজিটিভলি নিচ্ছি সেটাই বড় বিষয়।

      আপনার ২য় প্রশ্নের উত্তরও তাই।

      আপনার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আপনি খুবই পজিটিভ একজন ব্যক্তি দাদা, সহনশীল মানুষ। একজন লেখকের এটাই হওয়া উচিত। আপনার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।

      মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো দাদাভাই। শুভকামনা জানবেন।

      • নিতাই বাবু

        ব্লগে আমি যদি ভ্রমণকাহিনী নিয়ে একটা পোস্ট দেই। সেই লেখা পড়ে-না-পড়ে আমার সহ-লেখকবৃন্দদের মাঝে থেকে কেউ যদি দেশের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে বা লিখে, তাতেও আমার কোনও আপত্তি থাকবে না। তাঁর প্রতি আমার কোনও গোস্বা থাকবে না। আমি বরং সুন্দরভাবে মন্তব্যকারীর মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিয়ে যাবো। এটাই আমি করি এবং শিখেছিও।
        আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    লেখা-লেখি যাদের পছন্দ বা ব্লগিং এ যাদের আগ্রহ তাদের জন্য এই পোস্ট যথার্থ। নিজেকে ব্লগার হিসেবে গঠন করতে চাইলে এই পোস্ট উপকারে আসবে।
    আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর গঠনমূলক পোস্টটি লেখার জন্যে।
    শুভ কামনা তৌহিদ ভাই 🌹🌹

  • ইঞ্জা

    সময় উপযোগী পোস্ট, আমি আশা করবো আমার ব্লগার ভাই ও বোনেরা এই লেখাটি পড়ে এর গুরুত্ব অনুধাবন করেন, লেখক ও তার লেখাকে সম্মানের চোখে দেখেন, তাহলে তারাও অনুরূপ সম্মান পাবেন।
    ধন্যবাদ ভাই, চমৎকার পোস্টটির জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।

  • চাটিগাঁ থেকে বাহার

    সুন্দর ও সময়োপযুগি লেখা।
    আপনার লেখার সাথে একমত। ব্লগারদের অনেক সহনশীল, ধৈর্যশীল এবং পরোপকারি মনোভাবের হওয়া উচিত মনে করি। ব্লগ হচ্ছে শিখার পাঠশালা, এখানে চর্চার মাধ্যমে শিখতে হয়ে। মনোযোগিতা পাঠক না হলে কোনকিছু শেখা সম্ভব নেয়। অকপটে সত্য কথা বলে প্রাণ খুলে সমালোচনা করলে শিখার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়ে।
    আপনাকে ধন্যবাদ।

  • ছাইরাছ হেলাল

    সত্যি সত্যি মনের আনন্দে কিছু লিখতে চাইলে আগে পড়তে হবে,
    এটি কতটুকু মানব বা মোটেই মানব না তা আমাকেই ঠিক করতে হবে।
    আহারে এত এত কষ্ট কে কার জন্য করে!
    তবুও আমরা লিখি, লিখে যাই, মনের আনন্দে।

  • শাহরিন

    ভাইয়া লেখাটি মনমত হয়েছে। আসলেই কিছু একটা দুকলম লিখে দিলেই পাঠকের দ্বায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। মূলভাবটা বোঝা উচিৎ। বা বোঝার চেষ্টা করা উচিৎ। অন্তত এখানে যারা লেখে তারা সবাই বোঝে যে কোনটা দ্বায় সারা মন্তব্য।
    শুধু লেখা নয় পাঠেও সবার মনোযোগ দেয়া দরকার। অনেক লেখকেই চিনি বা জানি সবাইকে ব্যাক্তিগত ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে খুব কাছের একজন লেখক বলেছেন লেখক নয় লেখাকে বোঝ তাহলে বেশি ভালো হবে। তাই সেপথে এগুচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ। আপনি এগুলো নিয়ে ভাবেন জেনে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন।

    • তৌহিদ

      সুন্দর বললেন আপুমনি। লেখা বুঝেই মন্তব্য করা উচিত। না বুঝলে লেখককে জিজ্ঞেস করতে করতে পারি আমরা। তবু নেতিবাচক মন্তব্য করে লেখকের মন ভেঙে দেয়া উচিত নয়। এতে লেখক হতাশাগ্রস্থ হতে পারে।

      আপনাকে যিনি বলেছেন তিনি ঠিকই বলেছেন। আমিও মনে রাখবো এই কথাটি। বলে উপকৃত করলেন।

      ভালো থাকবেন আপু।

  • সঞ্জয় মালাকার

    দাদা পুরো লেখাটি পড়লাম।লেখাটি আমার জন্য খুবই উপকারী ছিলো। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা, তবে দাদা মন্তব্য করার মতো তেমন মেধা আমার নাই , তবুও মাঝেমধ্যে মন্তব্য লেখি শিখার জন্য বুঝার জন্য দুই একটা,। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকুন সব সময়।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ