বর্তমান সময়ে সারাবিশ্ব কাঁপাচ্ছে প্রাণঘাতী নতুন  করোনাভাইরাস। সংক্ষেপে যার নাম, Covid-19। এই রোগের সাথে যোগ হয়েছে, আরও দুটি রোগ। যথাক্রমে–ভয় ও দুঃশ্চিন্তা! এই রোগ বর্তমানে পৃথিবীর দুইশো দেশেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে বিশ্বের কয়েকটি উন্নত দেশেরও লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলাশহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বর্তমানে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজারেরও উপরে।। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অন্তত দেড়শো জনেরও বেশি। সরকার এই রোগ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্নরকম কঠিন পদক্ষেপ হাতে নেওয়ার পরও কিছুতেই দমাতে পারছে না, এই ঘতক রোগটাকে। কমাতে পারছে না, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই নতুন করে এই প্রাণঘাতী রোগে কমবেশি কিছু-না-কিছু আক্রান্ত হচ্ছেই। মৃত্যুর মিছিলেও নতুন করে যোগ হচ্ছে সমানতালে।

এই রোগ দেখা দেওয়ার পর থেকেই প্রাণঘাতী রোগ প্রতিহত করতে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দিচ্ছে নানারকম দিকনির্দেশনা-সহ নানাবিধ পরামর্শ। এর পাশা-পাশি বর্তমান সরকার প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে এবং মানুষকে বাঁচাতে বিভিন্নরকম পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

সরকার নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন জেলাশহরের বিভিন্ন এলাকা লকডাউনের করার ঘোষণা দিয়েছে। লকডাউনের ফলে দেশের প্রায় জেলাশহর-সহ ৬৮হাজার গ্রামের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ লকডাউনে পড়ে ঘরবন্দী জীবনযাপন করছে। তাঁদের মধ্যে আমিও একজন ঘরবন্দী। আমার অবস্থান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। এরপর গত ২৬ মার্চ থেকে করোনা ঝুঁকি আছে এমন কয়েকটি স্থানে লকডাউন করার ঘোষণা দেয় সরকার। এর পরবর্তীতে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণ যতই বাড়তে থাকে, সরকার লকডাউনের আওতায় আরও নতুন নতুন স্থানের নাম ঘোষণা করতে থাকে। তারমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলাও লকডাউনের আওতায় পড়ে। যদিও প্রথম প্রথম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে একসাথে লকডাউন করা হয়েছিল না।

নারায়ণগঞ্জে লকডাউনের ঘোষণা আসে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার ফলে। বর্তমানে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউনের আওতায় আছে। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি গ্রাম ও শহরের মানুষগুলো সবাই এখন ঘরবন্দী জীবনযাপন করছে। শুধু প্রতিদিন সকালবেলা মানুষের সুবিধার্থে এলাকায় থাকা বাজার দুপুর পর্যন্ত খোলা থাকে।

রাজধানী ঢাকার সাথে তাল মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় চালু হওয়া লকডাউন এক মাসেরও বেশি সময় হলো। নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের মানুষের মতো আমিও বর্তমানে বাধ্য হয়ে ঘরবন্দী জীবনযাপন করছি। এই ঘরবন্দী জীবনযাপন করতে গিয়ে শুধু বর্তমান সময়ের করোনাভাইরাস নয়, এর সাথে নানারকম দুঃশ্চিন্তায় ভুগছি এবং আক্রান্তও হচ্ছি।

যেমন: আমার সহধর্মিণী আজ থেকে অনেক দিন আগে থেকেই কোমড়ের ব্যথা, পেট জ্বলা, মাঝেমাঝে হালকা জ্বর সর্দি, মেরুদণ্ডের ব্যথা-সহ নানান রোগে আক্রান্ত। গেলো ফেব্রুয়ারি মাসের যখন গণচীনে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছিল, ঠিক তখনই আমার সহধর্মিণী জ্বর ও শরীর ব্যথায় হয়ে পড়লেন শয্যাশায়ী। কিন্তু তখনো এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আমাদের বাংলাদেশে আবির্ভাব হয়েছিল না। তবুও আমি আমার সহধর্মিণীকে নিয়ে পড়ে গেলাম ভীষণ দুঃশ্চিন্তায়। দুঃশ্চিতার কারণ শুধু একটাই, তা হলো গণচীন থেকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এই নভেল করোনাভাইরাসের চিন্তায়।

যখন বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো, তখনই পড়ে গেলাম দুঃশ্চিন্তা! এর মাঝেই আবার সহধর্মিণী ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো। তখন আমি শুধু-শুধুই ভাবতে থাকি, হয়তো আমার জীবনসঙ্গিনীকে ওই ভিনদেশী করোনাভাইরাসেই আক্রমণ করেছে।

এই ভেবে নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে দুইএক দিন প্রাথমিক ঔষধাদি সেবন করাতে থাকি। কিন্তু তেমন কোনও ভালো ফল পেলাম না। নিয়ে গেলাম নারায়ণগঞ্জ সহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় অবস্থিত মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সহধর্মিণীকে সেখানে নিয়ে ডাক্তার এমএ মান্নান সাহেবকে দেখালাম। তিনি রোগী দেখে পেসক্রিপশন লিখে দিলেন। পাঁচভাগে রক্ত পরীক্ষার জন্য ডেসক্রিপশনে লিখে দিলেন। রক্ত পরীক্ষা করালাম। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বিজ্ঞ ডাক্তার ঔষধ লিখে দিলেন। সেই ঔষধ সেবন করে আমার সহধর্মিণী আজ পর্যন্ত সুস্থ আছে। কিন্তু ভয় থেকে যাচ্ছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে।

বর্তমানে সারাবিশ্বের মতন আমাদের দেশেও করোনাভাইরাসের ছড়াছড়ি। আক্রান্ত আর মৃত্যুও হচ্ছে সমানতালে। এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে সারাদেশ লকডাউনে। আমরা এখন লকডাউনের মধ্যে ঘরবন্দী অবস্থায় আছি। সারাদিনের বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকছি। সারাদিন যেমন-তেমন, রাতের ঘুম পুরোটাই হারাম! করোনাভাইরাসের ভয়ের সাথে নানারকম দুঃশ্চিন্তা যোগ হয়ে রাতের ঘুম নেই বললেই চলে।

রাতদুপুরে আমার সহধর্মিণী যদি বলে, "আমার যেন কেমন কেমন লাগছে!" তখনই আমার মনের ভেতর করুণ আর্তনাদ, আর ভীতির শঙ্কা বেড়ে যায়। সাথে হয়ে পড়ি আতঙ্কগ্রস্ত ও দুঃশ্চিন্তায়। কেননা, বর্তমান এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস(covid-19) রুগীর ভাব-ভঙ্গিমা দেখে কিছুই বোঝা যায় না, তাই যতো ভয়!

সহধর্মিণীর কথা শুনে মনে ভয়ে রেখেও তাঁর শরীরে হাত দিয়ে দেখি সহধর্মিণীর শরীর গরম কিনা! জিজ্ঞেস করি, 'কেমন লাগচ্ছে?' সে যদিও বলে, "তুমি এতো চিন্তা করবে না, যা হবার হবেই!" তবু্ও আমার কিছুই ভালো লাগে না। মনের ভেতরে শুধু করোনা'র করুণ সুর বাজতে থাকে। সাথে দুঃশ্চিন্তাও বাড়তে থাকে।

আসলে কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তাঁর ওইসব কিছুই হয়নি। যা হবার হচ্ছে তাঁর শরীরে থাকা আগের পুরানো কিছু রোগের আংশিক যন্ত্রণা। তারপরও কিন্তু নিজেকে নিয়ে এবং আমার সহধর্মিণী চিন্তায় মরি, বর্তমান সময়ের প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে। যাক, বর্তমান সময়ের করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ঘরবন্দী দশা নিয়ে নাহয় পরে বলছি! আগে সবার মাঝে আমি দু'একটা প্রশ্ন রাখি!

প্রশ্ন হলো, এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের আগে কি আমাদের দেশে সাধারণ সর্দি-জ্বর বা সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা-সহ শরীরব্যথা কারোর হয়নি? এদেশে আগের মতো মানুষ কি কখনো মৃতু্যবরণ করেনি? মানুষ কি মানুষের মরদেহ সৎকার করেনি? মানুষ কি মৃত মানুষের লাশ সামনে রেখে নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেনি?

হয়তো আমার প্রশ্নের উত্তর আসবে, হ্যা!

যদি তা হয়েই থাকে, তাহলে এখন এই করোনা কালে সাধারণ সর্দি-জ্বর বা সর্দি-কাশি হতে পারবে না কেন? মানষের আগের মতো মৃত্যু হবে না কেন? মানুষ  মানুষের মরদেহ সৎকার করতে যায় না কেন? মানুষ মানুষের লাশ সামনে রেখে নামাজে জানাজা পড়তে এবং কবর দিতে যাচ্ছে না কেন?

এইসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর উত্তরগুলো আসবে না বলেও জানি!

কারণ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে এই বিশ্ব থেকে আগের সবধরনের রোগব্যাধি ফেলে, নিজেই সারাবিশ্ব দখল করে ফেলেছে। আবার শুনছি, করোনাভাইরাস দিনেদিনে অনেক রূপে রূপান্তরিত হচ্ছে। রূপ পালটাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে নতুন করোনাভাইরাস (covid-19) এখন বহুরূপী রোগ। যা বিজ্ঞ চিকিৎসকগণও এই রোগ নির্ণয় করতে হিমশিম খাচ্ছে।

এইজন্যই বর্তমানে কারোর সাধারণ সর্দি-জ্বর বা সর্দিকাশি, শরীরব্যথা, মাথাব্যথা দেখা দিলে অনেকেই ধরে নেয় লোকটিকে করোনাভাইরাসে আক্রমণ করেছে। এ অবস্থা বর্তমানে শুধু আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলায়ই নয়, সারা দুনিয়াব্যাপী সর্বসাধারণের জন্যই হচ্ছে। বর্তমানে কারোর সাধারণ আগের মতন সর্দি-জ্বর-কাশি হলেও ডাক্তার-সহ আশে-পাশে থাকা পাড়া-পড়শি, আত্মীয়স্বজন সকলেই মনে মনে বলে, সর্দি-জ্বর-কাশি হওয়া মানুষটাকে হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রমণ করেছে বা লোকটি আক্রান্ত হয়েছে। এরকম ভাবনা শুধু সাধারণ মানুষই ভাবে না, ভাবে চিকিৎসকরাও।

এই ভেবে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা ছোট-বড় বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ রুগীকে আগেই জিজ্ঞেস করে, "আপনার কি করোনা'র ভাব আছে?" (আর আগে বিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে জিজ্ঞেস করা হতো, "আপনার ডায়বেটিস আছে কিনা?" আর এখন জিজ্ঞেস করে করোনা উপসর্গের কথা।)  রুগী যদি বলে, "তাতো আমি বলতে পারবো না স্যার!" বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ তখন তাকে প্রথমেই করোন উপসর্গ আছে কিনা, তা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার জন্য উপদেশ দিয়ে বিদায় করে দেয়।

আবার অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বর-কাশি নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে, ডাক্তারা ওই রুগীকে ছুঁয়েও দেখে না। এ অবস্থায় অনেক রুগী বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে চলন্ত রাস্তায়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যা দেখা যায় দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায়। তাই বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনা কালে নিজেকে নিয়ে এবং নিজের সহধর্মিণীকে নিয়েই আমার যতো ভয়! যতো দুঃশ্চিন্তা।"

এবার ফিরে আসি এই করোনা কালে লকডাউনের আওতায় ঘরবন্দী জীবন নিয়ে নিজের দুঃশ্চিতার কথায়।

ধরে নেই, বর্তমানে আমার বা আমার সহধর্মিণীর সামান্য জ্বর হয়েছে। তা দু'একটা নাপা এক্সট্রা দু'এক দিন সেবন করলেই সেরে যাবে, তা নিশ্চিত। কিন্তু এই সামান্য জ্বর হওয়াতে পার্শ্ববর্তী বাসার কেউ যদি জানতে পারে যে, এই বাসার মহিলা বা পুরুষটির জ্বর-সর্দি-কাঁশি হয়েছে, তাহলে আরেক বিপদ! তা হলো, একজন থেকে আরেকজন, এভাবে ধীরে ধীরে পুরো মহল্লায় এই খবর ছড়িয়ে পড়বে। তখন হয়তো এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করোনাভাইরাস প্রতিহত করার সরকারি হটলাইনে ফোন করবে। গেলে যাবে পারা-পারি, দৌড়া-দৌড়ি।

ফোন করার সাথে সাথে তাকে নিয়ে যাবে নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। যদি মহান সৃষ্টিকর্তার দয়ায় নেগেটিভ আসে তো রক্ষা! আর যদি প্রজেটিভ আসে, তাহলে এই দেখাই হবে শেষ দেখা। আমি আর আমার সহধর্মিণীকে আমার দুই নয়নে দেখতে পারবো না। সেও আর আমাকে দেখতে পারবে না। এমনকি মৃত্যুকালে মানুষের কিছু শেষ কথা থাকে। তাও কেউ কারোর কাছে বলেকয়ে যেতে পারবো না। এমনকি এই রোগে কারোর মৃত্যু হলে আপনজন, প্রিয়জন, আত্মীয়স্বজন কেউ মৃতব্যক্তির মুখখানাও দেখে না বা দেখতে পারে না।

এমনকি মহান সৃষ্টিকর্তা না করুক, যদি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে আমার সহধর্মিণীর মৃত্যু হয়, তাহলে আমি আমার সহধর্মিণীর মরদেহটিও ছুঁয়ে দেখতে পারবো না। কেউ আমাকে তাঁর মরদেহ সৎকার করার সময় শ্মশানেও যেতে দিবে না। আমিও তাঁর মৃত্যুতে হয়ে যাবো এক মৃত মানুষ। দেশের স্থানীয় প্রশাসন-সহ এলাকার নির্বাচিত অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাকে দীর্ঘদিনের জন্য রেখে দিবে ঘরবন্দী কারাগারে। এসব নিয়ে দিনরাত ভাবতে থাকি। মোটকথা দুঃশ্চিন্তায় থাকি।

বর্তমান লকডাউনে ঘরবন্দী অবস্থায় এমন আরও অনেক দুঃশ্চিন্তা মনের ভেতরে বাসা বেঁধেছে। আমার একটিমাত্র মেয়ে। বিয়ে দিয়েছি গোপালগঞ্জ জেলাসদরের এক গ্রামে। মেয়ে বর্তমানে তিন সন্তানে জননী। মেয়ে-সহ মেয়ের স্বামী এবং মেয়ের তিনটি সন্তান নিয়েও চিন্তার শেষ নেই। ঘরবন্দী অবস্থায় বেশিরভাগ সময় কাটে টিভির পর্দায় খবর শুনে এবং অনলাইনে থাকা বিভিন্ন অনলাইন খবর পড়ে। যখন দেখে বা শুনি, গোপালগঞ্জে কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে! তখনই ফোন করি মেয়ের কাছে। জিজ্ঞেস করি, "কেমন আছিস?" যদি বলে, আমরা সবাই ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।" তখন একটু চিন্তামুক্ত হই। এছাড়াও সারা দিনে অন্তত কয়েকবার ফোন করে ওঁদের খবরাখবর নিয়ে থাকি। কেমন আছে, আর কীভাবে আছে। এভাবেই বর্তমান লকডাউনে ঘরবন্দী অবস্থায় থেকে করোনাভাইরাসে ভয় মনে রেখে, নানারকম দুঃশ্চিন্তায় ভুগে দিনেদিনে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছি।

পুনশ্চঃ মহান সৃষ্টিকর্তা না করুক, যদি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আমাদের অকাল মৃত্যু ঘটে, তাহলে আমার এই লেখায় আমাদের স্মরণে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দিবেন। কারণ এই প্রাণঘাতী বহুরূপী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার আগে থেকেই সকলের সাথে এমনিতেই আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। বলা তো যায় না, কখন কোন সময় এই প্রাণঘাতী বহুরূপী নভেল করোনাভাইরাসে কাকে আক্রমণ করে ফেলে। আর যদি আক্রান্ত হই, তাহলে এদেশে আমার মতো গরিব মানুষের এই কঠিন রোগের সুচিকিৎসা হবে না, মৃত্যুই নিশ্চিত!

তাই আগে থেকেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। চলার পথে যদি কারোর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে মনে কষ্ট না রেখে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

  • সঞ্জয় মালাকার

    একদম সত্যিবলেছেন দাদা, আর যদি আক্রান্ত হই, তাহলে এদেশে আমার মতো গরিব মানুষের এই কঠিন রোগের সুচিকিৎসা হবে না, মৃত্যুই নিশ্চিত!

    ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক,
    আপনাকে যেনো এই প্রাণঘাতী করোনা ছুঁতেও না পারে।
    আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

  • সুরাইয়া পারভীন

    আমাদের মতো গরীবদের জন্য সৃষ্টিকর্তা আছেন তো দাদা। একমাত্র তিনিই ভরসা। আমরা কেবল উনার নিকটে করজোড়ে প্রার্থণা করতে পারি।

    আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা। রাতের ঘুম হারাম করেছে করোনা সাথে মানসিক রোগীতে পরিণত করেছে। জানি না এর থেকে মুক্তি কবে মিলবে?

    সহধর্মিণীর জন্য প্রেম, সন্তানের জন্য স্নেহ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়।

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দিদি, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দাদা, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    দাদা আপনার ও বৌদির জন্য শুভ কামনা রইলো। ঈশ্বর যেন এমন অসুখ থেকে দূরে রাখে সবাইকে। সাবধানে থাকবেন, দুশ্চিন্তা করবেন না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো। শুভ সকাল

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দিদি, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

  • কামাল উদ্দিন

    করোনা ভাইরাস এখন গরীব ধনী সবার জন্যই সমান। আমরা তো জানিই না এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল নাকি সুলভ হবে। এখন তো একমাত্র চিকিৎসা কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন। আশা করছি আমরা সবাই নিরাপদে এবং ভালো অবস্থায় থাকতেই এর প্রতিশেধক আবিস্কার হয়ে যাবে।

    • নিতাই বাবু

      এই প্রাণঘাতী রোগের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হতে হতে আমরা প্রায় শেষ হয়ে যাবো, দাদা।
      যাক সে কথা!
      নিজের কথায় আসি! শ্রদ্ধেয় দাদা, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    করোনার প্রকোপের কারণে এখন অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে চিকিৎসা বিভাগে। আগে যেখানে ঘর থেকে বের হলেই ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যেত এখন আর তেমনটা হচ্ছে না। এতে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বয়স্ক মানুষ,নারী এবং শিশুরা। সাধারণ অসুখ সহ অন্যান্য অসুস্থতায় এখন কেউই ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
    করোনার চাইতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় মানুষের মাঝে অধিক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ স্বাস্থ্যবিভাগ, ডাক্তার, সমাজ কর্মীরা বারবার বলে মানুষকে আশ্বস্ত করছেন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার জন্যে। মনে রাখতে হবে যেকোনো রোগেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মৃত্যু হয় আয়ু ফুরিয়ে গেলেও। শুধু রোগ কেন? কিছুদিন আগেও এর চাইতে বেশি মানুষ মারা যেতো সড়ক দুর্ঘটনায়। আমরা মানুষ এবং মরণশীল। একদিন মরতে হবে সবাইকেই। তাই বলবো আতঙ্কিত না হয়ে মনে সাহস রাখুন, ধৈর্য ধরুন। বর্তমান পরিস্থিতি এক সময় অনুকূলে আসবে।

    আর এটা আপনার শেষ পোস্ট কেন হবে? আপনি অবশ্যই আরও লিখবেন। বিপদাপদ, রোগ-সংকট, হায়াত-রিজিক সবই সৃষ্টিকর্তার অধীনে। তার উপর ভরসা রাখুন। ইনশাআল্লাহ তিনিই সব ঠিক করে দিবেন। ভালো থাকুন দাদা।

    শুভ কামনা 🌹🌹

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দিদি, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দিদি, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

  • সুরাইয়া নার্গিস

    আপনাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা রইল দাদা।
    আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সুস্থ থাকুন, নিরাপদে রাখুন।
    মহামারি করোনা থেকে সবাইকে রক্ষা করুন, আল্লাহ্ হেফাযত কারী।

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দিদি এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দিদি, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

      • সুরাইয়া নার্গিস

        দাদা করোনা নিয়ে আমিও অনেকটা চিন্তিত প্রিয় মানুষদের কখনো হারাতে চাই না।
        সব সময় দোয়া করি পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুন।
        ইনশাল্লাহ্ খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হবে সারা বিশ্ব, পৃথিবী দেখবে করোনা মুক্ত নতুন সকাল।

        ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন দাদা।
        শুভ কামনা রইল আপনার পরিবারের জন্য।

      • নিতাই বাবু

        আমার বড় বোন নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দিপাড়া থাকে। সে আজ তাঁর পুরনো রোগ নিয়ে অসুস্থ! খবর পেয়েছি, কিন্তু এই সময়ে আমি শত চেষ্টা করেও লোকের তাড়ানির ভয়ে যেতে পারছি না। কী অবস্থা এখন, ভাবতেও অবাক লাগে!

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দাদা, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় দাদা, এই সময়ে সবচেয়ে কাছের মানুষ হলো ফেসবুক ও অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ সাইটগুলোর প্রিয়জনরা। তারমধ্যে সোনেলা ব্লগের সবাই আমার খুবই কাছের এবং শুভাকাঙ্ক্ষীও। তাই এই আতঙ্কের দিনে নিজের মনোভাব লিখে প্রথম সোনেলা ব্লগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। বলা তো যায় না দাদা, এই ভালো আছি; কিছুক্ষণ পর হয়তো করোনা শয়ান নিজ পরিবারে শোয়ার হয়ে কাঁধে চাপতে পারে। তাই আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী ও সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
      আপনার জন্যও শুভকামনা থাকলো। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে এই প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখে।

  • জিসান শা ইকরাম

    করোনা আমাদের মন মানসিকতাকে পাল্টে দিয়েছে।
    স্বাভাবিকতাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
    করোনায় আক্রান্ত হলে শুধু আপনি কেন, কারোরই চিকিৎসা হবে না। কারন এই ভাইরাসের কোনো ঔষধ নেই। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, তিনি এমনিতেই ভালো হয়ে উঠবেন।
    হাসপাতালে ভর্তি করে রোগিকে আইসোলেশনে রাখা হয়, যাতে তার মাধ্যমে নতুন কারো দেহে সংক্রামন না হয়।
    সিরিয়াস রোগিদের ভেন্টিলেশন দিয়ে কিছুদিনের জন্য বাচিয়ে রাখা হয়। এই হচ্ছে চিকিৎসা।

    মনে জোর রাখুন। বাইরে গেলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন।
    সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন আপনি সহ পরিবারের সবাই।
    শুভ কামনা।

    • নিতাই বাবু

      শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদা, নিজের মনের জোরে আমি এখনো ঠিক আছি! মনটা ভেঙে যায় তখন, যখন দেখি নিজের সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি, তখন আমি চাই না যে, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটময় সময়ে আমার সহধর্মিণীর কিছু একটা এদিক সেদিক হোক! এখন সাধারণ কিছু হলেও, লোকে বলবে, “ঘাতক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। লোকের এমন কথায় তাঁর সাথে আমাকেও ভুগে মরতে হবে, তা একশো-তে-একশো নিশ্চিত! আশীর্বাদ করবেন, তা যে না হয়! আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এমনই প্রার্থনা করি।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ