রোদ্দুর মাখা নদীর গল্প

রেহানা বীথি ২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ১০:২২:১৮পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৩ মন্তব্য

কোনও একদিন.... অকাতরে নিজেকে বিলিয়ে ধরে নেবে অচিন পথ, ঠিক যেন রোদ্দুর মাখা নদী সে। কলকল ছুটে চলা, খলখল হাসি, পথেই বাস, পথেই ক্ষুধার নিবৃত্তি।

কপালে চন্দনের তিলক আঁকা বৈষ্টম-বৈষ্টমী দেখেছে সে বাল্যকালে। ওরা একতারা আর খঞ্জনী বাজিয়ে পথে পথে হাঁটে, বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে মাগে। ওরা যেন সর্বদাই সুখী। সর্বদাই সপ্নালু ওদের চোখ, প্রশান্ত। যে যা দেয় হাসিমুখে তা-ই গ্রহন করে। একবার পিছু নিয়ে জানতে চেয়েছিল কোথায় থাকে ওরা, কোন স্বপ্নের দেশে? এমন সুখই বা ওরা পায় কোথা থেকে? হদিস পায়নি। মনে মনে হাহাকার, "কেন আমি বৈষ্টমী হলাম না!"

ছন্দে ছন্দে মনোহর শব্দ তুলে ঝালমুড়ি বানিয়ে যখন হাতে তুলে দেয় ঝালমুড়িওয়ালা, মনে হয়, লোকটা কি স্বর্গের কেউ? ছন্দে ছন্দে এমন মনোহর শব্দ তুলতে তাকে কে শেখালো? কৌটো জোগাড় করে অমন শব্দ সে-ও তুলতে চেয়েছে কয়েকবার, শব্দই হয়েছে শুধু, ছন্দ আসেনি কোনও।

ওর মাথার ওপর একখণ্ড মেঘ, মিটিমিটি হাসে। রোদের ঝিলিক-চাপা হাসি। যেন ভাঙ্গা কাচে ভরা ডালি উপুড় করে ধীরে ধীরে ঢেলে দিচ্ছে কেউ। অবাক মেঘখণ্ড, এমন ঝিলিমিলি হাসি সে পেল কোথায়?

নাহ্, একদিন রোদ্দুর মাখা নদীটি হয়ে এসব জেনে নিতে হবে! নদীর কাছে অবারিত সব, নদীও সবার কাছে। জেনে নিতে থাকবে না কোনও বাধা। এ মানুষজন্ম পারে না আত্মভোলা হতে, বড় পিছু টানে সবকিছু। বড় বেশি বেঁধে ফেলতে চায়। নদী হবো.... নদী!

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ