সাধ্যের অতীত সুখ, সাধ্যের অতীত শ্বাস
চাই না, নিজের বাঁচা বাঁচতে চাই।
শেষ বিকালের রূপ দেখে বেঁচে থাকতে চাই
সাদাসিধে সুখে,
সাঁঝের রাক্ষস আর নিখাদ নিটোল রোদ্দুর এড়িয়ে।
ফাঁকিবাজ কুঁড়ে হতচ্ছাড়া?
তো সমস্যা কী, এমন হলে?
হঠাৎ উষ্ণ প্রস্ফুটিত নিশপিশ রূপশালী ফোঁসা হিংসে জানান দেয়
কিংশুক রাজ্যকথায়, এই কোজাগরী পূর্ণিমায়।
মেঘমল্লারের হৃদ্য হৃষ্ট হিরণ্ময় শুভ্র স্বপ্ননদ
হো হো করে হাসে উজান বেয়ে,
মিহি শরীরের সলজ্জ সূর্যোদয়ের হরিৎ নিভৃতে আছে কেবল
হ্লদি এক মুঠো অনাবাদী রূপকথার হরীতকী,
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
অনাবাদী রূপকথার হরীতকী, বাহ, বেশ লাগলো। রূপকথার হাতছানি থাকেই আমাদের সাদাসিধে সুখে। একে বেঁচে থাকার ফাঁদ বলা যায়, কখনো মৃত্যুর।
রূপকথা…… ১ এ আমাদের অনুপ্রবেশ হলো। রাজ্যের দরজায় প্রহরীরা এতো জটিল, কঠিন কেন?
ছাইরাছ হেলাল
বেশ তো লাগার ই কথা, এ যে রূপকথা, সাদাসিধেদের এটুকুই সুখ ‘রূপকথা’।
ফাঁদ হলেই বা সমস্যা কী!! জীবন ও মৃত্যু তো হরিহর।
হ্যাঁ, কিছু রূপ কথা জমা হচ্ছে, আপনাদের সহজে ছেড়ে দেব না পড়িয়ে এমন ভাব্বেন না যেন!!
কঠিনেরেই ভালোবাসিলাম অবশেষে।
শুন্য শুন্যালয়
সাঁজের রাক্ষস আর নিখাদ রোদ্দুর এড়িয়ে গেলে রূপকথা দেখা হবেনা। রূপকথায় রাজকন্যা, হাতীশালে হাতী আর ঘোড়াশালে ঘোড়া ছাড়াও, দৈত্যদানব, রাক্ষস, খোক্কস আছে। নতুন সিকুয়ালে স্বাগতম ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও রূপকথার চাষী হচ্ছেন যেনে ভালই লাগল।
আপনিও স্বাগত ভাই।
শুরু করুণ, আমরা কিন্তু আমরাই।
নীতেশ বড়ুয়া
আহ্ হরিতকী, বাহ্ হরিতকী ;?
ছাইরাছ হেলাল
এত্তোদিন পর আহ্ বাহ্ করলে হবে না।
নীতেশ বড়ুয়া
আচ্ছা ঠিকাছে তবে, হরিতকী চিবিয়ে খ্যে নিচ্ছি 🙁
অরুনি মায়া
সাধ্যের অতীত কিছু না চেয়েও সাধ্যের ভিতরের অনেক কিছুই না পাওয়ার খাতায় জমা হয়ে যায়। কি এমন বেশি চাওয়া তবুও কেন হয়না পাওয়া, ,,,,,,,,,
ঈদের সকালেই এমন কঠিন লেখার পাল্লায় পড়লাম। যা আমার সাধ্যের বাইরে। কেন কেন কেন সাধ্যের ভিতরে লিখে দিলে কি এমন ক্ষতি হত,,,,,,,, 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এখানেই বিড়ম্বনা অশেষ, সাধের সাধ্য? তাও ধরা দেয় না সময় করে।
সময়ে সব কিছুই আপনার ও সাধ্যের মধ্যেই চলে আসবে, অপেক্ষা মাত্র।
সাধ্যের মধ্যেই থাকবে।
অরুনি মায়া
তাহলে অপেক্ষায় রইলাম দেখি কবে আপনার লেখা গুলো আমার বোঝার সহজ সাধ্যের মধ্যে পৌঁছায়। না মানে আগা গোড়ার কথা বলছি আর কি,,,,
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন তাও জানি।
জিসান শা ইকরাম
আপনার এক একটি শব্দই এক একটি পোষ্ট হতে পারে।
যেমন কোজাগরী–
কোজাগরী মানে কি?
কোজাগরী ,শরৎকালের পূর্ণিমার রাত্রি বৎসরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত্রি। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই রাতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক হতে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে “কে জেগে আছ?” এই প্রশ্ন করেন (নিশীথে বরদা লক্ষ্মী কোজাগর্তিভাষিণী- অর্থ নিশীথে বরদাত্রী লক্ষ্মীদেবী কে জেগে আছ বলে সম্ভাষণ করেন)। যে সেই রাতে লক্ষ্মীব্রত করে জেগে থাকে দেবী তার কাছ থেকে সাড়া পান এবং তার গৃহে প্রবেশ করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করেন। কোজাগর বা কোজাগরী শব্দের আক্ষরিক অর্থ “কে জেগে আছ?” তবে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি এবং ঐ তিথিতে অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপূজাকে যথাক্রমে কোজাগরী পূর্ণিমা এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বলে অভিহিত করা হয়।
লক্ষ্মী দেবী ধরায় এলেন, প্যাঁচা আনন্দিত মনে সারারাত কোলাহল করে বেড়ালো দেবীর সাথে সাথে। ভোরের আলো দেখে গাছের কোটরে প্যাচা ইন আর কাঠঠোকরা আউট। দেবী ভাবলেন ইনিই তিনি। খুশি মনে মুকুট দিলেন কাঠঠোকরার মাথায়। জন্ম হলো চাকমা প্রবাদের- “প্যাঁচায় কুড়কুড়ায়,খোড়ইল্যা সোনার তুক পায়।”
হিংসা করা ভালো না
অহিংস পরম ধর্ম
সুখে থাকলে ভুতে কিলায় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, অনেক জানা হলো, এতোটা জানা ছিল না।
দেবীরাও দেখছি কাজ কর্মে কেমন জানি!!
সুখের ভূত কিন্তু মন্দ না, কিল টি খেতেও বেশ লাগে।
শুধু ‘জায়গা মত’ কিল-কুল না বসালেই হয়।
জিসান শা ইকরাম
দেবীরা কাজকর্মে তো পুরাই কেমন কেমন, দেবী বলে কথা।
শুধু ‘জায়গা মত’ কিল-কুল না বসালেই হয় :D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
ইট্টু যা ভয় ঐ একটি জায়গা নিয়া ই।
দেবীরাও ডিজিটাল ওই গেছে।
লীলাবতী
কবির অবস্থা তো ভালো মনে হচ্ছে না।সব ঠিক ঠাক আছে তো? উজান বেয়ে হাসা কিন্তু ভালু না :p
ছাইরাছ হেলাল
সবই ঠিক, তয় আড়ালেও ভালুবাসা দিতে চায় না।
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ দাদা। দেবী ভুল করে তো আমার ভুল করলে সমস্যা কোথায়?? :D) :p
ছাইরাছ হেলাল
আমিও সেটাই ভাবি, আমরা কিছু করিলেই ভাবিলেই নন্দদোষ হয়।
ঠিক্কনা কিন্তু।
মেহেরী তাজ
সেটাই। একদম ঠিক না……
ছাইরাছ হেলাল
সব সুবিধা ওনাদের!!।
নীলাঞ্জনা নীলা
“মেঘমল্লারের হৃদ্য হৃষ্ট হিরন্ময় শুভ্র স্বপ্ননদ” চোখে ভাসছে ঝরছে আকাশ থেকে অঝোরে, ভিঁজে যাচ্ছে মাটি।
“মেঘমল্লারে সারা দিনমান বাজে ঝরণার গান।”
আবার বুঝি চলে এলেন কঠিনে? বুঝতে হলে সময় লাগবে। যেটুকু বুঝেছি সে নিয়েই বলছি, রূপকথা বেশ রূপ ছড়িয়েছে। যাক অন্যরকম ভাবে ফিরেছেন। আপনার লেখাকে কি আর বলবো। ভালো না লেগে তো যায়না আপনার কবিতা।
তা এবার কি দেবী? কোন দেবী? :p কবিভাই দয়া করুন এবারে সুস্থির হোন। আচ্ছা রূপকথাটা কে! ;?
ছাইরাছ হেলাল
ভিজে ভিজে একাকার হয়ে যাক।
দেখা যাক ‘রূপকথা’ কী রূপ ছড়ায়। প্রশংসাধ্বনি ও বেশ রূপ ছড়াচ্ছে।
রাইতেই সুস্থির আছি, তবে রূপকথা রূপ কথাই।
কি আর করব!! নিজেই নিজের মাথার উপ্রে দিয়ে নেই, অভ্যাসবশত।
নীলাঞ্জনা নীলা
জানেন এখানে বৃষ্টি হচ্ছে? একেবারে আমার মনের মতোন।
গানটি শুনুন। এই সিনেমাটি বেশ ভালো লাগে আমার। প্রিয় নায়কের অভিনয়।
https://www.youtube.com/watch?v=WHb8O_Skbok
ভিঁজুন আর মনকে উড়িয়ে দিন জলের ধারায়। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এতো ভাই প্রাণ উতল করা গান।
সীমান্ত উন্মাদ
রূপকথা হোক আর বাস্তব হোক, সবাইকে নিয়েই বাঁচুক সবাই।
এইবার আসি রুপকথার কাব্যেঃ যেহেতু আমি কবিতা আবৃত্তি করি, এবং করতে আমার খুবই ভাললাগে, সেহেতু কাব্য পেলেই চেষ্টা করি করতে, সেটা গদ্য কাব্য হোক আর ছন্দ কাব্য হোক। কিন্তু সঙ্কৃত শব্দের ব্যাবহারকারী কবিদের কবিতা আবৃত্তি করতে গেলে যেমন মগজ প্রচুর খাটাতে হয়, কারন কবিতা সুন্দর করে আবৃত্তি করতে হলে তাঁর মর্মঅর্থ বুঝে করতে হয় না হলে ভাব-রস আসেনা ঠিক মত, তেমনি আপনার কবিতাগুলো পড়তে গেলে কিংবা আবৃত্তি করতে গেলে আমার মগজ প্রচুর খাটাতে হয়। বেশ ভাল লাগে এই কারনে, যে অর্থ বুঝেগেলে তা আবৃত্তির যে মজা, সেটা পরিপূর্ণ হয় আপনার কবিতা আবৃত্তি করতে গেলে ঘিলু বিস্তর নাড়া খায় বলে।
সবশেষে আপনাকে একটা কথা বলিঃ দেবিদের প্রাচুর্যের মোহে পড়বেন যেন, তাইলে কিন্তু খবর আছে? :p
শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই বাঁচুক সবাইকে নিয়ে,আমিও বলি।
শুনুন, একবার খুব অনুনয়ে বিনয়ের সুর তুলে বুকে বল নিয়ে একজন কে একটু আমার লেখা
তাঁর কোকিলসুর কণ্ঠে ধারণ করতে বলায় যে ভয়াবহ লাভার সম্মুখীন হয়েছিলাম সে ভয়ভাবনা
কস্মিন কালেও ভাবিনি, ইহজন্মে ভুলেও যাওয়ার কোন কারণ নেই।
আপনার কণ্ঠের মোহনরূপ শোনার ইচ্ছে পোষন করছি।
আগে কইবেন্না!!
সামান্য আমাদের জন্য পেশ করবেন অবশ্যই, শ্রোতা কিন্তু একদম খারাপ না। আপনার পছন্দের যে কোন কিছু।
ধুর, আব্জাব লেখার কথা,বাদ দিন।
দেবী-দুবী বড়ই খ্রাপ, জানি তো।
মাথা-মুথা ঘুরিয়ে দেয়, নিজে না ঘুরে ।
অলিভার
আমি কবিতা বুঝি না কেনু ;( ;( ;(
সাধ্যের অতীত যাই হোক না কেন, আপনার কবি সত্তা বেঁচে থাকুক হাজার বছর এমন কামনাই থাকবে।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা হলে না হয় বোঝা -বুঝির কিছু থাকে, এ কোন কবিতাই নয়।
হাজার পারবো না, একটু কমিয়ে বলুন ।
আপনাকে কিন্তু পাচ্ছি না।
অরণ্য
“সাধ্যের অতীত সুখ, সাধ্যের অতীত শ্বাস
চাই না, নিজের বাঁচা বাঁচতে চাই।” (y) ইহাই উত্তম বাঁচা।
ঈদ মোবারক।
ছাইরাছ হেলাল
“সাধ্যের অতীত সুখ, সাধ্যের অতীত শ্বাস
চাই না, নিজের বাঁচা বাঁচতে চাই।”
লিখছি বটে, নিজে কিন্তু মানি না, আমি আবার হাল্কা গাধা টাইপের, সাধ্যের বাইরের বোঝা নিতেই আনন্দ।
নড়বড়ে হাঁটুর কথা মনেই থাকে না।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
ব্লগার সজীব
রূপকথা…… পর্ব চালু হয়েছে।ডিজিটাল রূপকথা নাকি?লেখা বুঝতে গিয়ে মাথার চুল আর মাথায় থাকবেনা :p
ছাইরাছ হেলাল
ডিজিটাল ঠিক না, এটি একটি ‘স্বপ্নকথা’।
চালু থাকবে। চুল গজিয়ে উঠবে সহজেই। ভয় নেই।
স্বপ্ন
অনেক দিন না আসায় আপনার লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি।সময় নিয়ে সব পড়ে ফেলবো।এখন মন্তব্য দিলাম না।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পড়লেই হবে।