কর্মক্ষমতা শরীর থেকে কেড়ে নেয় সময়
বিগত দিনগুলো ছিল হায় কত না স্বপ্নময়;
শরীরে দাপটে চলেছি রঙ্গময় জীবন-যাপন,
কত আপন হয়েছে পর, পর হয়েছে আপন।
কাজের ফাঁকে আড্ডা,মশগুল কথা দেয়া-নেয়া
ধীরে ধীরে চলে গেল তরতরিয়ে হায় কাল-খেয়া।
অফিস ফাঁকি দিয়ে কত করে যাচ্ছি কেনাকাটা
সুযোগ ফেলে আড্ডা দিতে অফিসকে দেই টাটা।
কর্মক্লান্ত জীবনের শেষ অনুষ্ঠানে ভাষন দেয় সবে; কত অয়েল
অশ্রু ঝরায় কেহ নিরবে,ক্রেস্ট হাতে দিয়ে শেষ; ফেয়ারওয়েল।
একদা যেথায় ছিল সম্মানের স্থান;সেথা বসে অন্য কেহ
তুখোড় কর্মপ্রাণ,খই ফুটছে মুখে,বলিষ্ট তার দেহ;
সব হারিয়ে সেও একদিন পৌঁছে যাবে দোরগোড়ায় ষাটে
অকর্মণ্য দিবস তার হবে একদিন,মূল্যহীন চাকুরীর হাঁটে।
ওইতো সেদিনই স্যার স্যার বলে যে লোকটা পিছু ঘুরতো তেল নিয়ে
সামনে পেয়েও না চেনার ভান করে কি করে হায়! মুখটা নিল ঘুরিয়ে!
তেলের ড্রাম ব্যয় করে এখন হয়তো সে অন্য কারো পিছে
নিজের স্বার্থ হাছিলে যুগ যুগ ধরে তেলের ব্যবহারটাই মিছে।
তারও সময় ফুরিয়ে যাবে,বাড়ি ফিরবে সে একদিন মুখ করে নিচু
মিথ্যাই প্রশংসা সম্মুখে করবে তেলবাজরা,কটু মন্তব্য করবে তার পিছু।
কেউ থাকে না ঠাঁয় দাঁড়ায়ে,সকলেই কর্মজীবন শেষে ভীষণ টায়ার্ড
কর্মমুখর দিনগুলি বেঈমানি করে একদিন আমাকে দিয়ে দিবে রিটায়ার্ড।
(31 August 2014 at 22:22)
১০টি মন্তব্য
সীমান্ত উন্মাদ
রিটায়ার্ড শব্দটার ভয়ে এমন এক প্রফেশন বেছে নিছি আমি যাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্বেও কাজ করতে পারি। কারন গত ৮ বছর ধরে আমার রিটায়ার্ড বাবাকে দেখে আমার শিক্ষা হয়ে গেছে।
কাজ ছাড়া থাকা যে কি পরিমান কষ্টের।
আপনার রিটায়ার্ড কবিতায় অনেক অনেক ভাললাগা।
এই মেঘ এই রোদ্দুর
এমন অনেককেই দেখেছি হতাশায় ডুবে যেতে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
নীতেশ বড়ুয়া
🙁
এই মেঘ এই রোদ্দুর
🙁 ভাল থাকুন
মেহেরী তাজ
ভয়ংকর সত্য… . 🙁
এই মেঘ এই রোদ্দুর
হুম
🙂 🙁
হিলিয়াম এইচ ই
সত্য কথা!!!
এই মেঘ এই রোদ্দুর
ধন্যবাদ 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
রিটায়ার্ড মাগো ভাবতেই পারিনা। জানিনা কতো বছর কাজ করতে পারবো। কিন্তু আমি চাইনা বসে বসে অসুস্থ হতে।
কবিতায় বাস্তবতা ভাবালো। -{@
এই মেঘ এই রোদ্দুর
হুম সেটাই কথা
ধন্যবাদ আপি । সুস্থ থাকুন শেষ বয়স পর্যন্ত