বৈভব আর বিত্তে অহংকারী মন মন্দিরের সুউচ্চ ঝুল-বারান্দায় ঠাঁই পেয়ে ঠাঁই নেয় নীল রাত্রি। রাতের আকাশে চোখ পাতে, নীলিমার নক্ষত্রবীথিতে খুঁজে ফেরে স্বপ্ন জোনাকি। জীবনের ঘন উপত্যকায় চোখ ফেলে রাত্রি, দেখে জীবনের মৃত্যু, ভালোর মন্দ, সুখের দুঃখ, ন্যায়ের অন্যায়; পাশাপাশি চলছে নীরবে উৎপাতহীন ভাবে সারিবদ্ধ করোটীর মিছিল।
নূপুরের ধ্বনি তুলে নিক্বণ পায়ে নীরবে রাত্রি আসে রাতের শেষ প্রহরে।
হে সতী রাত্রি, চলো ডানায় কাঁপন তুলি, উড়ে যাই ঐ দূর নীলের আকাশে, কুড়াই মুঠো মুঠো পূর্ণিমা, তোমায় পরাব বলে। হে যাযাবর রাত্রি, রাতের গোলবারান্দার গোলচক্করে বেপথু হয়ে চক্কর কাটছি কাটছি, নিত্য হাঁটাহাঁটির ব্যস্ত পায়ে। ছিদ্র দু’চোখ পিপাসা মেলে ধরে, কমন্ডুলুর ঝর্ণা আসে না ছুটে।
হে রাতের আকাশ, তুমি যতই রং মাখনা কেন জ্যোৎস্না কিন্তু একটাই।
স্তব্ধ নীরবতায় অকস্মাৎ খুলে গেল মন্দিরের সিংহ দ্বার, ঝলমলে আকাশ, এলো ঝড়ো বাতাস, উষ্ণ বৃষ্টি, অজস্র পূর্ণিমার প্রচ্ছন্ন আহ্বান।
সময়ের রাই কে,
৪৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্দিরের দ্বার খুলেছে, সে ভালো। কিন্তু জানেন তো দেবীরই বিসর্জন হয়? মন্দির সেই শূণ্যই থাকে। সময়ে-সময়ে ঘুরে ফিরে দেবী আসে ঠিকই, একই কাঠামো থাকেনা।
এতো প্রেম নিয়ে কিভাবে থাকেন? সময়ের রাই, সময় পেড়িয়ে গেলে কে আসবে?
তা এই সময়ে রাই, এর আগের সময়ে কে ছিলো? ভাবতে বাধ্য হচ্ছি ;?
ঝুল-বারান্দা নিরাপদ কিন্তু। আকাশ-জ্যোৎস্না দেখাও যায়, দেখানোও যায়। সেটাই দেখছি আমার জানালা থেকে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
দেবী দেবী হয়েই বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ফিরে ফিরে আসে , সে আসলে যায় না,
রূপ পাল্টায় মাত্র। মন্দিরের অনুমতি পাওয়া পূজারীর জন্য সহজ কাজ নয়।
রাইয়েরা রাই হয়েই থাকে, বাইরে থেকে দেখা যায় না।
বানিয়ে লেখায় প্রেম-ফ্রেম কোন ব্যপার না। লিখে দিলেই হয়।
বারান্দা আমাদের লাগেই, মন খারাপ বা ভালোর সময়, প্রাথমিক আশ্রয় এমন বারান্দাতেই হয়।
দেখুন, মনের চোখ খুলে বা বন্ধ করে দেখুন। সবার দেখার উপায় থাকে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই তো বললাম রূপ পাল্টায়। রাইয়েরাও রাই হয়েই থাকে, শুধু রূপ পাল্টায়। ভাইরে আপনার কথাতেই সায় দিলাম। তাও বুঝলেন না। কবি হয়েও আমার মনের কথা বুঝলেন না। এই দুষ্খ রাখি কোথায়! ;(
যান আমি রাই হবোই না। মেহজাবিন-চিত্রাঙ্গদা-নন্দিনী-হেলেন-রাত্রি-পাখী সবাইকে নিয়ে আসছি। আপনার একদিন কি আমার একদিন। :@
মনের চোখে চশমা নেই, তাই দেখিনা। বন্ধ করেও দেখার চেষ্টা করেছি, তাতে যা দেখেছি সে তো ভয়ঙ্কর! -:-
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা এবারে বুঝে নিলাম।
রাইয়েরা রাই হয়েই আছে, থাকবে, থাকুক।
যাক, আপনাকে সিরিয়ালে রাখলাম, ম্যালা লম্বা কিন্তু লাইন!!
আপাতত ভয়ঙ্কর ই দেখতে থাকুন, পরে সব ফকফকা হয়ে যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ বাবা! লাইনে আমি দাঁড়াবো, এমন মানুষ মনে হয় আমাকে?
কবিভাই এইতো চিনতে পারলেন না।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন লাইন কিন্তু হরহামেশা দিয়েই যাচ্ছি, সে বাস ট্রেন থেকে শুরু করে
সিনেমা হল পর্যন্ত, সমস্যার তো কিছু নেই। তবে আজকাল বিশেষ ব্যবস্থা
ও তো থাকে বলেই শুনেছি। অতএব ব্যপার না কোন।
আপনাকে চেনার চেষ্টা করে পাতকী হতে পারব না ভাই, তা আগেই
বলে রাখছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
পাতকী :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
অনেক বছর পর শব্দটি শুনলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দশশশটি ইমো দিলেন,
তাড়াহুড়ো না থাকলে আরও পেতাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাড়াহুড়ো আমার ছিলো জানলেন কি করে!!! ;? 😮
আপনি কি যাদু জানেন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
ঝড়ের মরা বকে চোখ না দেওয়াই ভাল।
তবে চর্চা করতে পারলে মন্দ হতো না।
মেহেরী তাজ
সময়ের রাই কে….!
তীরে এসে তরী ডুবলাম।
এ কি আলাদা কেউ??? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার তরী ডুবাবে এমন সাধ্য কারো নেই।
সব বলাই আছে।
মেহেরী তাজ
একটু একটু ভরসা পাচ্ছি। আচ্ছা রাই এর কি রকম ফের হয়??? ;?
ছাইরাছ হেলাল
রাই রাই ই,
অরুনি মায়া
হুম বুঝেছি একটা প্রেম ই ঘুরে ফিরে বারে বারে আসে শুধু অবয়ব বদল করে। রাই সে সেকালের হোক আর এ কালের হোক। অনুভূতি একটাইই। অস্তিত্ব একটাই।
রাত্রির বুকে কেবল জোছনা খুঁজলে কি হবে? আমাবস্যা রা কোথায় মুখ লুকাবে তবে?
এ অন্যায় ভারী অন্যায়। সবাই আমার প্রকৃতিতে ভাগ বসাল 🙁 ।
আমি এর জবাব দিব একদিন দেখে নিয়েন সেদিন,,,,
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, বমাল ধরা, আপনার হাতে।
ঘুরে ফিরে প্রকৃতির কাছেই যেতে হয়, আমাদের।
একা আপনি এতো দিয়ে কী করবেন, একটু ভাগ না হয় দিলেন ই।
অসংখ্য রোমিওরা জবাব পেয়েছে, আর কত?
অরুনি মায়া
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা তাইনা?????
রোমিও দের অভিসাপ পড়েছে চাঁদের উপর।
আপনি টর্চ জ্বেলে আর কলঙ্ক ঢেলেন না,,,, 🙁
ছাইরাছ হেলাল
মোটেই অভিশাপ দিচ্ছি না, রোমিওদের অভিশাপে আমাদের চাঁদের (জুলিয়েট)
কোন ক্ষতিই হবে না, পতঙ্গেরা (রোমিওরা) ছুটে ছুটে আসতে বাধ্য।
অরুনি মায়া
বেলা ফুরিয়েছে পুষ্প তাহার সুগন্ধ হারিয়েছে
কুঞ্চিত পাতা শুকিয়ে ঝরে ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে যাচ্ছে
এখন আর ভ্রমর গুনগুনাবে না
প্রজাপতি হাওয়ায় ডানা মেলবেনা
মেঘের বুকে চাঁদ লুকিয়েছে
আঁধার মাড়িয়ে রোমিও রাও তাই আজ পথ হারিয়েছে,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
বেলা যতই ফুরাক, পুষ্পের অবস্থা যাই হোক রোমিওদের কান ধরে
হিরহির করে জুলিয়েট নিয়ে এসে শিকল বন্দি করবে।
অরুনি মায়া
নেহিইইইইইইই দুষ্টু গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল,,, ,,,, :p
ছাইরাছ হেলাল
গরু দুষ্ট হলেও তা কিন্তু গরুই।
দিন শেষে কাজের!!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নূপুরের ধ্বনি তুলে নিক্বণ পায়ে নীরবে রাত্রি আসে রাতের শেষ প্রহরে।
মন শরীর শির শির করে উঠল -{@
সময়ের রাই….
মোটেও ঠিক না -{@ এত রূপ। -{@
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বহুরূপী। এই রাত-বিরাতে না এলেও হতো।
মোটেই ঠিক না,আমিও বলি।
ইমন
রাত কি শেষ পর্যন্ত সতিই ছিলো :p
ছাইরাছ হেলাল
এ ভাবে জানতে চাইলে তো হবে না!!
সবই তো লেখা আছে।
লিখছেন না কেন!
সিকদার
হে সতী রাত্রি, রাত্রি সতী হয় ? যত অসত ত রাতেই হয় । ;?
ছাইরাছ হেলাল
দিনে হয় ঢেঁড় বেশি।
রাত বা দিন যে যার মতই থাকে আমারা শুধু টেনে নেই যে যার সুবিধা মত।
সিকদার
চরম সত্য বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
ব্লগার সজীব
বুঝেছি আমার একটি রাত্রি প্রয়োজন এখন।কিছুটা তেল মালিশ করতে হবে তাকে,খুলে যাবে মন্দিরের দুয়ার।কিন্তু রাত্রি, মন্দির কিছুই যে চিনি না,কে চিনিয়ে দেবে আমায়? 🙁
‘হে রাতের আকাশ, তুমি যতই রং মাখনা কেন জ্যোৎস্না কিন্তু একটাই।’ —— মুখোশ নাকি? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে কিছুই কষ্ট করে শিখতে হবে না, আপনাকে ই শিখিয়ে নেবে,
শিখিয়ে দেবে, গাছে তুলে মই কেড়ে নিয়ে ‘sorry’ বলে লাপাত্তা হবে।
তারপর নিজ গুনে ছেঁচড়ে নেমে জীবন বাঁচাতে হবে। জীবন আনন্দ ময়।
সব মুখোশ!!
অরুণিমা
আহ্বান এলে গ্রহণ করতে ভুল করবেন না,দেবী ক্ষিপ্ত হতে পারেন।সময়ের রাই কে স্থায়ী করুন।লেখা শিখছি দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
না না, কিছুতেই ভুল করবো না, দেবীর কৃপা বলে কথা!!।
রাইয়েরা স্থায়ী হয় কিনা জানি না, দেখা যাক।
ভুলেও এই ছাইপাঁশ থেকে শেখার মত সুন্দর কর্মটি করতে যাবে না প্লিজ।
ভালো থাকুন
জিসান শা ইকরাম
এর মাঝে সারিবদ্ধ করোটীর মিছিল কেন আবার?
রাই ভালো থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
মিছিল মিটিং এড়ানো যায় না, ঠিকই এসে পরে।
রাই ই পেলাম না।
পেলে কত চালে কত ধান তার একটি হিসাব তৈরি করা যেত।
রিমি রুম্মান
নূপুরের ধ্বনি তুলে নিক্বণ পায়ে নীরবে রাত্রি আসে রাতের শেষ প্রহরে……… লাইনটি চমৎকার লাগলো। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
নিয়মিত পাচ্ছি না আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
রাত্রি শুধু নেগেটিভিটি কেন দেখবে? ভালোর মন্দ, সুখের দুঃখ, ন্যায়ের অন্যায়? কেন মৃত্যুর মধ্যেও জীবন নয়? মনের ইচ্ছে মন্দির আমাদের খুলেই যায়, তাতে থাকে প্রসন্ন পূর্নিমা, অন্ধকার সইয়ে নিতে পারলেও আমরা নিতে জানিনা। দুচোখের পিপাসা শুধুই আলো চায়, মিছে আলোর ভীড়ভাট্টাও কম নয়, তাই ঐ ঝুল-বারান্দায় ঠাই হলেও অপেক্ষায় থাকি, তাকিয়েই থাকি মন্দির দ্বারে।
এবার সময়ের কবিকে নিয়েও লিখে ফেলুন।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে নেগেটিভ দিক ও একটি দিক, আমরা এটি অস্বীকার করতে পারি না। আমরা স্বাভাবিক চোখে
যা দেখি তাই ই সব দেখা নয়, তার আড়ালেও কিছু দেখা থেকে যায়, সেটি আমরা উপেক্ষা রতে পারি না।
ইচ্ছে হলেই আমরা সবাই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারি না। মন্দির অনুমতি না দিলে। বারান্দার অপেক্ষা আমাদের
থাকেই।
হ্যা, রাই কে নিয়ে লিখছি ।
শুন্য শুন্যালয়
রাতের গোলবারান্দার গোলচক্করে বেপথু হয়ে চক্কর কাটছি কাটছি, নিত্য হাঁটাহাঁটির ব্যস্ত পায়ে।
স্বপ্ন ইচ্ছের সাথে না পাওয়া গুলো মিলেমিশে গোলচক্কর কাটছে। Buried movie টা দেখেছেন? না দেখলে দেখে ফেলবেন প্লিজ। মুভির শেষ দৃশ্যটার সাথে আপনার লেখার শেষ অংশটুকু আমার কাছে এক হয়ে গেলো।
কমন্ডুলু মানে কি?
ছাইরাছ হেলাল
বেপথু হলে চক্কর থেকে রেহাই মেলে না।
স্বপ্ন ইচ্ছারা অভুক্তই থেকে যায়।
ছবি দেখার সিরিয়াল ভেঙ্গে হলেও এ ছবিটি দেখব, আপনি যখন বলেছেন।
সাধু সন্ন্যাসীদের হাতে পেতলের কেটলি জাতীয় একটি পাত্র, পানি বহন করে।
ধন্যবাদ।
সীমান্ত উন্মাদ
বিসর্জিত হয়ে ফিরুক অথবা প্রাপ্তির দুলকি চালে পাওয়া হোক, যেভাবেই হোক না কেন, সময়ের সাধনে ফিরে তাকে আসতেই হয়, তা না হলে যে জীবনের মানে বৃথা হয়ে যাবে জাগতিক হিসেব নিকেশে। বরাবরই আপনার লিখা আমার খুবই প্রিয়। ভাব এবং শব্দ চয়নের কারনে। শুভকামনা নিরন্তর জানিবেন।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, যে কোন ভাবে ফিরেই আসে, এর ফিরে আসে বলেই জীবন সুন্দর।
আমরাও অপেক্ষা করি এই সৌন্দর্য্যের।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
লীলাবতী
এমন একান্ত অনুভূতি পড়তে ভালোই লাগে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভালতো লাগার ই কথা, লাগুক।