
কয়েকদিন পরঃ
প্রায় সাত ঘন্টা লাগলো নীলের অপারেশনের, ডাক্তার এসে জানালো অপারেশন ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, চিন্তার কিছুই নেই, আপাতত নীলকে অপারেশন থিয়েটারের পাশের আইসিইউতে রাখা হবে, দুইদিন পর সব ঠিকঠাক থাকলে বেডে দেওয়া হবে।
রুদ্ররা সবাই করিডোর দিয়ে সামনের আইসিউর দিকে এগিয়ে গেলো, গ্লাস দেওয়া এ পাশ থেকে আইসিইউর ভিতরে সব দেখা যায়, নীলকে এখনো আনা হয়নি।
রুদ্ররা সবাই ওয়েটিংরুমের দিকে এগুলো, সেখানেই বসার জায়গা রাখা হয়েছে।
নীল ঠিক হয়ে যাবে তো, উদ্বীগ্ন মা জিজ্ঞেস করলেন।
নিশ্চয় মম, এই হাসপাতাল হলো বিশ্বের নামকরা হাসপাতাল, তুমি চিন্তা করোনা।
অপরদিকে রেনুর অবস্থা বেহাল, চোখে তো যেন জলের বান লেগেছে, অনিলা ভাবীকে সামাল দিচ্ছে।
রুদ্রর ফোনে রিং হচ্ছে দেখে রিসিভ করে হ্যালো বললো।
ভাইয়া, বড় ভাইয়ার কি খবর?
অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে, আগামী দুইদিন আইসিইউতে রাখবে, পরে বেডে দেবে, রুহি কই?
খেলছে ও।
রুহিকে দেখভাল করার জন্য সুমি বাসায় রয়ে গেছে।
তোমরা কখন আসবে?
ভাইয়াকে আইসিইউতে আনলেই চলে আসবো।
আচ্ছা ভাইয়া, রাখছি।
ওকে বাই।
রুদ্র গিয়ে একবার দেখে আসলো নীলকে আনা হয়েছে কিনা, ওয়েটিংরুমে এসে সবাইকে জানালো নীলকে এখনো আনা হয়নি, সবার নিশ্চয় ক্ষুদা পেয়েছে রুদ্র ভেবে রুদ্র নিজে বেরিয়ে গেলো, সামনের ডেস্কে খবর নিলো ক্যান্টিন কোথায়, জেনে নিয়ে লিফটে উঠে টপ ফ্লোরে উঠে এলো, ক্যান্টিন থেকে সবার জন্য ক্লাব স্যান্ডউইচ, পানি আর পেপসির ক্যান নিয়ে নিচে চলে এলো।
কই ছিলি এতক্ষণ, রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন।
মম কিছু খাবার নিয়ে আসলাম, সবার নিশ্চয় ক্ষুদা লেগেছে, সব ওর মার কাছে দিয়ে বললো, নাও সবাইকে দাও, তুমিও খাও।
তুই খেয়েছিস?
না মম, এখানেই আছে, আগে সবাইকে দাও।
রুদ্রর মা প্রথমে রেনুকে দিলো, রেনু খেতে না চাইলেও জোর করে দিয়ে বললেন, নীল ঠিক হয়ে যাবে মা, তুই খেয়ে নে।
এরপর অনিলা, রুদ্রকে দিয়ে নিজেও নিয়ে খেতে শুরু করলেন।
খাওয়া শেষ হলে রুদ্র সব প্যাকেট আর খালি ক্যান গুলো নিয়ে ডাস্টবিনে রেখে এলো, এরপর আবার এগিয়ে গেলো নীলের খবর নিতে, গ্লাস দেওয়া রুমের ওপাশে নীলকে আনা হচ্ছে দেখে রুদ্র দ্রুত ফিরে এলো ওয়েটিংরুমে, সবাইকে নিয়ে ফিরে এলো আইসিইউর পাশে।
নীলকে শুয়ে দেওয়া হয়েছে বেডে, পুরা মাথাটায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, হাতে বিভিন্ন মেশিনের তার গুলো লাগানো হচ্ছে, হাতে আগে থেকেই স্যালাইন লাগানো আছে, এখন নতুন করে রক্তের ব্যাগ লাগানো হচ্ছে, আজ সকালেই রুদ্র রক্ত দিয়েছে নীলের জন্য।
কিছুক্ষণ সেখানে নীলকে দেখে সবাই ফিরে এলো ওয়েটিংরুমে।
মম তাহলে চলো আজ বাসায় যায়, রুদ্র বললো।
আমি যাবোনা, তোমরা মমকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাও।
রুদ্র রেনুর দিকে ফিরে তাকিয়ে বললো, ভাবী এইখানে কাউকে থাকতে দেবেনা, তুমি কিভাবে থাকবে?
আমি একা থাকলে নিশ্চয় না করবেনা ওরা।
আমি নিজেই থাকতাম, রিসেপশনেই ওরা বলে দিয়েছে এইখানে কেউ থাকার দরকার নেই এবং তা নীতি বিরুদ্ধ , এছাড়া এরা রুগীদের সুযোগ সুবিধা নিজেরাই নিশ্চিত করে, আমরা আবার আগামীকাল আসবো, চলো আজকে।
অনিচ্ছা সত্বেও রেনু সবার সাথে বেরিয়ে এলো ওয়েটিংরুম থেকে, সে সময় এক রুগীকে স্ট্রেচারে করে আনছে দেখে ওরা সরে দাঁড়ালে স্ট্রেচারটা ওদের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখলো, পুরা শরীর কভার করা শুধু মুখটা দেখা যাচ্ছে।
অনিলা ছাড়া বাকি সবাই অবাক হয়ে দেখলো স্ট্রেচারের রুগীটা আর কেউ নয় শেলি, স্ট্রেচারের পিছনে শেলির বাবা।
রুদ্রকে দেখে উনি অবাক হলেও নিজেকে ধরে রাখতে পারলেননা, হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে রুদ্রকে জড়িয়ে ধরলেন।
শেলিকে অপারেশনের জন্য ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, রুদ্র শেলির বাবাকে ধরে ওয়েটিংরুমে নিয়ে গিয়ে বসালো, রুদ্রর মা পানির বোতল বাড়িয়ে দিলে রুদ্র ঢাকনা খুলে দিলো শেলির বাবাকে, পানির বোতলটা নিয়ে উনি ঢকঢক করে পুরো পানি সব খেলেন।
আংকেল শেলির কি হয়েছে?
বাবারে ওরে আমার পাপেই শেষ করেছে।
আংকে একটু শান্ত হোন, খুলে বলুন কি হয়েছে?
শেলির বাবা বড় এক নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করলেন, গত পনেরোদিন আগে চট্টগ্রামের নামকরা এক ফ্যামিলির ছেলের সাথে শেলির বিয়ে হয়, ছেলে আমেরিকা প্রবাসী, বিয়ের কিছুদিন পরেই শেলি সহ ওর বর চলে আসে আমেরিকায়, এরপর ছেলেটির আসল রূপ বেড়িয়ে আসে, ও আগেও বিয়ে করেছিলো, বউকে মারধরের কারণে ওকে পুলিশ এরেস্ট করে, একি ভাবে শেলিকেও মারধর করতে শুরু করে সে, আমি পরশুদিন আসি সব খবর শুনে, শেলি নিষেধ করে ওর বাসায় না উঠার জন্য, আজ বিকালে পুলিশ কল করে আমাকে যে শেলিকে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে ওরা।
শেলির বাবা দম নিলেন, রুদ্র, ভাবী, আপনারা আমাকে, আমার মেয়েকে মাফ করে দিন, ও এখন জীবনমৃত্যুর মাঝে আছে, বলেই উনি কাঁদতে শুরু করলেন।
আংকেল ছেলেটির নাম কি, অনিলা জিজ্ঞেস করলো।
ওর ডাক নাম অপু।
অনিলা শিউরে উঠলো।
আংকেল কিছু খেয়েছেন সারাদিন?
না বাবা।
মম তোমরা থাকো, আমি আসছি।
আমি যাচ্ছি তোমার সাথে, অনিলা বললো।
আচ্ছা আসো।
দুজনই ক্যান্টিনে চলে এলে অনিলা বললো, উনি উনার মেয়েকে কার সাথে বিয়ে দিয়েছেন জানো?
না, কার সাথে?
অপু, যার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।
রুদ্র মাথায় হাত দিয়ে বললো, ওহ গড, সেই ছেলেটি?
হাঁ, আমার এখনো ভয় লাগছে রুদ্র, আজকে মেয়েটার বদলে আমিই থাকতাম এই স্ট্রেচারে।
রাখে আল্লাহ মারে কে, আচ্ছা চলো উনার জন্য কিছু কিনে নিই, বলেই রুদ্র কাউন্টারের উদ্দেশ্যে, ওখান থেকে দুইটা স্যান্ডউইচ, ডায়েট পেপসি আর পানি নিয়ে অনিলার কাছে, ফিরে এসে বললো, চলো।
নিচে এসে দেখলো শেলির বাবা অপারেশন থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, রুদ্র এগিয়ে গিয়ে উনাকে ওয়েটিংরুমে নিয়ে আসলো।
স্যান্ডউইচ খেতে খেতে উনি অনিলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, মেয়েটা কে বাবা?
রুদ্রর মা জবাব দিলেন, ও রুদ্রর বউ।
তাই, রুদ্র কবে বিয়ে করলো?
আজ প্রায় বিশ দিন হয়।
খুব খুশি হলাম বাবা, দোয়া করি যেন তোমরা সুখে থাকো, বলতে বলতে উনি কাঁদতে লাগলেন।
শেলির বাবাকে স্বান্তনা দিয়ে রুদ্ররা আগামীকাল আবার আসবে বলে বেরিয়ে এলো হাসপাতাল থেকে, রুদ্র রেন্টে কার থেকে একটা কার ভাড়া করেছিলো কয়েক দিনের জন্য, রুদ্রই ড্রাইভিং করছে।
অনিলা বললো, কি ভয়ংকর, এই অপুকে কি পুলিশ খুঁজে পাবে?
যতদূর জানি ও এই দেশ থেকে পালানো টাফ হবে, ওকে পুলিশ এরেস্ট করতে বেশি সময় লাগবেনা।
কোন অপুর কথা বলছিস, শেলির হাসবেন্ড?
মম তুমি জানোনা, এই সেই অপু যার সাথে অনিলার বিয়ে হতে যাচ্ছিলো।
রুদ্রর মা মুখে হাত দিয়ে দিলেন, কি বলছিস সেই ছেলেটির সাথে শেলির বিয়ে হলো?
মম বিষয়টা দুঃখজনক, সত্যি উনাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে।
মম কোন অপুর কথা বলছেন, রেনু জিজ্ঞেস করলো।
অনিলায় সব খুলে বললো ওর বিয়ে ভাঙ্গা, রুদ্রর সাথে বিয়ে কিভাবে হলো সব।
হায় হায় সেই ছেলেটায়, আসলে কি বলবো, শেলির বাবা যে স্বার্থপর মানুষ, আমরা দৈউলিয়া হয়ে গেছি মনে করে বিয়েটা ভেঙ্গে দিলো।
কার বিয়ে ভাবী, অনিলা জিজ্ঞেস করলো।
কার সাথে আবার, রুদ্রর সাথে ড্যাড বিয়ে ঠিক করেছিলেন, ড্যাডের ইন্তেকালের পর উনি মনে করলেন আমরা শেষ হয়ে গিয়েছি, লোন শোধ করতে পারব্যনা, এ জন্য উনি বিয়ে ভেঙ্গে দেন।
রুদ্ররা বাসায় ফিরে চেইঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে এলো ড্রয়িংরুমে, রুদ্র টিভি ছেড়ে নিউজ দেখতে লাগলো, রুদ্রর মাও এসে বসলেন পাশে, অনিলা রান্নায় হেল্প করছে রেনুকে।
নীল কতোদিনে ঠিক হয়ে যাবে ডাক্তাররা কিছু বলেছে, রুদ্রর মা জিজ্ঞেস করলেন।
ভাবীকেই তো ডাক্তাররা বললো অপারেশনের পর ছয় সাত মাস লাগতে পারে, অবশ্য এ বেশি কিছু নয় মম, হয়তো অপারেশনটা বড় হলেও রোগটা ছোটো, তুমি চিন্তা করোনা মম।
শেলি কি বাঁঁচবে?
ফোরটি পারসেন্ট বার্ণ, এইখানকার চিকিৎসা ভালো, আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
মেয়েটির জন্য কষ্ট হচ্ছে।
হাঁ মম।
অনিলা টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিয়ে সবাইকে খেতে ডাকলে রুদ্ররা উঠে পড়লো, খাবার টেবিলে বসে সবাই চুপচাপ খাচ্ছে, রুহি যথারীতি অনিলার কোলে বসে খাচ্ছে।
সুমিই নীরাবতা ভাঙ্গলো, ভাইয়া আগামীকাল আমার ইউনিভার্সিটি নেই, আমিও হাসপাতালে যাবো।
আচ্ছা যাস, পরক্ষণেই বললো, ওখানে তো রুহিকে নিয়ে যাওয়া যাবেনা, তাহলে কে থাকবে রুহিকে নিয়ে?
অনিলা বলে উঠলো, চিন্তা করোনা, আমিই থাকবো রুহিকে নিয়ে।
…… চলবে।
ছবিঃ কালেক্টেড।
২৭টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
কাকতালিয় ভাবে সবাই সবার সাথে দেখা হচ্ছে হাসপাতালে। নীল সুস্থ হোক কামনা করি।
অনিলা রুদ্র ভালই আছে। শীলা অপুর কপালে দুজনের দু:খ আছে।
দেখা যাক। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সবচাইতে বড় কথা কি জানেন দাদা, লোভ মানুষকে খায়, তেমনি অবস্থা শেলির এবং তার বাবার, অতি লোভই শেলির জীবন নিয়ে টানাটানিতে পড়ে গেছে।
নীল অবশ্যই সুস্থ হয়ে উঠবে দাদা, কারণ আগামী গল্প গুলোতে নীলের কারণেই আবর্তিত হবে।
ছাইরাছ হেলাল
আমেরিকা পর্ব ঝামেলা ছাড়াই এখন পর্যন্ত পার হছে গেছে,
অপেক্ষ করি কী হয় এর পর।
ইঞ্জা
কি বলেন ভাইজান, এতো কিছু হলো এই পর্বে তারপরেও ঝামেলা বিহীন মনে হলো আপনার? 🙃
ছাইরাছ হেলাল
ঝামেলা বিহীন বলতে যেমন ধরুন অপারেশন হলো জ্ঞান ফিরতে দেরি বা অন্য ঘটনাগুলোর
উল্টো-স্রোত, লাগেজ পৌঁছুল না। নুতন কোন ঝগড়া বা খারাপ কিছু শুরু হলো, স্মুথ রানিং হয়েছে,
যা অশনি সঙ্কেত পরের পর্বের জন্য, এটি পাঠক ভাবনা,
লেখক তাঁর তাঁর মত এগুবেন।
ইঞ্জা
বুঝলাম ভাইজান, তাও বেশ চমৎকার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন, ধন্যবাদ ভাইজান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অতি লোভের ফলে শেলী আর শেলীর বাবার আজ এই অবস্থা। নীলের অপারেশন টা ঠিকঠাক হলো জেনে ভালো লাগলো। পরিবারের সবাই মিলে মিশে আছে এটাই খুব ভালো লাগলো।আমরা প্রবাসী শুনলেই মনে করি মেয়েদের জন্য ভালো ছেলে। কিন্তু প্রবাসী হলেই সুখী হওয়া যায় না। ভালো মনের অধিকারী হতে হয় তাহলেই যেকেউ যেকারো জন্য সুখ হতে পারে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
সত্যি দুঃখজনক আপু, লোভ নাকি বাপেরেও ছাড়েনা, তেমনি আজ দুঃখজনক পরিণতির শিকার শেলি এবং তার বাবার, প্রবাসী ছেলেরা খারাপ তা আমি বলবোনা, শুধু দেখে শুনে বিয়েটা দেওয়া উচিত, তাহলেই সম্ভব সুখের সংসার।
আপনিও ভালো থাকবেন আপু, শুভকামনা বারবার।
আরজু মুক্তা
ছেলে যেখানকার হোক, আদ্যপ্রান্ত খোঁজ নিয়ে বিয়ে দেয়া উচিত। ভালোই এগুচ্ছে গল্প!
শুভকামনা
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ সঠিক বলেছেন, আজকাল চোর চ্যাঁছোরও মন্ত্রী এমপি হয়, এ জন্যই ভালো পরিবার দেখেই মেয়ে বিয়ে দেওয়া উচিত।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ কষ্ট করে পড়লাম ইঞ্জা দা ভাল লাগল ————–
ইঞ্জা
কেন ভাই, পড়তে কষ্ট হলো কেন?
বন্যা লিপি
পুংখানুপুঙ্খ বর্ননা আপনার গল্পে। রুদ্রর কেন্টিনে যাওয়া, খাবার নিয়ে ফিরে আসা, খাওয়া শেষে উচ্ছিষ্টি খালি প্যাকেট নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ফেলা, পরিবার একত্র করে সামলে রাখা দায়িত্ব বোধ, এবং’ রাখে আল্লাহ্ সারে কে’ অকাট্য উক্তির কারন বিশ্লেষণের কাকতালীয় ঘটনা একই সঙ্গে পুরো পরিবারের সামনে এসে পড়া। অন্যদিকে নীলের সার্জারি সফলতার শুসংবাদ! অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’ শেলির কপালে অখণ্ডনিয় দুর্ভোগ!
রঙধনু আকাশে এখনো পর্যন্ত রংধনু ঠিকঠাকমতো আছে এ পর্যন্ত। রুদ্র’র বাবার রেখে যাওয়া উইলের প্রসংগ এ পর্বে আসেনি। আগামী পর্বের অপেক্ষায়।
ইঞ্জা
সত্যি আপু লোভের কারণেই শেলির জীবনে নেমে এলো যন্ত্রণাদায়ক জীবন, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী য়ার পরিবার তথা তার বাবা, অতি লোভই তাদের খেয়েছে।
রঙধনু আকাশের রঙ এখনো ঠিকঠাক থাকলেও নিশ্চয় জানেন ঝড় ঝঞ্জার পরই রঙধনু দেখা যায়।
কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু।
রেজওয়ানা কবির
নীল সুস্থ হোক এই আশায় আছি,ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে গল্প।পরবর্তী পর্বের জন্য বসে রইলাম।
ইঞ্জা
অশেষ ধন্যবাদ আপু, নীল সুস্থ হয়ে উঠলেই গল্পের ঘটনাক্রম এগুবে, সাথে থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
ভাইজান অনেক পর্ব পড়া হয়নি। সময় নিয়ে আগে পড়ে নেই।
নইলে বুঝতে পারবো না।
ইঞ্জা
অবশ্যই ভাইজান, এই গল্পের প্রথম দুই চার পর্বের ইতি টানা হচ্ছে আজকের গল্প থেকে, সুতরাং আগের পর্ব পড়া না থাকলে ভালো লাগবেনা আপনার।
ধন্যবাদ নিরন্তর ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব খুব কষ্ট শেলির জন্য তাছাড়া ভালই লাগল ভাইজান। আগামীদিন সুন্দর হোক প্রত্যাশা করি।
ইঞ্জা
শেলি এবং তার বাবাকে লোভে খেয়েছে ভাই, এমন লোভি মানুষদের আল্লাহই বিচার করেন।
ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা সেটা ঠিক কিন্তু ওমন হোক সেটাও চাইনা।
তৌহিদ
নীল সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই কামনা করছি। আর এদিকেতো দেখছি ঘটনা পরাই ফোর কানেকশন ঘটেছে! ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আর কাকে বলে। উপরওয়ালা যা করেন ভালোর জন্যেই করেন।
শেলীর বিষয়টি জেনে কস্ট পেলাম। এদেশে এরকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। অপু ছেলেটার শাস্তি হোক এটাই চাই। চলুক গল্প। ভালো থাকুন দাদা।
ইঞ্জা
শেলি এবং তার বাবার অধিক লোভই কাল হলো তাদের জন্য, সত্যা হলো খবরাখবর না নিয়ে অমানুষকে বিয়ে দিলে এমনই হয় ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
লোভে পড়লে এরকম হবেই।
ইঞ্জা
একদম ঠিক ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাগ্যে কি আছে আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। মেয়েকে আরও ভালো রাখতে চাওয়া আর লোভ এক জিনিস নয়। আসলে কিসের জন্য কি হয় তাও বলা যায় না। আমরা প্রায় ক্ষেত্রে বিপদের সময় গুলোকে নিজস্বমতে বিশ্লেষণ করি। নিজের জন্য যেটা পরীক্ষা অন্যের জন্য সেটাকে বিধাতার গজব ভেবে নিই।
যেহেতু এটা গল্প তাই লেখকের বিশ্লেষণই মেনে নিলাম 🙂
” মম তাহলে চলো আজ বাসায় যায়,”
এখানে য় এর পরিবর্তে ই দিলে পড়তে ভালো লাগতো।
ভালো থাকুন ভাইজান। শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, “য়” পড়েছে ভুলক্রমে যা আমি নিশ্চয় ঠিক করে দেবো।
রুদ্রর সাথে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া, অনিলার সাথে অপুর বিয়ে কেন ভেঙ্গে গেলো আগ পিছ না ভেবে শেলিকে অপুর সাথে বিয়ে দেওয়াটাই লোভের বিষয় হিসাবে দেখা হচ্ছে আপু, এ বিষয়টিকে আমি সামাজিক বার্তা হিসাবেই দেখাতে চেয়েছি, যেন কেউ প্রবাসী কোনো ছেলেকে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার আগে যেন তারা আগে সব খবরাখবর নিয়েই বিয়ে দেয়, নাহলে জীবনটা ধ্বংস হতে সময় লাগবেনা।
সুন্দর এবং আলোচনা মূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু। 😊