দরিদ্র দেশ.,অনুন্নত দেশ.,তৃতীয় বিশ্বের দেশ বা একটু মার্জিত ভাষায়... উন্নয়নশীল দেশ ।
আজ এ পরিচয়েই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডটি পরিচিত ।
শিক্ষা-দীক্ষা.,জ্ঞান-বিজ্ঞান.,সাহিত্য-সংস্কৃতি.,ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল আর্থ-সামাজিক দিক দিয়েই দেশটি তুলনামূলকভাবে বহু ক্রোশ পিছিয়ে ।
কিন্তু এটিই কি হওয়ার কথা ছিল এদেশটির ভবিষ্যত্‍...!!!
একটু পিছনে ফিরে গেলেই আমরা দেখতে পাই যে.,ঠিক ৪২ বছর আগের এই দিনেও এদেশের মানুষের কাছে চরম অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য ছিল ৪২ বছর পর দেশটির আজকের এই অবস্থা...!!
কারণ.,ঐ ভয়ঙ্কর দূর্যোগময় দিনেও এদেশে এমন কিছু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন.,যাঁদের উপর পরম আস্থা ও বিশ্বাস করতে পারত সমগ্র জাতি.,যাঁরা স্বাধীনতার পর নাগরিকদের পরিচালিত করতে পারতেন আলোর পথে.,দেশটিকে নিয়ে যেতে পারতেন সাফল্যের স্বর্ণশিখরে ।

আজকের এইদিনে আমাদের এই ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাসের কারণটাই ছিল...
১৪ই ডিসেম্বর.,১৯৭১

কবি.,সাহিত্যিক.,নাট্যকার.,সাংবাদিক.,অধ্যাপক.,আইনজীবী.,অর্থনীতিবিদ.,চিকিত্‍সাবিদ.,প্রকৌশলী.,চলচ্চিত্রকার -সকল শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীই ছিলেন এদেশে.,যাঁরা ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ।
কিন্তু চিরনির্বোধ পাকিদের পরিচালিত করতো.,এমন কিছু কূটবুদ্ধিসম্পন্ন ধুরন্ধর নরপশু পরাজয় আসন্ন জেনে তৈরি করে নির্বিচার হত্যযজ্ঞের এক ভয়ঙ্কর নীলনকশা..!!
যৌথ বাহিনীর আক্রমণে সেনাদের হিশমিশ অবস্থা হওয়ায় তারা এদায়িত্ব দেয় এদেশীয় জারজদের নিয়ে গঠিত তত্‍কালীন আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীর উপর ।
বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে এসে অমানুষিক নির্যাতন করে একে একে হত্যা করা হয় জাতির ইতিহাসের উজ্জ্বলতম সন্তানদের.,যাঁরা ছিলেন নিরীহ.,নিষ্পাপ ও সদাশান্তিপ্রিয় ।
দুঃখ এটাই যে.,ঐ পাশবিক বাহিনীর উত্তরসূরীদের দৌরাত্মে আজও হুমকির মুখে স্বাধীন এই ভূখণ্ডটি ।

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি ঐ পুণ্য ব্যক্তিত্বদেরকে ।
তাঁদের মৃত্যুঞ্জয়ী স্মৃতির উদ্দেশ্যে হৃদয়ের গভীর থেকে বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছি ।।
[ সোনেলায় এটিই আমার প্রথম পোস্ট ।
আশা করি.,পাঠকেরারা আমার ভুল ত্রুটি সংশোধন করতে সাহায্য করবেন । ]
A.a. B Jøy's photo.
0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন