
হারিয়েছি যখন শব্দের তোলপাড় অহংকার! তখনই বিধ্বস্থ আমাকে পাই আমি বাস্তকোনে ঘোলাটে আয়নার সম্মুখীন। ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ে ঘসটে যায় আয়নার শরীর,,,তবু ফেরেনা প্রতিবিম্বের নিরেট প্রতিচ্ছবি।
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের নাগরদোলায় চক্কর কাটতেই যেন পৃথিবী বিধ্বংসী হয়েছে বারবার। হাতের আঙুল আর রেখা বরাবর হাজারো প্রতিবন্ধকতা টেনে দিয়েছে ডানা ভরা নিকষ আঁধারের বাতাস। রাতগুলো জমকালো আলোয় ভর করে মেতে ওঠে জুয়ার জলসায়। দিনের আলোয় মুখোশের আড়ালে কেউ চেনে না কাউকে।
যে বোধ নিয়ে বেড়ে ওঠেছিলো এক শিশু! সে জানত কোনো একদিন পাড় হয়ে যাবে লম্বা দিনের সবুজ মাঠ! কালের চাবুকে ক্রমাগত রক্তাক্ত হতে হতে জেনেছে সে- হৃদয় ভরে শিশির জমাতে হয় আগুনচোখে ভোরের আয়ুরেখা আঁকতে।
চমৎকারিত্বের ঠাঁটে যাকে কখনো ছোঁয়নি গর্ব ভেঙেচুরে হাহাকারের পৃষ্ঠায় নাম লেখাতে! সেও জেনে গেলো এখানে কালো বিশ্বাসের চোখে পর্দা বলে কিছু নেই।
কৌশল বা অপকৌশলের সাথে যার হয়নি পরিচয় কোনোকালে! সে শিশু বড় হয়নি অর্ধশত দৌড় অতিক্রান্ত করে ও।
চেনেনি কখনো মিথ্যে কি করে অর্জন করে সর্বশক্তির বলয়ে! নিরব নিথর পাশবিক অঙ্কুর হত্যা দেখে দেখে থুবড়ে পরে থাকে, যেন এক টুকরো কাগজ টোকানো পথশিশু…….
ছবি- সোনেলা গ্যালারি থেকে।
১০টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
আমিত্ব খোঁয়া গেলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। জনপদের অঘোষিত সীমানা প্রাচীর ভাঙা যায়না শেষ পর্যন্ত। কিছু মানুষ শিশু সারল্য নিয়ে জন্মালে ও সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ঠিকই তাকে বড় হতে বাধ্য করে। মন যেহেতু মুক্ত বিহঙ্গ তাঁর ডানা বাঁধতে পারে না কেউ।
তাই ভেতর থেকে সে পথশিশুর মতন অনাথ রয়ে যায় শত আপনের ভীড়ে ও
বন্যা লিপি
আহা….কী সুন্দর মন্তব্য। ভালবাসা জেনো❤️❤️
সাবিনা ইয়াসমিন
কিছু মানুষের বহিরাবরণ পালটায় কিন্তু ভেতরটা রয়ে যায় অকৃত্রিম। দেহের সাথে বয়সের দূরত্ব না থাকলেও বৃদ্ধির সাথে বয়সের দূরত্ব সীমাহীন থেকে যায়। কারো-কারোর জন্য বয়সের সংখ্যা-দৌড়ে কেবলই হাঁপিয়ে চলা। অন্তঃ-শিশু পড়ে থাকে হাতের রেখা আর বুক-পিঞ্জরের মধ্যখানে। তার দেখা হয়না বড় জগতের উঁচুনিচু অসামঞ্জস্য।
ঠিক মতো পড়তে পেরেছি কিনা বুঝতে পারছি না।
ভালো থেকো,
বন্যা লিপি
এমন ভাবে মন্তব্যের শেষে বক্তব্য দিলে মনে হয় যেন- আমি পাঠশালার চোখা চশমাওয়ালা, হাতে চিকন বেত নিয়ে দাড়িয়ে থাকা মাস্টার মশাই। ঠিকমত পড়া না বুঝলে সপাং করে বেত্রাঘাত পড়বে পিঠে। এরকম কাঠ কাঠ মার্কা মন্তব্যে আমি কি রিপ্লাই দেব?
ভালো থেকো। চোখের জন্য অবহেলা মানব না- মনে থাকে যেন।
হালিমা আক্তার
বয়স যতই হোক মন থাক শিশুর মতো সহজ সরল। যদিও পরিবেশ পরিস্থিতি তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তখন সে ও আঁধারের খেলা শিখে ফেলে। শিশু আর শিশু থাকতে পারে না। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপা। শুভ কামনা।
সৌবর্ণ বাঁধন
ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে কাপড়ে ঘষে গেলে আয়না প্রতিবিম্ব অস্বচ্ছ হবেই। হয়ত ভেজা কাপড় স্মৃতির অথবা বাস্তকোণে আঁটকে থাকার অব্যক্ত হতাশার। রাতের অন্ধকার কিংবা দিনের মুখোশ সবখানেই মানুষেরা একে অন্যের অচেনা। কিন্তু এই সংশয়ের হয়ত রয়েছে কোন গভীরে প্রোথিত রহস্য মূল! কাগজ টোকানো পথশিশু সবচেয়ে বেশি পরিচিত কৌশল বা অপকৌশলের সাথে! শুভকামনা জানবেন।
বন্যা লিপি
আপনার মন্তব্যে প্রাণিত হলাম। শুভ কামনা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মূল্যবান সব মন্তব্যে বরাবর সাহস হারিয়ে ফেলি। শুভকামনা জানবেন আপু🌹
বন্যা লিপি
শুভ কামনা আপনার জন্যেও🌹🌹