ছুটছে গাড়ি। ছুটন্ত গাড়িতেও তোমায় মনে পড়ে--------------------
চোখের ছাপে নিরুদ্বেগ ইচ্ছেরা
হানা দেয় হা হা করা হাহাকারে
ভেতর জুড়ে শিশিরের পিনপতন নীরবতা
অপেক্ষা গান করে নিজের করা সুরে।
অক্ষত এক আকাশে ক্ষতগুলো মিশে যায়না
মেলানো ডানার ভাজে রক্তাভ দাগ নীলচে থেকে নীলাভ,
গাঢ় বাদামী জলছাপ জলেও মোছেনা।
ছুটে চলা টাট্টু সময়, একদিন বেঁধে দেবে চোখ
কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যদি পারিস আমায় রোখ।
অদূরে কোথাও খসে গেছে হাতঘড়ি
থেমে গেছে জীবন নামের ষ্ট্যাম্প সংগ্রহের শখ।।
মুঠোয় ভরে ছেঁকে তোলা আগুন বিতৃষ্ণা
পিপাসাও জেনে গেছে
জলের জন্য চাই তুমুল তৃষ্ণা।।
তোমায় আয়না জুড়ে দেখি, চিঠি ভেবে পড়ি
শিশির ভেজা ফুলে নিমেষেই তোমায় ডুবাই
চোখের জল ভেবে মুছতে গিয়ে চোখেই আবার গড়ি।।
বাকল খসে পড়া গায় সবুজাভ শীতল আহ্বান
জানার পরেও জানার থাকে, আসলে কে পরগাছা?
কার কাছে কার প্রাণ?
পাশাপাশি ফারাকেও তুমি আমি এক
রোদ্দুর শুষে তুমি হও আঁধার
আমি রঙিন হয়ে দেই আঁধারে চুমুক।।
লাল সবুজের কোমল নিক্কন সুর আজ
হেভি মেটালের সূচালো তীক্ষ্ণ ফলায় বিদ্ধ করে সময়,
কালরাত্রিরে কাঁদে মা, শিশু ভাঙ্গে আড়মোড়া
হাসি দিয়ে খুলে দেয় কচি হাতের ভাজ।।
Thumbnails managed by ThumbPress
৬৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
গোলাপ আর সূর্যমুখির ছবি দুটো দেখলাম গভীর ভাবে।
গোলাপে লেগে থাকা শিশির কনা মুক্তোর মত লাগছে
ইচ্ছে হয় গালে ছোঁয়াই এই গোলাপটি।
সূর্যমুখির সাথে লেখা
” তোমায় আয়না জুড়ে দেখি, চিঠি ভেবে পড়ি
শিশির ভেজা ফুলে নিমেষেই তোমায় ডুবাই
চোখের জল ভেবে মুছতে গিয়ে চোখেই আবার গড়ি।। ” শুধু অসাধারন নয়, অসাধারনের অসাধারন রোমান্টিক কথা।
অনেক দিন পরে আপনার লেখায় প্রথম মন্তব্য করার সুযোগ পেলাম
শুভ কামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনি প্রথম মন্তব্য করায়, আর কি সব ছোঁয়াছুঁয়ির ইচ্ছের কথা বলায় গোলাপটা আপনাকে দিয়েই দিলাম। এ দুটো আমারও প্রিয় ছবি।
আপনি তো দেখি ভালই রোমান্টিক মন্তব্য করছেন ভাউ, ঘটনা কি? সব ছেড়ে এই লাইনগুলোতে চোখ দেয়া ভালো লক্ষন না :p
ধন্যবাদ যা ইচ্ছে তাই পোস্টে এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা -{@
অনিকেত নন্দিনী
ভাউ আজকাল মনে হয় সব জায়গাতেই টপ গিয়ারে চলছে। রোমান্টিকতার দিকেও পিছিয়ে নেই তা এই ছোঁয়াছুঁয়ি আর ইচ্ছের মন্তব্য দেখলেই বোঝা যায়। :p
শুন্য শুন্যালয়
হুম, ভাউ যে ডুবে ডুবে কোথাকার জল খাচ্ছে বোঝা যাচ্ছেনা, তবে খাচ্ছে বোঝা যায়। নন্দিনী আপু, আবার একটু ভড়কে দিন তো তাকে। :p
অনিকেত নন্দিনী
এই যে ভাউ!
কাহিনী কী? আজকাল কথাবার্তা কিরাম কিরাম লাগে! এদিকওদিক উঁকিঝুঁকি মারছেননা তো আবার? আগেভাগেই সাবধান কইরা দিতাছি, ঝামেলা পাকাইলে কইলাম হেড অফিসে রিপোর্ট কইরা দিমু! :p
শুন্য শুন্যালয়
ভাই আর ভুলেও এদিক আসবেনা। :p
জিসান শা ইকরাম
আপনারা ইনকাম ট্যাক্স হেড অফিসের কথা বলছেন নাকি? আমি নিয়মিত ট্যাক্স দেই। ডরাই না কিছু।
ডুবে ডুবে জল কে না খায়? সবার তো হজম শক্তি চরমে 🙂
জিসান শা ইকরাম
রোমান্টিকতার কি দেখছেন? সবে তো শুরু 🙂
ছোঁয়াছুয়ির হলুদ আর কমলা পর্ব ছলছে ( PHD সজুর বর্তমান পোষ্ট),
গন্তব্য বহুদুর…..
ভোরের শিশির
বাংলা কবিতায় ইংরেজী শব্দের ব্যবহার আমার কাছে বাহুল্য মনে হয়…
শুন্য শুন্যালয়
^:^ অনেকগুলো আছে। আগেও করেছি অনেক। কি হবে এখন? 🙁
শুন্য শুন্যালয়
কিছু বাংলা শব্দের যেমন কোন ইংরেজি হবেনা কখনো, তেমনি কিছু ইংরেজী শব্দের নেশাও আছে আমার, চাইলেই এড়াতে পারিনা।
ভোরের শিশির
“চোখের কোলাজে নিরুদ্বেগ ইচ্ছেরা
হানা দেয় হা হা করা হাহাকারে
ভেতর জুড়ে শিশিরের পিনড্রপ নীরবতা
অপেক্ষা গান করে নিজের করা সুরে।”
চোখের ছাপে নিরুদ্বেগ ইচ্ছেরা
হানা দেয় হা হা করা হাহাকারে
ভেতর জুড়ে শিশিরের বায়ুশুন্য নীরবতা
অপেক্ষা গান করে নিজের করা সুরে।… চোখের কোলাজে-কোলাজ শব্দের পরিবর্তে ইশারা, ইঙ্গিত না দিয়ে ছাপ দিলাম যাতে পাঠক ভাবে অনেক কিছুই। আর পিনড্রম নীরবতা মানেই মহাশুন্যের নিস্তব্দতা যেখানে বায়ু নেই…
ভোরের শিশির
শিশিরের বায়ুশুন্য নীরবতা… শিশির মানেই তো পানি যেখানে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন। তাহলে বায়ুশুন্য হয় কি করে??? এখানেই হচ্ছে সেই নীরাবতার খেলা। অর্থাৎ যে শিশিরে সূর্যের আলোয় সাতরঙ ফোতে সেই শিশিরেই এমন বায়ুশুন্য নীরবতা মানেই একেবারে সব কিছু হারানোর মতো মূক ও বধির হবার নীরবতা…
শুন্য শুন্যালয়
তোর ব্যখ্যা দেখে নতুন করে লাইন লিখতে হবে রে!! তবে সত্যি বলতে অরিজিতের একটা গান শোনার পর থেকে কোলাজ ঘুরছে, ওটা আপাতত রাখছি। আর এরপর থেকে ছবি পাঠাই দিমু, শিরোনাম তুই দিবি।
বায়ুশূন্য নীরবতা, শিশির নিয়ে এমন করে ভাবতে পারবো কবে? সবকিছু হারানোর মতো বধির হবার নীরবতা। বাহ্। যারা নিরবতায় শব্দ খুঁজে পায় তারা তফাৎ যাক। 🙂
ভোরের শিশির
আমি সচরাচর কোন কবিতায় ছবি থাকাকেই অপছন্দ করি, কেননা এতে পাঠকের ভাবনাকে সীমাবদ্ধতায় ফেলে দেয়। কিন্তু কেন জানি না ব্লগাররা কবিতায় ছবি ব্যবহার করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন!
লিখিয়েদের সফলতা তখনই আসে যখন পাঠক মন উজাড় করে তার লেখনীতে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।
যে ইংরেজী শব্দ ব্যবহার না করলেই নয় সেই ইংরেজী শব্দ ব্যবহারে ক্ষতি নেই কিন্তু যেসব ইংরেজী শব্দের পরিবর্তে বাংলা শব্দ ব্যবহারে লাইনের বা কবিতার বহুমাত্রিকতা প্রকাশ পায় সেখানে কেন ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করা?
আমার ব্যক্তি অপছন্দের অনুভূতিতে থাকে ইংরেজী শব্দের ব্যবহার তাই যেভাবে মন লাগানোর কথা তা করতে পারছি না।
অনেকদিন পর কিছু পোস্ট করলে আর এতে আমি বিরক্তি প্রকাশ করেই যাচ্ছি 🙁
তোমার কাছ থেকে একদিন ছোট হোক বড় হোক কিন্তু একটা গল্প চাই শুন্যাপু। শুভেচ্ছা -{@
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই কবিতাপ্রেমীদের কাছে কবিতাটাই মুখ্য হবে স্বাভাবিক। সত্যি বলতে লেখাতে ছবি আনাই আমার মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। লেখা পড়ে একটা চিত্র ভাসে মনে, সেটা ছবির কারনে এলোমেলো হয়ে যায়।
তবে আমার পোস্ট টা কিন্তু ছবিব্লগ। যখন লেখা মাথা থেকে হাওয়া হয়, তখন ছবিই ভরসা আমার। শুধু ছবির একটা করে শিরোনাম দিতে ইচ্ছে করেনা, তাই ছবি দেখে যা মনে আসে তাই-ই দিয়ে ফেলি।
তুই বরং এক কাজ কর, ছবিগুলো দেখ। লেখা ভুলে যা। এরপর যা মনে আসে ছবি নিয়ে তাই-ই বলে ফেল। এতদিন পর একটা পোস্ট দিলাম, তুই বিরক্ত হইলে আমি কই যামু?
সাথে এই গানটা না শুনিয়ে পারছিনা। আমার ইংরেজির জন্য সব দোষ এই গানরে দে। তবুও মাথা থেকে যাক এই গান। বিরক্তিকর।
https://www.youtube.com/watch?v=CKvRyviKcok
গল্প লিখতে ইচ্ছে করে আমার। দুটা লিখেছিলাম বোধ হয় আগে। তবে আমার দ্বারা সম্ভব না মনে হয়। তুই বলছিস চেষ্টা করে দেখতে পারি।
ভোরের শিশির
গানের প্রথম লাইনেই আছে ‘ঠোঁটের কোলাজ’। এই গানে কোলাজ শব্দের বদলে ‘ভাঁজ,ছাপ ইত্যাদি’ অতোটা মানে দাঁড় করাচ্ছে না… কিন্তু চোখের কোলাজ! ভাবতেই পারছি না :p
ছবিব্লগ করেন আমাদের এইখানের ম.জ. ভাইয়া। উনার ছবিব্লগের মাধ্যমে আমাদের ভ্রমণ করান বিভিন্ন স্থাপনা বা প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সময়ের সাথে।
এটা ঠিক যে আমাদের লেখার জন্য নানান মাধ্যমের সহায়তা লাগে। কেউ গান শুনতে শুনতে বা কেউ কিছু দেখেই… আমি গান না শুনলে মাথায় কিছু খেলাতেই পারি না 😛 (প্রায় বছর খানেক গান শুনে শুনে কিছু ভাববো তাও হচ্ছে না)
আমি তো তোমার এই কবিতাকে আমার মতো সাজাবো না…! কিছুতেই না… আমি যা বলতে চেয়েছি তোমার অল্প অল্প করে বলা কবিতার অনুচ্ছেদগুলোতে শব্দের খেলা আছে, কিন্তু কবিতায় ইংরেজী শব্দ ব্যবহারে পছন্দের অনুভূতিতে না থাকায় বাকি লাইনগুলোতে ঢুকতেই পারছি না। ঢুকতে গেলেই ইংরেজী শব্দ গুতা মারছে :p
গানটা কিন্তু শুনছি বারেবারে :p
শুন্য শুন্যালয়
অরিজিতের নেশা নেশা কন্ঠে শুনলে চোখের কোলাজও ভালো লাগতো। :p 😀 আমি পুরাই ক্রাশড, এইটার উপর। গানটা বারেবারে শোনার মতই, তবে তোরে ট্রান্সফার করার পর এখন একটু কম শুনতেছি।
ম.জ. ভাইয়া ভালো ছবি তোলেন, তবে তার মত ভ্রমণের সুযোগ পেলে আমিও বিশ্ব পরিভ্রমণ করাইতাম :D, আমি আমার অবস্থান থেকে যতটা পারি চেষ্টা করি, তবে কিছুই যে হচ্ছেনা, সবই ভাংগাকুলা বুঝতেছি। ছবিকে শুধু নাম্বার আর টাইটেল দিয়ে দিতে ইচ্ছে করেনা। তবে লেখা আর ছবির সংযুক্তি আসলে কিছুটা বিভ্রম করে। ইংরেজিরে ব্যাপারটা মাথায় রাখবো। দুএকটা শব্দের প্রতি যদিও দূর্বলতা আছে, যেমন সিডাকশান। আর ভুল হলে তুই তো আছিসই। 😀
লেখা দিবি কবে?
নাসির সারওয়ার
তো এই হোল ছবিব্লগ!
এই গোলাপটা কি কাঁদছে!
“অপেক্ষা গান করে নিজের করা সুরে”
কার পথ চেয়ে আছে!
কি যেনো বলতে চাচ্ছি, ঠিক গুছিয়ে আনতে পারছিনা। শুধু বলি কিছু ছবির সাথে অসাধারন কথামালার ক্যাপশন গুলো মনে লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
ছবিব্লগ ক্যাম্নে কি জানিনা ভাউ, যা খুশি দেই। সেইজন্য এইটা যা ইচ্ছে তাই।
গোলাপটা কাঁদছে অথবা হাসছে। অপেক্ষা আনন্দেরও হয়।
আপনি আবার গুছিয়ে কবে থেকে মন্তব্য করেন, সবই তো আউলা 🙂
মনে অই শিশিরকনার মত লেগে থাকুক, তবেই খুশি। ভালো থাকুন ভাইয়া।
নাসির সারওয়ার
থাক, বেশী বোজা ভালোনা। “যা ইচ্ছে তাই”-ই ঠিক।
গোলাপদের কাঁদতে নেই। সে শুধু তার সৌরভ দেবে জনে জনে। ভালবাসার স্বপ্ন কথা শোনাবে।
আপনিই শুধু বুজলেন। যদি একদিন লিখতাম পারি, দেইখেন কইলাম।
মুক্ত ঝরা হাসি, রেখে দিলাম যত্ন করে।
বেশী বেশী ভালো থাকুন!
শুন্য শুন্যালয়
বেশি লিখতে পারতে হবেনা ভাউ, আপনি যেমন আউলা করে লেখেন, তেমনই লেখেন। আমরা তো বেশি বেশি চাইনা, শুধু যদি একদিন কবিতা লিখে মনের হাহুতাশ টা কমিয়ে দিতেন।
দেন না রে ভাউ। কথা দিচ্ছি কবিতা পঁচা হইলে পঁচা বলবোই।
মোঃ মজিবর রহমান
পরে আসছি দিদি ব্যাস্ত ছি।
শুন্য শুন্যালয়
কোন সমস্যা নেই ভাইয়া। আমি জানি আপনি আসবেন।
অপার্থিব
অনুকবিতা গুলো ভাল লেগেছে, বিশেষ করে ৭ নম্বরটি।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব উৎসাহ দেবার জন্যে।
অনিকেত নন্দিনী
অনেকবার ছবিগুলি দেখলাম। দেখতে দেখতে মনে হলো ছবিগুলি জুড়ে আছে অদ্ভুত একাকীত্ব আর নিঃশব্দ হাহাকার (আমি যেনো ভুল প্রমাণিত হই)।
দেখতে পেলাম নিঃসঙ্গ গোলাপের ছবি জুড়ে একাকীত্বের হাহাকার, একাকী গাঙচিলের মেলানো ডানার ভাঁজে রক্তাভ দাগ, মন্দিরের একলা ঘন্টা, আগুনের লেলিহান শিখার দহন, শিশিরভেজা সঙ্গীহীন সূর্যমুখী, বাকল খসে পড়া একা বৃক্ষ, দুই ফুলের পাশাপাশি থেকেও মধ্যকার ব্যবধান, ডার্টের সূঁচালো ফলায় বিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা। 🙁
জানার পরেও জানার থেকে, আসলে কে পরগাছা?
কার কাছে কার প্রাণ?
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
শুন্য শুন্যালয়
কোথাও ঘাপটি মেরে এক একাকীত্ব আমাদের সবার মধ্যেই বাস করছে, ইহাও মনে হয় আপনার টুকুসের মত জারক হিসাবে কাজ করে। ছবি তোলার সময় এতকিছু না ভাবলেও লিখতে গিয়ে যন্ত্রণাই বেশি চোখে পড়েছে আপনার মত করে, তাই ওভাবেই লেখা। তবে কএকটাতে উচ্ছ্বাসও আছে।
বাকল খসা বৃক্ষ সবুজ কে জড়িয়ে আছে, তাই পরগাছা কে পরগাছা বলছি না, আসলে দুজনের প্রাণই দুজনের কাছে।
শিশির ভেজা সূর্য্যমুখি চোখের জলের মতই আটকে রাখছে কাউকে।
সূচালো তীক্ষ্ণ ফলা যখন সময়কে বিদ্ধ করছে, দেশ মা কাঁদছে, তখন নতুন জন্ম নেয়া শিশু হেসে তার হাতের ভাজ খুলে দিচ্ছে।
আর গোলাপের ছবিটাতে চোখের কোলাজ, মানে দুজনের চোখে ইচ্ছেরা হাহাকার করছে, অপেক্ষা করছে তারা। হতে পারে এই অপেক্ষাও কোন সুন্দর পরিসমাপ্তির জন্য।
——————একাকীত্ব, যন্ত্রণা কিংবা কাছে পাওয়া সবকিছুতেই কিছু আনন্দ মিলে মিশে থাকে।
আপনি এমন করে মন্তব্য করলে আমি আরো দ্বিগুন মন দিয়ে লিখবো। লেখার ইচ্ছে টা অনেক বেড়ে যায়, ছবিও তুলবো মন দিয়ে; অন্তত নন্দিনী আপুর জন্য। (3 -{@
অনিকেত নন্দিনী
একাকীত্ব আমাদের সাথেই থাকে এইটা খুবই ঠিক। জীবনের গোড়াপত্তন হবার পর থেকে জন্ম পর্যন্ত সময়টায় আমরা একাই থাকি। সবকিছু ছেড়ে চলে যাবার পথেও একাই রওনা হই।
টুকুসের মত জারক হিসাবে একাকিত্ব! আমি এই জারক নেইনি কখনো। অন্যেরা নেয় কিনা জানিনা।
সব অপেক্ষা সুন্দরে শেষ হয়না জানি, তবুও প্রত্যাশা সুন্দরকে ঘিরেই।
যদি এমনটাই হয় তো আমি আরো বেশি করে মন্তব্য করবো সুন্দর সব ছবি আর লেখা পাওয়ার জন্য। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এই জারক কাউকে নিতে হয়নি, আপনা আপনিই জড়িয়ে থাকে। বিলাসীদের কথা বাদ।
হ্যাঁ সব অপেক্ষার শেষ সুন্দরে হয়না। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকে সুন্দরকে ঘিরেই। অনেক অপেক্ষার পর কিছু পেলে তার আনন্দ আকাশছোঁয়া হয়। তেমনি এক অপেক্ষা।
আমিতো নন্দিনী আপুর কাছ থেকে পাবার জন্য আগেই নাঁচবো। \|/
(3 এইটা কিন্তু সজুর সেইটা না। 😀 ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা আপু।
অনিকেত নন্দিনী
অপেক্ষা ছিলো, আছে, থাকবে। এই অপেক্ষা যেনো অনন্ত অপেক্ষা না হয় সেইটাই চাওয়া।
এইটা (3 সজুর সেইটা না জানি। সজু যতো কথাই বলুক না কেনো (3 ইহার লেনদেন চলিপেই। 😀
শুন্য শুন্যালয়
লেনদেন চলিপেই (3 😀
ব্লগার সজীব
”ছুটছে গাড়ি। ছুটন্ত গাড়িতেও তোমায় মনে পড়ে——————” মানে কি? কাহাকে মনে পড়ে আপু?
শুন্য শুন্যালয়
তোমাকে না ভাভু বাইয়া, সোনেলার কথা বলেছি :p
ব্লগার সজীব
আমাকে যে বলেননি তা তো আমি জানিই আপু 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আইছে সবজান্তা!! আমি তোমার কথাই বলেছি ভাভু বাইয়া।
ইলিয়াস মাসুদ
মুঠোয় ভরে ছেঁকে তোলা আগুন বিতৃষ্ণা
পিপাসাও জেনে গেছে
জলের জন্য চাই তুমুল তৃষ্ণা।।
এই তিন লাইন আমারে পাগোল কৈরা ফেল্ছে আপা .. 😀 \|/
অসাধারন
শুন্য শুন্যালয়
তাইলে তো মুশকিল হইলো ;?
অনেক ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই, সুস্থ থাকুন, পাগলামী থেকে দূরে থাকুন। 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
আপনারা সবাই খুব ভাল লেখেন ! অনেক ভাল লাগে, যতটুকু সময় হয় সবার লেখে পড়ি….. দারুণ সব লেখা… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অনেকেই ভালো লেখেন এখানে, তারমধ্যে আপনিও আছেন ভাইয়া। ভাল লেখা পড়তে পারার মজা আলাদা। ভালো থাকবেন।
অরুনি মায়া
ছোট ছোট কবিতা তাও কত কঠিন লাগে |তোমরা দুই বন্ধু কি ঠিক করেছ সহজ করে লিখবেনা? 🙁
আমার মত নাদান পাঠকদের নাকানিচুবানি খাওয়াবে?
তবে ছবি গুলো মেলা ফাইন 😀
লেখাও ফাইন কিন্তু একটু কঠিন | তুমিতো জান আমি ডাল ভাত খেয়ে বড় হইছি :p
ছাইরাছ হেলাল
ফাইন লেখা তো মাথার উপ্রে দিয়ে যাচ্ছে!!
বিরিয়ানীর অভ্যাস সাথে রাখুন।
অরুনি মায়া
গরীবের পেটে তো ঘি সয়না কি করব :p
শুন্য শুন্যালয়
মাথার উপ্রে দিয়ে গেলেও সমস্যা নাই, আপনি তো এখন আকাশগামী। এমন সহজ লেখাও মাথায় ঢোকেনা, আর নিজে লেখার সময় আমাদের কচি মাথার অবস্থার কথা একবারও ভাবেন না।
শুন্য শুন্যালয়
আমারে কঠিন লেখার অপবাদ দিওনা ;( অন্য কার কথা জানি বলছো, আমি তো ভাবি তার মাথা ইটা দিয়ে তৈরি, বাকিটা তুমি ভাল জানো।
কোন লেখা কঠিন আমারে বলো, এইখানে সব লেখা পানির মত সহজ, তোমার মন তো উড়ু উড়ু। তাও বলো, কোনটা কঠিন, আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবো। ডালভাত খেয়ে যদি তোমার মত লিখতে পারি, তাইলে এখন থেকে বাকি সব বন্ধ, যাও।
অরুনি মায়া
তুমি ঠিকই বলেছ আমার মাথা একটু আওলা ঝাওলা | কোন কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছিনা | তোমার লেখা কঠিন বলে আসলে আমি বোঝাতে চাইলাম অনেক গভীর তোমার ভাবনা | এমন টা আমি কখনোই পারবোনা | অদ্ভুত সুন্দর লেখ তুমি আপু | শুধু কয়েকটি মাত্র শব্দে মিশে থাকে এক সমুদ্র গভীরতা |
ছাইরাছ হেলাল
ভাগ্যিস
ডুবি না, ডোবায় না
চুবি না, চোবায় ও না,
ডুবিয়ে-চুবিয়ে মরণ খেলা
আমায় নিয়ে কেউ খেলেই না।
শুন্য শুন্যালয়
ভাগ্যিস??? আমিতো দেখছি আপনি হাহুতাশ করছেন। একটাই প্রাণ, তাহার যতন করুন। এ বয়সে এত খেলাধুলা করা ভালো না।
ছাইরাছ হেলাল
একাকীর
একাকীত্বটুকু কেড়ে নেয়না
মিহিসুশ্রী বনবালার অঞ্জনা,
জলভেজা সকালরোদ
কাছে টানে, প্রাণ দেয় না।
আপনি খুপ কঠিন কঠিন কী সব লেখেন!!
শুন্য শুন্যালয়
তা না হয় বুঝলাম, কিন্তু আপনি এত কঠিন করে কেনু মন্তব্য দিচ্ছেন ভাউ? 🙁
নাম যার একাকী, তাকে একাকীত্বেই মানায়। কাছে টেনেও প্রাণ না দিলে, সে বিভ্রম, আলেয়া। সব চোখ সত্যি বলেনা।
কি যে বুঝলাম, আর কি যে লিখলাম 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
প্রকৃতির সবসুন্দর গুলো আপনি আপনার মনের মাধুর্যয়ও দিয়ে রাঙ্গিয়ে
সোনেলা ভরিয়ে পাঠকদের মন ভরিয়ে দিলেন
শুভেচ্ছা আপু।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া। আমার আবজাব সবকিছু সোনেলার জন্যেই। ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভসকাল
-{@
শুন্য শুন্যালয়
শুভবিকেল ভাইয়া। -{@
আবু খায়ের আনিছ
মনোমুগ্ধের মত চেয়ে রইলাম কিছুক্ষণ, যেমন ছবি তেমন লেখা। শুধুই ভালো লাগা।
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন পর এলে কি? ভালো থেকো আনিছ ভাই। একটু ভাল লাগলেই আমি খুশি।
আবু খায়ের আনিছ
লেখার চেয়ে পড়ায় মনযোগ বেশি, তাই লেখা হচ্ছে কম। ধন্যবাদ আপু। এমন বোনদের ভাই ভালো না থেকে পারে না। তুমিও ভালো থেক আপু।
লীলাবতী
ছবি ব্লগের ধারণাকেই পালটে দিলেন আপনি। কঠিন করে দিলেন ছবি ব্লগ দেয়া 🙂
” পিপাসাও জেনে গেছে জলের জন্য চাই তুমুল তৃষ্ণা।।” 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ছবিব্লগের ধারনাই তো নাই, তাই উল্টাপাল্টা যা খুশি দেই। 🙂
হুম জল অতটা সহজ নয়, বড়ই কঠিন জিনিস। শুধু পানেই মন ভরেনা, তৃষ্ণা থেকেই যায়।
অরুনি মায়া
আমার একটামাত্র শুন্যাপু কোথাকার কোথায় গায়েব হয়ে গেল ,মিস করছি তাকে 🙁
শুন্য শুন্যালয়
খুব ইচ্ছে করে একদিন সত্যি সত্যি গায়েব হয়ে যাই।
মায়ারা ছায়া হয়ে হিজলের ডাল ছুঁয়ে
অনুভবহীনতার অনুভবেও খুঁজে না পেয়ে
অবশেষে ক্ষান্ত হবে। ক্লান্ত হবে। একদম শান্ত হবে।
গায়েবীয়ানার আবহাওয়া সঙ্গীত বাজবে শ্যাঁওলা মাখা দেয়াল জুড়ে
মরে থাকা পাখির খোলা দুই চোখের মত
আমি তখন আরেকবার দেখতে দেখতে গায়েব হবো।
অরুনি মায়া
কি হয়েছে আপু তোমার ? কেন হারাতে চাইছ এই অবেলায়? মনের খবর তো আর বলবা না জানি | তুমি ভাল থাক এইটুকু চাওয়া |
হুম আরেকটা সতর্কবার্তা ,ফাঁকিবাজি মেনে নিবনা কিন্তু একদম 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আমার আবার কি হবে? আমিতো সবসময় ভাল থাকি 🙂
বাজি ধরার অভ্যাস খুব খারাপ, তবুও আমরা ধরি সময়ে অসময়ে কতকিছু নিয়ে। তোমার নামতো মায়া, তোমারে কেউ ভয় পায় বইলা তো মনে হয়না 🙂