ঘটনা-১
** ' আচ্ছালামু আলাইকুম, ......মাদ্রাসার জন্য কিছু সাহায্য করুণ '
@ ভাই মাফ করেন
** আপনি কি চাননা মাদ্রাসার ছাত্ররা কোরআনের আলোকে শিক্ষা গ্রহন করুক ?
@ চাই ভাই, কিন্তু আমাদের এলাকায় তো মাদ্রাসা আছে , আমি সেখানে দেই।
** ( আরো অনেক অপমান জনক কথার পর ) দেখতে তো ভদ্র ঘরের ই মনে হয়।
@ কিছু বলতে পারিনা, যেহেতু ইসলাম নিয়ে এসেছেন তিনি )
ঘটনা-২
রোজার সময়ে হাইওয়েতে গাড়ি থামাল কিছু লোক, নির্মাণাধীন মসজিদের জন্য চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চেয়ারে বসে সুর করে দোজাহানের নেকী হাসিল করার জন্য মাইকে প্রচার চলছে।
** ভাইসাব মসজিদ নির্মাণের জন্য কিছু দেন ।
@ মাফ করেন ভাই , পিছনে এক মসজিদে দিয়ে এসেছি ।
** আপনি কি চাননা আর একটি মসজিদ হোক। আল্লাহর ঘর হোক ?
@ হ্যা চাই ভাই, আধা কিলোমিটার পিছনে এক মসজিদে দিয়ে এসেছি, আমি আমার এলাকার মসজিদে দেই। বাইরের মসজিদ মাদ্রাসায় দিলে আমাদের এলাকার গুলোতে কে দিবে ?
** ( অভিশাপ বর্ষণ কিছুক্ষণ ) আল্লাহর ঘরে দিতে এত সমস্যা ? আপনার গাড়িও কিন্তু পথে এক্সিডেন্ট করতে পারে।
@ কিছু বলতে পারিনা, যেহেতু ইসলাম নিয়ে এসেছেন তিনি ।
এসব হয়ত আমার একার ক্ষেত্রে হয়। ব্যাড লাক আমার। এমন আচরণে একজন গর্বিত মুসলিম হয়ে আমি বিরক্ত এদের প্রতি।
.........................
১৪ অক্টোবর ২০১৪
২৮টি মন্তব্য
তৌহিদ
এটি কিন্তু মোটেও হাস্যকর বিষয় নয়। দেশের সব জায়গায় এই সমস্যা। আধা কিলো পরপর মাদ্রাসা, মসজিদ। সাহায্য চাই দিতে হবে। আমার সামর্থ্যানুযায়ী দেই কিন্তু তারা যখন চাঁদা চাইতে এসে দু’কথা শোনায় আমিও চুপ থাকিনা। হাদিস অল্প হলেও জানি। জোর করে সাহায্য নেবে এমনটা সমর্থন বা গ্রহণযোগ্য নয়।
জিসান শা ইকরাম
খুব অসহায় বোধ করি এমন আচরণে ভাই,
এমন ভাবে এরা প্রেসার ক্রিয়েট করে যে, হতভম্ভ হয়ে যাই।
আশে পাশে মানুষ জমে যায় এদের চিৎকারে।
মোটামুটি ব্লাক মেইল করে এরা।
অথচ এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার আমি একজন বড় দাতা।
শুভ কামনা।
নীরা সাদীয়া
এসব শুধু আপনার সাথে না, আরও অনেকের সাথেই হয়। আমার অবাক লাগে মসজিদের নাম করে বছরের পর বছর মাদ্রাসার ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে দিয়ে ভিক্ষা করায়। তারপরও এত বছরেেও মসজিদ হয় না। আবার এরা যে হারে অভিশাপ বর্ষণ করে তাও শরীয়তসম্মত না।
তাছাড়া আল্লাহর কি বাড়ি ঘরের দরকার আছে? আমি বুঝি না। তার চেয়ে ঐ লাখ লাখ টাকা দিয়ে ছিন্নমূলকে বাড়ি ঘর, কাজ ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দেয়া হোক, তাতে কি আল্লাহ অখুশি হবেন?
আবার ভাবুন মানুষ মসজিদে যায় প্রার্থনা করতে, আয়েশ করতে যায় কি? তবে এত এত নকশা, টাইলস,এসি, বহুতল এসব করার দরকার কি? অলিতে গলিতে সমানে মসজিদ। একটা মসজিদের ১ তলাই ভরাট হয়না নামাজের সময়, তবে বহুতল করে কি লাভ? কেন এত অর্থেেের অপচয়?
এখন এগুলা বললেই আমি হয়ে যাব নাস্তিক!!!
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত গঠন মুলক এবং বিস্তারিত সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইদানিং শুরু হয়েছে, বিশাল বিশাল মসজিদের এসি লাগানো।
যেন নামাজিদের সবাই বাসায় এসিতে থাকেন,
অথবা আল্লাহ্র ঘর এসি না হলে নামাজ আদায় হবে না।
এসব বললেই নাস্তিক হতে হয়।
প্রতিটি মাদ্রাসার প্রচুর টাকা। কখনো দেখবে না, এরা কাউকে রক্ত দিয়েছে, এরা বন্যার সময় মানুষের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
** আপনি কি চাননা আর একটি মসজিদ হোক। আল্লহার ঘড় হোক ?,,
ঘর বানান ঠিক করুন+অভিশাপ 🙂
জিসান শা ইকরাম
এমন কথা বলে এরা আসলে সবাইকেই ব্লাক মেইল করে ম্যাডাম।
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য,
সংশোধন করে নিলাম।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ভাইজান এই জ্বালা কেমনে সই, যদিও বুঝি এরা স্রেফ ভাওতাবাজি করছে, এরপরও কি করবো ইসলাম নিয়ে আসছে
ওরা অনেকেই আল্লাহর ধর্মকে বিকিকিনি করছে, কিছু বললে ধর্মের ভয় দেখায়, গজবের ভয় দেখায়, যেন ইসলাম ধর্ম তারা কিনে খেয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
আমি আমার এলাকার মসজিদ বাদে এখন আর কোথাও চাঁদা দেই না।
মোঃ মজিবর রহমান
এই ইসলাম ও সব খাইছে, তারপরও মনে করি ধর্ম নিয়ে করছে। তারও সংসার আছে, কিছু মসজিদ কিছু তার সংসাররে চলে। তবে হ্যা এখান থেকে বেতন বা অংশ তারা মানে আদায়কারী পায়।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা কিছু কমিশন পায় তারা।
মোঃ মজিবর রহমান
জিবন সংসার আল্লাহই দিয়েছেন। তাই জিবন সংসার ধর্ম দুটোই তিনি পালন করছে, কেউ পক্ষে ক্বেই বিপক্ষে তবে এক আল্লাহর জন্য করছে আমি তেমন দোষ দেখিনা। আল্লাহই ভাল জানেন।
নাজমুল আহসান
সম্ভবত আসলেই আপনার “ব্যাড লাক”। কারণ, আমার সাথে কখনো এরকম ঘটেনি। অন্য কারও সাথে ঘটেছে, এমনও শুনিনি। এই লোকগুলোকে কখনোই উদ্ধ্যত মনে হয়নি। কোনোদিন দেখিনি সাহায্য না পেয়ে কাউকে অভিশাপ দিচ্ছেন। কখনোই দেখিনি।
এটা সত্যি যে, মসজিদ-মাদ্রাসার জন্যে যাঁরা সাহায্য চান, সেখানে তাঁদের ব্যক্তিগত একটা স্বার্থ থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা কমিশন পেয়ে থাকেন। এটা নিয়ে আমরা হাসাহাসি করি। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পুলিশ যখন জরিমানা করে আর সেটার কমিশন পায়, এটা নিয়ে আমরা মস্করা করি না।
আমরা কখনো ভাবি না, কমিশন-ব্যবসা করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য হলে তাঁরা আওয়ামীলীগ-বিএনপির রাজনীতিও করতে পারতেন। আর এই মানুষগুলোর সংসার কীভাবে চলে সেটাও কেউ ভাবি না। আমি একজনকে চিনি, যিনি ঢাকা শহরে মসজিদের ইমামতি করে ৮ হাজার টাকা বেতন পান! আর বাজারে এক কেজি চালের দাম ৫০ টাকার বেশি।
আমরা হুজুরদের দ্বারস্থ হই জন্ম আর মৃত্যুর সময়। শিশুর আকিকা আর মৃতের জানাজা। বাকি সময় এই মানুষগুলো আমাদের অবহেলা ছাড়া আর কিছু পায়?
জিসান শা ইকরাম
ঢাকা বরিশাল লঞ্চ ছাড়ার আগে এমন লোক পাওয়া যায়,
রোজার সময় মফস্বলের হাই ওয়েতে এমন লোক পাওয়া যায়।
এরা কমিশন পায়, তা দিয়েই এনাদের সংসার চলে।
লীগ বা বিএনপি করার মত যে যোগ্যতা তা এদের নেই, বা এই দুই দল এরা এড়িয়ে চলে।
‘ আমরা হুজুরদের দ্বারস্থ হই জন্ম আর মৃত্যুর সময়। শিশুর আকিকা আর মৃতের জানাজা। ‘ — এইটা সত্য।
রেহানা বীথি
আমাদের এলাকায় দেখি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা নিতে এবং তারা ভিন্ন এলাকার। নিজের এলাকার মসজিদে দিয়ে থাকি বিভিন্ন সময়।
জিসান শা ইকরাম
আমি নির্দিষ্ট মসজিদে মাসিক একটা চাঁদা দেই।
মনির হোসেন মমি
মসজিদ মাদ্রাসায় দান হবে উম্মুক্ত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বলে সাহায্য দেন। স্লিপটা যখন হাতে দেন তখন কিছু না কিছু দিতে হয় ওদের লজ্জা না লাগলেও আমাদের লাগে।তাই অনেক সময় দেই অনেক সময় দেই না।
দুএকজন ব্যাতিক্রম ছাড়া আর সবাই এটাকে পেশা হিসাবেই নিয়েছেন তাইতো অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা জোরই করেন হাতে না হলেও মুখে হাদিস কোরান দিয়ে।
জিসান শা ইকরাম
এনারা ইসলামকে উপলক্ষ করে কিছুটা মানসিক ব্লাক মেইলিং করেন।
সবাই না অবশ্য।
মোহাম্মদ দিদার
এটা নতুন সমস্য নয়।
দান হবে উম্মুক্ত, আমার ভালো লাগলে দিবো। নয়তো দিবোনা। পিছনের মসজিদে দিছি এখানে দিবোনা, এলাকার টায় দিছি, বাইরের টায় দিবেনা। এসব যৌক্তিনয় বলে মনে হয়।
নিজের এলাকায় দিছি, পারলে এখানেও দিবো, তবে এনিয়ে কাউকে জবাবদিহি করতে হবে, এমনটা নয়।
মোহাম্মদ দিদার
আর ,
অভিশাপের বিষটা, এমন আমার সাথে ঘটেনি, যে দান করিনি বলে অভিশাপ করবে। যদি কখোনো ঘটে, তবে জানতে চাইবো, দান না করলে অভিশাপ দিতে হবে কোন হাদীস বা কুরানে আছে?
জিসান শা ইকরাম
এখন হতে এটি জিজ্ঞেস করবো আমি।
নিতাই বাবু
নিজের অনুভূতি এবং সদিচ্ছা খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন বলে আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমিও ঠিক আপনার মতো। মন্দিরে না দিয়ে যা পারি মানুষকে দিয়ে দেই। আমি বান্দা একা মন্দিরে না দিলেও, দেওয়ার মতো এমন বহু আহাম্মক এই জগত সংসারে আছে। কিন্তু আমি দিতে নাজার। এতো পাপ হোক, আর গুনাহ হোক, যা-ই হোক হবে। কিন্তু দিবো না, না, না!
জিসান শা ইকরাম
এমন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আমি দু’ভাবে কাছে থেকে এদের দেখি/দেখেছি,
দেখেছি প্রচণ্ড দারিদ্রের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত বৈভব।
এর সমাধান কীভাবে/কোথায় জানি না।
জিসান শা ইকরাম
দানের টাকার কমিশন বাড়িয়ে দিলে এনারা হয়ত এতটা এগ্রেসিভ হতো না।
আরজু মুক্তা
আর যখন পুলিশ চাঁদা চায় গাড়ি থামিয়ে? তার থেকে এসব জায়গায় একটু একটু করে দেয়া ভালো।
জিসান শা ইকরাম
রোজার সময় একটা হাইওয়েতে কয়েক স্থানে এরা গাড়ি থামায়, কত জায়গায় দেবে মানুষ?
সুরাইয়া পারভিন
এমন অস্বস্তিকর অবস্থায় হরহামেশায় পড়তে হয় আমাদের।সহ্য করা না গেলেও কিছু বলার থাকে না 😭😭
জিসান শা ইকরাম
হ্যা কিছু বলা যায় না এদের।