কেমন হয় যদি মোবাইলে কথা বলতে টাকার বস্তুা নিয়ে দৌড়াতে হয় !!!

আসলে যে হারে মোবাইলের কল রেট বাড়ছে তাতে একটু চালাক না হলে চলা খুবই মুশকিল 😃
তাই সেই বিষয়ে আপনাদের চালাক বানানোর জন্য কিছু টেকনিক শেয়ার করছি, যেগুলো আমার মতো হাড় কিপটা লোকজন অনেক আগে থেকেই করে, এখন থেকে চাইলে আপনিও করতে পারেন। দেশের টাকা অযথা বিদেশি দের দিয়ে লাভ কি?

১) সবসময় চেষ্টা করুন অনলাইনে কথাবার্তা, যোগাযোগ করার জন্য।
ফেসবুক, ইমো, হুয়াটসআপ বা আপনার পছন্দের যে কোন এপস।

২) এরপরও যদি আনস্মার্ট ফোন মানে বাটন ফোনে ফোন করতেই হয় তবে, কথা অল্প সময়ে সাজিয়ে নিয়ে বলে ফেলুন।

৩) সিমে ১ সেকেন্ড পালস এবং সর্বনিম্ন টাকা খরচ হয় এমন প্যাকেজ বা সিম নিন।

৪) ভুলেও মিনিট কিনবেন না। মিনিটে সাধারণত ১ সেকেন্ড পালস থাকে না।

৫) বড় এমাউন্ট ১০০ টাকার বেশী রিচার্জ অফারে যাবেন না, কারন ব্যাপারটা আসলে সিম কোম্পানির একটা কৌশল, মোবাইলে টাকা বেশী থাকলে একসাথে ১০-১৫ টাকার কথা বললেও টের পাবেন না, কোম্পানিও আপনাকে এলার্ট করবে না৷ টাকা খরচ বেশী হবে।
আবার অনেকের রিচার্জ অফারের টাইম শেষ কিন্তু টাকা শেষ হয়না

তাহলে কি করবেন?
ধরুন আপনার টার্গেট মাসে মোবাইলে কথা বলা বাবদ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা খরচ করবেন।

এখন আপনি ১ সেকেন্ড ১ পয়সা রেট চালু হয় এমন সিম বা প্যাকেজ নিবেন।
মাসে ৩০০ মানে দিনে ১০ টাকা। আপনি ২০ টাকার বেশী একবারে রিচার্জ করবেন না। এবং আপনার টার্গেট থাকবে এই ২০ টাকায় ২ দিন তো চলতে হবেই পারলে আরও একদিন বেশী হলে ভালো হয়।

এদিকে আপনার মোবাইলে টাকা একটু কমে গেলে কোম্পানি মেসেজ দিয়ে এলার্ট করবে। আপনি ব্যালান্স চেক করবেন, কোথাও কল করার আগে চিন্তা করবেন মোবাইলে টাকা নেই, সেই ভাবে কথা বলতে হবে।

আবার মোবাইলে টাকা শেষ হলে লোড করতে দোকানে যাওয়া নয়তো এপে ঢুকে রিচার্জ করা, এতোসব আলসেমির জন্য আরেকটু সময় বেশী পাবেন।

এভাবে হাড়কিপটা মেথডে চললে আপনার মোবাইল খরচ কমতে বাধ্য।

১ মাস এভাবে চলার পর জানাবেন কিন্তু কার কি অবস্থা। 😆

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ