একসময় অনেকেই মনোরমা পত্রিকায় লেখালেখি, পত্রমিতালী করতো। মোনোরমা লিখতো, পত্রমিতালী করতো।
মোনোরমা ১৯৮৯ সালে এসএসসি দেয়, রামপাল ফয়লা স্কুল থেকে। যথেষ্ট সুন্দরি যাকে বলে, সেরকম বলা যায়। তখন রেডিওতে অনুরোধের আসর শুনতো মনে হয়, অমৃত বাণী শুনছে। এই নিয়ে সে মায়ের হাতে বকুনি ও মারও খাইনি তা কিন্তু না। খেয়েছে বেশ।
ফাতেমা ও মোনোরমা ছিলো গলায় গলায় বান্ধবী। এরা পত্রমিতালী করতো এক সাথে। পত্রমিতালীতে চিঠি বিনিময়ের এক পর্যায়ে দেখা করতে আসল ঢাকা থেকে এক লোক। লোকটাকে ফয়লা বাজারের এক কসমেটিক দোকানের ঠিকানা দিয়েছিল এই দুই রমনী। কিন্তু লোকটাকে হতাশায় ডুবিয়ে আর দেখাই করলো না এই দুই নারী। ওরা দোকানে গিয়েছিলো ঠিকই। কিন্তু লোকটির সাথে কোনো কথা না বলেই চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল। লোকটি এক বুক হতাশা নিয়ে ফিরে গেলো ঢাকা।
এই দুই রমনী কেন যে এমন করেছিল, এই প্রশ্ন তাদের করেছি, কোনো উত্তর পাইনি।
২৩টি মন্তব্য
খসড়া
শ্রেফ দুষ্টামি। আমরাও করেছি এমন অনেক দুষ্টামী। যে বয়সের যা।
মৌনতা রিতু
এখন খুলে ফেলুন সেই দুষ্টামির কথার ঝুড়ি।আমরা অপেক্ষায় আছি।
আবু খায়ের আনিছ
এগুলো ত এখন হর হামেশাই হচ্ছে, শুধু মাধ্যমটা পাল্টেছে। আগে ছিল পত্রমিতালী এখন ফেইজবু বা রং নাম্বার।
মৌনতা রিতু
হুমমম।কেউ কাউকে দেখতে আসলেও ছুটে যাচ্ছে দূর দূরান্তে।একটু নিভৃতে কত কথাই না বলে ফেলছে।
এইচ এম রিপন
ব্যাপার টা ঠিক কেমন যেনো
মৌনতা রিতু
আসলেও ঠিক কেমন যেন!
সালমা আক্তার মনি
হা হা হা এতো দুষ্টুমি, এই জেনারেশন একটু আপডেট ভঙ্গিতে করে।
মৌনতা রিতু
তখন ছিলো না দেখা করার ও মন।এখন দেখা হয় ঠিকই।তবে তার মান পাল্টেছে।
অনিকেত নন্দিনী
এসব প্রশ্নের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ হয়না আপু। নিছকই মজার খেয়ালে এমনধারা নির্দোষ আনন্দের মজাই আলাদা। :p
মৌনতা রিতু
এতোদূরথেকে টেনে এনে লোকটার সামনে না যাওয়া,কেমন একটু বেশীই দুষ্টু! ;(
অনিকেত নন্দিনী
মজা তো এইখানেই। 😀
লোকটা যত বেশি ছটফট করবে মজা তত বেশি। :D)
মৌনতা রিতু
গালিটা যে দিবে ঐ লোক সব তো মাটিতে পোড়বে।তখন?
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দের ঢিল অন্যের মাথায় মারা ঠিক না।
আপনাকে নিয়ে হলে কি হত তাও ভাবুন।
মৌনতা রিতু
একদম ঠিক।নিজের বেলায় হলে কেঁদেকেটে একাকার হতো।ফেসবুকে এই বিষয়ে পোষ্ট দিত।
শুন্য শুন্যালয়
এরকম মজা করা ঠিক না। তবে এত ঠিক বেঠিক ভাবাও ঠিক না 🙂
মৌনতা রিতু
তা ঠিক, কিন্তু কোনটা ঠিক?
নীলাঞ্জনা নীলা
এ জীবনে এমন মজা করা হয়নি। তবে এজন্য কখনো আফসোসও আসেনি মনে।
মজা করতে ভালোবাসি খুউব, কিন্তু এসব মজা আমায় দিয়ে হয়না।
জিসান শা ইকরাম
ঐ বয়েসে সবাই এমন একটু আধটু দুষ্টামি করেছি আমরা সবাই 🙂
মৌনতা রিতু
বড় আপাদের কেউ চিঠি দিলে তো আমি ঝোপের আড়াল থেকে ছেলেদের মাথায় ঢিল মারতাম।কতোজন যে ব্যাথা গিলে খেয়েছে সে হিসেব নেই।এখন খারাপ লাগে ভাবলে।
অরুনি মায়া
এসবের মানে হয়না | কি দরকার মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা | জীবনে সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ | সেই দুই রমনী একদিন বুঝবে এটা কতটা ছেলে মানুষি ছিল |
মৌনতা রিতু
এই দুই রমনী এখন নানি হয়েছে।তবেশাষন খুব এসব বিষয়ে।
শুভ্র রফিক
মজায় মজা।বেশ ভাল লাগল
মৌনতা রিতু
তাই না!আপনার বেলায় হলে কি করতেন?