চুপ থাকতে থাকতে মেয়েটা একদিন মরে গেলো।
উনিশ বছর কি কেউ চুপ থাকতে পারে?
সবাই শুধু বলতো, চুপ থাকো, চুপ থাকো।
পৃথিবীতে এতো কি আর চুপ থাকা যায়?
তাই সে নিজের সাথে কথা বলতে শিখেছিলো।
যেমন বলে পাহাড় অরণ্য মেঘ আর বৃষ্টি।
পশুরাও, পাখিরাও, মানুষ ছাড়া আর সব প্রাণ।
আহা, মানব সভ্যতা, অন্ধ যাত্রার ১৩০০০ বছর!
তোমাদেরও কি ক্লান্ত লাগে না এইসব পুতুলখেলা?
সন্তান, সংসার, নিজের আদলে গড়া প্রতিমার পূজা
হাস্যকর সব বিধি, নীতি, রক্তাক্ত রাষ্ট্রীয় সার্কাস!
কথা বলা মানে অন্যের কারণে বেঁচে থাকা
এই বেঁচে থাকাটারও কি কোনো মানে হয়?
চুপ থাকতে থাকতে মেয়েটা একদিন মরে গেলো।
যদিও সে নৈশব্দ ভাঙলেও কেউ শুনতো না।
কেননা তারা অনেক আগেই বধির হয়ে গেছে।
নিজেদের শীৎকারের শব্দ ছাড়া কিছুই শোনে না!
মোট পড়েছেনঃ ৪০৪জন
আজ পড়েছেনঃ ৩৬০জন
৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মেয়েদের চুপ থাকতেই শেখানো হয় যাতে পুরুষের জাঁতাকলে অবিরাম পিষ্ট হয়ে জীবন যাপন করে। সবকিছুতেই সার্কাস চলছে। চমৎকার লিখেছেন। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা নিরন্তর
রায়হান সিদ্দীক
মেয়েদেরকে চুপ থাকাতে শেখানোর প্রথাটাই আমাদের পাল্টাতে হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
রায়হান সিদ্দীক
মেয়েদেরকে চুপ থাকাতে শেখানোর প্রথাটাই আমাদের পাল্টাতে হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শামীম চৌধুরী
যে কিছুতেই নারীদের চুপ থাকা বলাটা একটা সামাজিক ব্যাধি।
আরজু মুক্তা
এখন অনেক চেন্জ আসছে। তবে, সহিংসতা কমেনি
সুরাইয়া পারভীন
সময়ের সাথে সাথে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন এসেছে বটে। তবে এতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না বরং ক্ষতিই হচ্ছে বেশি
ভালো লিখেছেন