মেঘালয়ের কারাংছড়ি ঝর্ণা

কামাল উদ্দিন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, ০৭:৪৯:৩৮অপরাহ্ন ভ্রমণ ২৪ মন্তব্য

কারাংছড়ি নামটা একেবারেই নতুন লাগছে? অস্বাভাবিক কিছু না। মেঘালয়ের পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় জেলার ভেতরে অবস্থিত চমৎকার এই নীল জলের ঝর্ণা। খুব বেশীদিন হয়নি এই ঝর্ণাটা আবিস্কৃত হয়েছে। তাই আগে মেঘালয়ে গেলেও এটার নাম শুনিনি। আর কিছুদিন আগে মেঘালয়ে যাওয়া আমাদের ভ্রমণ বাংলাদেশ টিমের কাছে নাম শুনে ও ছবি দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ওখানে যেতেই হবে।

মেঘালয়ের পাহাড়ের উপর দিয়া যাওয়ার সময় সব সময়ই আমার কাছে ওয়েষ্টার্ণ মুভিতে দেখা এলাকার মতো লাগে। তো বাংলাদেশের তামাবিল বা ভারতের ডাউকি বর্ডার পার হয়ে জৈন্তিয়া পাহাড়ের উপর দিয়া এমন ওয়েষ্টার্ণ এলাকা দিয়ে ঘন্টাখানেক পাড়ি দিয়ে পৌছতে হয় কারাংছড়ি ক্যাম্প সাইটে। ওখান থেকে বেশ কিছুদূর পাহাড়ি সরু রাস্তায় হেটে তবেই পৌছতে হয় কারাংছড়ি ঝর্ণায়। এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক আমার ক্যামেরায় কারাংছড়িকে...........


(২/৩) কারাংছড়ি ক্যাম্প সাইট, এখানে অতি সম্প্রতি নির্মিত কয়েকটি ছোট টিন সেড দালান ও নারকেল বা তাল পাতায় ছাওয়া কিছু কূড়ে বিদ্যমান। এখান থেকে হেটে নেমে যেতে হয় কারাংছড়ি ঝর্ণার দিকে।


(৪) পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে এমন সরু ইট বিছানো পথ ধরে এগিয়ে যেতে হয় ঝর্ণার দিকে।


(৫) কিছু দূর নামার পর ডান হাতে পরা ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে দুই পাহাড়ের মধ্যিখানে সরু একটা নদী, নদীরে শেষ মাথার জল আছড়ে পড়ছে একটা গিরিখাদে, এটাই আমাদের কাংখিত কারাংছড়ি ঝর্ণা।


(৬) ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ক্যমেরায় জুম টানলে ঝর্ণাটা যেমন দেখায়।


(৭) ভিউ পয়েন্টে আমাদের ভ্রমণ বাংলাদেশ টিম।


(৮) ঝর্ণায় পৌছতে এমন আরো কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হয়, ঝর্ণার জল এই ভাঙ্গাচোড়া ব্রীজের নিচ দিয়ে কলকল ধ্বনিতে ছুটে চলছে অজানা কোন গন্তব্যে।


(৯) এখান থেকে টিকেট কেটেই ঝর্ণার জলে ঝাপানো যায়।


(১০) উপর থেকে দেখা দুই পাহাড়ের মাঝখানের নদী এটা। এখানে বোটে চড়ে ঘোরা যায়।


(১১) লাইফ জ্যাকেট পড়ে বোট রাইডিংএ কিছু পর্যটক।


(১২) নদীটার শেষ প্রান্তে এবং ঝর্ণাটার শ'খানেক গজ আগে সিমেন্ট দিয়ে একটা বাধ দেওয়া, বাধের কারণে নদীর নাব্যতা সব সময় অটুট থাকে। আর বাধ উপচে পড়া পানিটুকু ঝর্ণার দিকে ছুটে যায়।


(১৩/১৪) আরো একটা মজার বিষয় হলো ইচ্ছে হলে এই ঝর্ণার পাশে পাহাড়ি জঙ্গলে তাবুতে বসবাস করতে পারেন।


(১৫) কাছ থেকে তোলা ঝর্ণার ছবি। তবে এই শীতে পানি অতি সামান্য, ভেবে রেখেছি আগামী জুলাই বা আগষ্টে ওর পূর্ণ যৌবন দেখতে যাবো।


(১৬) এই হিম শীতল জলেও কোন কোন পর্যটকের জল কেলীতে কোন কার্পণ্য নেই।


(১৭) ঝর্ণার নীল জল দেখার জন্য এখানে রয়েছে আরো একটা সুন্দর ভিউ পয়েন্ট।


(১৮) পাহাড়ি পথে নীল জলের ঝর্ণা দেখে ফিরে এসে ক্ষুধা লাগাটাই স্বাভাবিক, ক্যাম্প সাইটের তাল পাতার কুটিরে তাই সবাই খেতে বসে গেলাম।


(১৯) খাবারে বিশেষ কিছু ছিল না, তবে খাবার ছিল অমৃত।


(২০) সব শেষে এক কাপ র চা খেয়ে শরীরটাকে পুরোপুরি চাঙ্গা করে উঠে গেলাম আমাদের সুমু টাটায় এবং ছুটে চললাম পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ