মালয়েশিয়া ভ্রমণ (লাঙ্কাবি পর্ব)

ইঞ্জা ৩০ আগস্ট ২০২০, রবিবার, ০৯:৪৮:৪৭অপরাহ্ন ভ্রমণ ৩০ মন্তব্য

২০০৪, ২০০৫ সালের কোনো এক সময় জানতে পারলাম মালয়েশিয়াতে নিজেদের ব্রান্ড গাড়ি বানাচ্ছে, যেহেতু এক সময় গাড়ি ব্যবসায়ী ছিলাম তাই ভাবলাম যায় মালয়েশিয়া ঘুরে আসি।

তখন মালয়েশিয়ান সরকার পর্যটকদের সেই দেশ ঘুরে বেড়াবার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছিলো জেনে গেলাম পরিচিত এক ট্রাভেল এজেন্সিতে, তাদের কাছে জানতে চাইলাম বিষয়টা কি?

ওরা জানালো মালয়েশিয়ার ভিতরে যেকোনো দুইটা ডেস্টিনেশন গেলে সেখানে ভাড়া পড়বে  প্রায় পঁচিশ হাজার, সাথে যেকোনো এক ডেস্টিনেশনে দুই রাত এবং এক দিন মানে দুপুর বারোটা পর্যন্ত, যা সময়ে দুপুর তিনটা পর্যন্ত এক্সটেন্ড করা যায় এমন ব্যবস্থায় ফাইভ স্টার হোটেলে থাকতে পারবো কম্পলিমেন্টারি   ব্রেকফাস্ট সহ, কিন্তু কমছে কম দুইজন গেলেই তা সম্ভব।

আমি আশাহত হলেও আমার পাশের টেবিলে থাকা আমার এক পরিচিত জন বললো, আমিও যেতে চাই কিন্তু পার্টনার নেই।

দুজনে যুক্তি করে পার্টনার হয়ে গেলাম কিন্তু ডেস্টিনেশন চুজ করতে হবে দুইটা, পার্টনারের শখ লাঙ্কাবি যাবে, শুনেছে খুব সুন্দর আর আমি যেতে চাই কুয়ালালামপুর।

শেষমেশ ঠিক হলো উক্ত দুই ডেস্টিনেশনেই যাবো, যেহেতু লাঙ্কাবি যাবো তার সৌন্দর্য্য দেখতে, বেড়াতে, তাই কুয়ালালামপুর নেমেই প্রথমে যাবো লাঙ্কাবি, সেখানে তিন রাত এক দিন থেকে বিকালের ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর যাবো, এভাবেই টিকেট নিয়ে নিলাম, ভিসার সমস্যা নাই, কারণ এরাইভাল ভিসা, সুতরাং হোটেল বুকিং করালাম কুয়ালালামপুর গ্র্যান্ড মায়া হোটেলে, লাঙ্কাবিতে আমরা নিজেরাই হোটেল করবো।

যাক সব রেডি করে ফিরে আসলাম নিজ আলয়ে।

এক সপ্তাহ পরেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে চড়ে বসলাম দুজনে, বিমানে উঠেভতো আক্কেল গুড়ুম, পর্যটকের চাইতে লেবার বেশি প্লেনে, তাদের কর্মকান্ডের কারণে নিজেদের পর্যটক কম লেভার বেশি মনে হলো।

আমরা রাতের ফ্লাইটে ফ্লাই করার দরুন ভোরে পোঁছে গেলাম কুয়ালালামপুর নতুন টার্মিনালে, আমরা যেহেতু আগেই ট্রানজিটে লাগেজ দিয়ে রাখায় লাগেজ কালেকশনের ঝামেলা নেই, চলে গেলাম সিকিউরিটি চেকের জন্য।

সে সময় সিকিউরিটির এতো সমস্যা ছিলোনা, কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব কাজ সেরে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে এগুলাম ট্রানজিট ফ্লোরের দিকে।

আমাদের ফ্লাইট ছাড়লো সকাল সাড়ে সাতটায়, যখন লাঙ্কাবির কাছাকাছি হলাম, মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম লাঙ্কাবির সৌন্দর্য্য, উপর থেকেই দেখতে কত সুন্দর, না জানি নিচে কত সুন্দর হবে।

ফ্লাইট ল্যান্ড করার পর লাগেজ কালেক্ট করে বেরুলাম, টেক্সি হায়ার করে শহর দেখতে দেখতে খোঁজে লাগলাম সুইটেবল হোটেলের, খুঁজে পেতে এক হোটেল নিলাম বাংলাদেশি সাড়ে তিন হাজারে।

রিসেপশনে জানতে চাইলাম দেখার কি আছে?

ওরা জানালো, হয় পারাডাইজ আইল্যান্ড দেখতে যাও নাহয় পুলাও পায়ার দ্বীপ দেখতে যাও, যেহেতু তোমাদের সফর কম সময়ের তাহলে পুলাও পায়ার যাও।

যাবো ঠিক আছে কিন্তু কিভাবে?

ওরা বলে দেওয়াই টেক্সি নিয়ে চলে গেলাম নির্দিষ্ট এক মার্কেটে, ওখান থেকেই দুজনের জন্য শীপের টিকেট কাটলাম লাঞ্চ সহ, ওরা জানালো সকাল সাতটায় গাড়ি পাঠাবে আমাদের পিক করে শীপ ইয়ার্ডে দিয়ে আসবে, আবার ফেরার পর ওদের গাড়ি আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিয়ে যাবে।

আমরা টিকেট কেটে এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে গেলাম হোটেলে।

 

..... চলবে।

ছবিঃ গুগল।

0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ