আগের পর্বের লিঙ্ক- মামাকে দেখতে যাওয়া (পর্ব-২৫)
পর্ব-২৬
রাতের খাবার শেষে আমরা ১১টার মধ্যে যার যার রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম। সারাদিনের পরিশ্রম ও রাতে শপিং এবং ভরতপুর শহরটা দেখার জন্য ঘুরতে যাওয়ায় সবাই ক্লান্ত ছিলাম। বিছানায় শরীর হেলিয়ে দেবার পর কখন যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলাম বলতেই পারবো না।
ভোর ৬টায় আমাদের ট্যুর অপারেটর সুজিত বেরা সবাইকে ডেকে দিলেন। ঘুম থেকে উঠে সকালের কাজ সেরে যার যার মতন তৈরী হলাম। রাতে কিছু শুকনা খাবার বিস্কুট ও কেক আনা ছিল। এক কাপ কফির সঙ্গে সেগুলি খেয়ে শরীরটাকে ঝরঝরা করে নিলাম। রাতের ঘুম ভাল হওয়ায় ও ভোরে কফি পানে মনটা চাঙ্গা হয়ে গেল। সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে,পথে নাস্তা সেরে নিবো।
সকাল ৭টায় হোটেল থেকে রান্থম্ভোরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। প্রায় চার ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে হবে। শীতের সকাল। এরই মধ্যে সূর্য্য উঠে গেছে। ঝকাঝকা রোদ। গাড়ির ভিতর থেকে শরীরে সকালের মিষ্টি রোদের স্বাদ নিতে পারলাম না। তবে অনুভব করলাম। সারিস্কা টাইগার ফরেষ্টে বাঘের দেখা না পাওয়ায় সবার মন খারাপ ছিল। কিন্তু ভরতপুরে ৮৫ প্রজাতির নতুন পাখির ছবি তুলতে পারায় সেই কষ্টটা ভুলেই ছিলাম। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল। আমরা ভরতপুরের কেওলাদেও বনে ১৫০ প্রজাতির পাখির দেখা পেয়েছিলাম।
যাত্রা পথে ড. আমিনুর রহমান ভাই আবারো মামার প্রসঙ্গ তুললেন। উনার কথায় বুঝতে কষ্ট হলো না কোথায় আমাদের আক্ষেপটা। সবার মনের ভিতর একই প্রশ্নের ঢেউ খেলছে যে, রন্থাম্ভোর মামার দেখা পাওয়া যাবে তো?
সকলের সঙ্গে আমারও মনের অবস্থা একই ছিল। আমি মনে মনে ভাবছি, এত সফলতার পর যদি মামাকে দেখতে না পাই তবে মিশনটাই যেন ব্যার্থ না হয় ? ভাবনা থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। সবাইকে উৎসাহ দিলাম। বললাম, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফীটাই ভাগ্যের। সুতারাং ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে মামার দেখা পাবো। এই প্রসঙ্গে Black Bitern বা কালো বকের উদাহারন টানলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন না থাকায় এত তল্লাশীর পরও আপনারা কেউ কালো বকের দেখা পেলেন না। তাই বলে কি বার্ড ফটোগ্রাফীর ইতি টানতে হবে? মামার দর্শন যাদি নাও পাই সমস্যা নাই। দেখবেন, অন্য কিছু মামার চেয়ে ভালও পেতে পারি। এই বনে তো চিতা বাঘও আছে। এমনও হতে পারে মামাকে না পেয়ে চিতাকে পেলাম। আমার কথাগুলি শুনে সবাই বললেন আপনি আমাদের আশার বানী শুনিয়ে সবসময় চাঙ্গা রাখেন। মনোবল ভাঙ্গতে দেন না। ভ্রমনে এটাই আপনার দারুন একটি কৌশল। আমি অট্টহাসি হাসলাম। আমার সঙ্গে সবাই হা... হা... হা... করে হেসে উঠলো।
আমরা যে বনে যাচ্ছি তার একটা পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন মনে করলাম। কারন বনটা সম্পর্কে নুন্যতম একটা ধারনা থাকলে পাঠক বন্ধুদের অনেক কিছুই জানা হবে। এমনও হতে পারে অনেক পাঠক হয়তো রান্থম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের নামই শুনেন নাই।
চলুন, এক নজরে রান্থম্ভোর সম্পর্কে জেনে নেই। আমি রান্থম্ভোর পৌছার পর কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলি পাঠক বন্ধুদের কাছে উপস্থাপন করিলাম
মানসিংয়ের দূর্গ। বর্তমানে ওয়াচ টাওয়ার।
রান্থম্ভোর জাতীয় উদ্যান উত্তর ভারতের একটি জাতীয় উদ্যান প্রাথমিকভাবে ২৮২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছিল। ১৯৫৫ সালে ভারত সরকার মধপুর শাওয়াই খেলার অভয়ারণ্য (Sawai Madhopur Game Sanctuary) হিসাবে রান্থম্ভোর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৭৩ সালে বাঘের অন্যতম সংরক্ষণাগার প্রকল্প হিসাবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৪ সালে সওয়াই মানসিং অভয়ারণ্য এবং কেলাদেবী অভয়ারণ্য বন হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৯৮৮ সালে রান্থম্ভোরকে একটি জাতীয় উদ্যানে পরিণত করা হয়।
১৯৯২ সালে, টাইগার রিজার্ভটি সম্প্রসারিত করা হয়েছিল উত্তরের কেলাদেবী অভয়ারণ্য এবং দক্ষিণে সওয়াই মানসিংহ অভয়ারণ্যকে অন্যান্য বনাঞ্চলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ভারত সরকার দূর্গম পাহাড় ও বিশাল বনাঞ্চল এলাকা জুড়ে
বণ্যপ্রানীর অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলে। বর্তমানে আজ এটি ১৩৩৪ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত। বণ্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সংরক্ষনের দিকটা মাথায় রেখে প্রায় ১১০০ বর্গ মিটার এলাকা প্রশস্ত করে ভারত সরকার রাজস্ব আয়ের একটি বিরাট অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। এই বন থেকেই ভারত সরকার তার রাজস্ব আয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ এখান থেকে আসে।
দূর্গম পাহাড়ে রাজা মানসিংয়ের প্রাসাদ। বর্তমানে বনের হেরিট্যাজ।
পার্কে অবস্থিত বহু হ্রদের মধ্যে পদম তালাও এটি বৃহত্তম। হ্রদের প্রান্তে একটি লাল বেলেপাথর জোগি মহল পাওয়া যাবে। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসাবে বিবেচিত একটি বিশাল বন্য গাছও হ্রদের কাছে রয়েছে।
পদম তালাও হ্রদ।
রণথাম্ভোর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি বাঘের জন্য পরিচিত। এই প্রাণীগুলিকে তাদের প্রাকৃতিক জঙ্গলের আবাসে দেখতে হলে এই ন্যাশনাল পার্ক একটি জনপ্রিয় স্থান। দিনের বেলাতেও বাঘ সহজেই দেখা যায়। রান্থম্ভোর জাতীয় উদ্যানের বাঘ দেখার জন্য সেরা সময়টি নভেম্বর এবং মে মাসে বলে মনে করা হয়। পার্কের পাতলা বনগুলি মধ্য ভারতে পাওয়া জঙ্গলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদাহরণ। অন্যান্য জীবজন্তুর মধ্যে রয়েছে চিতাবাঘ, নীলগাই, বুনো শুয়োর, সম্বর, ডোরাকাটা হায়েনা, স্লট ভালুক, দক্ষিন সমভূমি ধূসর ল্যাঙ্গুর, রেসাস মাকাক, কুমির কুমির এবং চিতল। এই অভয়ারণ্যটিতে বিভিন্ন ধরণের গাছ, গাছপালা, পাখি এবং সরীসৃপের পাশাপাশি ভারতের বৃহত্তম বটবৃক্ষ রয়েছে। এই বটবৃক্ষের বয়স তিনশত বছরের অধিক বলে জনশ্রুতি আছে।
এটি দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানের সাওয়াই মধপুর জেলায় অবস্থিত।। এই পার্কটি কোটা রেলস্টেশনের খুব কাছেই। রণথাম্বোর জাতীয় উদ্যানটি মালভূমির প্রান্তে অবস্থিত এবং উত্তর দিকে বনাস নদী এবং দক্ষিণে চম্বল নদী দ্বারা আবদ্ধ। পার্কের ভিতরে রাজা মানসিংয়ের একটি দূর্গ আছে। যার নাম রাণথাম্ভোর দূর্গ। পার্কের মধ্যে অবস্থিত ঐতিহাসিক রাণথাম্ভোর দুর্গের নামে এই পার্কটির নাম রাণথাম্ভোর ন্যাশনাল পার্ক রাখা হয়েছে।
রণথাম্বোর বিশাল বাঘের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পর্যটন খ্যাত। ভারত সরকার ১৯৭৩ সালে বাঘের প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করে এবং পার্কের ভিতরে ৬০ মাইল আয়তনের একটি বাঘের অভয়ারণ্য অঞ্চল হিসাবে বরাদ্দ দেয়। এই অঞ্চলটি পরবর্তীতে রণথাম্ভোর জাতীয় উদ্যানের আকারে পরিণত হয়।
দূর্গম পাহাড়ের কোল ঘেষে বন।
২০০৫ সালে,পার্কে ২৬ টি বাঘ থাকত। এটি ১৯৮২ সালে রিজার্ভের রেকর্ড হওয়া বাঘের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম ছিল, যা ৪৪ এ দাঁড়িয়েছিল। বেসরকারী সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে রান্থম্ভোর জাতীয় উদ্যানে ৩৪ প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ ছিল এবং ১৪ শাবকেরও বেশি ছিল। এই বৃদ্ধি মূলত পঞ্চাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে বন কর্মকর্তাদের টেকসই প্রচেষ্টার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। এই অঞ্চলের গ্রামবাসীদের পার্কের বাইরে থাকার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছিল, এবং নজরদারি ক্যামেরাও রিজার্ভ জুড়ে লাগানো হয়েছিল। এই প্রচেষ্টাগুলির জন্য ভারত সরকার ১৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়ে খরচ করে।
পরবর্তীতে রান্থম্ভোরকে সরিস্কা টাইগার রিজার্ভ স্থানান্তর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার যোগ্য করে তুলতে তারা যথেষ্ট সফল হয়েছিল। পুরুষ বাঘের প্রথম আকাশে স্থানান্তরিতকর রান্থম্ভোর থেকে সরিস্কায় যাওয়া, উইং কমান্ডার বিমল রাজ একটি এমআই -১ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ২৮ জুন ২০০৮ সালে সম্পন্ন করেছিলেন।দুর্ভাগ্যক্রমে, এই অনূদিত বাঘটি বিষাক্ততার কারণে ১৫ নভেম্বর ২০১০-এ মারা গিয়েছিল।
পার্কের অঞ্চলটি শুকনো পাতলা বন এবং খোলা ঘাসের জমিগুলি মধ্যে বেষ্টিত। পার্কে ৫৩৯ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ফুলের গাছ রয়েছে।
২২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বনের বর্ণনা শুনে খুব আকর্ষণ বোধ করছি, ওদের সরকার এসব বিষয়ে বেশ সচেষ্ট শুনে ভালো লাগলো ভাই।
অপেক্ষায় রইলাম।
শামীম চৌধুরী
ঠিক বলেছেন ভাই।
আপনি এই অল্প কথায় আকর্ষিত হলেন। আর আমি নিজের চোখে দেখে স্থির হয়ে গিয়েছিলাম। প্রকৃতির এত রূপ কোথা থেকে যে আসে সেটার প্রেমেই হাবুডুবু খাচ্ছিলাম।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এ অস্বাভাবিক কিছুই নয়, প্রকৃতির অমোঘ টান খুব কম মানুষই অবহেলা করতে পারে।
তৌহিদ
আজকের লেখাটি গোগ্রাসে গিললাম কিন্তু। সত্যিকথা বলতে আজ রান্থোম্ভর সম্পর্কে আজই প্রথম জানলাম। আপনি একদম জিওগ্রাফি বইয়ের মত যেভাবে পরিচয় করালেন, ছবিগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হলো আমিও আপনাদের সাথে সেখানে উপস্থিত।
ছবিগুলি অসাধারণ। মানসিং এর দূর্গ, বনাঞ্চল, পদম তালাও হ্রদ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। মামার দেখা না হওয়াটাই দুর্ভাগ্যের হবে কিন্তু!
আপনার লেখায় যাদু আছে। পাঠককে আকৃষ্ট করতে ওয়াইল্ড লাইফ ভ্রমণ লেখায় আপনার জুড়ি নেই সত্যি। সোনেলায় আপনাকে সহব্লগার হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত ভাইজান।
শুভকামনা সবসমত।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ছোট ভাই।
তোমার মতন একজন প্রতিভাযশঃ মানুষের সঙ্গে সোনেলায় ও ফেসবুকে থাকতে পারায় সেটাও আমার বিশাল প্রাপ্তি। তোমার গঠনমূলক মন্তব্য ও উৎসাহ প্রদান আমাকে আপ্লুত করে। বেশী বেশী কাজ করার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।
মামার দেখা পাওয়াটা এখন ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা হবেই।
শুভ কামনা রইলো।
তৌহিদ
দোয়া রাখবেন ভাইজান।
ফয়জুল মহী
অনবদ্য প্রকাশ । মনোলোভা l
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ সুহৃদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওয়ার্ল্ড লাইফ ভ্রমণ কাহিনীতে আপনি অনবদ্য ভাইয়া। প্রতিটি অংশ , খুঁটিনাটি বিষয় বিস্তারিত জানানোর জন্য অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাইয়া। আমিতো বনটির ফিদা হয়ে গেছি। আরো ডিটেইলস ছবি চাই রান্থম্ভোরের। আশা করি এবার আর বিফল হবেন না বাঘ মামা দেখা থেকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
শামীম চৌধুরী
দিদিভাই,
যে কোন ভ্রমন কাহিনী যদি ডিটেইলস তুলে ধরা না যায় তবে সেটা পড়তে পাঠকদের আকর্ষন কমে যায়। যে কোন কাহিনীতে থ্রীল থাকতে হবে। পাঠক যেন আতংকে থাকে পরের লাইনে বা প্যারায় কি ঘটতে যাচ্ছে। আর সেই ভ্রমন যদি এ্যাডভেঞ্চার মূলক তাহলে লেখককে নজর রাখতে হবে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি তাঁকে সুচারুভাবে ফুঁটিয়ে তোলার জন্য। পাঠক যেন পঠনের সময় মনে মনে ভাবতে পারে যে, সে নিজেেই লেখকের ভ্রমন সঙ্গী ছিলো।
আমি চেষ্টা করি। কতটুকু হয় জানিনা। সেটা বিচারের দায়িত্ব আপনাদের মতন শুভাকাংখীদের।
শুভ কামনা রইলো দিদিভাই
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই আপনি সফল ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল
ছাইরাছ হেলাল
৮৫টি নূতন প্রজাতি সহ মোট ১৫০ টি পাখি দেখে ফেলেছি!!
রান্থম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের নাম সত্যি শুনিনি, এবারে বিস্তৃত এই বনের কথা জানলাম।
চালু রাখুন, ভাই।
শামীম চৌধুরী
পাঠক বন্ধু সহ আপনাকে রন্থম্ভোর ন্যাশনাল পার্ক লেখায় জানাতে পারি ধন্য। আরো ভালো লাগতো যদি এমন কোন এ্যাডভেঞ্চার ভ্রমনে মহারাজ সঙ্গী হন।
সে পর্যন্ত ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
সত্তুরে কী আর এ্যাডভেঞ্চার হয়!!
শামীম চৌধুরী
সেটা তো মাত্র একটা সংখ্যা।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার শামীম দা স্যালুট জানাই
শামীম চৌধুরী
কৃতজ্ঞা
ভাল থাকবেন।
শুভ কামনা রইলো।
আরজু মুক্তা
আমরাও কি ১৫০ টি পাখি দেখলাম? রান্থোতর বনের বর্ণনায় মুগ্ধ।
ধন্যবাদ ভাই
শামীম চৌধুরী
নাহ আপু আপনাদের সেটি দেখাতে পারিনি বলে ক্ষমা চাচ্ছি। তবে পর্যায় ক্রমে একে একে সব দেখতে পাবেন। যদি বেঁচে থাকি।
দোয়া করবেন আমার জন্য।
আপনার জন্য রইলো শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বণ্যপ্রানীর অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলে। বর্তমানে আজ এটি ১৩৩৪ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত। বণ্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও সংরক্ষনের দিকটা মাথায় প্রায় ১১০০ বর্গ মিটার এলাকা প্রশস্ত করে ভারত সরকার রাজস্ব আয়ের একটি বিরাট অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। এই বন থেকেই ভারত সরকার তার রাজস্ব আয়ের প্রায় ১৫ শতাংশ এখান থেকে আসে।*****
ভারত সব দিকেই অনেক এগিয়ে। আমাদের রাজস্ব এদিক দিয়ে অনেক কম।
তাদের অধিকাংশ টিভি চ্যানেল গুলোতে এ্যাড দেয় সেভ দ্যা টাইগার। আপনার লেখাতেও জানা গেল বাঘের সংখ্যা বাড়ছে।
শুভ কামনা ভাইয়া।
ভালো লাগলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
মানসিংহের দুর্গ যা পড়েছিলাম পাঠ্য বইয়ে
আপনার লেখায় আবার জীবন্ত হয়ে উঠে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
মামাকে দেখার বাহানায় কত যে অসাধারণ জায়গার বর্ণনা ও ছবি দেখালেন, তা আমাদের দারুণভাবে মুগ্ধ করছে। এগিয়ে যান প্রিয় ভাই।