
এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তাদের আশ্রয় দেয়া থেকে শুরু করে খাবারদাবার, নিরাপত্তা, চিকিৎসায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে নোয়াখালীর ভাষানচরে নির্মিত অত্যাধুনিক আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের স্থানান্তরিত করার প্রয়াস ব্যর্থ হতে চলেছে!
এর কারণ হচ্ছে, চল্লিশজন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ভাষানচর পরিদর্শন শেষে তারা বলেছেন এখানে নাকি রোহিঙ্গা বসবাসের অনুপযোগী! তো মানবতা দেখিয়ে যারা একসময় রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, টাকাকড়ি প্রভৃতি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন আজ তারা কোথায়? তাদের মানবতা কি শেষ হয়ে গিয়েছে? তারা আজ লুকিয়ে কেন?
আমরা যারা সারাদিন মানবতা মানবতা করে ফেসবুকের নিউজফিড ভর্তি করে ফেলি এখন সময় এসেছে তাদের কাজেকর্মে তা প্রমাণ দেবার। কিভাবে? আমরা রোহিঙ্গাদের মনোমত আরামদায়ক আবাস্থল নিশ্চিত করে এ কাজটি সহজেই করতে পারি।
তবে শুরুটা হতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। যেকোন বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার যেমন একজন কর্মচারীর চেয়ে বেতনভাতা, সুযোগসুবিধা বেশী ঠিক তেমনি আর কি! যারা উচ্চ পর্যায়ের এবং বিলাসবহুল এলাকায় থাকেন প্রথম তাদের এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শুরু হবে।
রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ শুরু হতে পারে মন্ত্রীপাড়া থেকে। এরপরে বিরোধী দলীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এলাকা দিয়ে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরা দিয়ে জেলাশহর গুলোতে বিস্তার পাবে।
তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে চল্লিশজন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাষানচরে গিয়েছিলো তাদের জন্য আলাদা স্যুইট বরাদ্দ থাকবে রেডিসন, রুপসী বাংলা, পূর্বাণী, সোনার গাঁ সহ বিভিন্ন তারকা মোটেলে। হাজারহোক তারা রোহিঙ্গাদের মধ্যে থাকা নেতাগোছের লোকজন।
আমি যেহেতু উত্তরবঙ্গের কোণা কামচায় থাকি ভাগে পড়তে পড়তে আমার এখানে যে কোন টাইপের রোহিঙ্গা আসবে সেটা নিয়েই চিন্তিত। অবশ্য একচেঞ্জ অফার চালু করলে মন্দ হবেনা। ধরুন আমার ভাগের রোহিঙ্গাটাকে আমার খারুস বসের বাসার রোহিঙ্গাটার সাথে অদলবদল করলাম!
অন্যদিকে জীবনে অনেক প্যারা খেয়ে ব্রেকআপ হওয়ার সর্বশেষ প্রদেয় প্যারার প্রতিশোধ হিসেবে যে কেউ তার এক্স বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ডের বাসার সাথেও অদলবদল করতে পারেন। এরকম কিছু আইডিয়া নিজেরাই ভেবে নিন। কেউ কেউ যে তার শ্বশুর বাড়ির রোহিঙ্গাটার সাথেও নিজের রোহিঙ্গাকে অদলবদল করবেন তা নিশ্চিত!
রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নিয়ে ভিন্নতর কোন আইডিয়া আপনিও মন্তব্যে বলতে পারেন। মানবতার ক্ষেত্রে আপোষহীন থেকে রোহিঙ্গাসেবাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করুন। মানবতা দেখিয়ে প্রত্যেকে একজন করে রোহিঙ্গাকে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে মানবতার মহানুভবতা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিন।
মানবতাকি জয় হো!!
[তথ্যসূত্র – লেখার নীল কালিতে হাইলাইটেড
ছবি- নেট থেকে।]
২৭টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
ফাস্ট হলাম॥কাল আবার পড়ব এবং বিস্তারিত মন্তব্য করব ভাইয়া। শুভ রাত্রি।
তৌহিদ
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। আসুন, অপেক্ষায় রইলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হ মানবতার জয় হোক আর নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারি! দারুন লিখেছেন ভাইয়া। এদের জামাই আদর দিয়ে দিয়ে সরকার খুব নাম কামাইছে সারাবিশ্বে। এখন আর নামাতে পারছে না ঘাড় থেকে যেন ঘরজামাই শর্তে এদের রাখা হয়েছিল। দেশের বারোটা বাজিয়েছে, পরিবেশের দফারফা করেছে , সেইসাথে মানবতার চরম বেইজ্জত করেছে, নাম ডুবাইছে। যারা জাতি ভাই হবার জন্য খুব দরদ দেখাইছিল তাদের ঘরে ঘরে পুশ করা হোক একেকজন রোহিঙ্গা। তাহলে আর কোনদিন এইসব আদিখ্যেতা দেখাবো না। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। একসময় জাতিভাই বলে পাকিস্তানরে বরণ করে বাঁশ খাইছিল আর এখন রোহিঙ্গা নিয়ে চরম বাঁশ খাইতেছে। আশ্রিত হয়ে এরাই এখন আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
মানবতার মূল্য যারা দিতে জানেনা তারা বর্বর। তাদের মানবতা দেখানোর মত বড় মন আমার নেই।
চমৎকার মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা আপু।শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
কথায় বলে না বসতে দিলে শুতে চায়।
এইসব রোহিঙ্গাদের হয়েছে সেই দশা।
রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের
মানবতা দেখিয়ে আশ্রয় দিল, খেতে দিল না ঐ দিয়ে পোষাচ্ছে না। এখন তাদের বিলাস বহুল দ্বিতল বাড়ি গাড়ির ব্যবস্থা দরকার।
একদম দুর্দান্ত আইডিয়া দিয়েছেন ভাইয়া।
এইসব সবারই কাজে লাগিয়ে নিজেদের মানবতার দূত অস্কার পাওয়া ব্যবস্থা করা উচিত
তৌহিদ
এদের এখন শোয়ায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মাইর লাগাতে হবে। মগের মুল্লুক পাইছে নাকি!
ভালো থাকুন আপু।
ইঞ্জা
মানবতার মা মারা গেছে, রোহিঙ্গারা রাজার হালে থেকে মা★★ী দিতে শিখে গেছে, এখন শুধু অপেক্ষার, দেখবেন একদিন সত্যি ওদের হাতে মা★★ী খাবে এই দেশ। 😡😠
তৌহিদ
দাদা, এদের ফেরত না পাঠালে এদেশে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কিছু ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। এটা ভেবেই আমি শঙ্কিত।
ভালো থাকুন দাদা।
ইঞ্জা
স্বাভাবিক ভাবেই শংকার কথা ভাই।
শামীম চৌধুরী
খাল কেটে কুমির আনার গল্প। এদের পিছনে উস্কানীদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে।
তৌহিদ
তারা কারা, যারা রোহিঙ্গা থাকাতে লাভবান হচ্ছে! বিদেশী সাহায্য রোহিঙ্গা ছাড়া আর কারা ভোগ করছে এবং সেখানে যেসব এনজিও কাজ করছে সব কিছুর উপর নজরদারী জরুরী ভাইজান।
ভালো থাকুন।
কামাল উদ্দিন
এক সময় মসজিদে মসজিদে রোহিঙ্গাদের জন্য পুরোনো কাপড়, টাকা পয়সা তোলার হিড়িক লেগেছিল। এখন আমাদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। জানিনা এর সমাধান কোথায়?
তৌহিদ
এদের অনেকেই রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ে করতেও চেয়েছিলো। আজ তাদের মানবতা পালিয়েছে মনে হচ্ছে!
ছাইরাছ হেলাল
এই সমস্যার শিকড় খুব গভীরে প্রোথিত বলেই মনে হচ্ছে।
তৌহিদ
এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং এদেশের কিছু ভুলনীতিও অনেক বড় কারন।
ভালো থাকুন ভাইজান।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার মানবতা কথা বলেছেন তৌহিদ দা জয় হোক রোহিঙ্গাদের
তৌহিদ
পোষ্ট পড়েছেন তো!!
সব জায়গায় মানবতা গ্রহণীয় নয় যে!!
আরজু মুক্তা
আর্মির মাইর দরকার। তারপর দেখেন, ভাসানচর পছন্দ না হয়ে যাবে কই?
তৌহিদ
কিছু সময় মাইরের উপ্রে ওষুধ নাই কিন্তু। কিন্তু মারতে গেলে মানবতা সামনে চলে আসে।
সুপায়ন বড়ুয়া
যারা মানবতার কথা বলেছিল তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু ছিল। আজ স্থানীয় লোকজন সংখ্যালগু হয়ে মানবেতর ও ভয়ের মধ্যে জীবন যাপন করছে।
আর মাদক আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের গোল্ডেন রুট পরিনত হয়েছে। যারা আগে ৪ লাখ অনুপ্রবেশ কারী ছিল তারা আজ ঐ এলাকায় প্রতিষ্টিত মাদক আর মানব পাচারকারী।
জানি না এর পরিনতি কি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
একদম ঠিক বলেছেন দাদা। মানবতার দোহাই দিয়ে যারা তাদের আশ্রয় দিয়ে সুবিধা লাভ করতে চেয়েছিলো তারা আজ কোথায়? একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিঃস্বার্থভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষ সেটাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ভালো থাকুন দাদা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এটাকে বলে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন॥থাকতে থাকতে এখন চর্বি লাগার পর্যায়ে পড়েছে তাই আর যেমন তেমন ভালো লাগছে না।
ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে আপদ।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
এখন এটা করা ছাড়া আরর গতান্তর নেই আপু। এরা দিনে দিনে জেঁকে বসেছে।
শুভকামনা সবসময়।
হালিম নজরুল
“রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ শুরু হতে পারে মন্ত্রীপাড়া থেকে। এরপরে বিরোধী দলীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এলাকা দিয়ে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরা দিয়ে জেলাশহর গুলোতে বিস্তার পাবে।
তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে চল্লিশজন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাষানচরে গিয়েছিলো তাদের জন্য আলাদা স্যুইট বরাদ্দ থাকবে রেডিসন, রুপসী বাংলা, পূর্বাণী, সোনার গাঁ সহ বিভিন্ন তারকা মোটেলে। হাজারহোক তারা রোহিঙ্গাদের মধ্যে থাকা নেতাগোছের লোকজন।”
————–এই প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে।
তৌহিদ
সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করা হোক। আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে এরা।
ভালো থাকুন ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
ছোট বোন কক্সবাজারে থাকে। ওরা রোহিঙ্গাদের কারণে অনেক অসুবিধে ভোগ করছে। ওদেরকে মানবতার দেখাতে গিয়ে সথানীয়দের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
আপু লিখতেই হয় এর কারন যারা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে থাকছেন তারা সহ এদেশের সকল মানুষ ভুক্তভোগী হবে এর কারনে।
ভালো থাকুন আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।