প্রকৃতির সাথে যুদ্ধকরে আজ পর্যন্ত কোনো গোত্র বা মানবজাতি পারেনি বা পারবেও না বরং যে দেশ, গোত্র প্রকৃতির দুঃখ কষ্টকে নিজের দুঃখ কষ্ট করে নিয়ে প্রকৃতির প্রেমে জীবন বিলীন করেছে সেই জাতি সর্বোত্তম জাতি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এটাই সত্যি!
তাহলে বাংলাদেশের বাঙালি জাতির সভ্যতা আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে যে জাতি এদেশের মাটি, গাছ, পশু, পাখি, বাঁচানোর জন্য একটি মানুষের কথায় জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে। সে জাতি আজ সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে কি বুঝাতে চায়? এই সুন্দরবন আমাদের প্রাণ! এবং এখানকার পানি লবণাক্ত, এইখানে নদী, খাল, বিল, যদি ভরাট হয়েযায় তাহলে বন্যার কবলে পড়বে লক্ষ লক্ষ একর জমি, এবং পানির তলদেশে হাবুডুবু খাবে এইসকল জমি । ধ্বংস হয়ে যাবে ফসলিজমি, মানুষ পরে যাবে হাহাকারে। আর এই হাহাকার এসে হানাদিবে জাতীয় খাদ্যাগারে। দেশ জাতি পড়েযাবে এক মহা সংকটে। যেখান থেকে আমরা চাইলেও ওঠে আসতে পারবো না। কারণ প্রকৃতি একবার অভিমান করলে ধ্বংস করেদেয় পুরো পৃথিবীকে! সেখানে একটি বাংলাদেশ কী?
মহেঞ্জোদারো সিনেমায় এক অত্যাচারী রাজা, তার নিজ স্বার্থের জন্য একটি নদীকে আটকে দিয়ে প্রকৃতির সাথে ঠাট্টা মস্করা শুরু করছিলো কিন্তু প্রকৃতি তা সহ্য করতে পারেনি তাই ইতিহাসের পাতাথেকে মহেঞ্জোদারো কে ধ্বংস করে দিয়েছে। যদিও এই সিনেমার ইতিহাস নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। যেখানে আজও মহেঞ্জোদারো ইতিহাস জানাযায়নি সেখানে এই ছিনেমা পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকার কোথা থেকে এই ইতিহাস পেয়েছে ?
ভারতবর্ষের প্রথম সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান মহেঞ্জোদারো সিন্ধু সভ্যতার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তবে সিন্ধুর বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি প্রত্নতাত্ত্বিকরা। না পাওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ঠিক কীভাবে ধ্বংস হলো এ সভ্যতা এবং সিন্ধু সভ্যতার লিপি পাঠোদ্ধার। কেমনভাবে শেষ হলো নগরভিত্তিক প্রাচীন সভ্যতাটি? এসব প্রশ্নের একক কোনো উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেহেতু ওই সময়কার কোনো নির্ভরযোগ্য রেকর্ড নেই, তাই ঐতিহাসিকদের পক্ষে ছোটখাটো তথ্যের ওপর ভর করে অনুমান করতে হচ্ছে। খনন করে একটা ব্যাপার জানা গেছে, সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ শতাব্দীর মধ্যে। সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল আচমকা।
শামীম
২৩ অগাস্ট ২০১৬
Thumbnails managed by ThumbPress
১৯টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
এই সব জান্তার সরকারের লোক ও জানে কিন্তু তালগাছ যে তাঁদের।
ক্রিস্টাল শামীম
হা ভাই কথা ঠিক বলেছেন। তালগাছ তাদের কিন্তু আমাদের তো মরণ ! ধন্যবাদ ভাই -{@
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
মৌনতা রিতু
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সমাজতত্ত্ববিদ ইবনে খালুদুনের মতে কোনো সম্রাজ্যের পতনের পিছনে অনেকগুলো কারন থাকে। এবং সাধারনত কোনো সম্রাজ্য বা বংশের স্থায়ীকাল চলে চার পুরুষ পর্যন্ত। সেই সময়ের হিসেব মতে, গড় বয়স ১২০ বছর করে ধরলে পাঁচশো বছর পর্যন্ত ধরা যায় কোনো সম্রাজ্যের স্থায়িত্বকাল। আমরক ইতিহাস পড়ে যতটুকু জানতে পারি, তাতে যে কোনো এক পুরুষের উন্মাদ চালচলনে বিলীন হয় একটা বংশ বক সম্রাজ্য।
আর রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে আর কি বলব! আমার দাদা বাড়িই তো এই রামপাল থানায়। আদাঘাট গ্রামে। সুন্দরবন ধ্বংস হবে এটা অবশ্যই। সুন্দরবনকে ওখানকার মানুষ মা বলেই মনে করে। এই সমুদ্রের ঝড় তুফান, জলচ্ছাস থেকে এই সুন্দরবনই রক্ষা করে।
এই নিয়ে লিখেছি অনেক। এখন স্পিক্টি নট হয়েছি।
ধন্যবাদ।
ক্রিস্টাল শামীম
আমি বুঝতে পেরেছি আপনি ইতিহাসের রানী। তাই ইতিহাস আপনার চিন্তাচেতনায়। সুন্দরবন আমাদের মা একথা অস্বীকার করে বাংলার মাটিতে পা রাখলে এ মাটি আমাকে ক্ষমা করবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। -{@
ব্লগার সজীব
শিরোনেমে যদি বানান ভুল থাকে তবে পড়ার আগ্রহ নস্ট হয়ে যায়। এটি পোস্ট করার আগেই দেখে নিবেন এর পর থেকে। ছিনেমা, নির্ধারকদেড় বানান দুটো ঠিক করুন। প্রজন্ত কি শব্দ? পোস্ট দিয়ে উধাও না হয়ে নিজের লেখার এসব ত্রুটি ঠিক করে উধাও হবেন।
ক্রিস্টাল শামীম
ধন্যবাদ ভাই , হা আপনার কথা এরপর অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে ইনশাল্লাহ, আপনারা যদি এইভাবে ভুলগুলি দেখিয়ে দেন একদিন ঠিক হয়েযাবে ইনশাল্লাহ।
“প্রজন্ত” মানে যেমন {ভেড়ারহাট বাজার হইতে বাসইষ্ঠান্ড প্রজন্ত রাস্তা নির্মান }
আপনাকে অনেক……………………অনেক ধন্যবাদ ভাই। :v
ব্লগার সজীব
আপনি তো খুবই ভাল মানুষ 🙂 রাগ করেন নি। অনেকেই রাগ করেন, এমনকি ব্লগ থেকেও এই সামান্য কারনে চলে গিয়েছেন। ওটা প্রজন্ত হবে না ভাইয়া হবে পর্যন্ত।
সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবেই।
ক্রিস্টাল শামীম
ধন্যবাদ লেখে দেখানোর জন্য সজীব ভাই -{@
ইঞ্জা
টাল হয়ে যখন মাল বলে “সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে গেলেও রামপাল হবে”, তখন বুঝা যায় যে “দেশ যাক জাহান্নামে, আমাদের কাজ আমরা করবই” তখন আর কি শিখবে ওরা। 🙁
ক্রিস্টাল শামীম
হুম আপনি ঠিক বলেছেন আপু । ধন্যবাদ আপনাকে
ইঞ্জা
ভাই আমি আপু নই ভাই (male)
অনিকেত নন্দিনী
প্রজন্ত – পর্যন্ত
মানব জাতি – মানবজাতি
সর্ব উত্তম – সর্বোত্তম
বাচানুর জন্য – বাঁচানোর জন্য
যুদ্দ্ব – যুদ্ধ
বরাট – ভরাট
পানিরতল দেশে – পানির তলদেশে
খাদ্যোগারে – খাদ্যাগারে
যে খানথেকে – যেখান থেকে
একটি বাংলাদেশ কি? – একটি বাংলাদেশ কী?
নিজস্বার্থের জন্য – নিজ স্বার্থের জন্য
কীভাবে – কিভাবে
প্রকৃতির সাথে যুদ্ধকরে আজ প্রজন্ত কোনো গোত্র বা মানব জাতি পারেনি বা পারবেও না! বরং যে দেশ, গোত্র প্রকৃতির দুঃখ কষ্টকে নিজের দুঃখ কষ্ট করে – বরং একটি অব্যয় শব্দ। অব্যয় দুইটি বাক্যকে জোড়া লাগায় অর্থাৎ দুটি বাক্যের মধ্যে অব্যয় বসে, অব্যয় দিয়ে বাক্য শুরু হয়না।
দুঃখিত। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন কিন্তু মূল বিষয়টা ভুলের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে। ভুলগুলি বড্ড বেশি চোখে লাগছে। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বক্তব্য উপস্থাপন হতে হবে জোরালো। মাত্রাতিরিক্ত বানান ভুল বক্তব্যের জোর কমিয়ে দেয়।
হ্যাপি ব্লগিং।
ক্রিস্টাল শামীম
ধন্যবাদ আপনাকে । এতো সুন্দর ভাবে আমাকে বুঝিয়ে দেবার জন্য। আরো ধন্যবাদ এত ভুলের মাঝেও আপি মন্তব্য করেছেন। সত্যি আমার অনেক আনন্দ হয় যখন আমার ভুল গুলি আপনারা সুন্দর ভাবে লেখে বুঝাইয়া দেন ।
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি ভুল ধরিয়ে দেয়ার পরও যে আন্তরিকভাবে সেটা মেনে নিয়েছেন, এখানেই আপনার বড়ত্ত্ব।
ক্রিস্টাল শামীম
ধন্যবাদ আপু আপনাকে, মিষ্টি একটা মন্তব্য করার জন্য। -{@
আহমেদ রশিদ বাহার
ভাল লেগেছে আপনার লিখাটি, মুভিটির লিংক আছে কি ?
আবু খায়ের আনিছ
আগে সিনেমাটা দেখি তারপর বলা যাবে।
তবে, সুন্দরবন ধ্বংস হলে আমাদের রক্ষা নেই। রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চাই না, সুন্দরবন চাই।
ক্রিস্টাল শামীম
হা দেখেন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।