“মহান আল্লাহতালা রিযিক দাতা”

জি.মাওলা ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, মঙ্গলবার, ০১:৫৭:২৮অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২ মন্তব্য

“মহান আল্লাহতালা রিযিক দাতা”

যাদের প্রান আছে তারা জীব। এই জীব জগতকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা—
১। উদ্ভিদ

২। প্রাণী
এই উদ্ভিদ ও প্রাণী আবার আকে অপরের উপর নির্ভরশীল। কেও কাওকে ছাড়া বাঁচতে পারে না। প্রথমে মনে করা হত উদ্ভিদ এর আবার প্রান কি?
আমাদের কৃতি বিঙ্গানি জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমান করেন যে----“ উদ্ভিদেরও প্রান আছে।“
পৃথিবীর আদি ইতিহাস হতে যানা যায়( বিগ ব্যাং থিওরি) প্রথমে পৃথিবী ছিল উশর মরুময়। মহান আল্লাহতালা আকাশ হতে বারি বর্ষণ করে মৃত উশর জমিনকে জীবন্ত করে তুললেন। ফলে পৃথিবী হয়ে উঠল সবুজ শ্যামল। এর পর পাঠালেন বিভিন্ন প্রাণী। এসব প্রাণী উদ্ভিদের লতা-পাতা, শস্য-বীজ ও ফল খেয়ে জীবন ধারণ করে।
এতে প্রকাশ পায় “মহান আল্লাহতালা রিযিক দাতা”।
আর এই রিজিক তিনি তার সৃষ্টি কুলের কাছে পৌঁছানোর জন্য এমন এক শৃঙ্খল বা নিয়ম তিনি এই প্রকৃতিতে দিয়ে দিয়েছেন আমরা একটু খেয়াল করলেই তা দেখতে পাই।

বিঙ্গানের ভাষায় একে বলে----- খাদ্য জাল ।
>> এই খাদ্য শৃঙ্খল ২টি বিষয় এর ভিতর নিহিত-----১।অক্সিজেন(O2) ও খাদ্য উৎপাদন ২। খাদ্য শৃঙ্খল।
>>> প্রাণী সমূহের শ্বাস- প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন(O2) প্রয়োজন হয়। আল্লাহতালা উদ্ভিদের দেহে এমন এক প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছেন, জার কারনে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সবুজ পাতায় সবুজ কনিকা ক্লোরোফিল এর সহায়তায় সূর্যের আলোকে শর্করা খাদ্য তৈরি করে এবং বায়ুতে অক্সিজেন(O2) গ্যাস ছেড়ে দেয়। প্রক্রিয়াটি নিন্ম রুপ-----
CO2 + H2O---- ( আলোক+ ক্লোরোফিল)--- C6H12O6(শর্করা) +O2
প্রাণী সমূহ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য উদ্ভিদ কর্তৃক বায়ুতে ত্যাগ করা অক্সিজেন(O2) গ্রহণ করে এবং বায়ুতে কার্বনডাই অক্সাইড(CO2) ছাড়ে।
প্রাণীরা যে সব খাদ্য গ্রহণ করে( C6H12O6- শর্করা) তাতে থাকে কার্বন(C)।

আল্লাহতালা প্রাণী দেহে এমন একটি প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছেন যার কারনে তাদের খাওয়া খাদ্যে বিদ্যমান কার্বন(C) জারিত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড(CO2) গ্যাসে পরিণত হয় এবং প্রাণী দেহে তাপ উৎপন্ন হয়।

উৎপাদিত তাপ প্রাণী দেহে শক্তি যোগায় এবং কার্বনডাই অক্সাইড(CO2) গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বায়ুতে বেরিয়ে আসে। প্রক্রিয়াটি নিন্ম রুপ-----
C ( খাদ্য) + 2[O] (বায়ু হতে প্রাপ্ত অক্সিজেন)------- (জারন ) -------CO2 + তাপ
সালোক সংশ্লেষণ পরিচালনার জন্য প্রাণী সমূহের ত্যাগ করা কার্বন ডাই অক্সাইড(CO2) গ্যাস বায়ু হতে উদ্ভিদ গ্রহণ করে এবং উদ্ভিদ সমূহের ত্যাগ করা অক্সিজেন(O2) গ্যাস প্রাণী গ্রহণ করে। আর এই জন্যই প্রাণী ও উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য আকে অপরের উপর নির্ভরশীল।
এবার আসি খাদ্য জালের ব্যাপারে। আল্লাহতালা যে আমাদের পালনকর্তা এবং রিজিক দাতা তা এই খাদ্য শৃঙ্খল দিকে একটু ভাল করে তাকালেই তা পরিষ্কার হয়ে উঠে।
প্রাণীরা খাদ্যের জন্য সরাসরি উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু তারা নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে পারে না সেহেতু প্রাণীরা খাদ্যে হিসেবে খেয়ে থাকে উদ্ভিদ।
যেমন—
১।ঘাস খায়----- গরু--- গরুর দুধ ও মাংস খায় মানুষ।
২। উদ্ভিদ খায় ---- ঘাস ফড়িং ------ ঘাস ফড়িং কে খায় ব্যাঙ/ ছোট পাখি।
এই ভাবে আল্লাহতালা একে দিয়ে অপরের উদর ভরিয়ে প্রত্যেক প্রানিকে তার নিজ নিজ খাদ্য পৌছিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে পৃথিবিতে তিনি তৈরি করেছেন খাদ্য জাল।
>>>আবার পৃথিবীতে উদ্ভিদ ভূমণ্ডলের ওজন স্তরের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ওজন স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি কে ভূপৃষ্ঠে আসতে বাধা দেয়। অতি বেগুনি রশ্মি প্রাণীজগতের জন্য ক্ষতিকর। ফলে প্রাণীজগৎ সূর্য রশ্মি দ্বারা উপকৃত হয় এবং অতি বেগুনি রশ্মি হতে বেঁচে যায়।
>>> আবার মানুষ তার গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য এবং জ্বালানীর জন্য গাছ পালার উপর নির্ভরশীল।
>> উদ্ভিদ সমূহের মধ্যে আল্লাহতালা নিহিত করে রেখেছেন নানা রোগের মহাঔষধ।
এভাবে আল্লাহতালা উদ্ভিদকে প্রানির জন্য বহুবিদ উপকার নিয়জিত করে রেখেছেন। তাই আমাদের কি উচিত নয় উদ্ভিদ বা গাছ লাগানো?????
>>>> আসুন গাছ লাগায়?????????

0 Shares

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ