আমি চুপ ছিলাম তখনও……..যেদিন দেয়ালের নীচে চাপা পড়েছিলো কাঁঠালচাপার তাজা শরীর।
রোদ্দুরের আঁচে জ্যোতিহীন দিনের আলো ঠুঁকরেছে যেদিন সারসের মগজগুলো…..
দ্বিধাহীন নিশ্চুপে দেখেছি জমকালো নিয়নের নিচে শহরের চাপাকান্না!
প্রাহরিক বিতণ্ডায় জড়িয়ে যাওয়া নাইটকুইনের ওড়নায় দরজায় তালা!
দেয়ালের ধারঘেসে জংশনের প্লাটফর্ম ,প্লাটুনে সেঁটে থাকা অধিকারের পোস্টার; এক একটা দাবিদাওয়ার কাছে দিবা-নৈশের মিছিল সরবে যখন ফাটাচ্ছিলো দাম্ভিক আকাশের বুক!
প্রয়োজনীয় সুতোয় সেলাই করে নিয়েছি দু’ঠোঁট;
শরীরে অজস্র ব্যাধী অধিকার করে নিয়ে বেঁধেছে নিশ্চিন্ত নিবাস। ক্রমাগত দখল করে করে মনের আশপাশ সিঁদ কেটে ঢুঁকে পড়েছে মধ্যবর্তী কেন্দ্রে! আচ্ছন্নতায় কলম ধরা আঙুলগুলো ভুলতে বসেছে অন্যকিছু লেখার কথা এ আঙুলে ধরা কলমের! অথচ কি সব লিখছি আজকাল? অর্থহীন রাজ্যের রাজা শাসন করেই যাচ্ছে অনুসরণীয় স্বৈরাচারী হিটলারের মত। বাড়িয়ে যাচ্ছে দুর্বিক্ষের জামনায় খাজনার বোঝা।
আমি আর কি লিখবো?
দলে দলে কবিদের ভীড় তবু বেড়েই চলেছে আহাজারী প্রকাশের: মরে যাচ্ছে যত ভালবাসা চেয়ে না পাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকা দম্পতি।
অথচ এমনও দেখেছি এ চোখে-একটু একটু করে দশকের পর দশক, যুগের পরে যুগান্তর গুণে গুণে যে দম্পতি ভালবাসার নিবন্ধন ছাড়াই গড়ে যাচ্ছে প্রজন্মের সংসার! কি করে তারাও টিকে আছে পারস্পরিক ঠোঁকাঠুকির রেজিস্টারকৃত দালিলিক ছাদের নীচে? প্রয়োজনের চাহিদায় অধরা থেকে গেছে যুগের পর যুগান্তর ভালবাসা নামক সোনার হরিণ।
আমি আর কি লিখবো?
বিষাক্ত শব্দেরা অনবরত এসে হুমড়ি খেয়ে মগজ কামড়াচ্ছে নির্দয়রকম! আওয়াজের বেমক্কা আঘাতে নবজাত দেয়ালের পলেস্তারা হুমকির মুখে কাঁপছে, অচিরেই বেড়িয়ে আসতে ইট,সুরকির ধারালো, বিভৎস ভয়ঙ্কর কায়া……..!
বি:দ্র: কবিতা ভাববেন না কেউ, আত্মোপলব্ধি থেকে এলোমেলো ভাবনার খসড়া।
৩১টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
কবিতা না , গল্প না , সাহিত্যও না , সোনেলার এক দৌড় একান্ত অনুভুতিও এইটা হলো অন্যান্য।
বন্যা লিপি
বুঝলাম না আপনার মন্তব্য। বিভাগ পাল্টে দিয়েছি। ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
স্পিকটি নট পদ্ধতি হিসেবে ভাল, তবে অনুভবের অনুভূতিটি তো নট করা যাচ্ছে না।
তাই মায়াময় ভয়ঙ্কর কায়ার বিকট দাঁত দেখতেই হচ্ছে।
বন্যা লিপি
মায়াময় ভয়ঙ্কর কায়ার বিকট দাঁত দেখতেই হচ্ছে।……দেখতেই হয় আসলে।কিচ্ছু করার নেই।
শামীম চৌধুরী
বফু,
কি করে না ভাবি এটা কবিতা?
এমন সুন্দর করে সাঁজিয়ে ইটের মতন অক্ষরগুলি গেঁথেছেন তা পড়েই আপ্লুত হয়ে গেলাম।
খুব ভালো লাগলো আপনার প্রকাশিত অনুভূতি।
বন্যা লিপি
শা’চাচ্চু
প্রথম প্যারার দিকটা পড়লে কবিতার মতোই মনে হয়/হতে পারে…… পরের প্যারাগুলো বাস্তবিক কথামালা শব্দের বিকল্পরুপ ধরে লিখেছি দৃশ্যত কিছু চলমান দৃশ্যের ভাষায়।
যখন লিখছিলাম, তখন সত্যি সত্যি মন খুব খারাপ ছিলো। ওই মনেই লিখে ছেড়ে দিয়েছি এখানে এভাবে।
আপনার ভালোলাগাটুকু আমার সঞ্চয়ি ব্যাংকে জমা হলো। অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
সত্যকথায় বলেন কবি আর কি লেখবে সব লেখায় লিখা হয়ে গেছে অসাধারণ অনেক অনুপ্রাণিত কবি লিপি আপু
বন্যা লিপি
আপনার ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞ হলাম লিটন ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
ইঞ্জা
কি মন্তব্য করবো, একান্ত অনুভূতিটি মাথার উপর দিয়ে স্যাঁত করে চলে গেলো, দেখি আবার পড়বো।
বন্যা লিপি
একদল মানুষ আছে যারা ভালবাসা পেয়ে হারিয়ে ফেললো বলে দিনরাত লাইলি/ মজনু হয়ে কবি হয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। লিখে চলছে ব্যার্থ প্রেমের কথা কাহিনী।
আরেকদল আছেন, প্রেমের জোয়ারো ভেসে ভেসেও কবি হচ্ছেন অবিরত। অথচ বাস্তবতায় এইসবকিছুর মাঝেও জীবনের চাহিদা মোতাবেক বয়ে যাচ্ছে জীবন।
যেখানে ভালবাসা বাসিহীনতার মাঝেও যুগযুগান্তরের ঘর টিকে আছে, প্রজন্ম বেড়ে উঠছে এসবের মধ্যেও। নব প্রজন্মও ফল ভোগ করছে ভালবাসাহীন বিষাক্ত শব্দের মাঝে। এইসব চলছেই গোলাকার ভূখণ্ডে।
মায়াময় ভয়ঙ্কর কায়ার বিকট দাঁত দেখতেই হচ্ছে।” ঠিক এইরকম করেই দেখে যেতে হয় প্রয়োজনীয় সুতোয় ঠোঁট সেলাই করে। ভালবাসা এবং ভালবাসাহীনতা পারস্পরিক সহাবস্থানের চিত্র সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকেই যাচ্ছে নানারকম ভাবে।
এবার একটু ভেবে দেখুন কিছু বুঝলেন কিনা?
ইঞ্জা
বাহ চমৎকার করে বুঝিয়ে দিলেন আপু, আসলে কবি নইতো, এ জন্য সমস্যা হয় আমার।
বন্যা লিপি
আমিও ভাই কবিতা লিখতে পারিনা ভাইজান, যা লিখি, তা বোঝাতে পারি সে জন্য সহজ ভাবেই। খোঁচাটা অন্যকারোর জন্য বরাদ্দ রাখতে পারেন। এই যেমন ব্লগের মহারাজ😊😊😊
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন শব্দের ব্যবহার এতো কবিতাকেও হার মেনে দেয়। কথার মায়াজালে হারিয়ে গেলাম। মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না, বলতে ইচ্ছে করে না যতই কাঠগোলাপ চাপা পড়ুক তখন হাঁসফাঁস করা ছাড়া কিছুই করতে মন চায় না। আপু অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দুঃখিত কাঁঠাল চাঁপা হবে
বন্যা লিপি
কবিতা ভাবলে ভাবতেই পারেন আমার আর কি বাঁধা দেবার জোঁ আছে? সত্যি মন ভালো নেই অনেকদিন। ভালো থাকবেন দি’ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
আমি আর কি লিখবো বলে লিখলেন যা কিছু
কাব্যিক ঢঙে পড়তে গিয়ে ছাড়ছি না আর পিছু।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
দেখতেই পারেন খুঁজে কাব্য
আমি কি আর তাতে বাঁধ সাধবো?
শুভ কামনা আপনার তরেও
ভালো থাকবেন সকল সময়
আরজু মুক্তা
আসেন, আজ মন্তব্য না করে টং এর দোকানের চা খেয়ে আসি। মাথাটা হালকা হোক। তারপর বসি, শব্দের ব্যবচ্ছেদে।
বন্যা লিপি
আহ্…..এই তো বলেছেন মনের মত কথা। চলেন চাঁদনী রাতে কোনো টংয়ের দোকানে গল্পচ্ছলে চা খাই আর জোঁছনা গিলি। তারপর ব্যাবচ্ছেদ/টেদ করাই যাবে ধীরেসুস্থে।
আরজু মুক্তা
ভালোবাসা অবিরাম
প্রদীপ চক্রবর্তী
শরীরে অজস্র ব্যাধী অধিকার করে নিয়ে বেঁধেছে নিশ্চিন্ত নিবাস। ক্রমাগত দখল করে করে মনের আশপাশ সিঁদ কেটে ঢুঁকে পড়েছে মধ্যবর্তী কেন্দ্রে!
অসাধারণ আত্মোপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ, দিদি।
বন্যা লিপি
রোগশোক ক্রমশ দখল কনে নিচ্ছে মনমানসিকতা দাদাভাই। তাই মন ভালো নেই।
তৌহিদ
আমি আর কি লিখবো বলতে বলতে যা লিখলেন সেখানে মন্তব্য করার শব্দই খুঁজে পাচ্ছিনা। এক কথায় অসাধারণ!
আমি আর কি লিখবো!
শুভকামনা জানবেন আপু।
বন্যা লিপি
ঢের লিখে ফেলেছি মন খারাপের গপ্পো, কি আর করবো ভাই। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।
আমার বন্যা আপুর মন ভালো থাকুক বা থাকুক লিখলেই অসাধারণ কিছু।
আল্লাহ পাক আপনার মন ভালো করে দিন সেই দোয়া করছি আপু।
বন্যা লিপি
যখন বলেন, ‘আমার বন্যা আপু’ অন্যরকম এক টান বোধ হয়- একদম আপনের মতো। ভালবাসা আপু। দোয়া করবেন আমার জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
অবশ্যই দোয়া করি আপু।
সুরাইয়া পারভীন
উজ্জ্বল ঝলমলে নিয়ন বাতির ঝলকানিতে রঙিন চশমা পরিহিত চামড়ার চোখে শহরের চাপাকান্নার আকুতি কেউ বা আর অনুধাবন করতে পারে বলুন
মন্তব্যে আর কি লিখবো
যখন চোখের সামনে রোজ চলে
শুধু মাত্র রেজিস্ট্রারকৃত দালিলের দাবিতে ভালোবাসাহীন সংসারে অন্ধ বধির বোবা হয়ে
কেউ কেউ নিষ্পেষিত হয় দিনের পর দিন
চমৎকার উপস্থাপন
অনেক অনেক ভালোলাগা ও ভালোবাসা রইলো আপু
বন্যা লিপি
অনেক অনেক ভালবাসা পাঠালাম সুরু, লুফে নিস মুঠোভরে।❤❤❤
রোকসানা খন্দকার রুকু
না লিখতে লিখতে লিখেই ফেললেন।॥।
**প্রয়োজনীয় সুতোয় সেলাই করে নিয়েছি দু’ঠোঁট;***
চুপ না থেকে আর কিইবা করার আছে।।
শুভ কামনা।।
বন্যা লিপি
শুভ কামনা আপনাকেও। ভালো থাকবেন।