
কখনো এমন হয়েছে ;আপনি দীর্ঘক্ষণ ফেসবুকে এক্টিভ। কখনো ফেসবুক ভিডিও দেখছেন। কখনো বা নিউজফিল্ড এসে নিচে স্ক্রল করে সবার পোস্টে চোখ হাঁটাচ্ছেন! বাট কারো পোস্টে লাইক কিংবা কমেন্ট করছেন নাহ। কখনো কী এমন হয়েছে ;পরিচিত অনেকেই চ্যাট লিস্টে এক্টিভ। কিন্তু কাউকেই নিজ থেকে ম্যাসেজ দিতে ইচ্ছে করছেনা। অন্য কেউ ম্যাসেজ দিচ্ছে কি নাহ সেটাও নোটিশ করছেন। বাট কারো ম্যাসেজ না পেয়ে। হালকা মন খারাপে ;এক্টিভ চ্যাট অফ করে দিয়েছেন। যাতে কেউ দেখতে পায় নাহ আপনি ফেসবুকে এক্টিভ!
মাঝে মধ্যে প্রায় সবাকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মনে হয় সবকিছু অন্ধকার। আপনার শ্বাস নেয়ার মত এক ঠুকরো আলো নেই। মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। শুধু আপনি ভালো নেই। মানুষ এক রহস্যময় প্রাণী। মানুষ চায় অন্যরা তার সব সময় খুঁজ নিক। তাকে কল দিক, ম্যাসেজ দিয়ে বিরক্ত করুক। বাট সে নিজে গায়ে পরে কয়জনের খুঁজ নিয়েছে ;সেটা একবারও নোটিশ করেনা। আমরা নিজেদের বেলায় বড্ড স্বার্থপর! আর এই স্বার্থপরতার কারণেই ;ক্রমশ মন খারাপ হয়। নিজের প্রতি বিরক্তি আসে এবং অন্যদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য। মাথায় এক প্রকার চাপ সৃষ্টি হয়। যা তাৎক্ষণিক সময়ের জন্য খুব বিপদজনক এবং ক্ষতিকর!
৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
কথা সত্য মাঝে মাঝে জীবন বিতৃষ্ণা লাগে তখন আর কোন কিছুতেই মন বসে না। সুন্দর উপস্থাপনা।
মাছুম হাবিবী
অনেক ধন্যবাদ দাদা
বন্যা লিপি
ভাবছিলাম লেখাটা আরো দীর্ঘ হবে। হওয়া উচিত ছিল। এ ব্যাপারগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করার যথেষ্ঠ সময়োপযোগী লেখা উচিত। উল্লেখিত বিষয়গুলো এখন অনলাইন ভিত্তিক জাতীয় সমস্যা থেকে একটা শ্রেনীর কাছে মানসিক সমস্যায় পরিনত হচ্ছে দিনকে দিন। এর আরো কারন ফেসবুকের প্রতি মহা আসক্তি। ফেসবুক বা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড মানুষের মন এবং মগজ কে ক্রমশঃ জড়তাগ্রস্ত করে ফেলছে।
মাছুম হাবিবী
চাইলে অনেক বড় করা যেত। কিন্তু অল্পতেই চুকিয়ে দিয়েছি। পরিবর্তীতে কোনো এক নতুন লেখায়। বর্তমান সময়ে মানুষ যে মানসিক অশান্তিতে ভূগছে। তার কিছু নমুনা উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। আমরা দিনদিন যত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রতি আসক্ত হচ্ছি। ততোই আমাদের দুঃখ কষ্ট ক্রমশ বাড়ছে।
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় লেখেছেন
মোঃ মজিবর রহমান
আসলে ডিজিটাল আসক্তি খুব ভয়ানক একটি রোগ ( আমার কাছে মনে হই)। আপনার লিখার সহিত সহমত।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
যথার্থ অনুুভবের ব্যক্ততা!
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
ডিজিটাল আসক্তি আমাদের মন ও মগজ ধ্বংস করে দিচ্ছে। চমৎকার লেখা। শুভ কামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কোন আসক্তিই অতি মাত্রায় হওয়া উচিত না।