ভ্যামপায়ার>>
কি ভেবেছেন ভ্যামপায়ার বলে দুনিয়াতে কিছু নেই?? যদি বলি আছে?? হ্যাঁ আছে। ভ্যামপায়ার আছে। আমাদের ভেতরেই আছে।
অবাক হচ্ছেন??
অবাক হওয়ার দরকার নেই। কারন তারা আমাদের মধ্যেরই একজন। হয়ত আপনি হয়ত আমি।।।
ভাবছেন আমি পাগল তাই তো?? না আমি পাগলা নই।। আমি ভ্যামপায়ারে বিশ্বাস করি।। এই যা।।
ভ্যামপায়ার বলতে আপনি কি বোঝেন??
একজন মরা মানুষ যে রক্ত খায়?? বড় বড় দাঁত থাকে?? রোদে বের হয়না??
তাহলে তো আমিও ভ্যামপায়ার। আমিও রোদে বের হইনা। রক্ত খাই।। নাও খেতে পারি।।
আসলে এসব সিনেমার ভ্যামপায়ার। রিয়েল ভ্যামপায়ার এরকম হয়না।। কি ভাবছেন চামচিকার কথা বলছি?? আরে না না। মানুষ ভ্যামপায়াররের কথায় বলছি।।
১৯৪৫ সালে লন্ডনের এক সাইন্টিস্ট ভ্যামপায়ার এবং রক্ত নিয়ে রিসার্চ করতে করতে একদিন রক্ত খাওয়ার প্ল্যান করে।। তিনি রক্ত খান।। এভাবে কয়েকদিন রক্ত খাবার পর তার নেশা হয়ে যায়।। পরে সেই নেশা সহ্য না করতে পেরে রক্ত কিনে খেতে শুরু করে।। একদিক নেশার চোটে রক্ত না পেয়ে একজনকে খুন করে ফেলে।।।
একে কি মানুষ বলবেন???? নাকি মানুষিক ভারসাম্যহীন??
কেন ভ্যামপায়ার বলা যায় না????
২০০৩সালে চায়নার এক মেডিকেল ছাত্র রক্ত চুরি করে খেতে লেগে ধরা পরে। পরে জানা যায় সে রেগুলার রক্ত চুরি করে খেত।।
একেই বা কি বলবেন??
অন্ধ প্রদেশে এক স্বামী প্রতিদিন এক সিরিঞ্জ করে তার বউয়ের রক্ত খেত।। রক্তশুন্যতায় আর সহ্য না করতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ সেই স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। এটা ২০১১এর ঘটনা।।
একেই বা কি বলবেন??
১০১১সালে প্যাথলজি ক্লাস শেষে ব্লাড চেখে দেখেই বুঝেছিলাম এর মধ্যে একটা অন্যরকম নেশা আছে।। একদমই অন্যরকম।।। ভাগ্যিস কন্টিনিউ করিনি। করলে না জানি কি হত???
যাই হোক এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে আমাদের আসে পাশে।। কিন্তু ব্যাস্ত জীবনে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কারো নেই।।
হয়ত এদের বড় দুটো দাঁত বের হয়না। হয়ত এরা জীবিত। হয়ত রোদও সহ্য করতে পারে।। কিন্তু আমি এদের মানুষ না ভ্যামপায়ারই বলব।।। ভ্যামপায়ার যে রক্তের নেশায় সঠিক – ভুলের মধ্যে পার্থক্য ভুলে যায়।। ভ্যামপায়ার যে রক্তের নেশায় এডিক্টেড।।।
কে বলতে পারে হয়ত আমার মেডিকেল সাইন্স পড়ার পেছনে রক্তের কাছে থাকারই উদ্দেশ্য ছিলো। B-)
১০টি মন্তব্য
অন্তরা মিতু
আপনি রক্ত চেখে দেখলেন কি মনে করে?
লেখার মধ্যে অনেককিছু জানলাম… অদ্ভুত, অথচ সত্য…. অনেক ধন্যবাদ….
সনেট
ধন্যবাদ মিতু।।। আসলে আমিও এর স্বাদ টাটা কেমন জানতে চেয়েছিলাম।।
সত্যিই অদ্ভুত। বিচিত্র এই দুনিয়া
প্রিন্স মাহমুদ
আপনি রক্ত চেখে দেখেছেন জেনে খারাপ লাগছে ।
সনেট
আসলে ছোট বেলা থেকেই এই বিষয় টা আমায় টানে।। তাই কিউরিয়াস হয়েই একটু….
খসড়া
রক্ত কম বেশি সবাই চেখেছি। দাঁত তোলার পর রক্ত বের হয় যা ছোটবেলায় সবাই চেখেছি। কোন কারনে ঠোঁট বা জিভ কেটে গেলে খুব সামান্য যদিও নোনতা স্বাদ নিয়েছি। আর আঙুল কেটে গেলে তাতো সরাসরি মুখে চলে যায়। আর মায়েরা তো বাচ্চারা ব্যাথা পেলেই তা মুখে নিয়ে চুষে নেয়।
আপনি ডাক্তারি পড়েন তা জানালেন বেশ মজা করে। আপনাকে আভিনন্দন।
সনেট
আসলে ভাইয়া একটু ভুল আমারও।চেখে দেখা আর খাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। তাছাড়া নেশা করে খাওয়াটাও পুরো আলাদা।।।
জিসান শা ইকরাম
নিজের রক্ত চেখে দেখেছি খসড়া ভাই যেভাবে বলেছেন , সেভাবে ।
এক ভিন্ন স্বাদ এর 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনার প্রোফাইল পিক দেখে এখন কেমন জানি ভ্যাম্পায়ার বলে মনে হচ্ছে :p
সনেট
:Amazed:
লীলাবতী
আমি রক্ত দেখে ভয় পাই