পশ্চিম গগনের রক্তিম আভাকে বিদায় জানিয়ে
অতৃপ্ত প্রেতাত্মার কালো শাড়ীর আঁচলে চেপে,
গুটি গুটি পায়ে অতীতের বারান্দায় নেমে এলো;
অমাবশ্যার অন্ধকার।
হুড়কো আটা বাতায়নের পাশে ডেকে গেল এক ভৌতিক পাখি,
শশ্মানের অভিশপ্ত পিশাচেরা নৃত্য জুড়ে দিলো
শয়ন কক্ষের আসবাবে,
গাছের ডালে পত্র কন্টক মুকুলে ফুলে-ফলে;
কর্নকুহরে আঙুল ঠেকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে পড়ে থাকি,
কবর তুল্য শয্যায়;
তোমার প্রতীক্ষায়।
বিভৎস ভূতুরে আর্তনাদ-হাঁটা চলা,
লোমকূপের প্রতিটি গোড়ায় বিঁধিয়ে দেয় সূঁচ,
দুঃস্বপ্নের মৌলিক উপাদান প্রবেশ করে- অস্হি মজ্জা, শিরায়-শিরায়;
মায়াবতী অপ্সরী বক্ষের চর্মে তৃষ্ণার্ত জিভ বসিয়ে উল্লাস প্রকাশের ভঙ্গিতে,
ঝাকাতে থাকে ভয়ে জমে যাওয়া আমার বরফ শীতল দেহ!
মসজিদের আযান আর মন্দিরের শঙ্খধ্বনি না শোনা পর্যন্ত,
অসহনীয় যন্ত্রনার রাত্রী পার করি;
সাহসের মশাল জ্বালিয়ে,
তুমি রক্ষা কবজ হয়ে ফিরবে বলে।
২৯টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
বিদগ্ধ যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ।
যে যায় সে তো ফিরে আসে না
তবে কেনো তারা পথ চেয়ে থেকে
মিথ্যে সান্ত্বনায় নিজেকে ভুলিয়ে রাখা
প্রত্যেকটি লাইন অনবদ্য। শব্দ চয়নও দুর্দান্ত
নুর হোসেন
ধন্যবাদ।
কল্পনার সাথে বিষাদ জুড়ে গেছে এখন সব কিছুতেই অশান্তি বিরাজমান।
কামাল উদ্দিন
……………..ওকে ছাড়াতো দেখছি তাহলে জীবনটা সত্যই অচল, কবিতা বরাবরই আমার কাছে কঠিন লাগে নুর হোসেন ভাই।
নুর হোসেন
শুভেচ্ছা ভাই।
আসলে কবিতা দেশ ঘুরার চেয়ে কঠিন কিছু নয়,
কবিতা মুলত অখাদ্য।
কামাল উদ্দিন
বলেন কি? কবিতা এত্তো সোজা!!
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষার ফাঁক গলে মায়াবতী অপ্সরীর সহবত মন্দ কী!
অভিজ্ঞতাটুকু পরে কাজে দেবে।
অপেক্ষার বুকে আজ মায়াবতীর হানা!
নুর হোসেন
রেগুলার একটা ক্ষত হচ্ছে ভাবনা যদি সম্ভব হতো কৌশলে ভয় ভীতি এড়িয়ে যেতাম।
ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
হুড়কো আটা বাতায়নের পাশে ডেকে গেল এক ভৌতিক পাখি,
শশ্মানের অভিশপ্ত পিশাচেরা নৃত্য জুড়ে দিলো
শয়ন কক্ষের আসবাবে,
গাছের ডালে পত্র কন্টক মুকুলে ফুলে-ফলে;
কর্নকুহরে আঙুল ঠেকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে পড়ে থাকি,
কবর তুল্য শয্যায়;
তোমার প্রতীক্ষায়।
প্রত্যেকটি লাইন অনবদ্য। শব্দ চয়নও দুর্দান্ত।
শুভ সকাল দাদা।
নুর হোসেন
শুভ বিকাল,
আপনার কবিতার তুলনায় এগুলো দুর্বাঘাস পায়ে সেটে যায়।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা আমার যা কিছু অর্জন উপার্জান সবি তো আপনাদের কাছে শিখেছি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
নুরহোসেন
এটা একটা শিক্ষালয় আমরা সকলেই ছাত্র একে অপরের কাছ থেকে শিখছি।
শুভ কামনা দাদা।
ইসিয়াক
চমৎকার
নুর হোসেন
ধন্যবাদ উস্তাদ!
মোঃ মজিবর রহমান
কষ্টের মাঝে মায়াবতী অপসরী ভাল লাগলো।
নুর হোসেন
ধন্যবাদ ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
ভালো লাগলো
নুর হোসেন
ধনযবাদ আপুমনি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রত্যেকটি কবিতাই অনবদ্য। ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ
নুর হোসেন
শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভয় পেলাম। ভাগ্যিস লেখাটা রাতে দেননি। কবিতায় এমন ভয়াবহ আবহ ক্যামনে আনলেন ভাবছি,,
নুরহোসেন
হাহাহাহা…..
আপনার জন্য লেখাটা রাতে পড়ার অনুরোধ রইলো।
জিসান শা ইকরাম
রাতের ভয়াবহতা দূর হয় মসজিদ বা মন্দিরের ধ্বনিতে,
ভালো লাগলো কবিতা।
নুরহোসেন
অসংখ্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
নিস্তব্দ নিথর রাত্রিতে যখন শুনশান নীরবতা নেমে আসে আমারো মাঝেমধ্যে ভয় করে সে অন্ধকার। নিশুতি রাতে শুনতে পাই কারা যেন কথা বলছে, অনুভব করি এ অস্পৃশ্যতা। রাতের আঁধার পেড়িয়ে যখন পাখির ডাক শুনি ধীরেধীরে কেটে যায় এই নিস্তব্ধ নিঃসঙ্গতা।
নুরহোসেন
যখন মানুষ টেনশনে থাকে তখন স্বর্গে থাকলেও দোযখ মনে হয়।
মনির হোসেন মমি
মসজিদের আযান আর মন্দিরের শঙ্খধ্বনি না শোনা পর্যন্ত,
অসহনীয় যন্ত্রনার রাত্রী পার করি;
সাহসের মশাল জ্বালিয়ে,
তুমি রক্ষা কবজ হয়ে ফিরবে বলে।
বাক্যগুলো একদম জীবনের সাথে মিলে যায়।আসলে তাই গভীর রাত্রীর কোন বিভীষিকাময় অন্ধকারে তখনি ভয় কাটে যখন মসজিদে ভোরের আযান শুনি।চমৎকার।
নুরহোসেন
ধন্যবাদ ভাই,
বিপদে সৃষ্টিকর্তাকে যে নামেই স্মরন করবেন সাহায্য আসবেই।
সৈকত দে
অসাধারণ উপস্থাপন। শুভ কামনা রইলো।