ভুটান আমাদের এশিয়া মহাদেশের ছোট্ট একটি রাষ্ট্র। যুগ যুগ ধরে দেশটিতে চলে আসছে রাজতন্ত্র। দেশটি ভারতীয় উপমহাদেশে হিমালয় পর্বতমালার পূর্বাংশে অবস্থিত। ভুটান শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ভূ উত্থান থেকে যার অর্থ উঁচু ভূমি। ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ। ভুটানের রাজধানী থিম্পু, ভুটানের জনসংখ্যা মাত্র সাত লক্ষ। আয়তন ৪৬৫০০ বর্গ কিলোমিটার। ভুটানের আকার-আকৃতি ও পার্বত্য ভূপ্রকৃতি সুইজারল্যান্ডের সদৃশ্য বলে দেশটিকে অনেক সময় এশিয়ার সুইজারল্যান্ড বলে ডাকা হয়।
অনেকগুলো কারনে ভুটান ভ্রমণের ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই আমার ছিল। ভুটান বাংলাদেশের খুব কাছে হওয়াতে স্থলপথে ও ভুটান যাওয়া যায়। সেজন্য আপনাকে ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে ভারতের। বিমানে সরাসরি ভুটানের পারো এয়ারপোর্টে নামতে হবে। সেখান থেকে টেক্সি বা বাসে থিম্পুতে যেতে হবে। বিশ্বের ১০ টি বিমান বন্দরের ভিতরে ভুটানের বিমানবন্দরটি ও একটি ভয়ংকর বিমানবন্দর। এখানকার রানওয়ে অনেক ছোট। বিমান কে যেতে হয় পাহাড়ের ভিতর দিয়ে। তবে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে।
বিমান থেকে নামার পর এই এয়ারপোর্টের মনোরম দৃশ্য আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। এয়ারপোর্টের চতুর্দিকে পাহাড় না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা যে কত সুন্দর ভুটান। এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার পর ওই আমাদের গাইড ও ট্যাক্সি রেডি ছিলো। ট্যাক্সিতে উঠে রওনা দিলাম থিম্পুর উদ্দেশ্যে। ভুটানে সব সময় ঠান্ডা থাকে কাজেই গরম কাপড় নিয়ে যেতে ভুলে যাবেন না। আমরা দেড় ঘণ্টার মধ্যেই থিম্পু পৌঁছে গেলাম। বিশ্বের একমাত্র দেশ ভুটান যেখানে ধুমপানমূক্ত। ভুটানে মোটামুটি জনসংখ্যা শিক্ষিত। ভুটানে অপরাধের পরিমাণ ০.২ শতাংশ, যা আমরা কল্পনাও করতে পারব না। ভুটানে নেই কোন শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ। ভুটানের মানুষগুলো বাংলাদেশীদেরকে খুব পছন্দ করে। এদের আতিথেয়তা ও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
ভুটানে ইন্ডিয়ান রুপী ও চলে, ভুটানের মুদ্রা ও রুপির মান একই। ভুটানে খাওয়ার মান টা খুব একটা সুবিধাজনক নয় আমাদের জন্য। এখানে প্রতিবার খেতে ৩০০ রূপী প্রয়োজন হয়। হোটেলে আগে থেকেই বুকিং দিতে হয় তারপর খাওয়া রেডি করে দেয়। ভুটানে অনেক জায়গা ভ্রমন করেছি ছবিগুলো আপলোড দিতে পারলাম না।
আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত থিম্পু সিটি। আরো উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো হচ্ছে থিম্পু বুদ্ধা পয়েন্ট, থিম্পু পার্লামেন্ট ও রাজার বাসভবন, পুনাখা জং,ফচু নদী,সাসপেনশন ব্রীজ,পারু রিভার,টাইগার নেস্ট, ভুটান মিউজিয়াম, মেমোরিয়াল গার্টেন উল্লেখযোগ্য।
৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পড়লাম ভাইজান।পরশী রাষ্ট্র হিসাবে ভ্রমণটা আনন্দময়ই হবার কথা। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভুটান যাবার ইচ্ছে আমার খুব ছিলো। আপনার ভ্রমণকাহিনীর বর্ণনা আরেকটু বিস্তৃত হলে ভালো হতো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ স্বাগতম সোনেলা নীড়ে। লিখুন অনেক।
রিতু জাহান
সোনেলায় স্বাগতম।
ভ্রমণ কাহিনী পড়লে যে কোনো দেশ সম্পর্কে মোটামুটিভাবে একটা ভালোই ধারনা পাওয়া যায়।
বেশ ভালো উপস্থাপন।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেক ভালো উপস্থাপন।আরেকটু বিস্তারিত লিখলে বেশি ভালো হলো।অবশ্য ভ্রমন কাহিনী পড়ার মজাই আলাদা,,যতো লেখা হয় অতৃপ্ততা রয়েই যায়।সোনেলায় স্বাগতম।আরো লিখতে অনুরোধ রইলো।ভালো থাকুন।শুভ কামনা। -{@
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম। নিয়মিত লেখুন।
মাহমুদ আল মেহেদী
স্বাগতম সোনেলা নীড়ে। যেখানে সবাইকে আপন মনে হয় বা হবে কাজেই আপনভেবে আপন মনে লিখে যান ।
জাহিদ হাসান শিশির
ভুটান খুব সুন্দর একটি দেশ। সাজানো-গোছানো ও ছিমছাম পরিবেশ।
কামাল উদ্দিন
আমার খুবই পছন্দের একটা দেশ ভুটান