
বেগম সুফিয়া কামাল
(১৯১১-১৯৯৯)
বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি, লেখক, নারীবাদী ও আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের অন্যতম পথ প্রদর্শক বেগম সুফিয়া কামাল।মাত্র তের বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাবার পর স্বামীর সম্মতি ক্রমে তিনি সাহিত্য চর্চা ও সমাজ সেবায় নিজেকে মনোনিবেশ করেন।১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা 'বাসন্তী' সে সময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘সওগাত’-এ প্রকাশিত হয়েছিল।স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ এবং সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার ভুমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।তিনি তার শিশুকালে মায়ের কাছ হতে বাংলা শিখেছেন।১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি নিজে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন এবং অন্য নারীদের অংশগ্রহনে উৎসাহ দেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশুদের সংগঠন ‘কচি কাঁচার মেলা’প্রতিষ্ঠা করেন।এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নাম করণের দাবীতে সোচ্চার ছিলেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব সহ ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন।
বেগম রোকেয়া সাখওয়াত
(১৮৮০-১৯৩২)
এই মহিয়সী নারীকে আমরা বেগম রোকেয়া নামেই চিনি।তিনি ছিলেন বাঙালি চিন্তাবিদ,প্রাবন্ধিক,ঔপন্যাসিক,সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক ও জাগরণের অগ্রদূত।তিনি ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত ‘মতিচূর’ (১৯০৪) প্রবন্ধ গ্রন্থে তিনিঁ নারীদের অর্থনৈতিক,সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বিতা অর্জন করা ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন।মুলত শিক্ষার অভাবকেই তিনি নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন। বেগম রোকেয়া রচিত ‘সুলতানার স্বপ্ন’ (১৯০৫) নারীবাদী সাহিত্যের অন্যতম সেরা নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত বলা হয়ে থাকে। ১৯৩১ সালে ‘অবরোধ বাসিনী গ্রন্থে তিনি অবরোধ প্রথাকে বিদ্রূপ বাণে তিরস্কার করেন। সমগ্র বাঙ্গালী জাতি তারঁ স্মরণে ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত করে থাকেন।
জাহানারা ইমাম:
(১৯১১-১৯৯৯)
জাহানারা ইমাম একজন অকুতভয় লেখিকা,শহীদ জননী,কথা সাহিত্যিক,শিক্ষাবিদ এবং বিশেষ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী।মুলত তারঁ উদ্দ্যেগেই জাতি ৭১ স্বাধীনের বহু বছর পর রাজাকার আলবদরের বিচার করার সাহস পান এবং ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়।।তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হল ‘একাত্তরের দিনগুলি’।একাত্তরে তার বড় ছেলে শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন।বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধা মা হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি শহীদ জননীর মযার্দায় ভূষিত হন।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার:
(১৯১১-১৯৩২)
প্রথাগত সকল বিধি নিষেধ পেরিয়ে তিনি ছিলেন নির্ভীক, বিপ্লবী ও স্বাধীনতার প্রতি সোচ্চার।তিনি সূর্যসেন মাষ্টার দা এর সাথে চট্রোগ্রাম বিপ্লবের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবের দরজায় 'কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ' লেখা সাইন বোর্ডটি তখনি তার মনে ক্রোধ জন্মায় এবং চট্টগ্রামে বিপ্লবী গোষ্ঠীর সাথে তিনি এই ক্লাবে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন এবং ১৯৩১ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটান।সবচেয়ে অবাক বিষয় হল তিনি এই হামলায় পুরুষের বেশ ধরেন এবং গুলিবিদ্ধ হলেন।আন্দোলন বেগবান ধারাবাহিকতার স্বার্থে তিনি অন্যদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে নিজেই পটাশিয়াম সায়ানাইডের ক্যাপসুল খেয়ে মৃত্যু বরণ করেন মাত্র ২১ বছর বয়সে তার এই আত্মত্যাগ তাকেঁ চিরস্বরণীয় করে গেলেন।
নীলিমা ইব্রাহীম:
(১৯২১-২০০২)
নীলিমা ইব্রাহীম বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী।১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র নারী যিনি ১৯৪৫ সালে প্রথম বিহারীলাল মিত্র স্কলারশিপ লাভ করেন।১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমির অবৈতনিক মহাপরিচালক হিসাবে কাজ করেন।এই মহান নারী একুশে পদক,বাংলা একাডেমি পুরস্কার,স্বাধীনতা পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।তার যুগান্তকারী বই মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অমুল্য ধন ধর্ষন নিয়ে রচিত “আমি বীরাঙ্গনা বলছি” বইটি রচিয়তা।
হেনা দাস:
(১৯২৪-২০০৯)
হেনা দাস দেশের একজন স্বনামধন্য নারী।তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সহ ভাষা আন্দোলন ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ বিভিন্ন আন্দোলন সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন।এ ছাড়াও তার অবদানগুলোর মধ্যে নারীদের মধ্যে প্রথম শিক্ষা কমিশনের সদশ্য,তার নেতৃত্বে কৃষকের দাসত্ব ব্যাবস্থার বিলুপ্তি,নারীদেরকে রাজনিতীর অঙ্গনে অবদান রাখার আগ্রহ সৃষ্টিতে মৌলভী বাজার ভানুবিল সেল্ফ ডিফেন্স গঠন করেন।এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেন।তার প্রকাশিত অনেক গুলো বইয়ের মধ্যে ‘আমার শিক্ষা ও শিক্ষকতা জীবন’, ‘চার পুরুষের কাহিনী’, ‘স্মৃতিময় একাত্তর’ ও ‘স্মৃতিময় দিনগুলো’ উল্লেখযোগ্য।
খনা:
(৮০০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ)
বহু আগে ভারত বর্ষে মানুষের মুখে মুখে ছিলো খনার বচন।তার চৌকস কথাবার্তাই হল খনার বচন যা সারা ভারত বর্ষে ছড়িয়ে পড়ে।তার এই জনপ্রিয়তার কারনে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারই শ্বশুর রাজজ্যোতিষী বরাহ মিহির তার জিহবা কেটে ফেলার নির্দেশ দেন।তবুও সে খনার বচনের মাধ্যমে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যান।
ষোল চাষে মুলা,তার অর্ধেক তুলা;তার অর্ধেক ধান,বিনা চাষে পান।
এটির মানে হলো ১৬টি চাষ দিয়ে মূলা বপন করলে ফলন পাওয়া যাবে ভালো।আর তুলা চাষ করতে হলে এর অর্ধেক চাষ অর্থাৎ ৮টি চাষ দিলেই চলবে।আর ধান রোপণে এত চাষের প্রয়োজন নেই, মূলার অর্ধেক পরিমাণ অর্থাৎ ৪টি চাষ হলেই যথেষ্ট হয়।অন্যদিকে পান উৎপাদন করলে কোনো চাষেরই প্রয়োজন নেই।
কামিনী রায়:
(১৮৬৪-১৯৩৩)
১৯২৯ সালে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যায় এই মহীয়সী নারীকে জগত্তারিনী পদক পুরষ্কারে ভুষিত করেন।ব্রিটিস ভারত বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রথম নারী পড়ুয়া এই নারী সে সময়কার নারীকে চিন্তা করা হত কেবলি গৃহিনী হিসাবে সেই প্রথা ভেঙ্গে নারীদের ঘর হতে বাহির করেন।সেই সময় রীতি শৈশবের বিয়ের পিড়িতে না বসে ত্রিশ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন।নারীশিক্ষা, বিধবাদের অধিকার, হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদ সহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। নির্মাল্য, পৌরাণিক, ধর্মপুত্র, গুঞ্জন ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো।
ফিরোজা বেগম:
(১৯৩০-২০১৪)
তখনকার সকল ভারতীয় উপমহাদেশের নজরুল সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত ছিলেন বাংলাদেশের এই মহীয়সী নারী।সেখানে তিনি কোকিল কণ্ঠী বলে বেশ পরিচিত ছিলেন।১৯৪৯ সালে নজরুল সঙ্গীতের তার একটি এ্যালবাম ব্যাপক জনপ্রিয় হয় এবং তিনি বিদ্রোহী কবির অসুস্থতার সময় নজরুল সঙ্গীতের শুদ্ধ স্বর লিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি পৃথিবীর প্রায় ৩৮০ টিরও বেশী দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তার কাজ গুলোকে নিয়ে ১২টি এলপি, ৪টি ইপি, ৬টি সিডি এবং ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে। সে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, গোল্ড ডিস্ক সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত:
(১৯৯৯-৭ অক্টোবর)
দেশ প্রচলিত আছে নারী বলে কেবলি অবলা আর শক্তিহীন জড় পদার্থ।কেবল এ কথাগুলো ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশের কিশোরী মাবিয়া আক্তার। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশীয় গেমসে প্রমীলা ৬৩ কেজি শ্রেণীতে স্বর্ণ পদক অর্জন করে তিনি দেখিয়ে দিয়েন নারীদের সক্ষমতা। কমনওয়েলথ ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়ন শিপে মহিলা ৬৩ কেজি শ্রেণীতে অর্জন করেন দুটি রৌপ্য পদক আর স্বর্ণ পদক জিতবার জন্য মাবিয়া উত্তোলন করেছিলেন পাক্কা ১৭৬ কেজি।তার সতীর্থ শিলা অভাবের তাড়নায় এক সময় পদক বিক্রি করে দেয়।
ইলা মিত্র:
কৃষি উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশের দাবিতে সংগঠিত বর্গা চাষিদের আন্দোলন তেভাগা আন্দোলনে অন্যতম সংগ্রামী নেত্রী তিঁনি।কৃষি ও কৃষক বান্ধব এই মহীয়সী নারী ছিলেন শোষিত বঞ্চিত কৃষকের অধিকার আদায়ে সোচ্চার।মাত্র ১৮/১৯ বছর বয়সে নারী আন্দোলনের কাজ করতে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।যা এক সময় ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যান।তিনি তার হিরোশিমার মেয়ে”বইটির জন্য 'সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু' পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও ভারত সরকার তাকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে স্বতন্ত্র সৈনিক সম্মানে তাম্র পত্র পদকে ভূষিত করে।কবি গোলাম কুদ্দুস তাকে নিয়ে 'ইলা মিত্র' কবিতায়ও লিখেছিলেন।
লীলা নাগ:(১৯০০-১৯৭০)
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সহকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্রী এই মহীয়সী নারী তার বিদ্রোহী সংগঠন "দীপালি সংঘ" পুরো ঢাকায় নারীদের জন্য শিক্ষা ও যুদ্ধ প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছেন।তিনি একাধারে একজন বাঙালি সাংবাদিক, জন কল্যায়ণকর এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন।তিনি তার জীবনদ্দ্যশায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিক্ষা মন্দির ও শিক্ষা ভবন স্থাপন করেন।তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পার্টির সাপ্তাহিক মুখপাত্র ‘ফরোয়ার্ড ব্লক’এর সম্পাদক ছিলেন।পশ্চিম বঙ্গে যাবার পর তিনি ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ১৯৪৬ সালে বাংলার ভারতীয় সংবিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ভারতীয় সংবিধানের খসড়া প্রণয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
নভেরা আহমেদ:
১৯৩০-২০১৫
বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যত যা বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশি আধুনিক ভাস্কর। তার শিল্পকর্মে নারীদের কখনো মাতা কখনো কন্যা কখনো স্ত্রী হিসাবে ফুটিয়ে তুললেও এখানে নারীদের কর্মময় জীবন ফুটিয়ে তুলেছেন।অন্যন্য পুরুষ শিল্পীদের উপস্থাপনার বীপরীত মুখী ছিলেন।উন্মোচন করেছেন সব ধরনের বিচলিত,আবেগ মন্ডিত, সত্যিকারের নারীরূপকে ‘দ্য লং ওয়েট’ কাজটি তারই একটি নমুনা । তার মায়েরা সুন্দরী নয়,কিন্তু শক্তি ময়ী, জোড়ালো ও সংগ্রামী তারা মানবিকতার ধ্রুপদী প্রতীক।
বদরুন্নেসা আহমেদ:
(১৯২৪-১৯৭৪)
বাংলাদেশের এক জন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ যিনি খুব অল্প বয়স থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন যা পরবর্তী ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের সদস্য হিসাবে তিনি নির্বাচনে জিতে এক জন এমপিও হয়েছিলেন। তার অবদানগুলোর মধ্যে-১৯৫৯ সালে তিনি ইস্ট পাকিস্তান উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৫৭ সালে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ কমিশনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন।১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।১৯৯৯ সালে তাকে সমাজ সেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও তিনি নারী বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতির উপদেষ্টা পদে কর্মরত থকাবস্থায় নারী উন্নয়ণের দিকে নারীকে ধাপিত করেন।তিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সাথেও ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত পড়েন।মুক্তি যুদ্ধের পর তিনি বীরাঙ্গনাদের জন্য পুনবার্সন ও কল্যায়ণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
ফেরদৌসী মজুমদার:
(১৯৪৩ জুন ১৮)
এখনো ক্রীতদাস, জীবিত ও মৃত, নিভৃত যতনে, তাহাদের যৌবন কাল এবং শঙখনীল কারাগার,আওয়াজ পাওয়া যায়, কোকিলারা, ম্যাকবেথ, মেরাজ ফকিরের মা, বরফ গলা নদী ইত্যাদি বিভিন্ন মঞ্চ ও টিভি নাটকে বেশ শক্তি শালী অভিনয় করে আসছেন প্রায় ৪০/৪৫ বছর যাবৎ।এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাটক -কৃষ্ণকান্তের উইল, তাহারা তখন, মেহের জান আরেক বার এবং মুকুট’ সহ আরো অনেক গুলো মঞ্চ নাটক পরিচালনা করেছেন।বারাম খানা'র মত কালজয়ী মঞ্চনাটকে তিনি অভিনয় করে সারা জাগিয়েছেন মঞ্চ নাটক ও সংস্কৃতি অঙ্গণে ।এছাড়া ফেরদৌসী মজুমদার অভিনীত টিভি নাটকের ভেতর ‘বরফ গলা নদী, উল্লেখযোগ্য। তবে তার সব চেয়ে বেশী জন প্রিয় নাটক হয়েছিলো ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’-এর হুর মতী চরিত্রটি। ২০১৫ সালে ফেরদৌসী মজুমদার ‘নাগরিক নাট্যগান’-এর পক্ষ থেকে তাকে আজীবন সম্মাননার পুরস্কার দেয়া হয়।
সেলিনা পারভীন:
(১৯৩১-১৯৭১)
ভাগ্যহত সেলিনা পারভীন মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে বাল্য বিবাহের শিকার হন যার কারনে মন মানষিকতার দিক দিয়ে মন ভেঙ্গে পরার কারনে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি।তবে তিনি ছিলেন স্ব-শিক্ষিত।বাংলা ভাষার উপর ছিলো তার আসীম দক্ষতা।দৈনিক ইত্তেফাক, পূর্ব পাকিস্তানী, পূর্বদেশ, সাপ্তাহিক ললনা এবং বেগম পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন।
১৯৭১ সালে যুদ্ধে আহত মুক্তি যোদ্ধাদের সাহায্যে তিনি ললনা পত্রিকা থেকে আয়কৃত অর্থ ব্যয় করেছিলেন।তার সংগ্রামী কথা বার্তা পাকিদের জন্য আতংক ছিল। তার চিন্তা ভাবনা,ভাষা ও অধিকারের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন।১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর রায়ের বাজারে বুদ্ধিজীবী হত্যা কান্ডে তিনিও শহীদ হন।
সাইদা খানম:
(১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্ভর)
মুলতঃ তিনি একজন আলোচিত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর হওয়ার পূর্বে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণরত নারীদের ছবি তুলেন এছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পাকিস্তানি সেনারা গোলাগুলি শুরু সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি ছবি তুলেন।ত সে সময় তার ছবি ছাপা হয় দৈনিক অবজারভার, মর্নিং নিউজ, ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।তার আলোকচিত্রের যাত্রা শুরু করেন “বেগম” পত্রিকার মাধ্যমে।তিনি তার মেধার যোগ্যতানুসারে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্মাননা কোলন পুরস্কার পান ।সাইদা খানম বাংলা একাডেমি ও ইউএনএবি-র আজীবন সদস্য।এছাড়াও ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তার ছবি প্রদর্শিত হয়।তার নিজের তুলা অন্যতম ছবিগুলো হল(প্রথম আলো পত্রিকা হতে)
ড. জোহরা বেগম কাজী:
(১৯১২-২০০৭)
তিনি প্রথম আধুনিক মুসলিম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন।১৯৩৫ সালে দিল্লীর হার্ডিজ মহিলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে শীর্ষস্থান অধিকার করে তিনি এমিবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ব্রিটিস ভারতের ভাইসরয় পদকে ভূষিত হন।তিনি প্রথম চাকুরী জীবন শুরু করেন মহাত্মা গান্ধীর সেবা শ্রমে।তার অক্লান্ত চেষ্টার ফল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগ খোলা হয়।তার মহৎ কর্মকান্ড স্বরূপ তিনি ১৯৬৪ সালে তমঘা-ই-পাকিস্থান,২০০২ সালে বেগম রোকেয়া পদক এবং ২০০৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।
রোমেনা আফাজ:
রোমেনা আফাজ (জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯২৬ - মৃত্যু: ১২ জুন, ২০০৩ )
বহুল আলোচিত জনপ্রিয় “দস্যু বনহুর” এর রচিয়তা রোমেনা আফাজ।তিনি মাত্র নয় দশ বছরেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখা লেখি শুরু করেন।এ ছাড়াও তিনি ছিলেন সমাজ সেবক।প্রায় ৩৭টি সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।তার মধ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা,বগুড়ার সাবেক চেয়ারম্যান,ঠেংগা মারা মহিলা সবুজ সংঘ,বগুড়ার আজীবন উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক,বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,উদীচী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বগুড়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতি,বগুড়ার সাবেক সদস্য,শিশু একাডেমী,বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা,বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বগুড়ার সাবেক উপদেষ্টা ইত্যাদি তাকে মানুষের হৃদয়ে আসনে বসাতে সহায়তা করে৷
তারঁ লেখা বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২৫০টির উপরে।তিনি ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।তার নামে বগুড়ায় একটি সড়কের নাম করন করা হয়েছে।তাঁর লেখা উপন্যাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্র তার মধ্যে কাগজের নৌকা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, মধুমিতা, মাটির মানুষ ও দস্যু বনহুর অন্যতম৷তার রচিত জনপ্রিয় বইগুলো
সিদ্দিকা কবীর:
(১৯৩১-২০১২)
দেশের একজন পুষ্টি বিশেজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ সিদ্দিকা কবীর।তিনি গণিতে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জনের পর ১৯৬৩ সালে ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য, পুষ্টি ও ইনস্টিটিউশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপর দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অধিকারী।তার প্রকাশিত বই রান্না খাদ্য পুষ্টি জনপ্রিয় একটি বই।এ ছাড়াও তিনি ‘সিদ্দিকা কবির'স রেসিপি’ নামে একটি অনুষ্ঠানও বেশ জনপ্রিয়তা পায়।তিনি শিখিয়েছেন যে কোনো খাবার একই সাথে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু করার উপায় কি বা কি ভাবে করা যায়।সে সময় ইউটিউবেও তার এই রান্নার বিষয়টি ছিলো বেশ আলোচিত ও জনপ্রিয়।
তারামন বিবি:
(১৯৫৭-২০১৮)
তিনি দেখিয়েছেন বাঙ্গালী নারীরা যেমন রাধতে জানেন তেমনি চুলও বাধতে পারেন।এ দেশ স্বাধীনে আত্মত্যাগে পুরুষের ভুমিকার চেয়ে নারীদের ভুমিকাও কোন অংশে কম ছিলো না বরং বেশীই ছিল।এই অবহেলিত নারী তাঁরামন বিবিই এর প্রমান।১৯৭১ সালে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার ভুমিকা ছিল এক কথায় অতুলনীয়।তিনি কমান্ডার আবু তাহেরের নেতৃত্বে ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।কিছু দিন মুক্তিযুদ্ধাদের রান্না বান্না করে গোয়েন্দাগিরিতে নাম লেখান।এর পর অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে সতীর্থদের সাথে মিলে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।১৯৭৩ বঙ্গবন্ধু তাকে বীর প্রতীক পদে ভূষিত করেন।
নূরজাহান মুর্শিদ:
(১৯২৪-২০০৩)
ইন্ডিয়া রেডিওতে প্রথম মুসলিম নারী এই নূরজাহান মূর্শিদ।তিনি একজন শিক্ষক,সাংবাদিক, এবং মন্ত্রী সভার সদস্য।এছাড়াও তিঁনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেন এবং পূর্ব বাংলার আইন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন পরিষদ সচিব হিসেবে কাজ করেন। তিনি মুজিব নগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় বিধান সভার উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন যাতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন ভারত সরকার। এই কারনে তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী তাকে নিরুদ্দেশ অবস্থাতেই ১৪ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করে।তিনি ছিলেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে প্রথম মুসলিম নারী হিসাবে ঘোষক থেকে প্রযোজক পদে দায়ীত্ব পান।দেশ স্বাধীনের পর তিনি ১৯৭২ সালে সরকারের স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।তিনি একলা নামের একটি বাংলা সাময়িকী ও আজিমপুর লেডিস ক্লাবসহ নারী ভিত্তিক বেশ কিছু সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সদস্য ছিলেন।
নাঈমা হক ও তামান্না-ই-লুৎফি:
নাইমা হক এবং তামান্না এ দুজন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্র্রথম সামরিক নারী বৈমানীক। ২০০০ সালে মহিলা অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেলেও সামরিক বিমানের নানাবিধ ঝুঁকি থাকায় নাঈমা এবং তামান্না বেসামরিক বিমানই মুলত চালাতেন। পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করে অবশেষে ২০১৪ সালে দুজন গড়ে তোলেন এক ইতিহাস।
নিশাত মজুমদার:
(১৯৮১- )
তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেষ্ট জয়ী।যদিও পেশায় একান্ট্যান্ট কিন্তু খেলা ধূলায় ছিলো প্রচুর মনযোগ তার।তিনি ২০০৩ সালে প্রথমে কেওকাড়াডং জয় করেন এরপর এভারেষ্ট বেজ ক্যাম্প সহ বিভিন্ন অভিযানে যান।২০০৭ সালে হিমালায়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলেন। সিঙ্গাচুলি শিখর, গঙ্গোত্রী-১, মাকালু ও চেকিগো জয় করার পর ২০১২ সালে নিশাত মজুমদার প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি পাঁচ বাংলাদেশি ট্রেকারদের একটি দল পরিচালনা করে নিয়ে যান ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত এলব্রুসে।
আঞ্জুমান আরা বেগম:
(১৯৪২-২০০৪)
এই উপমহাদেশের পুরো জাতিকে রেডিওর মধ্যমে তার কণ্ঠের যাদুতে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।দীর্ঘ ৪০ বছর কর্ম জীবনে ষাটের শতকে তার জনপ্রিয়তা ছিলো শীর্ষে।তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর ভেতর রয়েছে ‘তুমি আসবে বলে’, ‘আকাশের হাতে’, স্মরণের প্রান্তরে’, খোকন সোনা’ সাতটি রঙের মাঝি আমি নীল, বিক্রমপুরে বাপের বাড়ী ইত্যাদি। নজরুলগীতি কিংবা গজল থেকে শুরু করে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও ছিলো তাঁর অবাধ বিচরণ।তাঁর সর্ব মোট গানের সংখ্যা প্রায় আট হাজারেরও বেশি। আধুনিক গানের স্বনামধন্য গীতিকার জেবুন্নেসা জামাল তাঁর বড় বোন ও আধুনিক গানের বিশিষ্ট গায়িকা জীনাত রেহানা তাঁর বোনঝি।বলা বাহুল্য জীনাত রেহানা জেবুন্নেসা জামালের মেয়ে।
সঙ্গীত জগতে অবদান রাখার জন্য ২০০৩ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাকে গুণীজন পুরস্কারে এবং বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
বেগম ফজিলাতুন্নেসা:
জন্ম : ১৯৩০ আগষ্ট ৮
মৃত্যু:১৯৭৫ আগষ্ট ১৫
তিঁনি বাংলাদেশের প্রথম ফাষ্টলেডি।বাংলাদেশের স্থপতি,জাতির জনক,বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমানের সহধর্মীনি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড তিন বারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদাত্রী মা।তিনি ১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।পাঁচ বছর বয়সে তার বাবা-মা মারা যান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৫ মার্চ থেকে ১৭ ডিসেম্ভর পর্যন্ত তিনি সন্তানদের সাথে গৃহবন্দী ছিলেন।তাঁর অনুপ্রেরণা,সহযোগিতা সমর্থন না থাকলে আজকের এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধুকে জাতির ক্লান্তিকর সময়ে পেতাম না আর এ দেশের স্বাধীন করার কথা চিন্তা করাও ছিলো কল্পনাতীত।
১৯৪১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবরের সাথে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন।তার সন্তাধির মধ্যে শেখ হাসিনা,শেখ রেহেনা,শেখ কামাল,শেখ জামাল,শেখ রাসেল।
রওশন জামিল:
জন্মের :৮ মে, ১৯৩১, ঢাকা জেলা
মৃত্যু: ১৪ মে, ২০০২ ঢাকা
রওশন জামিল সাধারনত একজন নৃত্য শিল্পী ছিলেন কিন্তু ষাটের দশকে তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।ষাটের দশকে মুসলিম নারী সমাজের একটি বড় অংশ যখন বাড়ির চার দেয়ালে আবদ্ধ ছিল, সেই সময়ে জীবনের প্রতিটি ধাপে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।প্রথমে নৃত্যে তার ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে ছিলো সেই হিসাবে সেকালের রক্ষণশীল পরিবার আর তার সমাজ তার নৃত্য প্রতিভার বিকাশে অনেক বাধা সৃষ্টি করেছিলো ।সে সময়ে কোন মুসলমান ঘরের মেয়ে নাচবে এটা চিন্তাই করতে পারত না।তখনকার দিনে এসব সমাজের লোকেদের কটুকথা শুনে তিনি তার প্রতিভা বিকাশে অনঢ় ছিলেন তাইতো নৃত্যকলায় তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করেন।৫০-এর দশকে যখন মেয়েদের চরিত্রে ছেলেদের মেয়ে সেজে অভিনয়ের চল ছিল তখন থেকে রওশন জামিল জগন্নাথ কলেজে শরৎচন্দ্রের দেব দাসে অভিনয় করেন ।
তাঁর পেশাদার অভিনয় জীবন শুরু হয় ৬০এর দশকে ১৯৬৫ সালে টেলিভিশন নাটক ‘রক্ত দিয়ে লেখা’ মাধ্যমে।বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঢাকায় থাকি ও সকাল সন্ধ্যা ধারাবাহিক নাটক তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেন । তিনি ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন আরব্য রূপকথা আলিবাবা চল্লিশ চোর ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে । ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান পরিচালিত জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে আপা চরিত্র তাকে সাফল্য বয়ে আনে । তাছাড়া আমজাদ হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় নয়নমনি,আবু ইসহাকের উপন্যাস অবলম্বনে শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহউদ্দিন শাকের পরিচালিত সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে ।তার ৩৫ বছর ক্যারিয়ার জীবনে তিনি ২৫০টির বেশী ছবিতে অভিনয় করেন।
চন্দ্রাবতী:
বিশ্ব সাহিত্য ইতিহাসেও এমন নজির নেই যে একজন সাহিত্যিককে নিয়ে কাব্য রচনা কেউ করেছেন।বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগের ‘একমাত্র নারী কবি’ হিসেবে পরিচিত চন্দ্রাবতীর মর্মন্তুদ জীবন-আখ্যানকে কাব্যে রূপ দিয়েছিলেন মধ্যযুগের আরেক মনসা মঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা ও ভাসান কবি নয়নচাঁদ ঘোষ।পনের শতকের বাংলার অসাধারন নারী হিসাবে অনেক পরিচিত ছিলেন।তার পিতা ব্রাহ্মণ দ্বিজ বংশী দাশের কাছেই তার সাহিত্যে রচনার হাতে খড়ি হয়।তার পিতা তাকে একজন নারী হিসাবে নয় নিজেকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখিয়েছেন।তাঁর নিবাস ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাঠবাড়ী বা পাতুয়ারী গ্রামে।দীনেশচন্দ্র সেনের মতে কবি চন্দ্রাবতী ১৫৫০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মৈমনসিংহ-গীতিকার ‘জয়-চন্দ্রাবতী’ উপাখ্যানের নায়িকারূপে তিনি অমর হয়ে আছেন।
অনিন্দ সুন্দরী চন্দ্রা শৈশবের খেলার সাথী ছিলেন পাশের করিমগঞ্জ উপজেলার সুন্ধা গ্রামের জয়ানন্দ।দু’জনের শিশুকালে প্রেম এক সময় প্রণয়ের দিকে মোড় নিতে থাকে।এক সময় এ প্রণয় জীবন সাথী বন্ধনে প্রস্তুতি নেয়া হয়। বিয়ের দিন-ক্ষণও নির্ধারণ করা হয়ে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে চন্দ্রাবতীর প্রেমিক জয়ানন্দ স্থানীয় কাজীর সুন্দরী মেয়ে আসমানির প্রেমে পড়ে যান। চন্দ্রাবতীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ওই মুসলমান যুবতীর প্রেমে পড়ে ধর্মান্তরিত হন জয়ানন্দ এবং বিয়েও করেন।
আশাহত চন্দ্রা বাবার নির্দেশে আজীবন কুমারী থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে শিব মন্দির স্থাপন করে শিবপূজায় মন দেয়।
“অনুমতি দিয়া পিতা কয় কন্যার স্থানে
শিব পূজা কর আর লেখ রামায়ণে”।
সময়ের স্রোতে ভেসে আসে জায়ান্দ আবারো চন্দ্রাবতীর দরজায় কিন্তু অভিমানী চন্দ্রা আর মন্দিরের দরজা খোলেননি।কারন তখন চন্দ্রাবতী এক অন্য মানুষ, ধ্যানস্থ যোগিনী।অনেক ডাকাডাকির পর সন্ধ্যামালতী ফুল দিয়ে মন্দিরের কাঠের দরজায় চার লাইনের একটি আকুতিমূলক কাব্য লিখে গিয়েছিলেন জয়ানন্দ।
শৈশব কালের সঙ্গী তুমি যৈবন কালের সাথী
অপরাধ ক্ষমা করো তুমি চন্দ্রাবতী
পাপিষ্ট জানিয়া মোরে না হৈলা সম্মত
বিদায় মাগি চন্দ্রাবতী জনমের মতো।’ এর পর ব্যর্থ প্রেমিক জয়ানন্দ আত্ম গ্লানি আর দহনে পুড়ে ফুলেশ্বরী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করলেন।
তার সব চেয়ে দুর্দান্ত সাহিত্যিক সাফল্য ছিল এক জন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে রামায়ণের ব্যাখ্যা, যেখানে তিনি সীতাকে এক জন অবলা নারী হিসেবে না দেখিয়ে প্রতিবাদী ও দৃঢ়মনা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। এছাড়াও নারীবাদী দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে রচিত ‘সুন্দরী মলুয়া’, ‘দস্যু কেনারাম’সহ আরো বেশ কিছু রচনার জন্য তিনি প্রশংসিত।
অরুন্ধতী রায়:
অরুন্ধতী রায় এর জন্ম ১৯৬১ সালের নভেম্বর ২৪ তারিখ ভারতের আসাম রাজ্যের শিলং। তাঁর পিতা রঞ্জিত রায় বাঙালি হিন্দু হিসেবে চা-কর্মী এবং মালয়ালী সিরিয়ান খ্রিস্টান ম্যারি রায় নারী অধিকার কর্মী ছিলেন।তিনি একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক, বুদ্ধিজীবী এবং স্যোসাইল অ্যাকটিভিস্ট।তার আকাশচুম্বী সাফল্যের মুলে ছিলো তাঁর পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস দ্য গড অব স্মল থিংস এর জন্য যা ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি ১৯৯৮ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি পরিবেশগত সংশ্লিষ্টতা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও জড়িত আছেন।ইন হুইচ এনি গিভস ইট দোজ ওয়ানসে'র জন্যে ১৯৮৯ সালে সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে ন্যাশনাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ২০০২ সালে তিনি লান্নান ফাউন্ডেশনের 'সাংস্কৃতিক মুক্তি পুরস্কার' লাভ করেন। 'বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার ও সংস্থাগুলো কর্তৃক সাধারণ নাগরিক গোষ্ঠীর উপর প্রভাব বিস্তার' শিরোনামীয় প্রবন্ধে তাঁর জীবন উৎসর্গ এবং মুক্তি, ন্যায়বিচার ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়াবলী তুলে ধরা হয়েছিলো।
--------------------------------------------------------------------------------
(পোষ্টে বর্নিত মহিয়সী নারীদের জীবন বৃত্তান্ত খুব সংক্ষিপ্ত আকাঁরে প্রকাশ করা হল।আরো অনেক এমন মহৎ নারী আছে যা একই পোষ্টে তুলে সম্ভব হলো না বলে দুঃখিত।)
তথ্য ও ছবি সহযোগীতায়:
উইকিপিয়া,বাংলা পিডিয়া,বাউলবাড়ী,অনলাইন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা,ইআরকি.কম,কথাবলি।
৪৫টি মন্তব্য
নাজমুল আহসান
বেগম রোকেয়া এবং সুফিয়া কামালের ছবি ওলট-পালট হয়ে গেছে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ গুগুলে সার্চ দিয়ে দেখেনতো কি বলে আমিতো দেখছি ঠিক আছে।
জিসান শা ইকরাম
মনির ভাই একজন মডারেটর ঠিক করে দিয়েছেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এ অনিচ্ছাকৃত ভুল ঠিক করে দেয়ার জন্য।এরা দুজন হলেন আমাদের সব চেয়ে বেশী পরিচিত মুখ কি ভাবে এমনটি হল বুঝতে পারছি না।হতেও পারে কারন পোষ্টটি আমার রাফে বহুদিন ধরে লিখছিলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
অত্যন্ত মূল্যবান পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মমি ভাই। সোনেলাকে প্রতিনিয়ত যারা সমৃদ্ধ করে তুলেছেন / তুলছেন, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। শুভ কামনা রইলো সব সময়ের জন্যে। 🌹🌹
* চমৎকার লেখাটি প্রিয় তালিকায় রাখলাম।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদ
তাদের নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্য এখনো হয়ে উঠিনি। তবে লেখাটি ডাইরেক্ট প্রিয়তে নিলাম ভাই।
ধন্যবাদ এমন মুল্যবান পোষ্ট সোনেলায় দেবার জন্য।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইটি।
জিসান শা ইকরাম
এমন কস্ট সাধ্য, তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট আপনিই দেন মনির ভাই।
পাঠকরা জানতে পারবেন এনাদের সম্পর্কে।
এমন পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সোজা প্রিয়তে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
রেহানা বীথি
অত্যন্ত মূল্যবান পোস্ট।
ভালো লাগলো ভীষণ।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
আপনার এই লেখা, এই পোস্ট নতুন প্রজন্ম আর পুরানোদের মিলিয়ে সকলের জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, উপমহাদেশের মহীয়সী নারীদের ইতিহাস নিয়ে আমারও তেমন ধারনা ছিল না। যা জানা হলো আপনার সু-লেখনীয় এই পোস্টের মাধ্যমে।
আপনার জন্য শ্রদ্ধা ভালোবাসা দুটোই থাকলো।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ দাদা।
অপু রায়হান
বিনম্র শ্রদ্ধা😞
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অপু রায়হান
ji wlcm😍
বন্যা লিপি
অভিবাদন আপনাকে এমন এক পোস্ট শেয়ার করার জন্য সবার সাথে। কতটা ধৈর্য থাকলে এত এত মহীয়সী নারীর কির্তী, পরিচিতি তুলে ধরা যায়…এই পোস্ট উদাহরন। অসংখ্য শুভ কামনা জানবেন মমি ভাই।
মনির হোসেন মমি
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।আসলে বর্তমান অনলাইন যুগে তথ্য সংগ্রহ করা সময়ের ব্যাপার।আমার কোন কৃতিত্ব নেই সব আপনাদের অনুপ্রেরণা। ভাল থাকবেন।
তৌহিদ
মডারেটরকে ধন্যবাদ, পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
সঞ্জয় মালাকার
অত্যন্ত মূল্যবা পোস্ট..
পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া
আপনার জন্য রইলো শ্রদ্ধা ভালোবাসা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাসুদ চয়ন
সমৃদ্ধ তথ্যবহুল উপস্থাপন
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরজু মুক্তা
আমরাও এঁদের পথ ধরে হবো চিরস্মরণীয়।।
মনির হোসেন মমি
অসম্ভবের কিছুই নেই।তাঁরা আমাদের মতই মানুষ।ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অত্যন্ত মূল্যবান পোস্ট।
পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
শাহরিন
বলতে লজ্জা নেই যে আমি এদের মধ্যে অনেকই চিনতাম না। অনেক সাধুবাদ এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। আস্তে আস্তে পড়বো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি
শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জনে কোন লজ্জা নেই,নেই বয়স।আবার সবায় সব কিছু যে জানেন তারও কোন ভিত্তি নেই।অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
মাসুদ চয়ন
সমৃদ্ধ তথ্যবহুল আলোচনা।ভালো লেগেছে নিবন্ধগুচ্ছলিপি”
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
রাফি আরাফাত
অনেক কিছুই জানালেন ভাই। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাহিদ হাসান শিশির
অসাধারন ভালো পোস্ট। অনেক কিছু নতুন জানলাম।
আমার সবচেয়ে পছন্দের হচ্ছেন বেগম রোকেয়া।
উনার কারণেই বাংলার নারীরা আজকে শিক্ষিত হয়ে দেশ চালাচ্ছে।
সব নারীদের উচিত তাই তাকে দিনে দুইবার স্মরণ করে তার জন্য দোয়া করা।
মনির হোসেন মমি
ঠিক তাই।নারী জাগরণী রাণী।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জাহিদ হাসান শিশির
বেগম রোকেয়ার জন্ম না হলে হয়তো আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না। স্পিকার শিরিন শারমীন স্পিকার হতেন না। নারীদের শিক্ষিত করে এই যে এত উচু স্থানে বসালেন এর জন্য বেগম রোকেয়াকে আরও বেশি সন্মান করা উচিত ছিল। বেগম রোকেয়ার জন্মদিনে ‘বেগম রোকেয়া ও নারী জাগরণ দিবস ‘ পালন করা তরকার। এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস অফ রেখে বিশেষ অনুষ্ঠান হওয়া দরকার।
মোঃ মজিবর রহমান
এই নারী সকল আমাদের সমাজের নিগ্রিহিত নারীদের পেরনার অগ্রদুত।
অতি সুন্দর একটি পোস্ট।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভেচ্ছআ অবিরত
আকবর হোসেন রবিন
এখানে কয়েকজন সম্পর্কে আজ প্রথম জানলাম। ধন্যবাদ ভাই লেখাটা শেয়ার করার জন্য।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে নিয়ে আমার একটা লেখা আছে। ভার্সিটির দেয়ালিকার জন্য লিখেছিলাম। একদিন শেয়ার করবো এখানে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া। এখানে সবারই সংক্ষিপ্ত রূপ। লিখে ফেলুন।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ধন্যবাদ,এতো সুন্দর তথ্য বহুল একটি লিখা দেয়ার জন্য।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপনাকেও।ভাল থাকবেন।