মাই হিরোইন নং ১

ইমন ২৬ মে ২০১৫, মঙ্গলবার, ০৬:১৯:৫৪অপরাহ্ন বিবিধ ১২ মন্তব্য

মেয়েটা দেখতে ট্রাডিশনাল ওয়েতে খুবই বিদঘুটে।
ভীষণ মোটা এবং সেটা অস্বস্তিকর পর্যায়ের মোটা।
কালো এবং সেটা যাচ্ছে তাই কালো।

কিন্তু সে যা করলো, তোমরা যারা কিবোর্ডো & কিপ্যাডে ঝর তোলে ফেঁনা তুলে ফেলো মুখে, ভাবসাব দেখাও এই করবা সেই করবা, তারা অাদৌ পারতা কিনা অামার যথেষ্ট সন্দেহ অাছে।

কারণ ঐদিন লিটন নন্দীর ইভেন্টে যে কজন মেয়ে গোয়িং দিয়েছিলো, তার সিকিভাগও যদি ইভেন্টের দিন উপস্থিত থাকতো তবে, পুলিশকে ঐদিন পিষে ভর্তা বানানে যেতো।

যাই হোক, মূল ঘটনায় অাসি।
লান্চ করে অাম ভর্তা খাওয়া নিয়ে সবাইকে ফোন করে বিরক্ত করতেছি।
যারা বনানীর ৪ নাম্বার রোড। সি ব্লকে মাঝেমাঝে যান তারা নিশ্চই 'রয়েল তেহারীর ' দোকানটা চিনেন।
এই রোডে রিকশা গুলা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো থাকে।
অামি যাস্ট খেয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে পকেটে মানিব্যাগ ডুকাচ্ছি।

উল্লেখিত মেয়েটি অাসলো, সামনের রিকশাওয়ালাকে বললো, মামা গুলশান-১ যাবেন?
সে না করলো। মেয়েটা দুটা রিকশা ক্রস করে তিন নাম্বার ড্রাইভারকে বললো "মামা ১ নাম্বার যাবেন "? সে বললো "ওঠেন "।
মেয়েটা একটা পা রিকশায় উঠালো।
এমন সময়ে প্রথম ড্রাইভারটা হেসে হেসে পাশের ড্রাইভারটাকে বলতেছে
"হালার অামিতো পাছা দেইখাই ঠান্ডা। এই মাল নিয়া কেমনে যামু "।

অামি মুখ খুলার অাগেই মেয়েটা এসে " এই কুত্ত্বার বাচ্ছা কি কইছস "! বলে তার কলার চেপে ধরে।
অামিও ড্রাইভারকে ধরে ফেলি।
দু ভাই বোন মিলে বেদম মার মারতেছি।

অাওয়াজ ওঠলো "মার মার "।
অাসেপাশের রিকশা ড্রাইভার, পথচারী, স্টুডেন্ট সবাই মিলে ড্রাইভারকে মারতে থাকলো।
বাকিটা ইতিহাস।
মেয়েটার সেন্ডেল, অামার শার্ট ছিড়লো, ড্রাইভারের হাত-পা ভাঙ্গা হলো।

১০ মিনিট পরে ঝামেলা ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম অাপু তুমি কই যাবা। বলে " গুলশান -১ উদয় টাওয়ার "।
বললাম-" চলো তোমাকে দিয়ে অাসি "।
জবাব দিলো -" অাপনি অনেক করেছেন, বাকিটা অামি যেতে পারবো। অাপনাকে ধন্যবাদ "।

দেটস দ্যা স্পিরিট।
ড্রাইভারকে মারতে গিয়ে সে ইনজুরড হইছে, মার খাইছে, মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে জামা নোংরা হয়েছে, কিন্তু নিজের সম্ভ্রম নিয়ে গেছে।

অামি লিখে দিয়ে গেলাম, ৪ নাম্বার রোড, সি ব্লকে সাউথইস্টের ক্যাম্পাসের গলিতে অাজকে যেসব রিকশা ড্রাইভার এবং পথচারী ছিলো, তারা জীবনে কোনো মেয়েকে টিজ করবেনা।
দেটস দ্যা ট্রীটমেন্ট।

হে ভগিনী, জায়া, স্ত্রী, জননী.....
ছুরি, চাকুর সাথে সাহসও রেখো বুকে।
শুধু দুদলা মাংস পিন্ড নিয়ে ঘুরে অার ইভেন্টে জয়েন করে লুুচ্চামী বন্ধ করতে পারবেনা।

মনে রেখো,
অক্ষর, শব্দ তোমার শত্রুকে অাঘাত করতে পারবেনা। ফলে সে দুষ্টামী করেই যাবে।
অাঘাত করতে হলে সাহস অার ময়দানে হাতটাও চালাতে হবে।

শুভেচ্ছা অাপনাদেরকে।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ