আমার সাথে তোলা সেলফি এবং প্রথম দেখার অনুভূতি নিয়ে প্রথম যিনি সোনেলায় পৃথিবীটা কমলা লেবুর মতন গোল শিরোনামে পোস্ট দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন তিনি হচ্ছেন আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার, পাখি বিশারদ শামীম চৌধুরী ভাই। তিনি সেখানে লিখেছিলেন-

"তৌহিদকে দেখে কিছুক্ষন বোবা হয়ে রইলাম। মনে মনে ভাবলাম এটাও কি সম্ভব? ভার্চুয়াল জগতে দেখা ও ভার্চুয়াল কথা। ভার্চুয়াল কি করে রিয়েল হয়? নানা প্রশ্ন যখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো তখন তৌহিদের স্বভাব সূলভ হাসি, মিষ্টি কথা ও ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলি। বড় ভাই হিসেবে আমাকে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও বিশ্বাস করার প্রবনতা দেখে আমার মনে হলো আমরা একই মায়ের গর্ভে দুই ভাই।" 

পেছনের গল্প-

তিনি যেদিন আমাকে মেসেঞ্জারে প্রথম ফোন দিয়েছিলেন-

- তৌহিদ ভাই কেমন আছেন?

- এইতো ভাই আছি আলহামদুলিল্লাহ, আপনি কেমন আছেন ভাই?

- আর বলবেননা, খুব পেরেশানিতে আছি। সোনেলার ঝরে কোনদিকে যাব, কার কাছে যাব বুঝতে পারছিনা। সে কারনেই ফোন দিলাম।

- ভাইজান, আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তাই প্রথমে তুমি করে বলুন তারপর কথা বলবো।

- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া। এখন বলতো আমি কি করি। বিভিন্নজন আমাকে নানান কথা বলছে, আমি তোমাকে ফোন দিলাম কি করা যায় আসলে! আমাকে বলো। আমি সত্যিই কনফিউজড!

- বললাম, ভাইজান ইনবক্সে আপনার নাম্বার দিয়ে রাখুন আমি কল দেবো। আমার কল দেয়া হয়নি আর।

এরপরে তার সাথে ৪৭ মিনিট কথা হয়েছে সেদিন। আমার কাছে সব শুনে তিনি আশ্বস্ত হয়ে বলেছিলেন- যাক এইবার মনটা হালকা হলো তৌহিদ। ভাগ্যিস তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম। আমি তোমাদের সাথেই আছি।

এর ৩ মাস পরে-

উপকূলীয় অঞ্চলে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়েছে। দেশের সব জায়গায় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি সাথে ঝড়োবাতাস। সে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শামীম ভাই এসেছেন পদ্মার ধারে পাখিদের ছবি তোলার জন্য! আশ্চর্য লোক একজন, মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা আর তিনি সদলবলে ৩০০ কি.মি পথ ভ্রমণ করে চলে এসেছেন দুষ্প্রাপ্য পাখিদের ছবি ফ্রেমবন্দী করতে! ভাগ্যক্রমে আমিও সে জেলায় ছিলাম সেদিন। ফেসবুকে তার মাঠা গলাধঃকরণের ছবি দেখেই ফোন দিলাম।

- আসসালামু আলাইকুম

- ওয়ালাইকুম আসসালাম, কে বলছেন?

- ভাই, আমি তৌহিদ।

- আরে! কি আশ্চর্য! তৌহিদ তুমি কোথায়?

- ভাই, আপনি কই?

- এইতো হোটেলে।

- কোন হোটেল?

- হোটেল মুন।

- তাকে বিস্মিত হবার সুযোগ না দিয়েই বললাম, আচ্ছা থাকেন আমি আসছি ২০ মিনিটের মধ্যে।

সেদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই তিনি আমার জন্য নিজেই দাঁড়িয়ে ছিলেন হোটেলের নীচের গেটে। এরপরে কোলাকুলি। তার রুমে গিয়ে শুধু পাখি নিয়েই কথা। আমি অবাক বিস্ময়ে শুনছিলাম সেসব। পাখি বিষয়ে তার জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম।

এরপর নীচে নেমে এসে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যুৎ হোটেলের হালিম দিয়ে নানরুটি, টং দোকানের চা খেতে খেতে আমিও মন খুলে অতীত জীবনের কত যে কথা বলেছি তার হিসেব নেই। অথচ সেসব কথা আমার অনেক বন্ধুরাও জানেনা। প্রথম দেখাতেই মানুষটি আমাকে সত্যিকারের বড়ভাইয়ের মত আপন করে নিয়েছিলেন সেদিন।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে তার সাথে আমার আন্তরিকতা বেড়েছে ঝড় আর বাদলার দুর্দিনের দিনগুলোতে, এ বাঁধন যাবেনা ছিঁড়ে টাইপ অবস্থায়। তিনি সোনেলাকেও নিজের পাখি এবং প্রকৃতি বিষয়ক লেখাগুলো দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন।

আজ সোনেলার জনপ্রিয় ব্লগার শামীম চৌধুরী ভাইয়ের জন্মদিন।

ব্লগার শামীম ভাই আমার কাছে খুব প্রিয় এবং সম্মানিত একজন ব্যক্তি। ভার্চুয়ালি পরিচিত হয়েও অতি অল্প সময়ে তিনি আমাকে যতটা আপন করে নিয়েছেন আমার জীবনে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনাই শুধু মনের গভীরে এতটা স্থান করে নিতে পেরেছেন। শামীম ভাই হচ্ছেন তেমনই একজন মানুষ।

এই যে শামীম ভাই! আপনি কি জানেন- আমি আদর করে আপনাকে পাখি ভাই বলে ডাকি? রাগ করলেও কিছু করার নেই। এক চূটকিতেই আপনার রাগ ভাঙাতে আমিও জানি। আর হ্যা, পাখি নিয়ে আপনার ক্লিক করা সকল ছবির বিস্তারিত লেখা সোনেলায় চাই। কিছুদিন আগে বাঘের সাথে থেকে এলেন। সেই গল্পের বিস্তারিত তো এখনো জানাই হলোনা!

প্রিয় শামীম ভাই, কখনো যেন শুনতে না হয় আপনি ভালো নেই। করোনার এই বিষণ্ণ সময়ে সোনেলা পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আপনি সবসময় ভালো থাকবেন ভাইজান। তা না হলে পাখিদের গল্প আমাদের কে শোনাবে বলেন?

0 Shares

৪২টি মন্তব্য

  • ইঞ্জা

    প্রিয় শামিম ভাই, বয়সে উনি আমার বড় হলেও আমাকে ভাইজান ডাকেন কোন এক ভালোবাসার সূত্রে, উনার গুণ সম্পর্কে সবাই কিছু না কিছু জানেন, কিন্তু যা সবাই জানেন না তা আমি বলছি, উনি প্রচন্ড বন্ধুবৎসল একজন মানুষ, আমি অবাক হই কিভাবে একজন মানুষের মুখে মিষ্টি হাসি সবসময় থাকে, তেমনি আমাদের শামিম ভাই।
    জন্মদিনে অনেক ভালোবাসা ভাইয়ের জন্য।

  • ছাইরাছ হেলাল

    শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা ও শুভেচ্ছা আমাদের পাখি ভাইকে।
    আপনার উপস্থাপনাই বলে দিচ্ছে কেমনে কী! কতটা আন্তরিকতা আপনি/আপনারা বহন করছেন।
    আপনাকেও ধন্যবাদ,
    নিরাপদে থাকুন।

  • এস.জেড বাবু

    শত্রুতা প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হওয়ার গল্প-
    চমৎকার লিখেছেন

    শুভ জন্মদিন পাখি ভাই (শামীম চৌধুরী ভাই)
    ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে-
    আর পাখিদের নতুন নতুন গল্প নিয়ে আসবেন সোনেলার / আমাদের উঠানে।

  • শামীম চৌধুরী

    আদরের ছোট্ট ভাই তৌহিদ।
    চিঠির আকারেই লিখছি। সোনেলাতে পদার্পন আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক ও শ্রদ্ধাভাজন শুভাকংখী ও ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ এম ইঞ্জা ভাইয়ের সুবাদে। উনিই আমাকে উদ্ভুদ্ধ ও সোনেলার উঠানে ধপাস করে ফেলে দিয়ে বললেন, একটা ঘরের উঠানে আপনাকে দাঁড় করিয়ে দিলাম। আপনার কষ্টার্জিত কাজগুলি সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষির মানুষেরা জানতে পারবে আপনার কাজ ও গুনবলী। আরো অনেক কথা সেদিন সেলফোনে নিজের পকেটের অর্থ ব্যায় করে আমাকে বলাতে আমি অভিভুত ভাবে লোভে পড়ে যাই। তিনি নিজেই আমার একাউন্ট খুলে দেন এবং উনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাকে শিশু শ্রেনীর ছাত্রের মতন হাতে ধরে অ, আ, ক, খ শিখান। আমি কৃতজ্ঞ আমার শ্রদ্ধেয়ানেষু এম ইঞ্জা ভাইয়ের কাছে।
    সোনেলা ব্লগে সর্ব কনিষ্ট সন্তান হয়ে জন্ম নেবার পর নেমে আসলো কিছু দুঃচরিত্রের নোংরা মানুষের নিকৃষ্ট মনোভাব ও ভাষা। যা আমাকে ব্যাথিত করে। আমি কোন কুলকিনারা না পেয়ে এম ইঞ্জা ভাইয়ের শরানাপন্ন হলাম। উনি উনার সুন্দর মন দিয়ে আমাকে শুধু একটাই কথা বললেন ভাইজান, ধৈর্য্য ধরুন আর অপেক্ষা করুন। স্বপ্নীল সুন্দর নীল আকাশে যে কালো মেঘের ভেলাগুলি ভাসছে তা বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবে।
    উহু..!!
    উনার কথায় আমি আশস্ত হতে পারলাম না। মনে মনে সব সময় ভাবতাম ভ্রুন থেকে জন্ম নেয়া অবুঝ নিষ্পাপ শিশুটি কোথায় হাবুডুবু খাবে।
    তারপর দিন আদরের ছোট্ট ভাই তৌহিদকে ফোন দিলে সে আমাকে বিস্তারিত জানায়। আমি আশস্ত হই। আর প্রতিজ্ঞা করি যে উঠানে আমার জন্ম সেই উঠানকে মাটি কাঁদা দিয়ে লেপন করে পৃথিবীর সুন্দরতম একটি উঠান হিসেবে গড়বো। যা দেখে বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষিরা বিমোহিত হয়। কুৎসা রটনাকারীরা আফসোস করবে জীবন থেকে কি হারালাম।
    তৌহিদ,
    তোমার লেখা পড়ছিলাম আর আমার দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে আসছিলো। এই দৃশ্য তুমি হয়তো তিনশত কিলোমিটার দূর থেকে দেখতে পাওনি। কিন্তু আমার বিশ্বাস তোমর সুন্দর হৃদয় আমার সুখের কান্নার জলে ধুয়ে গেছে। সোনেলা ব্লগের যে ভাইটিকে আমি সর্বপ্রথম স্বচক্ষে ও শারিরিক ভাবে দেখি সেটা হলো তুমি। সেদিন রাজশাহীতে শত কাজের ফাঁকে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে আমার সাথে যখন দাড়িয়ে ছিলে তখন মনে হলো পৃথিবীটা আসলেও কমলা লেবুর মতন গোল ও সুন্দর। তারপর থেকে তোমার সহযোগিতা ও ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করে নিমগ্ন রেখেছে এই ব্লগে কিছু করার জন্য। অথচ আমি একজন অগুনী মানুষ যার ফলশ্রুতিতে ব্লগকে দেবার মত কিছু অর্জন করতে পারিনি। এই ব্যার্থতার দায়ভার আমার একার।
    একে একে কয়েক মাস সহবাস করলাম সোনেলা ব্লগের অন্যান্য ভাই বোনদের সাথে। সর্ব কনিষ্ট সন্তান হিসেবে আমার অগ্রজ ভাইবোনদের ভালোবাসা সম্মান ও আদর আমাকে দিন দিন আপ্লুত ও দূর্বল করে তুললো।
    পরবর্তীতে গত ফেব্রুয়ারী মাসে সোনেলার অষ্টম জন্মদিনে সরাসরি দেখা পাই আমাার অগ্রজ ভাই বোনদের। দেখা মিললো ব্লগের পিতা জিসান ভাইয়ের সাথে, ছাইরাস হেলাল ভাই তার কনিষ্ঠ ছোট ভাইকে এত ভালোবাসেন আদর করেন সেদিন দেখা না হলে অজানা থেকে যেত। ব্লগে আমার বোনদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সেদিন পেয়েছিলাম গোলা ভরে। অথচ স্বার্থরের মতন সব নিয়ে এসেছিলাম সেদিন। দেখা পেলাম বোন বন্যা,রেহানা,সুরাইয়া আপুদের মতন অনেক বোনদের। এমন অনেক ভাইদের সাথেও দেখা হলো। (যাদের নাম এই মহুর্তে আমার মনে পড়ছে না।) আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ উনাদের আপ্যায়ন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কাছে।
    পরিশেষে তৌহিদ আমার অগ্রজ ভাই বোনদের সাথে সোনেলা ব্লগে আমি আছি ও থাকবো। যতদিন বেঁচে থাকবো আর সোনেলা থাকবে ততদিন আমিও বেঁচে আছি এই পরিবারের সাথে। আমার জন্মদিনে তোমাদের ভালোবাসা,আদর,সম্মান ও শ্রদ্ধায় আমি ঋনী হয়ে রইলাম। এই ঋন শোধ করবো ভালোবাসা ও আদর দিয়ে। যে ভাবে আজ তোমাদের ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছো আমৃত্যু এমন ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকতে চাই আমার ভাই বোনদের কোলে কোলে। তোমার মাধ্যমে সবাইকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা। সবাই ভালো থাকুক এই সুন্দর প্রকৃতির বসুন্ধরায়।
    আমার সব ভাই বোন সহ দেশের সকল মানুষকে একটি বার্তা দিয়ে চিঠিটা শেষ করলাম।
    ঘরে থাকুন
    সুস্থ্য থাকুন
    করেনার ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকুন।
    আমরা সুরক্ষিত থাকলেই দেশ সুরক্ষিত থাকবে।
    ইতি,
    তোমার পাখি ভাই।

    • তৌহিদ

      ভাইজান, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরী হলো উত্তর দিতে তাই। আসলে আমাদের অফিস ছুটি নেই। করোনাভাইরাস প্রকোপে সবার ছুটি বাতিল, ফুল টাইম অফিস। অন্যান্য ব্যস্ততাতো আছেই।

      আপনার এমন আবেগপূর্ণ মন্তব্যে নিজেও অনেক আবেগাপ্লুত হয়েছি। ধন্যবাদ দিলেও কম হয়ে যাবে। সেদিন আপনি ফোন দিয়েছিলেন বলেই আজ আপনাকে বড়ভাই হিসেবে পেয়েছি। ব্লগের এখন যারা আছেন সবাই অনেক আন্তরিক। ঝড়ঝাপটা আসবেই তবে সত্যের জয় হয় এটাই নিশ্চিত।

      এই আবেগীয় মন্তব্যের মাধ্যমে যে সম্মান ভালোবাসা আমাকে দিলেন আজীবন মনে ধরে রাখতে চাই। দোয়া করবেন ভাইজান। আপনার ভালোবাসা প্রাপ্তি সর্বদাই কাম্য।

      নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো ব্লগার শামীম ভাইয়ের জন্যে। তার প্রতিটি লেখায় আমরা একেকটি পাখি চিনেছি, জেনেছি একদম কাছ থেকে দেখার মতো করেই। তার লেখা ধারাবাহিক গল্পও সে আমাদের উপহার দিয়েছেন, যেখানে গল্প পড়ার পাশাপাশি ছিলো শিক্ষনীয় উপাদান। তিনি আমাদের কাছে একাধারে গল্পকার, অভিযাত্রী, ভালো ফটোগ্রাফার, পাখি গবেষক এবং অত্যন্ত অমায়িক একজন মানুষ হিসেবে পরিচিত। সোনেলার অকৃত্রিম বন্ধু শামীম ভাইয়ের সার্বিক সফলতা কাম্য করি।

    সুন্দর শুভেচ্ছা পোস্টের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। শুভ কামনা 🌹🌹

    • সুরাইয়া নার্গিস

      লেখাটা পড়ে সত্যি মুগ্ধ হলাম তৌহিদ ভাইয়া। আবেগে আপ্লুত হলাম সবার সাথে সবার পারস্পারিক সম্পর্ক ও আন্তরিকতা দেখে। আমি ব্লগে একদম নতুন ইঞ্জা ভাইয়া আমাকে সোনেলায় আমন্ত্রন জানান এবং এস.জেড বাবু ভাইয়া নিজের একাউন্ট খুলে সব শিখিয়ে নেন। তারপর ব্লগে লিখতে শুরু করলাম আলহামদুলিল্লাহ্ এখানে সবাই আমাকে এমন ভাবে ভালোবাসা, স্নেহে জড়িয়ে নিয়েছে যার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না।
      এ ভালোবাসার ঋণ কখনো শোধ করতে চাই না বরং আরো বেশি ভালোবেসে সবার সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই।
      তৌহিদ ভাইয়ার সাথে আমিও বলতে চাই
      শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় পাখি ভাইয়া (শামিম ভাইয়া) জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল। জন্মদিনে আপনার সুস্বস্থ্য ও দ্বীর্ঘায়ু কামনা করছি,ভালো থাকুন সব সময় ভাইয়া।
      সবার প্রিয় পাখি ভাইয়া, আমাদের সাথেই থাকুন সোনেলা পরিবারে এক সুতোই মালায়, অটুট থাকুক এই সেঁতুবন্ধন যুগ যুগ ধরে এই কামনাই রইল।

      শুভ কামনা সোনেলার সবার জন্য।

      • তৌহিদ

        আসলে ব্লগে একজন অন্যকে নিয়ে লিখলে আন্তরিকতা আরো বাড়ে কিন্তু। এক সময় আপনিও লিখবেন আশাকরি।

        আপনিও অল্প সময়ে সোনেলায় নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন আপু। আপনার লেখা প্রশংসার দাবীদার। ইঞ্জা ভাই আর বাবু ভাই সোনেলা ব্লগের জন্য নিবেদিত প্রাণ মানুষ।

        আমরাও আপনাকে ভালোবাসা দিয়েই সোনেলায় রেখে দেবো অবশ্যই। ভালো থাকুন সবসময়। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

    • তৌহিদ

      ধন্যবাদ আপু, আসলে শামীম ভাই সোনেলায় তার লেখার মাধ্যমে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে সবার মনে। অমায়িক একজন সজ্জন ব্যক্তি তিনি। য়ার সাফল্য কামনা করি।

      আপনিও ভালো থাকবেন। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

  • সুরাইয়া নার্গিস

    লেখাটা পড়ে সত্যি মুগ্ধ হলাম তৌহিদ ভাইয়া। আবেগে আপ্লুত হলাম সবার সাথে সবার পারস্পারিক সম্পর্ক ও আন্তরিকতা দেখে। আমি ব্লগে একদম নতুন ইঞ্জা ভাইয়া আমাকে সোনেলায় আমন্ত্রন জানান এবং এস.জেড বাবু ভাইয়া নিজের একাউন্ট খুলে সব শিখিয়ে নেন। তারপর ব্লগে লিখতে শুরু করলাম আলহামদুলিল্লাহ্ এখানে সবাই আমাকে এমন ভাবে ভালোবাসা, স্নেহে জড়িয়ে নিয়েছে যার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না।
    এ ভালোবাসার ঋণ কখনো শোধ করতে চাই না বরং আরো বেশি ভালোবেসে সবার সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই।
    তৌহিদ ভাইয়ার সাথে আমিও বলতে চাই
    শুভ জন্মদিন শ্রদ্ধেয় পাখি ভাইয়া (শামিম ভাইয়া) জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল। জন্মদিনে আপনার সুস্বস্থ্য ও দ্বীর্ঘায়ু কামনা করছি,ভালো থাকুন সব সময় ভাইয়া।
    সবার প্রিয় পাখি ভাইয়া, আমাদের সাথেই থাকুন সোনেলা পরিবারে এক সুতোই মালায়, অটুট থাকুক এই সেঁতুবন্ধন যুগ যুগ ধরে এই কামনাই রইল।

    শুভ কামনা সোনেলার সবার জন্য।

    • তৌহিদ

      আসলে ব্লগে একজন অন্যকে নিয়ে লিখলে আন্তরিকতা আরো বাড়ে কিন্তু। এক সময় আপনিও লিখবেন আশাকরি।

      আপনিও অল্প সময়ে সোনেলায় নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন আপু। আপনার লেখা প্রশংসার দাবীদার। ইঞ্জা ভাই আর বাবু ভাই সোনেলা ব্লগের জন্য নিবেদিত প্রাণ মানুষ।

      আমরাও আপনাকে ভালোবাসা দিয়েই সোনেলায় রেখে দেবো অবশ্যই। ভালো থাকুন সবসময়। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

  • জিসান শা ইকরাম

    পাখি ভাইকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
    আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন শামীম ভাইকে আনন্দের মাঝে, সুখের মাঝে রাখেন সারাক্ষণ।

    শামীম ভাই অনেক সজ্জন ব্যাক্তি, তিনি সোনেলায় লিখছেন বলেই জেনেছি পাখিদের জীবন যাত্রা, পাখির রকম। একটি নতুন অচেনা জগতকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনি তার পোষ্ট গুলোর মাধ্যমে।

    আন্তরিকতায় পরিপুর্ন লেখাটি মুগ্ধ করেছে আমাকে।
    এমন আন্তরিক সম্পর্ক বহমান থাকুক আজীবন।
    সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে তৌহিদ ভাই।
    শুভ কামনা।

    • তৌহিদ

      আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন এটাই কাম্য। শামীম ভাই অমায়িক সজ্জন ব্যক্তি, অতি অল্প সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। সেদিক থেকে আপনিও কম যাননা কিন্তু। এটা আমার অভিমত ভাই। আমাকে আপনি যে ভালোবাসা সম্মান দিয়েছেন এতে আমি নিজেও সম্মানিত বোধ করছি।

      ভালো থাকবেন ভাই। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ