অহনা বাসর ঘরে ঢুকে দেখল, খুব সুন্দর করে সাজানো। এখন ১টা বাজে। বিছানায় বসে পড়ল। অনেক ক্লান্ত লাগছে ওর। মিনিটপাঁচেক বাদেই দরজার শব্দ শুনতে পেল। রাজ্যকে ঢুকতে দেখে দৌড়ে রুমের সাথের অ্যাটাচড বাথরুমে ঢুকল। বাথরুমে ঢুকে বসে রইল। ভীষণ ভয় পাচ্ছে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নাকি এমন হয়। ‘স্বামী’ নামক প্রাণীটা বাসর রাতেই হামলে পড়ে। অহনা যত গল্পের বই পড়েছে, মুভি দেখেছে, সব জায়গায়… । তাছাড়া অহনা খেয়াল করেছে, আজ পুরোটা সময় লোকটা চোখ পাকিয়ে পাকিয়ে ওকে দেখেছে। আগে কি কখনো পার্লার থেকে সাজা বউ দেখেনি নাকি?
অহনার পানি তৃষ্ণা পেয়েছে, কিন্তু বাথরুম থেকে বের হলেই খপ করে ধরবে। অহনার ‘ছুটির ঘন্টা’র কথা মনে পড়ল, যেখানে বাচ্চা ছেলেটা তেষ্টায় বাথরুমের পানি খেয়েছিল। ভীষণ গরম লাগছে। যে ভারী মেক-আপ আর শাড়ী, তার উপর ৩৬ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর জন্যই সবাই শীতকালে বিয়ে করে। অহনা ভাবল, মেক-আপ তোলা শুর করলেই পারে। কিন্তু এতো ভারী অলংকারগুলো না খুলেই ঢুকে পড়েছে। এগুলো খুলে কৈ রাখবো? নিজের উপর রাগ লাগছে। কতোক্ষন ধরে বসেই আছে। নিজের উপর রাগ লাগছে। অপুর কথা মনে হল। যদি আজ অপুর সাথে বিয়ে হতো, তাহলেও কি অহনা এরকম বাথরুমে বসে থাকতো? কিছুক্ষন দরজায় নক করল রাজ্য। বলল, “বাথরুমে কি ঘুমিয়ে পড়লেন নাকি? কোন সাড়া-শব্দ নেই। ভয়ের কিছু নেই। আপনি বের হন। আমি কিছু করবো না”। কি অদ্ভুত কথা বলে লোকের!
আপু আপনি খুব কম লেখেন। যেটি লেখেন মনে দাগ দিয়ে যায়। এত মিষ্টি একটি গল্পের প্লট আমার মাথায় কোনদিন আসবে না। গল্পের ব্যারিয়ার তুলে দেয়ায় তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।
আপনার আর সোনেলার মাঝের ব্যারিয়ার ব্যাস্ততা। এই ব্যারিয়ার কে তুলে নেবে? সোনেলাকে ভালবাসেন বলেই ফিরে ফিরে আসেন, হানি। খুবই মিস করি আপনাকে সোনেলায়। যতটা আপনি ধারনা করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি।
আমার ঠোঁটের কোণে কেন জানি এক চিলতে হাসি চলে আসে যখন সজীব ভাইয়ের মন্তব্য পড়ি জানি না। সময় হলেই চলে আসি সোনেলায়, কিন্তু সময় দেয়া হয়ে ওঠে না সেরকম… 🙁
আমাকে এখনো মনে করা হয় জেনে ভাল লাগলো।
চমৎকার গল্প! একটানা বিরতিহীন ভাবে পড়ে ফেলা যায়।
অবিবাহিত হয়েও এমন রোমান্টিক গল্প লেখার দক্ষতাসম্পন্না! বর-বউ-বিয়ার নিয়ে এমন কিছু আমি ইহ জিন্দেগীতেও লিখতে পারবোনা। 🙁
বিরতি স্বল্প করার জন্য মাথায় তো কিছু থাকা চাই, তাই না?
তবে আপনার মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হলাম…
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্যস্ততার মধ্যে এই যে আসা, তারপর এমন লেখা দিয়ে পুষিয়ে দিলে রাগ-ক্ষোভ কিছুই আর থাকেনা।
এমন সুন্দর আর আবেগ মাখা বুদ্ধি আপনার।
সহজভাবে গল্প পাওয়া যায়না, আপনার এই সহজাত গল্পের মধ্যে এমনভাবে ডুবে গেলাম,
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে এমন গল্প উপহার দেয়ার জন্যে। -{@
৩৮টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
খুব সুন্দর গল্পটা।অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂 🙂 🙂
জেনে ভাল লাগলো… 😀
সালমা আক্তার মনি
দারুনতো, ভীষন ভাল লেগেছে। অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ 😀 😀 😀
জেনে ভীষণ ভাল লাগল। 🙂
আর্বনীল
অসম্ভব রকমের ভালো লেখা! অনেক দিন এমন লেখা পড়িনি।
কৃন্তনিকা
খুশি হয়ে গেলাম। 🙂
জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন 😀
ব্লগার সজীব
আপু আপনি খুব কম লেখেন। যেটি লেখেন মনে দাগ দিয়ে যায়। এত মিষ্টি একটি গল্পের প্লট আমার মাথায় কোনদিন আসবে না। গল্পের ব্যারিয়ার তুলে দেয়ায় তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।
আপনার আর সোনেলার মাঝের ব্যারিয়ার ব্যাস্ততা। এই ব্যারিয়ার কে তুলে নেবে? সোনেলাকে ভালবাসেন বলেই ফিরে ফিরে আসেন, হানি। খুবই মিস করি আপনাকে সোনেলায়। যতটা আপনি ধারনা করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি।
কৃন্তনিকা
আমার ঠোঁটের কোণে কেন জানি এক চিলতে হাসি চলে আসে যখন সজীব ভাইয়ের মন্তব্য পড়ি জানি না। সময় হলেই চলে আসি সোনেলায়, কিন্তু সময় দেয়া হয়ে ওঠে না সেরকম… 🙁
আমাকে এখনো মনে করা হয় জেনে ভাল লাগলো।
সজীব ভাইয়ার জন্য রইল শুভকামনা… -{@
ব্লগার সজীব
হানির পরিবর্তে জানি হবে আপু। j, h পাশাপাশি। আপনি আমার এ ধরনের ভুল হয় জানেন আপু, 🙁
আমি পোস্টেও বলেছি তা 🙁
কৃন্তনিকা
কি যায় আসে? মনের ভাব বুঝি তো :p
ইনজা
এক কথায় দারুণ, সুন্দর ও সাবলীল ভাবেই লিখেছেন কোন কিছুতেই বাড়াবাড়ি নেই ভালো লাগলো। 🙂
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
পুলকিত হলাম 😀 😀 😀
মেহেরী তাজ
ভু ভু ভু ভূউউউউউউত…..
আমি সোনেলায় ভুত দেখেছি! দৌড়ে পালাবো??
আপু মাঝে মাঝে একটু আদটু আসুন মিস করি তো!
আপনার গল্প তো (3
কোন কথা হবে না!
কৃন্তনিকা
😛 😛 😛
ভূতের ভালোবাসা থেকে সোনেলার তো রেহাই নেই…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 😀
অয়োময় অবান্তর
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। বুম্বাস্টিক।
কৃন্তনিকা
তাহলে এবার নিঃশ্বাস নিন। :p
খুশি হয়ে গেলাম আপনার মন্তব্যে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 😀 😀 😀
আবু খায়ের আনিছ
অবিবাহিত, কল্পনাপ্রবল মানুষের জন্য পড়া নিষেধ। হা হা হা
কৃন্তনিকা
যে লিখেছে সেও যে অবিবাহিত, কল্পনাপ্রবণ। :p
আবু খায়ের আনিছ
এই জন্যই ত আরো বেশি করে নিষেধ। পরে যদি আবার এমন করার কল্পনা জাগে।
কৃন্তনিকা
মজা পেলাম আপনার কথায়… :p
দীপংকর চন্দ
সাবলীল! সুন্দর!
লেখকের জন্য শুভকামনা অনেক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 😀 😀 😀
জেনে খুশি হলাম যে আপনার ভাল লেগেছে…
আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
সঞ্জয় কুমার
পুরোটা একবারে পড়েছি । এতটুকু ও এক ঘেয়েমী লাগেনি ।
সুন্দর লেখা
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ। 🙂 🙂 🙂
ভাল থাকবেন। 😀
অনিকেত নন্দিনী
চমৎকার গল্প! একটানা বিরতিহীন ভাবে পড়ে ফেলা যায়।
অবিবাহিত হয়েও এমন রোমান্টিক গল্প লেখার দক্ষতাসম্পন্না! বর-বউ-বিয়ার নিয়ে এমন কিছু আমি ইহ জিন্দেগীতেও লিখতে পারবোনা। 🙁
কৃন্তনিকা
চমৎকার লেগেছে যেন পুলকিত হলাম। 😀
না হয় বিয়ের পরেই লিখুন :p :p :p
আপনার জন্য শুভকামনা রইল…
অনিকেত নন্দিনী
পারলে কি আর এইরকম হাহুতাশ করতাম? 🙁
দুই পোস্টের মাঝের বিরতিটা আরেকটু স্বল্পায়িত করা যায়না?
কৃন্তনিকা
বিরতি স্বল্প করার জন্য মাথায় তো কিছু থাকা চাই, তাই না?
তবে আপনার মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হলাম…
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্যস্ততার মধ্যে এই যে আসা, তারপর এমন লেখা দিয়ে পুষিয়ে দিলে রাগ-ক্ষোভ কিছুই আর থাকেনা।
এমন সুন্দর আর আবেগ মাখা বুদ্ধি আপনার।
সহজভাবে গল্প পাওয়া যায়না, আপনার এই সহজাত গল্পের মধ্যে এমনভাবে ডুবে গেলাম,
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে এমন গল্প উপহার দেয়ার জন্যে। -{@
কৃন্তনিকা
আপনাদের জন্যই ফিরে আসা… এতো বিশাল বিরতি নিয়ে ফিরে সত্ত্বেও সাদরে গ্রহণ করেন আমাকে… এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে?
আমিও অনেক অনেক গল্প উপহার দিতে চাই… কিন্তু ভাণ্ডার তো শুন্য… কি করবো? বলুন।
ভাল থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য… -{@ -{@ -{@
আগুন রঙের শিমুল
পার্লারের বাধা চুল খোলা আসলেই অনেক ভেজাল 🙁
কৃন্তনিকা
হুম… আপনারো এমন অভিজ্ঞতা আছে নাকি? :p
আগুন রঙের শিমুল
হ 🙁
কৃন্তনিকা
ভাল তো, ভাল না? :p
জিসান শা ইকরাম
কল্পনা করেই এমন লেখা যায়?
নাকি সু খবরটা কেউ গোপন করেছে? 🙂
অনেক দিন পরে এসে এমন লেখা দিয়ে আপনি আসলে পুষিয়ে দেন,
লেখা আপনার মতমত না হলে, আপনি তা প্রকাশ করেন না
আর লেখা সম্পন্ন হলে তা যে সোনেলাতে দিবেনই তা জানি।
কৃন্তনিকা
না, অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে সেরকম কোন সুখবর নেই যে লুকাবো। সেই সুখবর যেন হয়, এই দোয়া আশা করছি সকলের কাছে থেকে… :p :p :p
সোনেলাতে শুরু যখন, বাকিটা সময় এখানেই ফিরে ফিরে আসবো… (3
জিসান শা ইকরাম
দোয়া তো করতেই আছি 🙂 তেমন সুখবর হলে জানাতে ভুল না হয় আবার। সোনেলা পরিবারের কয়েকজন নিয়ে উপস্থিত হবো নিশ্চিত 🙂
সোনেলাকে লালন পালিন করে বড় করেছি আপনি এবং আমরা মিলে মিশে
ফিরে তো আসতেই হবে -{@
শুন্য শুন্যালয়
বর, বউ ও বিয়ার? হা হা হা 😀
বিবাহিত কাপল নিয়ে কৃন্তনিকার ফ্যান্টাসি দারুন রোমান্টিক হয় 🙂 আমি ফিদা লেখাটা পড়ে, দারুন 🙂