ব্যাভিচারের শাস্তির বিধান করা হোক
সমাজে ব্যাভিচার চালু রেখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) প্রণয়ন করা সময়ের ব্যবধানে মরার উপর খরার ঘা হবে- তা সময় বলে দেবে। যারা আজ এই ঘোষণায় আনন্দে বগল বাজাচ্ছেন তারাও এর বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করবেন না- সময়ের অপেক্ষা মাত্র। দেখুনতো আমার সাথে আপনি একমত হতে পারেন কিনা ?
► তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীলোক যৌতুকের মামলা চলাকালীন সময়ে আসামীর (তালাকদাতা স্বামী) বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার সুযোগ গ্রহণ ও দুঃরভিসন্ধি দেখাতে পারবে। শুধু প্রয়োজন হবে কৌশল গ্রহণ করার।
► ধর্ষণকারী সর্বোচ্চ শাস্তির ভয়ে ধর্ষীতাকে হত্যা করার মতো আরো একটি জঘন্য কাজ করতে দ্বিধা হয়তো করবে না। কারণ হত্যার শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণের শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড। অপরাধ 2টি হলেও শাস্তিতো একটাই।
► কিশোর বয়সে ছেলে মেয়েদের ভুল করা স্বাভাবিক একটা বিষয়। আজ আমরা যারা পরিণত বয়সে উপনীত হয়েছি তারা সবাই একসময় কিশোর ছিলাম। আমরাও ভুল করেছি। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো না কিশোর বয়সে আমরা খুব ভাল ছিলাম।
কিশোর বয়সে যারা নারীঘটিত বিশেষত প্রেমের কারণে ছেলে মেয়ে উভয়ে পালিয়ে যায় সেকল ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়ের বাবা অপহরণের মামলা করে থাকে। এই আইন প্রণয়ন হলে সরাসরি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করার সুযোগ থাকবে। মামলা প্রমাণিত হলে শাস্তি কি তাতো বুঝাই যাচ্ছে।
আমি এই আইনের বিপক্ষে নই। তবে হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার কোন ব্যাপারেই পছন্দ নয়। সমাজে ব্যাভিচার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। পরস্পরের সম্মতিতে যৌনাকাঙ্খা পূরণ করাই ব্যাভিচার যা ইসলামী শরিয়ত, কোন সমাজ, কোন ধর্ম পশ্রয় দেয়না-সমর্থন করেনা। কিন্তু সমাজে ব্যাভিচারের কোন শাস্তি প্রচলিত নাই। নৈতিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে যে পুরুষ-নারী ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় তাদের শাস্তির আওতায় আনা সময়ের দাবী। কেননা ব্যাভিচারী নারী ও পুরুষের কারণে অগণিত পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। স্ত্রীকে রেখে স্বামী অন্য নারী নিয়ে আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত অথচ স্ত্রী-ছেলে-সন্তানরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আবার স্বামীর অবর্তমানে অন্য পুরুষের সাথে মন দেয়া-নেয়া ও তার প্রেক্ষিতে সুখের সংসারে ভাংগন ব্যাভিচারেরই ফলশ্রতি। অগনিত অসংখ্য প্রবাসীর স্ত্রী পাড়ার বখাটের শিকারে নিজেকে বিলিয়ে দেবার কথাও কম শুনা যায় না। টিনেজ ছেলে-মেয়ে মা-বাবার অবর্তমানে স্কুল-কলেজের ক্লাশ ফাকি দিয়ে যত্রতত্র যাচ্ছেতাই ভাবে চলাফেরা এগুলোও ব্যাভিচারের চেয়ে কম নয়। আলটিমেটলি একসময় এই সম্পর্কগুলোও ব্যাভিচারে রুপ নেয়। চূড়ান্তভাবে মা-বাবার নাক কাটা যায় কখনো কখনো। মাথার ঘাম পানি করে যে সন্তানদেরকে মানুষ করে তুলে মা-বাবা তাদের পর্যন্ত থানা-পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয় বিপথে যাওয়া ব্যাভিচারী সন্তানদের জন্য। সামাজিকভাবে হেয়তো হতেই হয়। এগুলো সব ব্যাভিচারের ফল।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হোক। কিন্তু ব্যাভিচারির শাস্তির বিধানও যেন করা হয়। কেউ যেন আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ব্যাভিচারির শস্তির বিধান রেখে টেকসই আইন হলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব। আশা করি দায়িত্বশীল মহল বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
৬টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
পাপীয়াদের কথা বলবো না।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত খুরশীদ ভাই। বিবাহবর্জিত দৌহিক মিলন এটাও ব্যাভিচার এর শস্তিও মৃত্যু দন্ড দেওয়া হোক। এতে সমাজে অনেক কুকাজ কমে যাবে। এই ব্যাধি ধর্ষনের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। বরঞ্চ বেশি খারাপ।
ধর্ষনে দুটি পক্ষ ধংস্ব আর পরকিয়া বা এই জাতীয়তে ছেলেমেয়ে হত্যা, স্ত্রী হত্যা স্বামী হত্যা শশুর শাশুড়ি হত্যুয়াও সংঘটিত হচ্ছে অহর্নিশ।
সুন্দর একটি লিখা প্রদানে সাধুবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর কথাগুলো বলেছেন
তৌহিদ
অসামাজিক সব কর্মেরই শাস্তি চাই। এখন ধরুন কেউ নিজেদের সম্মতিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালো এরপর মতের মিল হলোনা তখন দুজনের কেউ একজন আইনের আশ্রয় নিলো। সেক্ষেত্রে কি হবে?
তাদের কি বিচার হবে? আমার মতে যেই এই সম্পর্কে জড়াবে শাস্তি চাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সব অন্যায়ের শাস্তি হোক যাতে করে যেকোন অন্যায় করতে গেলে তার যেন বুক কাঁপে, ভয় পায়। চমৎকার লিখেছেন। ব্যভিচার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে সমাজের আনাচে কানাচে। আইনের ফাঁক ফোকর গুলো বন্ধ করতে হবে তাহলে আইন কার্যকরের সুফল পাওয়া যাবে। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
রোকসানা খন্দকার রুকু
অন্যায়ের সাজা হোক এটা আমরা সবাই চাই। তবে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ের ব্যাপার হল পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা দেয়া।
ভালো লিখেছেন। দোয়া করব আমরা সবাই যেন নৈতিকতা নিয়ে চলতে পারি।