
বিষণ্ণতার দুয়ার এঁটে বিস্তৃত বৈরাগ্যে বন্দিদশার
শৃঙ্খল ভেঙ্গে অনর্গল কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে
ঐ দ্যাখো ঐ দাঁড়িয়ে বটতলার নাচুনে রাক্ষস;
প্রেম সে দেবেই, নেবেও!
চারু-হৃদয়ের মধুপান তার চাই-ই;
হেঁটে যাওয়া ছায়া পথে একলা-স্বপ্ন উঁকি দেয়
দূর-বৃষ্টি সেজে মেঘমল্লারে; পথ-রেখা জুড়ে
শুধুই বিপন্ন ডানা-হীন পাখিদের ডাক
ক্ষয়ে যাওয়া অস্তিত্বে, নামে বেনামে;
ক্লান্ত রাত জড়ো হয় ছুঁয়ে থাকা নিঃশ্বাসে,
একটু শরণাপন্ন-ঋণ নেবে বলে, আকাশী চোখ থেকে,
পরস্পর হৃৎপিণ্ডের আলিঙ্গনাবদ্ধ মৃদু ধুকপুকে।
ছবি নেটের।
৩৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক দিন পর লেখা পেলাম। দারুন লাগলো। শুভ সকাল। ভালো থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য বিরতি মাত্র।
দারুন যে লেগেছে তা কী করে বুঝলাম কে জানে !
ভাল থেকে মন দিয়ে পড়ুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঐ দ্যাখো ঐ দাঁড়িয়ে বটতলার নাচুনে রাক্ষস;
প্রেম সে দেবেই, নেবেও!
চারু-হৃদয়ের মধুপান তার চাই-ই; রাক্ষসের প্রেম দেয়া-নেয়া টা দারুন লেগেছে। ক্লান্তি দূর করে বৃষ্টিতে রাক্ষসরাও নতুন উদ্যমে প্রেমের জোয়ারে ভাসতে চায়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
রাক্ষসদেরকে আপনি পজিটিভলি উপস্থাপন করছেন এটা অন্যরকম মজার আর ভালো লাগার
ছাইরাছ হেলাল
আসলে শুভ এর কাছে অশুভের পরাজয় নিশ্চিত।
তবে কী ভাবে হবে তা হয়ত আমরা বুঝতে পারি না।
তৌহিদ
তাও ভালো রাক্ষসটার মন ভালো হয়েছে। ঝুম বৃষ্টিতে বিষণ্ণতা কাটিয়ে মনে ফুটছে গুড়গুড় করা প্রেম। তাকে বাধা দেয়ার সাধ্যি কারোরেই নেই।
কেমন আছেন ভাইজান?
ছাইরাছ হেলাল
রাক্ষস খোক্ষস এক দম খারাপ না, এই বৃষ্টিতে ।
আল্লাহ এই করোনা কালে ভালই রেখেছেন।
ভাল থাকবেন আপনিও।
মোঃ মজিবর রহমান
ক্লান্তু পথের সর্ব দুর্দশা ভেংগে চুরমার ডিংগিয়ে
পরস্পর হৃদপিন্ডের জুগলবন্ধন মন্দ নয়।
এভাবেই জিমে উঠুক ভালবাসা। হোম মিলন বন্ধন।
ছাইরাছ হেলাল
সময়ে ভালুবাসা মন্দ লাগবে না কারো জন্যই।
ভাল থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
রাক্ষসে প্রেম!
তাও কিনা নাচুনে রাক্ষস
বাপরে কি প্রেম!
অবশেষে বিষন্নতার বিষাদ ছেড়ে
প্রেমের জোয়ারে ভাসছে হৃদয় নদী
ছাইরাছ হেলাল
ঝড়-জলের টগবগে নদী দু’কুল বেয়ে ধায়!!
ব্যস্ততায় সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
দুনিয়া খেকো রাক্ষসটার মনে প্রেম ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে বলে মনে হয়। হতেও পারে সবার মন তো সবসময় একরকম থাকে না। পরিবর্তন হয়। রাক্ষসটা প্রেমের জোয়ারে ভেসে অনন্দে নাচতে শুরু করেছে। একসময় এরকম হওয়ার দরকার আছে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
রাক্ষস হলেও ওদের ভালুবাসা জেগে উঠতেই পারে।
তবে একটু জোরাজুরি করে, স্বভাব বলে কথা।
নিরাপদে থাকুন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া — ক্লান্ত রাত জড়ো হয় ছুঁয়ে থাকা নিঃশ্বাসে,
একটু শরণাপন্ন-ঋণ নেবে বলে, আকাশী চোখ থেকে,
পরস্পর হৃৎপিণ্ডের আলিঙ্গনাবদ্ধ মৃদু ধুকপুকে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
বন্যা লিপি
ক্লান্ত রাত জড়ো হয় ছুঁয়ে থাকা নিঃশ্বাসে,
একটু শরণাপন্ন-ঋণ নেবে বলে”…..এই এক লাইনের মধ্যে কি যেন পেলাম….ওটা নিয়ই সবটুকু ভালোলাগা প্রকাশ করে গেলাম।
আপনি ভালো আছেন তো?
সুস্থতা কামনা করছি।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে রাতের সাথে সম্পর্কযুক্ততার কথা বলা হয়েছে মাত্র।
এ লেখায় তেমন কিচ্ছু নেই। তবুও বাড়তি কিছু খুঁজে পেলে সেটুকু গুণি পাঠকের ই।
আল্লাহ আমাকে ভাল রেখেছেন।
আপনিও ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
বিষণ্ণতার দুয়ার এঁটে বিস্তৃত বৈরাগ্যে বন্দিদশার
শৃঙ্খল ভেঙ্গে অনর্গল কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে
ঐ দ্যাখো ঐ দাঁড়িয়ে বটতলার নাচুনে রাক্ষস;
প্রেম সে দেবেই, নেবেও!
চারু-হৃদয়ের মধুপান তার চাই-ই;
ওয়াও, কি নিপুণ শব্দশৈলীর প্রক্ষেপণ, মোহিত হলাম ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আহা আহা, ভাইয়ের মন্তব্য আমার জন্য অনেক পাওয়া।
নিরাপদে থাকুন।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ও ভাল থাকবেন, ভাই।
উর্বশী
হেঁটে যাওয়া ছায়াপথে একলা- উঁকি দেয়।
আপনার লেখার প্রতিটি লাইন যেন এক একটি স্তবক।দারুন ভাল লাগা। আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাল ও সুস্থ থাকুন,শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
নাচুনে রাক্ষস, প্রেম সে দেবেই, নেবেও। বাহ্! দারুন আদান প্রদান।
ছাইরাছ হেলাল
রাক্ষস প্রেম বলে কথা!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপায়ন বড়ুয়া
“ক্লান্ত রাত জড়ো হয় ছুঁয়ে থাকা নিঃশ্বাসে,
একটু শরণাপন্ন-ঋণ নেবে বলে, আকাশী চোখ থেকে,
পরস্পর হৃৎপিণ্ডের আলিঙ্গনাবদ্ধ মৃদু ধুকপুকে।”
যাক অনেক দিন পড়ে পেলাম
রোমান্টিক কবিতা খানি
যা খুঁজি নিত্যদিন
প্রিয়তম তুমি পুজারিনী।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এমন মন্তব্য আমিও খুঁজি সারাক্ষণ, কিন্তু কৈ পাই তা।
নিয়মিত লিখতে শুরু করুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
রাক্ষস কিছু দিতে চায়, তাও জোর-জবরদস্তি!! এই প্রথম শুনলাম। সব কিছু খেয়ে-খুলে ফেলা রাক্ষসও দানশীল হতে পারে জেনে কেন জানি কপালের শিরা-উপশিরা টপকানি দিচ্ছে মহারাজ। আপনি এত হাটাহাটি কেন করেন আর এত্ত অদ্ভুতুড়ে জিনিসগুলোই আপনার সামনে এসে কেন নাচা-নাচি করে ভেবে তো কূল-কিনারা পাচ্ছি না 🤔🤔
ভাগ্যিস লিরিক সহ গান দিয়েছেন, নইলে এই ইংলিশ গানের অর্থ খুঁঁজতে খুঁজতেই রাত পোহাতো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
রাক্ষসেরা রাক্ষুসে হবে এটি-ই স্বাভাবিক। জবরদস্তিই ওদের স্বভাব।
এই রাক্ষসদের উজিয়ে-এড়িয়ে মানুষ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবীকে
এগিয়ে নেবে সবুজের সমারোহের দিকে।
গানটি আমার খুব প্রিয়, তাই লেখায় জুড়ে দিয়ে হাতের কাছে রাখলাম।
নিরাপদে থাকবেন আপনি।
খাদিজাতুল কুবরা
হেঁটে যাওয়া ছায়া পথে একলা-স্বপ্ন উঁকি দেয়
দূর-বৃষ্টি সেজে মেঘমল্লারে; পথ-রেখা জুড়ে
শুধুই বিপন্ন ডানা-হীন পাখিদের ডাক
ক্ষয়ে যাওয়া অস্তিত্বে, নামে বেনামে;
কি অনুপম লেখনশৈল,
শব্দের কি জাদুকরী খেলা,
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
লেখায় একটি বিষয়বস্তু থাকে সেটাই স্বাভাবিক।
শব্দবুনন হচ্ছে একটি লেখার অনন্য আকর্ষণ।
খুব ভালো লাগলো।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝতে পারছি আপনি মন দিয়ে পড়েছেন,
শব্দেরা আমার পছন্দের বিষয়, তাই ওদের সাথে থাকার চেষ্টা করি।
ভাল থাকুন।
পর্তুলিকা
বর্ষার দিনে বৃষ্টি দেখলে সবাই কবি হইয়া যায়। সাদা-কালো মেঘের দিকে কতকিছু আঁকতে থাকে! অন্যরা ঐ মেঘের ভিতর রাক্ষস/ পরীর ছবি কল্পনা করে। আর আপনি তাতে কল্পনা করেছেন বটগাছ, রাক্ষসের ছবি।
কবিতা আরেকটু বড় কইরা লিখলে পইড়া মজা নিতাম।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কবিদের কল্প-ভাবনা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে যায়।
আর যারা পাহাড় চেনে না, চড়তেও জানে না। তাদের দৌড় সে তো আপনি জানেন-ই।
কালে ভাদ্রে এসে মজা চাওয়া/নেয়া ঠিক না।
বড় লেখা দিলে সবাই পালিয়ে বাঁচতে চাইবে! এড়িয়েও যাবে।
ভাল থাকুন।
আলমগীর সরকার লিটন
sundor lakhachan apu
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
বাংলায় লিখতে পারতে হবে।
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্! দারুন লিখনশৈলী, বেশ ভালো লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
I believe in you!
এই ইউ নিশ্চয় প্রকৃতি।
আমার গান কবিতা দুটাই ভালো লেগেছে।
আহ্! লিরিক
ছাইরাছ হেলাল
যে যেমন করে যেথায় যা খুঁজে নেয়/পায়।
আপনার লেখা পাচ্ছি না কেন!!
ভাল থাকুন।