বুমেরাং

আরজু মুক্তা ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ১২:৫৩:৩০পূর্বাহ্ন অণুগল্প ৩৪ মন্তব্য

অচিনপুর, শান্ত নিরিবিলি গ্রাম। একদিন ভোরবেলা কেঁপে উঠলো। কার যেনো নিথর দেহ পরে আছে অচিন গাছের নিচে।

রাজনৈতিক নেতা খোকন। প্রতাপে গ্রাম কাঁপে। ছাগল গরু পোষে। এক টাকাও খরচ করেনা। সারাদিন ওদের ছেড়ে দিয়ে রাখে। এর ওর ক্ষেত খায়। মানুষজন রাগে গজগজ করলেও। মুখে বলতে পারেনা। কখন কী করে বসে!  কার জীবন অর্ধেকেই পরিসমাপ্তি হয়।

কে জানি তোমার ছাগলেরে বাঁধি রাখছে?  এই খবর শুনে সোবহানরে বেধরক পিটন দেয়, খোকন। সবাই চেয়ে দেখে। হাত নিশপিশ করে। সাহস হেরে যায় সবার, বাঁচার আকুতির কাছে।

সোবহানের বৌ আর এক ডিগ্রী উপরে। তারে গরম পানির সেঁক দেয় আর বলে, তুমি না ব্যাটাছোল। ছাগলওয়ালার সাথে পারলা না।

গায়ের রক্ত টগবগ করে। হাজার হোক বৌ একটা কথা বলছে। মুখে কিছু না বললেও রাত ভোরে  দা নিয়ে ছোটে। অচিনপুর কেঁপে ওঠে। " দাঁড়া খোকন! "শব্দটি মুখে উচ্চারিত না হলেও; প্রতিধ্বনি হয় গ্রামের আনাচেকানাচে।  আজ আর কেউ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে না। থু থু ছিটিয়ে চলে যায়। থুথুর মাঝেই পাওয়ার। অনেক ঘৃণা।

যে অচিনগাছের নীচে মানুষ পূজা দিতো। মানুষ মানত করতো। সত্যের যুগ ছিলো। আজ শান বাঁধানো গাছে পাখিও মনের সুখে গান গায়না। বোবা পাখিদের নিঃশব্দ  আর্তনাদে ছোট ছোট বুকগুলো কাঁপে। এই সব অসুস্থ মানসিকতার লোকের জন্য পশু পাখিও অনেকদূরে আশ্রয় খোঁজে।

খোকনরা সবখানে। এক খোকন মরে। আর পাঁচ খোকন জন্ম নেয়। আর মাস্কের আড়ালে সব চাপা পরে। কয়েকদিনের মধ্যেই আর এক খোকনকে অচিন গাছের নীচে আবার ছাগল পুষতে দেখা যায়।

0 Shares

৩৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ