বিভাজন….//

বন্যা লিপি ২৭ মে ২০২০, বুধবার, ১২:০৪:২৮পূর্বাহ্ন বিবিধ ১৬ মন্তব্য

অতি ক্ষুদ্র অংশে তার সন্মানের চিরনির্বাসনে সমাজের উচ্চ মঞ্চে বসেছি সংকীর্ণ বাতায়নে'

মূল ভাবঃ সন্মান বঞ্চিত ব্রাত্যজনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমাজের উচ্চ মঞ্চে কবি আসন গ্রহন করেছেন। তাই সেখানকার সংকীর্ণ জানালা দিয়ে বৃহত্তর সমাজ ও জীবনকে তিনি দেখতে পারেন নি।

উপরের লাইনদুটো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কবি এই কবিতাটি লিখে গিয়েছেন তাঁর মৃত্যুর চারমাস আগে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ 'জন্মদিনে' কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩৪৭ সালে বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যা 'প্রবাসী'কবিতাটি 'ঐকতান'-নামে প্রকাশিত হয়। 'ঐকতান' আত্মসমালোচনা মূলক কবির নিজের অপূর্ণতার স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকারোক্তি।

*****************************

দোকানে কেন এ দর কষাকষি? - পথে ফোটে তাজা ফুল! তোমাতে রয়েছে সকল কালের জ্ঞান, .......................

তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার,'

উপরিউক্ত লেখা কবি  কাজী নজরুল ইসলাম এর।

টিকাঃ সকল শাস্ত্র...দেখ নিজ প্রাণ--

মূল ভাবঃ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ,হিন্দুদের বেদ,খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বাইবেল- এভাবে পৃথিবীর নানা জাতির নানা ধর্মগ্রন্থ। কবি এখানে বলতে চেয়েছেন সকল ধর্মগ্রন্থের মূলমন্ত্র মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই সংকলিত আছে তা হচ্ছে মানবতা বোধ, সমতার দৃষ্টিভঙ্গি।

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত 'সাম্যবাদী' কাব্যের অন্তর্ভুক্ত এ কবিতাটিতে বৈষম্যবিহীন অসাম্প্রদায়িক মানব সমাজ গঠনের প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে।

নজরুলের এই আদর্শ আজও প্রতিটি সত্যিকার মানুষের জীবনপথের প্রেরণা।

গতকাল গেলো বাংলকদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১২১ তম জন্মবার্ষিকী। ছিলো করোনা নিবন্ধিত বিশ্বে ঈদুল ফিতর। ঘটা করে উদযাপন করা হয়নি কবি জন্মবার্ষিকী।  ফেসবুকের নিজস্ব ওয়ালে অনেকেই কবিকে নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন নিজের মতো করে। আমার কিছু চোখে পড়েছে কিছু এড়িয়ে গেছে। আমি তার্কিক নই। সাহসও নেই আমার। জ্ঞান থাকা প্রয়োজন যথেষ্ঠ তর্ক বা সমালোচনা করার মতো। কিছু  বিষয় বুঝে নেই নিজের মতো করে। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেন নানা বিষয় নিয়ে।আমি আমার বোধের জায়গা থেকে উত্তর দেবার চেষ্টা করি।

যেমনঃ----

:ঈদ মোবারক

:ঈদ মোবারক

:কোরোনা শুভেচ্ছা

:আল্লাহ্ মাফ করুন আমাদের সবাইকে-আমিন

:কেমন চলছে অন্যরকম ঈদ?

:আমার কাছে পার্থ্যক্য নেই তেমন কোনো, শুধু খাটনীটা একটু বেশি যাচ্ছে এই আর কি! তারওপর এবার প্রথম মেয়ে জামাই ঘরে...তো বুঝতেই তো পারছো!

: মেয়ে তুলে দিয়েছেন(আনুষ্ঠানিকতা)

: কোরবানী ঈদের পরে কথা ছিলো।এখন তো সব স্থগিত করতে বাধ্য হলাম।

:এখন যে পরিস্থিতী,  তাতে কবে স্বভাবিকভাবে আবার সব কিছু ঠিক হবে, তা বলা মুশকিল।

:সেটাই....

:মেয়েরে কন আর কাম নাই

: মেয়ে মানবে না।একবছর পর হলেও আল্লাহ্ বাঁচালে তাঁর প্রোগ্রাম লাগবেই।

: আচ্ছা - আপনি তো লেখক মানুষ, তাই আপনার কাছে একটা ব্যাপার জানতে চাই।

:কি বিষয় জানতে চাও,আমার জ্ঞানগম্মি কিন্তু খুব খাটো ভাই😊

:ব্যাপারটা হলো -হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন নজরুল ইসলামকে মন থেকে মনে হয় সবাই একটু কম পছন্দ করে। হয়তো আমার ধারনা ভুলও হতে পারে।

:তোমার সাথে আমিও একমত। যেমন মুসলিম সমাজে নজরুলের যে রকম গ্রহনযোগ্যতা, ঠিক তেমনই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ সেরকম।আমিও তেমনই দেখে আসতেছি।

:কিন্তু আমরা মুসলমানরা তো কেউ রবীন্দ্রনাথের অশ্রদ্ধা করিনা!

:এটা মনে হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারনেই হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ -নজরুল ইসলাম কে সঠিক, মননশীল,বোদ্ধারা যতটা গবেষণা বা পড়ে পড়ে জেনেছে, ততটাই বোধ করি বিশাল এক জনগোষ্ঠী দূরেই রয়েছে এসব বোঝার দিক থেকে।

আবার আমি এমনও কোনো মুসলিম নজরুল ভক্ত দেখেছি যে, নির্ধিদ্ধায় রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলে গেছেন। এক শ্রেনীর মোল্লা-মৌলবি ও আছেন, যারা রবীন্দ্রনাথের নামে গুষ্টি উদ্ধার করেন শুধুমাত্র নমঃ কবি(হিন্দু) বলে।

নজরুল ইসলাম এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে তিনি হাত দেননাই। এমনকি হিন্দু সম্প্রদায় নিয়েও লিখেছেন।সেখানে রবীন্দ্রনাথ মানুষের আবেগ-অনুভূতি, সমাজ,সমাজের শ্রেনীবিভেদ,প্রেম-পূজা, ঋতু-সব পর্যায় নিয়ে লিখেছেন।অর্থাৎ আমার মনে হয়েছে একটা গন্ডির ভেতরেই রয়ে গেছেন তিনি। বিষয়গুলো সেখান থেকেও আসতে পারে বিপরীত মনোভাবের কারন হিসেবে।

:হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পর্বের শ্যামা সঙ্গীত তো বেশিরভাগই নজরুল ইসলামের লেখা।

: সেখানে রবীন্দ্রনাথের লেখায় এমন কিছু খুঁজে পাবে যে, তিনি একটা ছোটো গল্পও লিখেছেন কিনা মুসলিম প্রেক্ষাপটে?  এই রকম তর্ক আমি প্রায়শই শুনি শুধু। তর্ক করার মতো বা বিভেদ করার মতো জ্ঞান নাই আমার। এবং এমনটাও শোনা কথা- নোবেল প্রাইজটাও কৌশলে হাতানো হয়েছে নজরুলকে সরিয়ে।

:কাঠ মোল্লাদের আর মৌলবিদের মন্তব্য যতসব না বুঝেই। হ্যাঁ- মুসলিমদের মধ্যেও অনেক আছে শুধু হিন্দু বলেই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে।

: কিছু কট্টর মৌলবাদ আছে যেমন,তেমন আছে কিছু কট্টর হিন্দু সম্প্রদায়, যারা আমরণ টিকিয়ে রাখবে এইরকম সাম্প্রদায়িকতা.....এটা জেনে রেখো।

: কিন্তু সংস্কৃতিমনাদের মনে তো ভেদাভেদ থাকার কথা নয়। অনেক হিন্দু শিক্ষিত যারা সাংস্কৃতির সাথে জড়িত বা যুক্ত আছেন তাদের মধ্যেও আছে নজরুলকে  নিয়ে মন থেকে পছন্দ করেন না।

: এটা তো আগেই বললাম। কতিপয় সংস্কৃতিমনা বলো আর সৃজনশীল, মননশীল যারা দুই কবিকে নিয়েই পড়াশোনা বা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন-এদেরকে পাবে না এই দলে। শিক্ষিত অনেকের মধ্যে ও অনেক দেখেছি এমন বিভাজন মনোভাবের। তুমি বিশ্বাস করবে না আমি খুব কাছের আপনজনের মাঝেও দেখেছি দুই কবির মধ্যে পার্থক্য বা পছন্দ অ-পছন্দের বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে। তখন কিছুই বুঝতাম না।

: আপনি একটা পোস্ট দেখেছেন? একটু খেয়াল করে দেখেছেন? নজরুলকে নিয়ে!

: তোমাকে এই বিষয় নিয়েও যদি বলি, হয়তো তোমার ভালো নাও লাগতে পারে।

:দেখেছেন?

: তুমি যাদের কথা বলছো, সবাইকে কি তুমি একরকম ভাবছো না? আমি কিন্তু বিষয়গুলো অনেক আগে থেকেই খেয়াল করে আসছি।

: আমি আসলে এদের(সংস্কৃতিমনা) আলাদা ভাবতাম।

: কাছের মানুষগুলো সম্পর্কে আসলেই আমরা অনেক অজ্ঞ এখনো বিস্তর। আমার কাছে আলাদা লাগেনাই কিছু। খুব কাছে থেকে দেখা বোঝার সুযোগ হয়/ হচ্ছে আমার।

প্রতিনিয়ত ধাক্কা খাই তাই,ভেতরের কিছু আচরনের প্রকাশ দেখে। সে জায়গা থেকে বাদ যায়না খুব বেশি কেউই।

: আমি তো শুধু লেখালিখি দেখি- কিন্তু আজ ওই পোষ্ট দেখে একটা ধাক্কা খেলাম---

: আমি নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি ভুলও হতে পারি, তবে সবটাই নিজের ভেতরে রাখি।এসব বিষয় নিয়ে কারো সাথে প্রকাশও করিনা।

: আপনি দেখেছেন পোস্ট? হয়তো আমার ভুলও হতে পারে। তাই আপনাকে দেখতে বললাম।

: এখন দেখলাম। আসলে কার লেখা কার কাছে কেমন লাগে বা লাগবে সেসব বিচারের বিষয় আমার না। আমার বোধ থেকে আমি পড়ি- আমি আমার মতো বুঝি।

কারো কারো লেখা পড়লে ভাবতে দ্বিধা হয়না, যোগ্যতা এবং ক্ষমতা অনুযায়ী যার যতটুকু সম্ভব তিনি/ তাঁরা ততটুকুই লেখায় প্রকাশ করেন। এর চেয়ে বেশি বলার কিছু নেই আমার। কেউ কেউ নিয়মিত খুব লেখেন- মনের দিক থেকে খুব টিপিক্যাল সাধারন ঘরানার চিরাচরিত বাঙালী নর/নারী'ই হয়ে আছেন। প্রচুর পড়েন, কিন্তু প্রতিফলন এসে ঠেকে গিয়ে সেই চিরাচরিত টিপিক্যালতায়।

: ওই পোস্টে কি উল্লেখ করলেন?

: বুঝিয়ে দিয়েছেন -একচেটিয়া একজনার প্রতি ভালবাসা বা খুব পছন্দের গুরুত্ব!

দুইজন কবির মধ্যে একজনকে উপস্থাপন করেছেন কিভাবে দেখেছো/ বুঝেছো?

: এজন্যই তো বললাম, পোস্ট দেখে একটা ধাক্কা খেলাম।

: আমার স্বভাব খুব খারাপ জানো!  কারো কারো মুখের ভাষা /কথা বলার ধরন খুব খেয়াল করি প্রথম থেকেই। আবার লেখার ধরনেও আঁচ করা যায় কার মনের গভীরে কতটা জল?

নিজের জন্য কিছু সুবিধা হয়ে যায় তাতে আমার.........

 

 

বিঃদ্রঃ পুরো লেখাটার একটাই উদ্দেশ্য, সাম্প্রদায়িক মনোভাব শুধুমাত্র মানুষে মানুষে নয় কবি বা লেখকের  ক্ষেত্রেও বাদ যায়না। অনগ্রহ করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী  ভাই/বোনেরা এ লেখা থেকে মনে কষ্ট নেবেন না। আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সকলের জন্য শুভ কামনা।

ভালো থাকবেন সবাই।

ঈদ মোবারক।

 

 

 

 

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    বিষয়টি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে দেখা হয় । এই ধর্মের দাম্ভিকতা , দেয়াল আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, পরিবার থেকেই অনেকাংশে আসে। তবে আমি দেখেছি মুসলিম দের চেয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীরা নজরুল এর গানে বেশী পারদর্শী। কারন নজরুলের গানের স্বরলিপি , কাব্য ক্লাসিক নির্ভর। খুব বেশী ভাব-গাম্ভীর্য ময় । কীর্তন, শ্যামা, ভজন এসবের কারনে নজরুল চর্চা অন্য ধর্মাবলম্বীরা বেশী করে। অন্যদিকে রবি ঠাকুরের গান,লেখা সহজ-সরল ভাষায় যা সাধারন মানুষের জন্য সহজ হয় চর্চা করতে বা শুনতে। তাই রবিঠাকুরের পাঠক, শ্রোতা সংখ্যা অনেক বেশি সাধারণ পর্যায়ে। সাম্প্রদায়িকতা থাকবেই সবখানে, সবকিছুতেই যা গুটি কয়েক মানব দ্বারা সৃষ্ট। ধর্ম দেয়াল টানেনা , দেয়াল তুলে ধরে এইসব বক-ধার্মিকরা। যারা ধর্মকে ব্যবসা বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ঈদ মোবারক

  • ফয়জুল মহী

    আহমেদ শরিফ আর হুমায়ুন আজাদ কাজী নজরুলকে বলেছেে আশিক্ষিত কবি । নামি দামি কোন গবেষক নাই একমাত্র আবদূল হাই শিকদার ছাড়া। আজ একটা জনপ্রিয় বগ্লে একজন লিখেছে গরীব কবি যিনি পরিচিত ও মন রমজান—— । অতএব এইসব আছে থাকবে । নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথ মানুষের কবি । আমি একজনকে বেশী ভালোবাসি। এইটা আমার ব্যক্তিগত।

    • বন্যা লিপি

      এইসব আছে থাকবে….
      ব্যাপারটা যা বোঝার বিষয়, তা হলো আমি লেখার মধ্যেই উল্লেখ করেছি…যে যেমন ভাবে বা বোঝার ক্ষমতা! সেখান থেকেই বলেন, বা লেখেন। নজরুলকে যারা অশিক্ষিত বলেন, তাদেরও বলা বা বেঝার যোগ্যতা ততটুকুই। রবীন্দ্রনাথের বেলায় কি বলবেন তবে? মেধা মনন মাপকাঠি ছাড়িয়ে প্রথিতযশা দুইজন কোথায় স্থাপন করেছেন নিজেদেরকে? বিচার্য বিষয় নয় এসব। এসব বোঝার বিষয়।
      আমার বোধ থেকে দেখি এদের মেধা খরচ করে সাহিত্যের ভান্ডারে যা দিয়ে গিয়েছেন তা ফুরাবার নয় কস্মিন কালেও।
      কেউ একজন আমার বেশি পছন্দের এটা অবশ্যই আমার ব্যাক্তিগত মত বা ভালোলাগা। সমানভাবে কাউকে আমার খাটো করে দেখবার কোনো সুযোগ থাকাটাও উচিত নয়।
      ভালো থাকবেন।

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    সকল ধর্মগ্রন্থের মূলমন্ত্র মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই সংকলিত আছে তা হচ্ছে মানবতা বোধ, সমতার দৃষ্টিভঙ্গি।
    এটা মেনে চললেই সব সমস্যার সমাধান হয়।
    ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।

  • জিসান শা ইকরাম

    যারা এমন বিভাজন করেন তারা সাম্প্রদায়িক দৃস্টি দিয়েই বিভাজন করেন। আমি নিজে রবীন্দ্র ভক্ত, তার লেখা আমার কাছে সহজ মনে হয়। অন্তর স্পর্শ করে সহজ বোধ্যতার কারনেই। পক্ষান্তরে নজরুল এর লেখা কিছুটা দুর্বোধ্য মনে হয়।
    এই দুজনের জন্ম এই উপমহাদেশে বলেই এমন সাম্প্রদায়িক দৃস্টি দিয়ে বিচার করি আমরা। ওনাদের লেখার চেয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে কে হিন্দু আর কে মুসলমান।
    দুজনের লেখার ধরন আলাদা, তাই তুলনা করা উচিৎ না। তাদের লেখা আলাদা স্বকীয়তায় উজ্জল।

    অনেক অনেক ভালো একটি পোস্ট দিয়েছ।
    এজন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
    শুভ কামনা।

    • বন্যা লিপি

      দুজনার মেধাই আলাদা বৈশিষ্ট্য ধারন করে। এটাই স্বাভাবিক। সাংস্কৃতিত মনোজ্ঞ মানুষজন দুইজনকে আলাদা করে যখন খাটো বা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা প্রকাশ করে তখন আহত হতে হয়। এই লেখার মূল উৎসাহ এটাই ছিলো। কবছর আগে একটা টিভি শো দেখেছিলাম নজরুলকে নিয়ে, তখন জেনেছিলাম তাঁর(নজরুল ইসলাম) লেখা নিয়ে যেসব গবেষণা হচ্ছে তা সুদুর প্রসারি ভান্ডার সমৃদ্ধ করবে আরো বেশি।
      রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের জনপ্রিয়তার চেয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে দুজনের মেধা দিয়ে যা রেখে গেছেন সমগ্র বাঙালী’র জন্য! তার ধারাবহিকতায় সাহিত্য ভান্ডার প্রতিনিয়ত ভর করে আজো চলছে।
      ধর্মন্ধতা আজীবন চলে আসছে এবং চলবে।
      শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জায়গা থেকে আমাদের কার্পণ্য মনোভাব পরিহার করা উচিত বলে মনে করাটাই এই লেখার মূল উদ্দেশ্য।
      অনেক সাহস করে পোসটটা দিয়েই ফেললাম।
      আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
      ভালো থাকবেন।

  • ছাইরাছ হেলাল

    খুব একটি জটিল বিষয় সহজ করে বলা চেষ্টা নিয়েছেন,
    এত্ত বড় লেখা আপনি লিখতে পারলেন কীভাবে কে জানে!
    মতামত দেয়া কঠিন, তবুও বলছি আমাদের এখানে নজরুল চর্চা কেমন করে কীভবে হয় বুঝছিনা।
    রবীন্দ্রনাথ যেটুকু পড়েছি সে তুলনায় নজরুল পড়া প্রায় শূনের কাছাকাছি। তবে তাঁর গান শুনেছি প্রচুর।
    আবার ধরুন, যাদের কাছ থেকে পড়া শিখেছি তারা নজরুল পড়ার তাগাদা তেমন দেন নি,
    অবশ্য তাই বলে নিজে পড়া যাবে না এমন না। পড়া হয়নি এটিই সত্য।
    এরা নমস্য, এদের নিয়ে এমন বিভাজন সত্যিই দুঃখজনক।

    • বন্যা লিপি

      এত্তবড় পোস্টটা লিখতে তিনঘন্টা সময় লেগেছে😊, তথ্য হাতের কাছেই ছিলো বলে সাহস করে লিখেই ফেললাম। দুজন কবির মধ্যে আমি দেখি মেধা…
      যেমন আমাকে কেউ প্রশ্ন করেছিলো…
      দুজনের মধ্যে আপনার কাকে পছন্দ?
      –পছন্দ অ-পছন্দ বুঝিনা। আমি বুঝি দুজনার মেধা দিয়ে সাহিত্য ভান্ডার পরিপূর্ণ করে দিয়ে গেছেন।
      সেটাই আমার বলার বিষয় পুরো পোস্ট জুড়ে।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ